শরীরের
যেকোনো প্রদাহের কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরণের কালো দাগ ও ব্রণের কালো দাগের
সৃষ্টি হয়। আমাদের ত্বকের রঙের জন্য দায়ী যে রাসায়নিক উপাদানটি তার নাম
হচ্ছে মেলানিন। এই উপাদানটি যদি ত্বকের যেকোনো এক স্থানে বেশি পরিমাণে
উৎপন্ন হয় তাহলে সেখানে কালো কালো দাগের সৃষ্টি হয়।
আবার হরমোনের উঠানামা, বেশি সূর্যের আলোতে থাকা এবং কিছু ঔষধের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়ার কারণেও ত্বকের জেদি দাগ হয় যা সহজে ভালো হতে চায় না। বেশ
ব্যায়বহুল এবং অপ্রাকৃতিক চিকিৎসা যতই করি না কেন এগুলো ভালো ভাবে সেরে উঠে
না। তাই সৌন্দর্যবর্ধক প্রসাধনীর জন্য অতিরিক্ত বেশি টাকা খরচ না করে যদি
নরম, মসৃণ ও দাগহীন উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান তাহলে একটি সাধারণ ও কার্যকরী
ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এক এক জনের ত্বকের পিগমেন্টেশন বিভিন্ন
ধরনের হয়ে থাকে। তাই নিজের দাগহীন ত্বকের জন্য ত্বকের সমস্যা গুলো জেনে
নিন। বিশেষ করে ত্বকের সমস্যা তিন ধরনের হয়ে থাকে। সমস্যা গুলো নিচে দেওয়া
হলো চলুন দেখে নেওয়া যাক।
লেন্টিজিনেস
এই ধরনের ত্বকের দাগ গুলো সূর্যের আলোতে বেশি থাকার ফলে এর অতিবেগুনী
রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে হয়ে থাকে। যা আমাদের সারা শরীর অবস্থান করে
থাকে।
মেলাজমা
থাইরয়েডের সঠিক কার্যকারিতার অভাবে এবং বিভিন্ন হরমোনের পরিমাণের
হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে মুখের ত্বকে কালো দাগের সৃষ্টি হয়। মুখের ত্বকের
কপালের পাশে বা চোখের বা ভ্রুরুর পাশে থেকে গালের দিকে নামতে থাকে।
প্রদাহজনিত হাইপার পিগমেন্টেশন
কোন আঘাতের কারনে ত্বকে কালো দাগ যেমন পুড়ে গেলে, ব্রণের কারণে বা অন্য
কোন কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের গাঢ় বা কালো দাগের সৃষ্টি হতে পারে।
মাত্র ৩টি উপাদানে তৈরি এই প্রাকৃতিক ঘরোয়া মাস্কটি অতি সহজেই ত্বকের যে
কোন কালো দাগ দূর করে। আর এর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে এটি সব ধরনের ত্বকের
জন্য উপযোগী। এটি তৈরি করতে লাগে মধু, বেকিং সোডা এবং অলিভ অয়েল। মধু
ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ও লোমকূপের ভাঁজ দূর করে ত্বকেকে করে তুলে প্রাণবন্ত,
সতেজ এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে বেকিং সোডা হচ্ছে
প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েট এজেন্ট যা ত্বকের প্রদাহ দূর করে এবং রক্তের সঞ্চালন
বাড়ায়।
উপকরণ-
বেকিং সোডা
১ টেবিল চামচ
অলিভ অয়েল
১ চা চামচ
আধা চামচ মধু
যেভাবে মিশ্রণটি তৈরি করবেন
একটি পাত্রে সবগুলো উপাদান নিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে যতক্ষণ না মিশ্রণটি
ভালোভাবে তৈরি হয়। মুখ ভালো করে ধুয়ে মিশ্রণটি লাগাতে হবে এবং ১০ মিনিট
রাখতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল, মসৃণ এবং
সুন্দর ত্বক পেতে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment
আপনার মন্তব্য দিন