Pages

সাজগোজ : দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ

পার্টিতে সবচেয়ে সুন্দর ও পরিপাটি করে সেজে উপস্থিত হলো নিশি। নিশির সাজ দেখে অনেকেই অবাক। একজন তো বলেই ফেলল—কালো মেয়ের সাজ এত সুন্দর। আসলে গায়ের রং যেমনই হোক না কেন সুন্দর ও পরিপাটি করে সাজলে যে কোনো মানুষই হয়ে উঠবে আরও সুন্দর। ফর্সা ত্বকের প্রতি আমাদের সবারই কম-বেশি দুর্বলতা রয়েছে। ‘সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফর্সার পাশাপাশি কালোর প্রতি ছিল দারুণ আগ্রহ, যা ফুটে ওঠে তার কবিতায়। গায়ের রং কালো বলে অনেকেই নিজেকে ছোট করে দেখেন। মজার বিষয় হচ্ছে, ফর্সা ত্বকের চেয়ে কালো ত্বক অনেক বেশি সুস্থ থাকে, যা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। কেননা, কালো ত্বকে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি খুব একটা খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে না। কিন্তু ত্বক ফর্সা বা কালো বড় কথা নয়, বরং সুস্থ-স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও লাবণ্যতাই আসল সৌন্দর্য। রং যেমনই হোক না কেন সুন্দর ও পরিপাটি করে সাজলে যে কেউ হয়ে উঠবেন আকর্ষণীয়। তবে যাই করুন না কেন, আপনি যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন এবং আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন। ত্বকের রং কালো হলেও সুন্দর এবং সঠিক নিয়মে সাজসজ্জা করলে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন সুন্দর।
কালো ত্বকের সাজগোজ : কালো ত্বকের মেয়েদের মেকআপ করার আগে প্রথমেই ত্বকের ধরন বুঝে রং এবং শেড ঠিক করতে হবে। রংয়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ত্বকের সুস্থতা। আর সুস্থ ত্বকে মেকআপ করলে তা হয়ে ওঠে আরও সুন্দর। যাদের গায়ের রং কালো তারা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ত্বকের ধরন সম্পর্কে। এ ক্ষেত্রে ত্বকের সঙ্গে মানানসই এবং ন্যাচারাল শেড ব্যবহার করে নিজেকে সাজিয়ে তুলুন পরিপাটি করে। এ ব্যাপারে জেনে নেই সাধারণ কিছু টিপস।
ফাউন্ডেশন : ফর্সা বা কালো যে কোনো ত্বকেই মেকআপের প্রথম ধাপ হচ্ছে ফাউন্ডেশন। যাকে অন্যভাবে বলা যায় মেকআপের ভিত্তি। প্রথমে মুখ ভালো করে ধুয়ে ক্লিংজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজার লাগান। তারপর ভালো ব্র্যান্ডের ফাউন্ডেশন দিয়ে বেইজ তৈরি করে নিন। এক্ষেত্রে ত্বকের ধরন ও রং অনুযায়ী ওয়েল-ফ্রি, ওয়াটার বেইজ লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। তবে