Pages

ভালোবাসার মানুষটি

Photo: "যে সম্পর্ক যত তাড়াতাড়ি গঠিত হয়, সে সম্পর্ক তত তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়।"

তাই সম্পর্ক গড়ার আগে একটু সময় করে নিন হোক সেটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিংবা অন্য সম্পর্ক।
Jibon Ekta Choto Golpo-জীবন একটা ছোট গল্প
                                          ভালোবাসার

চোখ বন্ধ করলেও তার
অস্তিত্ব
ভেসে ওঠে চোখের
সামনে ।
তাকে জড়িয়ে ধরার
মূহুর্ত ... উফ্ !
সে এক অসাধারণ
ফিলিংস ।
তার
কপালে আলতো করে কিসসস
করে তাকে " আই
লভে ইউ " বলার পর
যখন
প্রতিউত্তরে তার মুখ
থেকে " আই লাভ ইউ
টু " শুনি তখন
মনে হয় এটাই
পৃথিবীর
সেরা বাক্য !
তার হাতটি ধরে বহুধুর
চলার
পরও মনে হয় যেন
এইমাত্রই তো হাঁটা শুরু
করলাম, আরো অনেক
পথ পেরোলেও তখন
ক্লান্তি গ্রাস
করবে না । তার ছোট
ছোট কথায় রাগ-
অভিমান করা, নাক
ফুলে লাল হয়ে যাওয়ার
পর যেন
তাকে আরও
বেশি সুন্দর লাগে তখন
মনে হয় তাকে এই
বুকের মাঝেই
সারাটি জীবন
জড়িয়ে রাখি ।
আমি ভূল
করলে তাকে সরি বলতেও
খারাপ
লাগে না ।
কারণ
সরি বলা মানে তার
কাছে ছোট হওয়া নয়
বরং সর্ম্পকটাকেই
সবকিছুর
উর্ধ্বে দেখা ।
মাঝে মাঝে গলা ফাটিয়ে চিত্কার
করে বলতে ইচ্ছা করে "
অন্নেক
বেশি ভালোবাসি তোমাকে,
অনেক বেশি।"

দোয়া টা শেয়ার করুন

এড়িয়ে যাবেন না দোয়া টা শেয়ার করুন অনুগ্রহ করে সবাই 
Photo: এড়িয়ে যাবেন না দোয়া টা শেয়ার করুন অনুগ্রহ করে সবাই ।


<3 ame ornob <3

গল্পটি পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না.

