এফএনএস : প্রায় ১২-১৩ বছর বয়সে কিশোরীদের প্রথম ঋতুস্রাব হয়। এরপর থেকে প্রতি মাসেই তার মাসিক হতে পারে। অনেক কিশোরী প্রায় দু-তিন দিন মাসিকের সময় অসহ্য ব্যথায় ভুগে থাকে ও স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারে না। স্কুল-কলেজে যেতে পারে না। ফলে মা-বাবা ও কিশোরী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে। সবাই যে এ সমস্যায় ভোগে তা নয়, তবে অনেকেই ভোগে। এটাকে স্বাভাবিক ঘটনা মনে করে অনেক বাবা-মা এড়িয়ে যান, কিশোরীকেও দিনের পর দিন কষ্ট ভোগ করতে হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ রোগটির নাম স্পাজমোটিক ডিজমেনোরিয়া। এতে সামান্য ব্যথা থেকে শুরু করে অতি তীব্র ব্যথাও হতে পারে।
ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে তলপেটে সামান্য ব্যথা অনেক মেয়েরই হয়। তবে সেটা মোটামুটি সহ্য করার মতো। কিন্তু যদি এই ব্যথা অসহ্য রকম হয়, স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করে, তাহলে তার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন।
কেন এই মাসিককালীন ব্যথা?
ডিম্বস্ফুটন বা ওভুলেশনের জন্য প্রোস্টাগ্লানডিন নিঃসরণই মাসিককালীন ব্যথার কারণ। দেখা গেছে, যাদের এ ধরনের ব্যথা বেশি হয়, তাদের শরীরে প্রোস্টাগ্লানডিনের মাত্রা বেশি থাকে। এ ছাড়া মা যদি নিজের জীবনে এ ধরনের ব্যথায় ভুগে থাকেন, মেয়েরও এ ব্যথা হতে পারে। সে জন্য কিশোরীদের মাসিক সম্বন্ধে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। এই জ্ঞানটি কিশোরী মা-খালা, শিক্ষক, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক ও পরামর্শদাতার কাছ থেকে পেতে পারে। পরীক্ষা বা সামাজিক কোনো কারণে যদি মানসিক উদ্বেগ থাকে, তখনো এ ধরনের ব্যথা হতে পারে।
কী করে বুঝবেন?
ব্যথার অনুভূতি ও সহ্যশক্তি একেকজনের একেক রকম। চিকিৎসক রোগীর কাছ থেকে সঠিক ইতিহাসটা জেনে নেবেন। আরো জানতে হবে ব্যথা মাসিকের কোন সময়ে হয়! শুরুতেই, নাকি চলাকালীন অথবা পরে। এ সময় ব্যথা নিরাময়ের জন্য সে কী করে? ব্যথা ছাড়া অন্য কোনো ধরনের অসুবিধা আছে কি? জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করলে নিরাময় হয় কি? দিন দিন বাড়ছে কি না ইত্যাদি।
সাধারণত এই ব্যথা মাসিকের শুরুর দিকেই হয়। এতে মাথাব্যথা, বমিভাব বা বমি হতে পারে। পরীক্ষায় অধিকাংশ সময় কিছু পাওয়া যায় না। অল্পসংখ্যক কিশোরীর মধ্যে প্রজননতন্ত্রের সমস্যা, প্রদাহ অথবা এন্ডোমেট্রিওসিস হয়ে থাকে।
চিকিৎসা
মায়ের ভূমিকাই বেশি। মুক্ত বায়ুতে খেলাধুলা করতে উৎসাহ দিতে হবে। সাঁতার কাটাও একটি ভালো ব্যায়াম। শাকসবজি, ফল ও পানি বেশি খেতে হবে, যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না থাকে। খেলাধুলা ওর শরীরে রক্তসঞ্চালন করতে সাহায্য করবে। ব্যথা হলে প্যারাসিটামলজাতীয় ব্যথানিরামক ওষুধ দুটি করে একসঙ্গে খেতে দেওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই কিছু খাওয়ার পর এই ওষুধ সেবন করবে। ডাইক্লোফেনাকজাতীয় ওষুধও ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পরও যদি ব্যথা উপশম না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ব্যাপারে অনেক সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এই চিকিৎসা যদি তিন থেকে ছয় মাস করা যায়, তাহলে রোগী ভালো হয়ে উঠবে।
আবার এমনও হতে পারে, কিশোরীর বয়স ১৪-১৫ হয়েছে। প্রতি মাসেই তার তলপেটে অসহ্য ব্যথা হচ্ছে কিন্তু ঋতুস্রাব দেখা যাচ্ছে না। তখন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। সাধারণত জন্মগত কিছু সমস্যার জন্য এটা হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা অধিকাংশ সময়ই সামান্য অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভালো হতে পারে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে এটা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসাও খুব কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় কী ধরনের চিকিৎসা লাগবে এবং সেভাবেই চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
আবার যাদের এন্ডোমেট্রিওসিস থাকে তাদের মাসিকের শেষের দিকে ব্যথাটা আরো বেড়ে যায়। যত দিন যায় আস্তে আস্তে কমতে থাকে, তবে সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না। তলপেটে চাপ দিলেই ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক সময় তলপেটের ডানদিকে ব্যথা হলে চিকিৎসকরা অ্যাপেন্ডিসাইটিস ভেবে ভুল করে থাকেন। কাজেই এ ধরনের ব্যথা হলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচি
ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে তলপেটে সামান্য ব্যথা অনেক মেয়েরই হয়। তবে সেটা মোটামুটি সহ্য করার মতো। কিন্তু যদি এই ব্যথা অসহ্য রকম হয়, স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করে, তাহলে তার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন।
কেন এই মাসিককালীন ব্যথা?