ব্যবহারের আগে সামান্য পানি দিয়ে তা ভালোভাবে মিশিয়ে তারপর ত্বকে লাগান। যদি ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে শেড ব্যবহার করতে হয় তবে অবশ্যই স্কিনের চেয়ে হালকা এবং ন্যাচারাল শেড ব্যবহার করুন। পরে কনসিলার এবং মেকআপ পাউডার ব্যবহার করুন। পাউডার ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করে উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তোলে।
চোখ সাজান সুন্দর করে : সুন্দর করে চোখ সাজানো এক ধরনের শিল্প। সুন্দর করে চোখ সাজালে মেকআপ অনেক বেশি পরিপাটি মনে হয়। চোখ সাজানোর সময় অবশ্যই তৈলাক্ত ও উজ্জ্বল রংয়ের শেডও দেখতে ভালো লাগে। সান্ধ্য সাজের ক্ষেত্রে চোখ সাজানোর সময় চোখের পাতায় হালকা করে পাউডার পাফ বুলিয়ে নিন। এতে আইশেডো ব্যবহারে চোখ অনেক বেশি উজ্জ্বল লাগবে। দিনের জন্য ধূসর বা বাদামি আই লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। তবে চিকন করে। এছাড়া চোখের নিচে লাইনার না দেয়াই ভালো। ভালো হয় যদি একেবারেই লাইনার ব্যবহার না করেন। সবশেষে আইলিস অথবা মাশকারা ব্যবহার করে চোখের সাজ পূর্ণ করুন। মাশকারা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ন্যাচারাল এবং স্বচ্ছ রং ব্যবহার করুন। যদি আপনার আইলিস বড় হয় তবে কালো মাশকারা এড়িয়ে চলুন।
ব্লাসন : ব্লাসন ছাড়া যেন সাজের পরিপূর্ণতা আসে না। তাই মেকআপে ব্লাসন ব্যবহারের সময় শেড নির্বাচনে সতর্ক থাকুন। এক্ষেত্রে আপনি বাদামি এবং পিস শেড ব্যবহার না করে গোলাপি, গাঢ় কমলা, কোরাল ব্যবহার করতে পারেন। কৃষ্ণবর্ণের যারা তারা দিনের সাজে গাঢ় গোলাপি এবং রাতের জন্য ওয়াইন ও তামাটে রং ব্যবহার করুন। এর সঙ্গে গোল্ডেন কালারও ব্যবহার করতে পারেন। তবে কপাল এবং আইব্রোর কোনায় হালকা করে গোল্ডেন রং ব্যবহার করুন। এতে সাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
লিপস্টিক : সাজের সবশেষ ধাপ হচ্ছে লিপস্টিক ব্যবহার। লিপস্টিক ব্যবহারের সময় লিকুইড লিপস্টিক না ব্যবহার করে বরং ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করুন। বাদামি, বেগুনি, হালকা গোলাপি, গোল্ডেন, কফি, চকোলেট, প্লাম, বেরি শেড বা অন্য যে কোনো হালকা রং ব্যবহার করুন। তবে গাঢ় গোলাপি, মেজেন্ডা, লাল, কমলা রং এড়িয়ে চলুন। মোট কথা, আপনার ব্যক্তিত্ব ও সাজের ধরন বুঝে লিপস্টিক ব্যবহার করলে তা অনেক বেশি কার্যকর হবে। তবে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে লাইনার দিয়ে সুন্দর করে ঠোঁট এঁকে নিন।