এই গল্পটি পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না.
** পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো**
ক্লাস এ ঢুকেই মিথিলার মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। কারন তখনো কেউই এসে পৌঁছায়নি। শুধুমাত্র রাতুল পিছনের টেবিলটাতে একা বসে আছে। এই ছেলেটাকে মিথিলা একদমই পছন্দ করে না। ক্লাসের সবচেয়ে অমনোযোগী, বাজে ছাত্রহিসেবেই রাতুল পরিচিত । আর দেখতেও কেমন জানি অগোছালো। মাথার চুলগুলো উসকো-খুসকো । পরনের কাপড় গুলোওঅপরিষ্কার । মিথিলাকে দেখলেই ছেলেটা কেমন জানি হা করে তাকিয়ে থাকে । এই
কারনে ছেলেটাকে মিথিলার আরও বেশি অপছ...ন্দ । বিকেলবেলা মিথিলা তার বান্ধবী লগ্নের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে জানতে পারলো যে তাদের ক্লাসের রাতুল , সুজয়ের কাছে মার খেয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলেছে । মিথিলা , সুজয়কে খুব ভাল করেই চেনে । আগে প্রায়ই রাস্তায় মিথিলাকে বিরক্ত করতো । বখাটে ছেলেরা তো মারামারি করবেই , এটাই তো স্বাভাবিক । তাই , রাতুলের মাথা ফাটানোর ব্যাপারটা মিথিলার মনে একটুও ছেদ ফেলল না । মিথিলা মন খারাপ করে কলেজের বারান্দায় দাড়িয়ে আছে । আজকে ওর পরীক্ষাটা খুবই খারাপ হয়েছে । পাশ করতে পারবে বলে মনে হয় না । এত চিন্তার কারন ছিল না যদি এটা নির্বাচনী পরীক্ষা না হয়ে সাধারণ কোন পরীক্ষা হতো । কিন্তু , নির্বাচনী পরীক্ষায়পাশ না করতে পারলে তো সে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে না । পরের দিন কলেজে গিয়ে মিথিলা খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল । কারন, গত রাতে নাকি শর্ট-সার্কিট এ আগুন লেগে ওদের পরীক্ষার খাতা পুড়ে গেছে । তাই গতদিনের পরীক্ষাটা আবার অনুষ্ঠিত হবে । এইচ.এস.সি পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুদিন পরেই মিথিলার ক্যান্সার ধরা পড়ল । ধীরে ধীরে রোগটা সারা দেহেপ্রভাব বিস্তার করতে শুরু করল । কিন্তু , অপারেশন করতে যে পরিমাণ টাকা দরকারতা জোগাড় করাটা মিথিলার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলো না । শেষ পর্যন্ত ধার- দেনা করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করে অপারেশন করা হল । আল্লাহের রহমতে এবং সবার দোয়ায় মিথিলা সুস্থ হয়ে উঠলো । সুস্থ হওয়ার কিছুদিন পরে মিথিলার কাছে একটা চিঠি আসে ।
চিঠিটা ছিল এইরকম :
প্রিয় মিথিলা ,
কলেজে যে দিন তোমাকে প্রথম দেখেছি সে দিন থেকেই তোমাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি । কিন্তু, একটা বখাটে ছেলের ভালবাসাকে তুমি কোনদিনই মেনে নেবে না । তাই , ভেবেছিলাম লুকিয়ে যতটা ভালবাসা যায় ততটাই ভালবাসবো । সুজয় যে দিন লোক ভাড়া করে এনেছিল তোমাকে কিডন্যাপ করার জন্য , সে দিন ওদের সাথে মারামারি করেছিলাম শুধু তোমাকে বাঁচাবো বলে। লগ্নের কাছে জানতে পেরেছিলাম, তোমার নির্বাচনী পরীক্ষায় রসায়ন পরীক্ষাটা খুব খারাপ হয়েছিল । তাই, সে দিন রাতেই কলেজের অফিসে তালা ভেঙ্গে ঢুকে খাতা পুড়িয়ে দিয়েছিলাম শুধু তোমার মুখে একটু হাসিদেখব বলে। কিন্তু , দারোয়ানের কাছে ধরা পরে গিয়ে ছয় মাসের জেল হল। কলেজেরই ছাত্র কাজটা করেছে বলে ব্যাপারটা শর্ট-সার্কিট এ আগুন লেগেছে বলে চালিয়ে দেয়া হল। তাই আর এইচ.এস.সি পরীক্ষাটা দেয়াহল না। জেল থেকে বের হয়ে শুনলাম, তুমি ক্যান্সার এ আক্রান্ত। টাকার অভাবে তোমার অপারেশন হচ্ছেনা জেনে কোন উপায় নাদেখে নিজের কিডনি বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করলাম শুধু তোমায় ভালবাসি বলে । আজ আমি জীবনের শেষ পর্যায়এ এসে উপস্থিত হয়েছি । আমার অবশিষ্ট কিডনিটা অনেক আগে থেকেই নষ্ট ছিল । এখন অবস্থা দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে । ডাক্তার বলেছে, আর খুব বেশি দিন বাঁচবো না । তাই মারা যাওয়ার আগে ভাবলাম ,সেই কথাটা বলে যাই । যে কথাটা আজো তোমায় বলতে পারিনি । আমি তোমাকে ভালবাসি মিথিলা । অনেক ভালবাসি । ভাল থেকো ।
ইতি,
তোমাদের ক্লাসের সবচেয়ে বাজে ছেলে
রাতুল
(মিথিলার চোখ দিয়ে পানি পড়তে পড়তে চিঠিটা ভিজে গেল)