ডিম্বস্ফুটন বা ওভুলেশনের জন্য প্রোস্টাগ্লানডিন নিঃসরণই মাসিককালীন ব্যথার কারণ। দেখা গেছে, যাদের এ ধরনের ব্যথা বেশি হয়, তাদের শরীরে প্রোস্টাগ্লানডিনের মাত্রা বেশি থাকে। এ ছাড়া মা যদি নিজের জীবনে এ ধরনের ব্যথায় ভুগে থাকেন, মেয়েরও এ ব্যথা হতে পারে। সে জন্য কিশোরীদের মাসিক সম্বন্ধে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। এই জ্ঞানটি কিশোরী মা-খালা, শিক্ষক, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক ও পরামর্শদাতার কাছ থেকে পেতে পারে। পরীক্ষা বা সামাজিক কোনো কারণে যদি মানসিক উদ্বেগ থাকে, তখনো এ ধরনের ব্যথা হতে পারে।
কী করে বুঝবেন?
ব্যথার অনুভূতি ও সহ্যশক্তি একেকজনের একেক রকম। চিকিৎসক রোগীর কাছ থেকে সঠিক ইতিহাসটা জেনে নেবেন। আরো জানতে হবে ব্যথা মাসিকের কোন সময়ে হয়! শুরুতেই, নাকি চলাকালীন অথবা পরে। এ সময় ব্যথা নিরাময়ের জন্য সে কী করে? ব্যথা ছাড়া অন্য কোনো ধরনের অসুবিধা আছে কি? জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করলে নিরাময় হয় কি? দিন দিন বাড়ছে কি না ইত্যাদি।
সাধারণত এই ব্যথা মাসিকের শুরুর দিকেই হয়। এতে মাথাব্যথা, বমিভাব বা বমি হতে পারে। পরীক্ষায় অধিকাংশ সময় কিছু পাওয়া যায় না। অল্পসংখ্যক কিশোরীর মধ্যে প্রজননতন্ত্রের সমস্যা, প্রদাহ অথবা এন্ডোমেট্রিওসিস হয়ে থাকে।
চিকিৎসা
মায়ের ভূমিকাই বেশি। মুক্ত বায়ুতে খেলাধুলা করতে উৎসাহ দিতে হবে। সাঁতার কাটাও একটি ভালো ব্যায়াম। শাকসবজি, ফল ও পানি বেশি খেতে হবে, যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না থাকে। খেলাধুলা ওর শরীরে রক্তসঞ্চালন করতে সাহায্য করবে। ব্যথা হলে প্যারাসিটামলজাতীয় ব্যথানিরামক ওষুধ দুটি করে একসঙ্গে খেতে দেওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই কিছু খাওয়ার পর এই ওষুধ সেবন করবে। ডাইক্লোফেনাকজাতীয় ওষুধও ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পরও যদি ব্যথা উপশম না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ব্যাপারে অনেক সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এই চিকিৎসা যদি তিন থেকে ছয় মাস করা যায়, তাহলে রোগী ভালো হয়ে উঠবে।
আবার এমনও হতে পারে, কিশোরীর বয়স ১৪-১৫ হয়েছে। প্রতি মাসেই তার তলপেটে অসহ্য ব্যথা হচ্ছে কিন্তু ঋতুস্রাব দেখা যাচ্ছে না। তখন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। সাধারণত জন্মগত কিছু সমস্যার জন্য এটা হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা অধিকাংশ সময়ই সামান্য অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভালো হতে পারে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে এটা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসাও খুব কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় কী ধরনের চিকিৎসা লাগবে এবং সেভাবেই চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
আবার যাদের এন্ডোমেট্রিওসিস থাকে তাদের মাসিকের শেষের দিকে ব্যথাটা আরো বেড়ে যায়। যত দিন যায় আস্তে আস্তে কমতে থাকে, তবে সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না। তলপেটে চাপ দিলেই ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক সময় তলপেটের ডানদিকে ব্যথা হলে চিকিৎসকরা অ্যাপেন্ডিসাইটিস ভেবে ভুল করে থাকেন। কাজেই এ ধরনের ব্যথা হলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচি
No comments:
Post a Comment
আপনার মন্তব্য দিন