(রফিক স্যার)

ছেলেদের সুন্দর ত্বক

একটা সময়ে সৌন্দর্য চর্চা ছিল শুধুই মেয়েদের অধিকারে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় বদলে গেছে অনেক কিছুই। বর্তমানে সৌন্দর্য চর্চার বিষয়ে ছেলেরাও সমান সচেতন। আর তাই ভীড় বাড়ছে জেন্টস পার্লারগুলোতে। কেন নয়? সজীব আর প্রানবন্ত থাকতে ত্বকের প্রতি একটু বেশি যত্নবান তো হতেই হবে। ছেলেরা কীভাবে ত্বক সজীব রাখবেন, জেনে নিন কিছু টিপস-

ত্বকের যত্ন: এসময় ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক সুন্দর রাখতে কেমিক্যালের চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা ভালো। কেননা কেমিক্যাল ব্যবহারে ত্বকের কোমলতা ও উজ্জলতা কমে যেতে পারে। মুখ ও গলায় আলু, পাতিলেবুর রস, কচি শশার রস ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়।

আলু পানিতে ধুয়ে পাতলা করে কেটে মুখ ও গলায় ১০ মিনিট ঘষতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের সজীবতা ফিরে আসবে।

পেপে, গাজর, শশা, কমলা, আপেল পেষ্ট করে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। আর বাসায় এসব করতে না চান তাহলে জেন্টস পার্লার ও সেলুনে গিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করাতে পারেন।

মাসে অন্তত দুইবার ফেসিয়াল করা উচিত। ফেসিয়াল করলে ত্বকের ব্লাক হেডস দূর হয়ে যায়। যারা সময়ের অভাবে অথবা অনভ্যস্ততার কারনে পার্লারে পরিচর্যা করতে পারেন না, তাদের জন্য ঘরে বসে ত্বকের পরিচর্যার দুটি সহজ পদ্ধতি-

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা দুই চামচ কাঠবাদাম বাটা এবং মুগ ডাল গুড়োর সাথে ১চা চামচ গোলাপ জল দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে মুখ ও গলায় মেখে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো ভাবে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুইবার এভাবে ত্বকের পরিচর্যা করুন।

শুষ্ক ত্বকের জন্য: শুষ্ক ত্বকের জন্য দুই চা চামচ মুগ ডাল গুড়ো, সমপরিমান ময়দা , দুই চামচ আর্মন্ড ওয়েল, দুই চামচ প্রিপারমিন্ট ওয়েল সেই সাথে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। মুখ ও গলায় মেখে ২০ মিনিট রাখুন। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে মশ্চারাইজার মাখুন।

নিয়মিত পরিচর্যায় ত্বক হয়ে উঠবে কোমল ও উজ্জল।


নারীকে আকৃষ্ট করার ১০ টিপস

পুরুষের নারীর প্রতি আকর্ষণ থাকবে, নারীরও পুরুষের প্রতি আকর্ষণ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নারীরা বরারারই নিজেদের চাহিদাকে রহস্যময় করে রাখতে পছন্দ করে। তাহলে একজন নারীর কাছে একজন পুরুষ কিভাবে নিজেকে আকর্ষণীয় ভাবে মেলে ধরবে? হ্যাঁ, আপনাকে নারীর মনোজগত সম্পর্কে হালকা ধারনা রাখতে হবে। অর্থাৎ নারীর ভালোলাগা, মন্দ লাগা নিয়ে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। তাহলে আসুন জেনে নিই নারীকে আকর্ষণের ১০ উপায়।



এক. সবসময় পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন,পরিপাটি থাকুন। যেই পোষাকই পড়ুন না কেন তা যেন সুন্দর এবং আপনার সাথে মানান সই হয়।



দুই. নিজের আত্মবিশ্বাস প্রমানের জন্য সব সময় নারীর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। নারীরা আত্মবিশ্বাসী ছেলেদের পছন্দ করে। ভুলেও দেহের দিকে তাকাবেন না। এতে আপনার প্রতি তার বাজে ধারনা হতে পারে।



তিই. প্রশংশা করুন। যেমন, ‘নীল শাড়ীতে তোমাকে শমরেশের মাধবীলতার মত লাগে’।



চার. তার মতামতের গুরুত্ব দিন। সে কথা বলার সময় তাকে সময় দিন,চুপ করে শুনুন। সর্বোপরি একজন ভালো শ্রোতা হোন। একজন ভালো শ্রোতাকে শুধু নারীরা নয় সবাই পছন্দ করে।



পাঁচ. তার ভালো দিকগুলো তুলে ধরুন। যেমন তোমাকে হাসিখুশি মনে হয়। তোমার সব কাজই ভাল হয়। তুমি অনেক পজিটিভ ইত্যাদি। তার কোন একটা দিক ভালো না লাগলে ভদ্রভাবে তাকে বুঝান। তাকে বলুন এটুকু ঠিক করে নিলে সেই পৃথিবীর সেরা।



ছয়. তার ভালোলাগা, মন্দলাগা, প্রিয়, অপ্রিয় সব জেনে নিন। আপনার পছন্দের সাথে মিলে যায় এমন বিষয়গুলোকে বারবার আলোচনায় টেনে আনুন। মাঝে মাঝে তার পছন্দের কিছু করে তাকে সারপ্রাইস দিতে পারেন। নারীরা সারপ্রাইস পেতে পছন্দ করে।