Photo: এই গল্পটি পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না.
          ** পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো**
ক্লাস এ ঢুকেই মিথিলার মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। কারন তখনো কেউই এসে পৌঁছায়নি। শুধুমাত্র রাতুল পিছনের টেবিলটাতে একা বসে আছে। এই ছেলেটাকে মিথিলা একদমই পছন্দ করে না। ক্লাসের সবচেয়ে অমনোযোগী, বাজে ছাত্রহিসেবেই রাতুল পরিচিত । আর দেখতেও কেমন জানি অগোছালো। মাথার চুলগুলো উসকো-খুসকো । পরনের কাপড় গুলোওঅপরিষ্কার । মিথিলাকে দেখলেই ছেলেটা কেমন জানি হা করে তাকিয়ে থাকে । এই
কারনে ছেলেটাকে মিথিলার আরও বেশি অপছ...ন্দ । বিকেলবেলা মিথিলা তার বান্ধবী লগ্নের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে জানতে পারলো যে তাদের ক্লাসের রাতুল , সুজয়ের কাছে মার খেয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলেছে । মিথিলা , সুজয়কে খুব ভাল করেই চেনে । আগে প্রায়ই রাস্তায় মিথিলাকে বিরক্ত করতো । বখাটে ছেলেরা তো মারামারি করবেই , এটাই তো স্বাভাবিক । তাই , রাতুলের মাথা ফাটানোর ব্যাপারটা মিথিলার মনে একটুও ছেদ ফেলল না । মিথিলা মন খারাপ করে কলেজের বারান্দায় দাড়িয়ে আছে । আজকে ওর পরীক্ষাটা খুবই খারাপ হয়েছে । পাশ করতে পারবে বলে মনে হয় না । এত চিন্তার কারন ছিল না যদি এটা নির্বাচনী পরীক্ষা না হয়ে সাধারণ কোন পরীক্ষা হতো । কিন্তু , নির্বাচনী পরীক্ষায়পাশ না করতে পারলে তো সে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে না । পরের দিন কলেজে গিয়ে মিথিলা খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল । কারন, গত রাতে নাকি শর্ট-সার্কিট এ আগুন লেগে ওদের পরীক্ষার খাতা পুড়ে গেছে । তাই গতদিনের পরীক্ষাটা আবার অনুষ্ঠিত হবে । এইচ.এস.সি পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুদিন পরেই মিথিলার ক্যান্সার ধরা পড়ল । ধীরে ধীরে রোগটা সারা দেহেপ্রভাব বিস্তার করতে শুরু করল । কিন্তু , অপারেশন করতে যে পরিমাণ টাকা দরকারতা জোগাড় করাটা মিথিলার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলো না । শেষ পর্যন্ত ধার- দেনা করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করে অপারেশন করা হল । আল্লাহের রহমতে এবং সবার দোয়ায় মিথিলা সুস্থ হয়ে উঠলো । সুস্থ হওয়ার কিছুদিন পরে মিথিলার কাছে একটা চিঠি আসে ।
চিঠিটা ছিল এইরকম :
প্রিয় মিথিলা ,
কলেজে যে দিন তোমাকে প্রথম দেখেছি সে দিন থেকেই তোমাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি । কিন্তু, একটা বখাটে ছেলের ভালবাসাকে তুমি কোনদিনই মেনে নেবে না । তাই , ভেবেছিলাম লুকিয়ে যতটা ভালবাসা যায় ততটাই ভালবাসবো । সুজয় যে দিন লোক ভাড়া করে এনেছিল তোমাকে কিডন্যাপ করার জন্য , সে দিন ওদের সাথে মারামারি করেছিলাম শুধু তোমাকে বাঁচাবো বলে। লগ্নের কাছে জানতে পেরেছিলাম, তোমার নির্বাচনী পরীক্ষায় রসায়ন পরীক্ষাটা খুব খারাপ হয়েছিল । তাই, সে দিন রাতেই কলেজের অফিসে তালা ভেঙ্গে ঢুকে খাতা পুড়িয়ে দিয়েছিলাম শুধু তোমার মুখে একটু হাসিদেখব বলে। কিন্তু , দারোয়ানের কাছে ধরা পরে গিয়ে ছয় মাসের জেল হল। কলেজেরই ছাত্র কাজটা করেছে বলে ব্যাপারটা শর্ট-সার্কিট এ আগুন লেগেছে বলে চালিয়ে দেয়া হল। তাই আর এইচ.এস.সি পরীক্ষাটা দেয়াহল না। জেল থেকে বের হয়ে শুনলাম, তুমি ক্যান্সার এ আক্রান্ত। টাকার অভাবে তোমার অপারেশন হচ্ছেনা জেনে কোন উপায় নাদেখে নিজের কিডনি বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করলাম শুধু তোমায় ভালবাসি বলে । আজ আমি জীবনের শেষ পর্যায়এ এসে উপস্থিত হয়েছি । আমার অবশিষ্ট কিডনিটা অনেক আগে থেকেই নষ্ট ছিল । এখন অবস্থা দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে । ডাক্তার বলেছে, আর খুব বেশি দিন বাঁচবো না । তাই মারা যাওয়ার আগে ভাবলাম ,সেই কথাটা বলে যাই । যে কথাটা আজো তোমায় বলতে পারিনি । আমি তোমাকে ভালবাসি মিথিলা । অনেক ভালবাসি । ভাল থেকো ।
ইতি,
তোমাদের ক্লাসের সবচেয়ে বাজে ছেলে
রাতুল
(মিথিলার চোখ দিয়ে পানি পড়তে পড়তে চিঠিটা ভিজে গেল)

