১) হরমোনে ভেসে যায় মস্তিষ্ক
২) পেইনকিলারের মতো কাজ করে
এই ঘটনাটা অবশ্য প্রেমে পড়ার আগেও ঘটতে পারে। আকর্ষণীয় একটি মুখ দেখলে এমনিতেই ব্যথা কমে যায়। মস্তিষ্কের যে অংশে মরফিনের মতো পেইনকিলারগুলো কাজ করে, ঠিক সেই অংশেই এই অনুভূতিটিও কার্যকর হয়, ফলে শরীরের ব্যথা কমে যায়। আর ভালোবাসার মানুষটির প্রতি যেহেতু আকর্ষণ বেশি থাকে, তাই তার প্রভাবেই শরীরের ব্যথা কমে যায় অনেকখানি।
৩) মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল অনেক বেশি হয়
মস্তিষ্কের “প্লেজার সেন্টার” বা সুখ-কেন্দ্রের মাঝে প্রচুর পরিমাণে রক্ত সরবরাহ হয় প্রেমে পড়লে। আর এই ঘটনাটি সাধারণত ঘটে প্রেমের দ্বিতীয় পর্যায় “ভালোলাগা” তে, যখন দুইজন একে অপরের সাথে সম্পর্ক দীর্ঘ করার কথা ভাবতে শুরু করেন।
৪) মস্তিষ্কে “ও সি ডি” লক্ষণ তৈরি করে
“ওসি ডি” বা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার হলো এমন একটি অবস্থা যখন মানুষ কোনো কিছু করার প্রতি একগুঁয়ে হয়ে পড়েন। প্রেমে পড়লেও এমনটা হয়, যে কারণে প্রেমাসক্ত মানুষটি তার সঙ্গীর মাঝে কোনো খুঁত দেখতে পান না, সব দোষ ক্ষমা করে দেন। প্রেমের প্রথম পর্যায়ে এমনটা হয়, যখন সঙ্গীর সব কাজই ভাল লাগতে শুরু করে।
৫) হরমোন তৈরি করে দীর্ঘমেয়াদি অনুরাগ
বেশ কিছুদিন ধরে কাউকে ভালোবাসার পর মানুষের মাঝে তৈরি হয় আনুগত্য এবং নির্ভরশীলতার অনুভূতি। তখন মস্তিষ্ক আগের মতো উচ্ছ্বাস অনুভব করে না বটে, কিন্তু মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন আর ভ্যাসোপ্রেসিন নামের দুই হরমোন নিঃসৃত হবার ফলে মস্তিষ্কে তৈরি হয় নিরাপত্তা এবং স্থিতির অনুভূতি। ফলে মানুষ ওই সঙ্গীর সাথেই জীবনে স্থায়ী হতে চায়।
No comments:
Post a Comment
আপনার মন্তব্য দিন