সাত. মনে রাখবেন, মেয়েরা সামাজিক ও মিশুকদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তার বন্ধুদের মূল্যায়ন করুন। তার সামনে তার বন্ধুদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন না। এতে আপনার প্রতি তার বিরূপ ধারনা হতে পারে। তার আত্মীর,বন্ধু বান্ধবদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করুন।



আট. তার প্রতি যত্নশীল হোন। কোথাও প্রবেশের সময় আগে গিয়ে দরজা খুলে তাকে স্বাগতম জানান। এ বিষয়টি নারীদের ভীষণ প্রিয়।



নয়. আপনার কাছে তার গুরুত্ব বোঝান। একসঙ্গে থাকাবস্থায় ফোন পরিহার করার চেষ্টা করুন। ফোনে কথা বলার সময় বোঝাতে চেষ্টা করুন আপনি তার প্রতি মনোযোগী। তার প্রতি আপনার পূর্ণ আকর্ষণ রয়েছে।



দশ. তাকে সহায়তা করুন। মেয়েরা সব সময় সহযোগীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। যেমন কোট পরিধানে হাত বাড়িয়ে দিন। নারীর সেবায় উদার হোন।

(রফিক স্যার)

"মেয়েদের বিউটি টিপস "

স্নানের পরপর বডি লোশনে
গরম যদি লাগে,
বডি লোশনে অল্প জল
মিশিয়ে নিন আগে ।

গরমে যদি শরীরে
গন্ধ হয় ঘামের,
কোলন বা হাল্কা সুগন্ধি,
লাগান বেশী দামের ।

ঠোঁটে দিন লিপ বামের
হালকা একটু ছোঁয়া,
দুরের থেকে লাগবে দেখতে,
কমলা লেবুর কোঁয়া ।

রোদে বেরোলে সানপ্রুফ
ফাউন্ডেশন~ময়শ্চরাইজার,
ব্লাক মাসকার লাগানোর আগে
লাগান আই লাইনার ।