ভালবাসা কি খেলনা??

Photo: <3 <3 <3
Sending by:- RAHAT
<3আমি মফঃস্বল শহরের ৮/১০ তা ছেলের মতই একটা সাধারন ছেলে। সবার মত আমার জিবনেও ভালবাসা আসে কিন্তু আর ১০জনের ভালবাসার মত না। আমার ভালবাসা আকাশের মত বিশাল। মিথিলা আমার ভালবাসা। ওর সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে।
দিনটি এখনো মনে আছে ১০ জুলাই বিশ্বকাপ ফুটবল চলছিল।
ও আমায় অন্য কেউ মনে করে add দিয়েছিল। দুই একদিন কথা বলার পর মোটা-মুটি free হয়ে যাই।
ও তখন inter 1st year এ পড়ে আর আমি s.s.c দিবো ।
জুলাই এর শেষ দিকে ওর সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
আমার কোন মেয়ে বন্ধু ছিল না তাই ওর প্রতি আমার আকর্ষণ বাড়তে থাকে। কয়েকদিনের মধ্যে আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যাই। ও রাত জাগলে আমি রাত জাগতাম, আমি রাত জাগলে ও রাত জাগত। আমরা একে অপরকে sweet heart বলে ডাকতাম।
একে অপরের সাথে সব শেয়ার করতাম। অনেক মজা করতাম। একসময় আমাদের এই বন্ধুত্ব আর বন্ধুত্ব থাকলো না। এক সময় বুঝলাম মিথিলার প্রেমে নিজেকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে নিয়েছি। নিজেও বুঝিনি কখন ওর প্রেমে পড়েছি, বুঝলাম অনেক বড় একটা ভুল করে ফেলেছি।
মিথিলা ভালবাসাকে কেন যেন অনেক ভয় পেত। তার কারণ আমি তখন ও জানি না। ওকে কিভাবে আমার ভালবাসার কথা খুলে বলবো বুঝতে পারছি না। এক ফ্রেন্ড কে দিয়ে ওকে কথাটি শুনাই। মিথিলা বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেয়।
ওর সাথে আমার একবার দেখাও হয়, দিনটি ছিল ৪ সেপ্টেম্বর। ওর একটি গল্পের বই লাগতো, ও আমায় বলে। এই গল্পের বই দেয়ার বাহানায় আমি ওর সাথে দেখা করি।ওকে দেখে, আমার বুকে ওর জন্য যে চারা গাছ জন্মেছিল তাতর তর করে বেড়ে বৃক্ষে পরিণত হয়। ওকে ফেসবুকে যত সুন্দর লাগে বাস্তবে আরও বেশি সুন্দর লাগে। সমস্যা থাকায় ও কোন কথা বলতে পারলো না বইটা নিয়ে চলে যায়,আমি ওর দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম।
ওই রাতেই ফেসবুকে প্রপোজ করি... ও তো পুরা অবাক... ও কিছুতেই মানে না। সারা রাত বুঝানর চেষ্টা করলাম ও কিছুতেই মানে না। পরের দিন ও ফেসবুকে chat হয়। ও বলেসাহস থাকলে আমার সামনে এসে বল।
Coaching বাদ দিয়ে ওর বাসা খুজে বের করি কিন্তু ও বের হয় না। সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করি। রাতে ও ফেসবুকে আসে, আমায় অনেক বুঝায়। কিন্তু আমাকে বুঝায় কার সাধ্য?
ও বলে এর ভবিষ্যৎ নেই আমি বড় তুমি ছোট। ওই দিন chat করতে করতে অনেক রাত হয়ে গেল। রাত প্রায় ৩ টা। আমার রুমের লাইট জ্বালান দেখে বাবা মা আসে...
অনেক বকা ঝকা দিয়ে মোবাইল নিয়ে যায়। পরের দিন ও মোবাইল দেয় না। এদিকে আমার মনের অবস্থা অনেক খারাপ। কারো সাথে কিছু শেয়ার করতে পারছিলামনা।
এমনকি বেস্ট ফ্রেন্ড এর সাথেও না...
তখন স্বার্থপরের মত অনেক গুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে মারা যাবার চেষ্টা করলাম। এই কাজে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়...
ফ্রেন্ডরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়... মিথিলা এসবের কিছুই জানত না... বিকালে ও আমার এক ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে ঘটনা জানে। ও ভাবে আমি হয়ত অভিনয় করছি। ও দিন মিথিলার ছোট খালা মারা যায়... মিথিলার মনের অবস্থা খারাপ তার উপর আমার পাগলামি... ও পুরো হতভম্ব হয়ে যায়।
ওদিকে আমার অবস্থা খারাপ। মিথিলা মিথিলা বলে বির বির করতাম। ডাক্তার বলে যদি মিথিলার সাথে আমার দেখা করানো যায় তাহলে সুস্থ হতে পারি। আমার বাবা মোবাইল আর ফেসবুকের মেসেজ দেখে... তার পরদিন রাতেই মিথিলার বাসা খুজে বের করে আমার বাবা ওদের বাসায় নিয়ে যায়। মিথিলার খালা মারা যাওয়ার কারণে সবাই আপসেট... ওর বাসার কেউ দেখা করে না... এদিকে ঘটনা পুরো শহরে ছড়িয়ে যায়। শুরু হয় দুই পরিবারে সমস্যা।
আমি তখনও ঘুমের ঘোরে। সব দোষ এসে পড়ে ওর ঘারে। ও বেচারির কান্না করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
ওর cousin ওর id deactivate করে দেয়। আমার সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য ও নতুন id খোলে...
মাঝে মাঝে ঘুম ভাঙলে ফেসবুকে গিয়ে ওর মেসেজ এর উত্তর দিতাম।
ও ঠিক করে আমার সাথে ভালবাসার অভিনয় করে ও আমাকে সুস্থ করে তুলবে। এভাবে গোপনে আমাদের যোগাযোগ চলতে থাকে... ধীরে ধীরে মিথিলা বুঝতে পারে আমি সত্যিই ওকে ভালবাসি। ও ভালবাসাকে কেন যেন ভয় পেত তবু ও আমাকে সত্যিই ভালবাসতে থাকলো। শুরু হল আমাদের ভালবাসার গল্প...
মাঝে আসলো ওর জন্মদিন... ওকে কি দেবো? কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না... অনেক ভেবে আমার পরীর জন্য একটা
Showpis আর একটা বড় card কিনলাম। ও আমায় আগেই বলেছিল ও কোন গিফট নিতে পারবে না। ওকে শুভেচ্ছা জানানোর পর ও জানালো যেভাবেই হোক ও আমার সাথে দেখা করবে।
সেদিন স্কুলে ফ্রেন্ডরা হলি ( রঙ খেলা ) খেলছিল... আমিস্কুল শেষ করে ওর সাথে দেখা করতে যাব... হটাৎ শুরু হল তুমুল বৃষ্টি ...
বৃষ্টির মাঝে ওর জন্য ওর গোলাপ কিনলাম... ভাবছিলাম এতবৃষ্টিতে ও কি আসবে?
একটু পর দেখলাম ওর বান্ধবী রিমিকে নিয়ে ও আসছে... ওদের কাছে কোন ছাতা না থাকায় ওরা ভিজে একাকার...
মিথিলা আমাকে দেখে বলল রঙ মেখে ভুতের মত সেজেছ কেন?
আমি কিছুই বললাম না, শুধুই হাসলাম... ওকে দেখে আমার এতআনন্দ হল যে বলার মতনা...
ওকে গিফট আর গোলাপ দিলাম...
ও গোলাপ টা রেখে সব বাকি সব ফিরিয়ে দিয়ে বলল খুব কষ্ট হচ্ছে ফিরিয়ে দিতে কিন্তু কি করবো কিছুই করার নেই ।
ওর ফ্রেন্ড চলে গেল ও আর আমি দুজন নির্জন রাস্তায় হাঁটছি... বৃষ্টির কারনে রাস্তায় কোন লোক ছিল না রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় মিথিলা পড়ে যাচ্ছিলো... আমি ওর হাত ধরলাম ও লজ্জায় হাসল...
একদিন ৩ ফ্রেন্ড মিলে কোচিং ফাকি দিয়ে ঘুরছি এমন সময় মিথিলার মেসেজ তার সাথে এই মুহূর্তে দেখা করতে হবে, সে আমার এলাকায়...
ফ্রেন্ড দের রেখে ছুটলাম ওর কাছে গিয়ে দেখি ও আর ওর এক ফ্রেন্ড দাড়িয়ে... ওর ফ্রেন্ড রিমি সবসময় আমাদের সাহাজ্জ করতো... ওকে আমি দিদি বলে ডাকতাম...
ওখানে গিয়ে শুনি এক ঘণ্টা পড়ে ওর এক স্যার এর কাছে পড়া আছে... জরুরী এক কাজে তাকে বাসায় যেতে হবে তাই মিথিলার সাথে আমাকে থাকতে হবে...।
নিজের এলাকায় একটি মেয়েকে নিয়ে কতক্ষণ দাড়িয়েথাকা যায়... আমি ওকে আমার সাথে এক জায়গায় যাবার কথা বললাম... ও সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল... রিকশা করে দুজনে গেলাম... দুজনে একসাথে অনেক্ষন ছিলাম...
আমি ওকে গান গাইতে বললাম...ও অনেক বাহানা করে শেষ পর্যন্ত গাইল... মিথিলা তার অপূর্ব গলায় রবীন্দ্র সঙ্গিত গাইছিল আর মুগ্ধ হয়ে ওকে দেখছিলাম... আর একদিন এভাবে দেখা করতে গিয়ে ওর এক আঙ্কেল ওকে দেখে ফেলে... সে বাসায় বলে দেয়...
মিথিলাকে বাসায় মারে... অনেক কষ্টে মিথিলা প্রমান করে ওই আঙ্কেল ভুল দেখেছে... এরপর থেকে আমরা দেখা করতাম না কারন আননদ পার জন্য আমরা কেও ভালবাসাকে হারাতে রাজি নই...
প্রায়ই আমার বাবা আমার মোবাইল নিয়ে যেত... সপ্তাহের পর সপ্তাহ কথা হত না... আমি ওর সাথে দেখা করিস্যার এর বাসায় যাই না এই সন্দেহে আমাকে অনেক মারত...
আমি মিথিলার জন্য সহ্য করতাম...
আমার বাবা প্রায়ই মিথিলাকে ভয় দেখাতো আমার সাথে যোগাযোগ করলে ওর মাকে জানিয়ে দেবে... একদিন জানিয়েও দেয়...
মিথিলার মা মিথিলাকে মারে, মোবাইল নিয়ে যায়...
আমি এসবের কিছুই জানতাম না... আমি দিনের পর দিন ওর স্যার এর বাসার সামনে দাড়িয়ে থাকি কিন্তু ও আসে না...
একদিন দেখি মিথিলা ওর বাবার সাথে আসছে... ও আমায় দেখতে পায়নি... আমি ওকে ইশারা করলাম ও তাও দেখতে পায় নি... যখন বাসায় যাচ্ছিলো মাথা নিছু করে যাচ্ছিলো ওর মুখ ঢাকা ছিল।
ওর স্যার এর বাসার সাথে আমার এক ফ্রেন্ড এর বাসা। আমি ফ্রেন্ড এর বাসায় গেলাম, জানালার পাশে ও বসেছিল... ওকে অনেক ডাকলাম কিন্তু ও শুনতে পায় নি...
তাকিয়ে দেখি ওর গালে হাতে অজস্র মারের দাগ।
খুব কষ্ট লাগছিলো ওর জন্য... ও যখন বাসায় ফিরে যাচ্ছিলো তখন দেখি ও কাঁদছে আর করুন চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে...
প্রায় দুই মাস আমাদের মধ্যে কোন যোগাযোগ হয়নি...
প্রায় দুই মাস পরে মিথিলা আমার সাথে যোগাযোগ করে।
আমার যে কি ভালো লাগছিলো আমি বুঝতে পারবো না...
এখনো ওর পরিবার ওকে অপমান করে, জেরা করে...
তবুও আমাদের ভালবাসার প্রদীপ ও জালিয়ে রেখেছি...
তারপর একদিন আমার বাবা ওকে ফোনে অনেক অপমান করে। ও কষ্টে অপমানে বলে ও আমার সাথে আর সম্পর্ক রাখবে না...
আমি চুপ করে রইলাম... অনেক্ষন কাদার পর ওকে GOOD BYE লিখে মেসেজ দিলাম... তারপর মোবাইল বন্ধ কর অনেক গুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে বাসে উঠে গেলাম তারপর আর কিছু মনে নেই...
বন্ধুদের মুখে শুনেছি বাসের হেল্পার আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে আমার পকেতে থাকা মোবাইল বের করে বাসায় ফোন দেয়। তারপর আমার পরিবার আর বন্ধুরা আমাকে নিয়ে যায়।
সুস্থ হবার পর জানলাম মিথিলা আমার জন্য পাগলের মত হয়ে গেছে...আমার অবস্থা জানার জন্য ও অস্থির হয়ে গিয়েছিলো। মোবাইল ওপেন করতেই অজস্র মেসেজ...
আমি ওকে ফোন দিলাম... ও কাঁদতে কাঁদতে বলছে...
আমি না হয় ভুল করেছি... তুমি কেন এমন করলে? শাস্তি আমায় দিতে? আমি আর কোনদিন তোমাকে ছেড়ে যাব না...
আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম ও যদি পাশে থাকে আর কখনো এমন করবো না...
আমার বাবা মা এখন মোটামুটি মেনে নিয়েছে... কিন্তু মিথালার পরিবার মেনে নেয় নি... লুকিয়ে লুকিয়ে মিথিলা এখনো আমার সাথে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছে...
ওর পরিবার হয়ত আমাদের অসম ভালবাসা মানবে না। মিথিলা তার বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। পরিবারের অনুমতি ছাড়া কখনো বিয়ে করবো না হয়ত এই কারনে আমারা এক হতে পারবো না...
আমি চাইনা ও ওর পরিবারকে কষ্ট দেক...
জানিনা ওকে পাব কিনা তবু আমি আমার লক্ষি পাগলি টাকে অনেক ভালবাসি...
_______________ _______________ _______________ _____
মিথিলা আর অভির জন্য আমার শুভ কামনা রইলো... দোয়া করি ওরা যেন এক হতে পারে...
সবাইকে ওদের জন্য দোয়া করার অনুরোধ করছি...
'
ভালবাসা কি খেলনা?? ইচ্ছা হল খেললাম, ইচ্ছা হল ভেঙে দিলাম??