স্মোকিং আইয়ের জন্য
আইশ্যাডো কফি কালার,
চুলে দিন বারগ্যান্ডি
হেব্বি লাগবে এবার ।
~~~~ @ ~~~~

(রফিক স্যার)
২০১২ সালের s.s.c বিদায়ী ছাত্রীদের পুরুস্কার দিচ্ছেন রফিক স্যার

ভ্যালেন্টাইনস ডে টিপস

করণীয় বিষয়াদি

প্রথমে বলে রাখি, আপনার বুঝতে হবে আপনি যাকে পছন্দ করেন মনে মনে সে কেমন মন মানসিকতার।কারণ প্রত্যেকটি মানুষই পৃথিবীতে এক ও অনন্য,কারো সাথে কারো মিল নেই।আর তাই আপনার পছন্দের মানুষ টি কেমন তা বুঝতে পারা অনেক বড় একটি ব্যাপার।যদিও কথার কথা মেয়েদের মন নাকি ঈশ্বর ও বুঝতে পারেন না।ঈশ্বর বুঝুক আর না বুঝুক আপনাকে বুঝতে হবেই,এই বুঝাকে একটু সহজ করতে,একটা গোপন কথা বলি,যে কোন মেয়েই হোক না কেন(হোক সে ডিজুস মেয়ে আর হোক সে সাদাসিধে বাঙ্গালি মেয়ে)সব মেয়েই চায় একটা আশ্রয়।আশ্রয় মানে,তাকে আপনি কি ভাবে নিচ্ছেন…হোক সেটা বন্ধু হিসেবে,হোক সেটা কলিগ হিসেবে,হোক সেটা লাইফ পার্টনার হিসেবে।আর সেই টাকে পুঁজি করে আপনই আপনার ভালোবাসার বীজ বুনবেন।

হুমমম,টাকায় সবই হয়,সবাই বলে।টাকা হলে নাকি কানা ও বিশ্ব-সুন্দরী পায়।পেতে পারে,আপনার হয়তো তেমন নেই,তাতে কি একটু কৌশলী হোন এ ব্যাপারে।কৌশলী মানে চাপাবাজি না কিন্তু,এর মানে নিজেকে আপনি স্মার্ট ভাবে প্রজেক্ট করুন আপনার ভালোলাগার মানুষের সামনে।স্মার্ট মানে আপনার কথাবলা,বাচনভঙ্গি,চোখের দৃষ্টি,হাতের মুভমেন্ট,পোশাক পরিচ্ছেদ ইত্যাদি।এখানে কথা হল,আপনি কথা বললে একটু স্পষ্ট করে কথা বলবেন,দৃষ্টি যেন ভালো থাকে।সর্বোপরি নিজেকে কখনো পরিবর্তন করবেন না,কারণ ভালোবাসাতে পরিবর্তনটা আমি নিজে পছন্দ করি না।যা করবেন তা হল নিজেকে পরিশীলিত ও মার্জিত করা।ইয়ো ইয়ো টাইপের ছোকরা দের হয়তো ভালো লাগতে পারে খানিক সময়ের জন্য,কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য উপরোক্ত বিষয় প্রাধান্য।

সম্মান করতে শিখুন মানুষকে এবং ঐ মানুষটাকেও যাকে আপনি ভালোবাসেন।কারণ প্রায়ই আমরা বলে উঠি সব মেয়েই এক,সুতরাং অসম্মান করে কখনো কিছু বলবেন না।
খেয়াল রাখবেন কথা বলার সময় কখনোই আপনি হাত-পা ছুঁড়ে কথা যেন না বলেন,মুখ ও শরীর থেকে যেন বাজে গন্ধ না আসে,নাকে হাত দিবেন না,তোতলাবেন না,কথার রিপিটেশন করবেন না,মিথ্যে তথ্য কিংবা চাপা মারবেন এই বলে যে আমার এই-ঐ আছে,জোরাজুরি করবেন না,রিক্সায় উঠিয়ে দিলে নিজে হুট উঠিয়ে দিবেন –যাদের গাড়ি আছে তারা দরজা খুলে দিবেন ইত্যাদি।

ভালোবাসার মানুষটির কোন বিষয়ে আগ্রহ সেটি বুঝার চেষ্টা করুন,তার আগ্রহের বিষয়কে প্রাধান্য দিন।নিজের ব্যক্তি দর্শন কে ভালোবাসার মানুষের আগ্রহের বিষয়ের সাথে কেন্দ্রীভূত করে ঐ বিষয়ে জানার পরিধি বাড়ান।