অনেকেই বলতে শুনি ওর সাথে ব্রেক-আপ করে ফেলব... ওর সাথে রিলেশন রাখবো না...
আজ যদি এটা ভাবেন তাহলে সেদিন রিলেশন কেন করেছিলেন??
কেন এত দিন ধরে সেটা বয়ে এনেছেন...??
আজ বলেন আমার এই সমস্যা, ওই সমস্যা... এই কারনে রিলেশনরাখবো না...
তাহলে সেদিন কেন ভাবেন নাই??
একটা মানুষকে হাসানো অনেক কঠিন কিন্তু তাকে কাঁদানো অনেক সহজ...
বিশ্বাস একটা কাগজের মত... একবার ভাজ করলে তার পর আগের মত করার যতই চেষ্টা করেন কখনোই আগের মত হবে না...
এক এক জন স্বার্থপরের মত বলে বসেন আমি সরে গেলে ওর জীবন সুন্দর হবে...
আসলে কি তাই?? ওই ছেলেটা বা মেয়েটা কি আপনাকে ভুলতে পারবে??
তার সাথে আপনার সম্পর্কের আগের সময়ে তাকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন??
ভালবাসায় কোন রিপ্লেসমেন্ট হয় না...
আমার ফ্রেন্ড লিস্টের এক মেয়ে বলতেছে ভাইয়া আমি ওর সাথে ব্রেক-আপ করে ফেলব??
জিজ্ঞাসা করলাম কেন??
ওর প্রতি আমার ফিলিংস আসে না... ওর আমাকে আগের মত সময় দেয় না...
অবাক লাগলো... কেমন ভালবাসা?? ২ দিনে ফিলিংস চলে যায়??
সময় দিতে পারে না তার কারণ তার জানার দরকার নেই... সময়দিতে পারে না এটাই তার কাছে ফ্যাক্ট...
Don't Blame People For Disappointing You. Blame Yourself For Expecting Too Much From Them...
মেয়েদের একটা জিনিস অবাক লাগে সেটা হল তার সবসময় চায়তার থেকে ৫/৬ বছরের বড় একটা ছেলেরসাথে প্রেম করবে... অথচ তার same age এর একটা ছেলে তাকে প্রচণ্ড ভালবাসলেও তার খেয়াল হয় না... ওই বয়সে বড় ছেলেই যেন তার জন্য...
হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে সুখী হওয়া যায় না...
ক্লাস ১০ এ পরে মাস্টার্স এ পড়া ছেলের সাথে প্রেম করলে ওই মেয়ে ছ্যাকা খাবে না তো কে খাবে??
গতকাল এক ছোট ভাই বলতেছে ভাই একটা ঝামেলা করে ফেলছি...
কি ঝামেলা??
ভাই গার্ল ফ্রেন্ড তো প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছে...
অবাক হয়ে গেলাম... ওরা জাস্ট ক্লাস ১০ এ পড়ে...
এটা ভালবাসার কোন রূপ??
আমিও তো একজনকে ভালবাসি... ৫ বছর হতে চলেছে...
কই আজ পর্যন্ত তো তাকে আমি স্পর্শ ও করলাম না...
বছরে ২/১ বার দেখা হয়... কতক্ষন জানেন?? ৩০-৪০ সেকেন্ডএর জন্য...
মাসে ৪/৫ বার কথা হয়... কতক্ষন জানেন?? ২-৩ মিনিট
ভালবাসা কি মরে গেছে?? না ফিলিংস চলে গেছে...
When It Is Hard To Hide Your Tears Then Never Mind. Start Cutting An Onion, Let The Heart Cry. You Just Blame The Onion...
মানুষ ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক... তাই বলে একজন ভুল কিছু করেছে বলে তাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে??
ভুল গুলো কি শুধরে দেয়া যায় না??
একটা কথাই বলবো কাউকে ভালবাসলে বাসার মতই বাসেন...
চিরদিন যদি ভালবাসতে পারেন তাহলে ভালবাসবেন,
তা না হলে ভালবাসার দরকার নেই...
ভালবাসা আয়না না, একটা ভেঙে গেল আরেকটা কিনে নিলাম..

আমার সব গুলো গল্প থেকে বেস্ট একটা গল্প ....!!

আমার সব গুলো গল্প থেকে বেস্ট একটা গল্প ....!!
যদি আপনি এই গল্পটা পরেন তাহলে আপনার সময় নষ্ট বিফলে যাবে না ।

টিফিন এর সময় সব ছেলে-মেয়ে টিফিন করতে বাইরে গেল । সবাই ক্লাস থেকে বের হয়ে কেউ কেউ গেল ক্যান্টিন এ আবার কেউ কেউ মাঠে খেলতে । কিন্তু এর থেকে একটি ছেলে এর কোনটিতেই গেল না । মাঠের এক কোনে , গাছের নিচে বসে আছে । প্রতিদিন ই এই রকম দেখা যায় । ক্লাসে এ অনেকেই এই ছেলেটিকে দেখতে পারে না । ছেলেটার জামা নোংরা , চুল গুলো এলোমেলো । আর বাকিদের , সুন্দর জামা -কাপড়। সুন্দর করে পরিপাটি করে আসে সবাই শুধু ঐ ছেলেটি ছাড়া । সামনে পরীক্ষা । স্কুলে টাকা দিতে হবে । সবাই যার যার বাসায় জানায় । সবার বাবা-মা এসে টাকা পরিশোধ করে গেছে । শুধু ঐ ছেলেটির পরীক্ষার ফি বাকি । ছেলেটি ক্লাসে আসলেই স্যার ফি এর কথা জিজ্ঞাসা করে । আর ছেলেটি চুপ করে থাকে । এই ভাবে ২-৩ দিন গেল । স্যার রা বুঝতে পারলো , এই ছেলে ার টাকা দিতে পারবে না । হেড স্যারের কাছে নিয়ে ছেলের নামে নালিষ করলো । হেড সার ছেলেটিকে তার রুমে ডাকলো । অনেক বকা ঝকা করলো । বাবা-মা দিয়ে পরের দিন ক্লাসে আসতে বলল । "প্রথম দিন তোমার বাবা-মা এসে সেই যে ভর্তি করে দিয়ে গেল আর তাদের মুখ এ দেখলাম না ১ বছরের । কাল যদি তোমার বাবা-মা আমার সাথে দেখা না করে তুমি আর ক্লাসে আসবে না । এখন যাও । "

ছেলেটির বয়স তত বেশী হবে সা ।১৪-১৫ . ছেলেটি কাদতে কাদতে ক্লাসে গিয়ে তার ছিড়া - ব্যাগ টি নিয়ে বের হয়ে গেল স্কুল থেকে ।

সেই থেকে ছেলেটি আর স্কুলে আসে না ।

অনেক দিন পর সেই স্কুলের হেড স্যার একদিন রাস্তায় রিক্সার জন্য দাড়িয়ে ছিল । কোথা থেকে যেন একটা রিক্সা এসে বলল , স্যার উঠেন । স্কুলে যাবেন ?

স্যার একটু আশ্চর্য হয়ে রিক্সা চালকটির দিকে তাকিয়ে রইলো । একটা ১৪-১৫ বছরের ছেলে রিক্সা চালাচ্ছে । স্যার আরও বেশী অবাক হল , যখন দেখলো এই ছেলেটা সেই ছেলে . যাকে সে স্কুল থেকে বের করে দিয়ে ছিল ।

স্যার আর কথা বলতে পারলো ণা । চুপ করে রিক্সায় উঠে বসলো। ছেলেটি কথা বলতে শুরু করলো।

" স্যার , আমাকে চিনছেন ?
= স্যার , না (না চিনার ভান করে বলল - )

"স্যার ঐ দিন পরীক্ষার ফি দিতে পারি নাই তাই আমাকে বের করে দিছিলেন। আমি সেই ছেলে ।

= হুম . চিনতে পারছি

" স্যার আপনে ঐ দিন আমারে স্কুল থেকে বের না করে দিয়ে আমি , আজ না খেয়ে মরতাম ।

= মানে

" স্যার আমি এতিম । রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতাম । আর বিভিন্ন স্কুলের সামনে দারাইয়া থাকতাম আর ভাবতাম আমি যদি পরতে পারতাম ।

একদিন একটা , সাহেব তার বউ আমারে দেইখা , আপনার স্কুলে ভর্তি করাইয়া দিছিল। আমি অনেক খুশি ছিলাম । কিন্তু স্কুলে ভর্তি করানোর পর আর সেই সাহেব- মেডাম রে দেখি নাই । আর আমি পাগলের মত , খাইয়া না খাইয়া সারা দিন স্কুলে পইরা থাকতাম । সাবই যখন টিফিন খেত , আমি দূরে এক কোনে বসে বসে , সবা্র খাওয়া দেখতাম । আর কান্না করতাম । ক্ষিধা অনেক লাগতো । কিন্তু ক্লাস করতে বেশী ভাল লাগতো । তাই না খাই য়া ক্লাস করতাম । আর রাতে গিয়া রাস্তার পাশে ঘুমাইতাম ।

আপনে আমারে স্কুল থেকে বের করে দেবার পর বুঝতে পারলাম , পড়া শুনা আমাদের জন্য না । যাদের পেটে ১ বেলা বরপেট খাবার জুটে না , বাবা- মা নাই তাদের জন্য পড়া লেখা না । তাই ঐ দিন থেকে স্যার আমি রিক্সা চালাই তাছি । এখন স্যার প্রতিদিন ৩ বেলা হোটেল এ ২ প্লেট ভাত , সাথে মাছ , ডাইল . দিয়া পেট ভইরা ভাত খাই ।

..... স্যার মাফ কইরা দিয়েন , আমি কি সব বকবক কইরা আপনেরে ডিস্টার্ব করতাছি । স্যার স্কুল আইসা পরছে ।