মেয়েদের বান্ধবীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে,সব সময় এটা সম্ভব হয় না,যদি সম্ভব হয় তাদের কে আপনি ইমপ্রেস করে আপনার এডভোকেট বানিয়ে ফেলবেন,এর জন্য আহামরি কিছু করতে হবেনা শুধু যেই জায়গায়ই পরিচয় হোক না কেন,আইসক্রিম,কিংবা ফুচকা,ক্ষেত্র বিশেষ এ প্রাণ এর আচার,জাল কিছু খাওয়াতে পারেন।একটা কথা এখানে ওদের প্রতি আপনার চোখের দৃষ্টি যেন স্বাভাবিক ও মার্জিত থাকে।

কয়েকটি একস্যাপসনাল বিষয়াদি:

১.কিছু বদ রাগী অথবা জেদি,অথবা দেমাগি মেয়ে আছে এদের সাথে এদের অহংকার ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করেন যুক্তি তর্ক দিয়ে মার্জিত উপায়ে।

২.আপনার সেন্স অব হিউমারের প্রয়োগ করবেন কথা বলার সময়,তাছাড়াও হাস্যরস্তাক কিছু জিনিস ও যোগ করতে পারেন।

৩.ইনডায়ক্টলি বোঝার চেষ্টা করবেন আপনার সম্পর্কে সে কি ভাবে।

৪.অবার নিজেকে হেল্প করার নামে একেবারেই সহজলভ্য করে ফেলবেন না তার কাছে।সহজলভ্য হলে আপনাকে বলদের মত ইউজই করবে শুধু।

৫.মোটরসাইকেল চালাতে পারলে ভালো,যদিও আমি পারি না।যদি না পারেন তাহলে রিক্সায় করে বেরোতে পারেন।

৬.রিলেশন হওয়ার পর কখনই তড়িঘড়ি করে সেক্সুয়াল ইন্ডিকেশনে যাবেন না,চেষ্টা করবেন তার মনোভাব বুঝতে,জোরজবরদস্তি করবেন না।

৭.দুইবার যদি ইন্টারেস্ট করে ব্যর্থ হন,তাহলে তৃতীয়বার চেষ্টা করে বিরক্ত করবেন না।

৮.ভালোবাসার মানুষটিকে পঁচাবেন না অন্য কারো সামনে।

৯.ফানি হতে গিয়ে নিজেকে জোকার বানাবেন না।

১০.যেই বিষয়ে আপনার জ্ঞান বা ধারনা নেই তা নিয়ে কখনো তর্কে যাবেন না।

সবশেষে বলব হাজারো উপায় হয়তো আছে কাউকে আপনার দিকে নিয়ে আসার এগুলো হচ্ছে শুধু কিছু বেসিক অ্যাপ্রোচ।এ ম্যানর গুলো হয়তো আমরা সবাই জানি কিন্তু মানি না।সুতরাং আপনার কথা বলা,আচরণ,দৃষ্টি,বিশ্বাস আপনাকে আলাদা করতে পারে আরেকজনের কাছে।যদি আপনার ভালোবাসার মানুষের কাছে অপশন ও থাকে তাহলে আপনার পজিটিভ অ্যপ্রোচ আপনাকে জয়ী করে দিতে পারে সহজেই।কারণ,সব মেয়েই চায় ডিফারেন্ট কোন কিছু।আর ভালবাসা হওয়ার পর,তাকে আগের মতই ট্রিট করবেন,সম্মান দিবেন,ভালোবাসার রূপ বদলাবেন যেন ভালোবাসা পুরনো ও একঘেয়ে না হয়ে যায় কখনো,আর একটা স্বপ্ন বুনে দেওয়ার চেষ্টা করবেন,যেই স্বপ্ন কে সাথী করে আপনার সাথে থাকবে সর্বদা আপনার ভালোবাসার মানুষটি।

লাভ টিপস

লাভ টিপস!
প্রেম করা অনেক সহজ আবার খুব কঠিন কাজ।
প্রেমের দুইটা ধাপ আছে যদি আপনি ধাপ দুইটা ঠিক
ঠাক অনুশরণ করেন তাহলে আপনি যাকে পছন্দ
করবেন তার সাথে প্রেম করতে পারবেন! (১)
অপরিচত কোন মেয়ের সাথে প্রেম করতে চাইলে তার
সাথে আগে বন্ধুত্য করুন সরাসরি আই লাভ ইউ
বললে কাজ হবে না ৯৯% বন্ধুত্য হলে তার কিছু দিন পর বলুন প্রেম হয়ে যাবে (২) আপনার পাশের
কোন মেয়েকে ভাললাগলে সরাসরি না বলে তার
বান্ধীকে আগে হাত করুন আর তাকে দিয়ে বলুন
আপনার মনের কথা। যদি মেয়েটা খুব মডার্ণ হয়
তাহলে আপনি সাহস করে নিজে গিয়ে বলুন সুইট
কণ্ঠে চোখে চোখ রেখে আমি তোমাকে ভালবাসি। প্রথমে অবশ্য ঝাড়ি দেবে ভাব নেবে পরে হয়ে যাবে লাভ,,
(রফিক স্যার)