= এই নেও ভাড়া ।
" স্যার এই ডা কি কন ? আপনি আমার স্যার , আপনার থেকে আমি টাকা নিয়া বেয়াদবি করতে পারমু না । স্যার ।

বলে ছেলেটা চলে গেল ।

আর ততখনে , হেড স্যারের , দুচোখ দিয়ে অঝর পানি পড়ছে । রিক্সায় যাও রুমাল দিয়ে মুছতেছিল , কিন্তু এখন যেন আর মুছে শেষ করা যাচ্ছে না । যেই ছেলে টা কে সে , না জেনে অনেক কথা শুনিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিয়ে ছে , আহ সেই ছেলে তাকে এত সম্মান দিল ? স্যার হাটতে হাটতে আর চোখের পানি মুছতে মুছতে নিজের রুমে ডুকলেন ।

" আসুন না , আমরা এই রকম কিছু গরীব ছেলেদের সাহায্যে এগিয়ে আসি । একদিনের জন্য নয় , ছেলেটির পাশে সব সময় থাকি । আপনি এত টা কামাচ্ছেন , এর থেকে যদি প্রতি মাসে , ২০০০ টাকা , কোন গরীব ছেলের পড়াশুনার খরচে ব্যয় করেন , দেখবেন নিজেকে অনেক সুখি লাগবে । )

আর শুনেছি , হুমায়ুন স্যার নাকি গল্প লিখতেন আর কান্না করতেন । নিজে কষ্ট টা উপলব্দি করতেন । আর আজ আমি এই গল্প টা লিখার সময় কান্না করেছি । সত্যিই আজ আমি গল্পের মধ্যে ঢুকতে পেরেছি।

যদি কষ্ট লেগে থাকে তাহলে কি একটা শেয়ার করা যাবে আপনার প্রোফাইল ওয়াল ?? সবাকে পড়ার সুযোগ করে দিন প্লিজ প্লিজ

রাস্তায় মেয়েরা একা কত অসহায়!!!

যদি কোন ছেলের সামনে অন্য কোন ছেলে তার বোনকে দেখে বলে,"wow! beautiful, babe, so hot" কোন সন্দেহ নেই সেই ছেলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবে মন্তব্যকারী ছেলেটির প্রতি। তোরএত বড় স্পর্ধা আমার বোনের দিক তাকাস!!
কিন্তু ইসলাম যখন সেই বোনের ভাইটিকে বলে,"অন্যের বোনের দিক তাকাবেনা, কোন বাজে মন্তব্য করবেনা।"
তখন সেই ভাইটিই বলে ওঠে, oh! no ইসলাম আসলেই মধ্যযুগীয়।
একজন মেয়ে সমাজে নিজেকে আধুনিক প্রমাণ করতে কত কঠিন কঠিন পরীক্ষাই না দেন। প্রথাগত পোশাক বাদ দিয়ে জিন্স, টিশার্ট বা আটসাট পোশাকে চলাফেরা করেন। বয় ফ্রেন্ড ধরেন, পার্কে ডেটিং দেন।বয়ফ্রেন্ডে ­র কাছেও দিতে হয় ভালবাসার চরম পরীক্ষা। বয় ফ্রেন্ডের আবদার মত রুম ডেটিং এর আশা পুরণ করেন।
কিন্তু বয়ফ্রেন্ড যখন তাকে abuse করার পর রাস্তায় ছুড়ে ফেলে তখন সেই নারী হয়ে ওঠেন পুরুষ বিদ্বেশী। ছেলে জাত খারাপ,কেউ ভালনা সব পুরুষের উপর তার পিএইচডি করা হয়ে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু ইসলাম যখন সেই নারীকে বলে, "হিজাব পালন কর, নিজের সন্মান অচেনা পুরুষের কাছে বিলিয়ে দিওনা, নিজেকে পণ্যে পরিণত করনা নিজের দৃষ্টি ও লজ্জাস্হানের হেফাজত কর"
তখন সেই নারীই ক্ষিপ্ত হয়ে বলে ওঠে, Oh! no Why Is Islam Stuck In The Dark Ages...?
মধ্যযুগীয়...
সেক্যুলার সমাজ নারীকে শেখায় তুমি পুরুষের সমান। পুরুষ তোমার প্রতিপক্ষ, পুরুষকে ল্যাং মেরেই তোমাকে সমাজে টিকে থাকতে হবে, একা চলা শিখতে হবে। কিন্তু মেয়েটি যখন সেটা বিশ্বাস করে

ভালোবাসা নিয়ে মজার ৯টি তথ্য:

  ভালোবাসা নিয়ে মজার ৯টি তথ্য:
১।পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে ,
প্রত্যেক ছেলে মানুষ বিয়ের আগে ৭ বার প্রেমে পড়ে।
২। “love” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত lubhyati থেকে যার মানে ইচ্ছা এবং মিউজিক জগৎ এ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দ।
৩।বিয়ের আংটি সব সময় অনামিকা আঙ্গুলে পড়ানো হয়।
কারণ সেই আঙ্গুলের সাথে হার্ট এর সংযোগ আছে বলে ধরা হয়।
৪। গোলাপ ভালোবাসার প্রতীক এবং এর বিভিন্ন কালার ভালোবাসার বিভিন্ন অর্থ বহন
করে। লাল গোলাপ- প্রকৃত ভালোবাসা, লাইট পিংক গোলাপ-
ইচ্ছা; আকাঙ্খা, হলুদ গোলাপ- বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য।
৫। ছেলেরা সেই সব মেয়েদের
প্রতি বেশি আগ্রহী যাদের
কোমরের পরিধি কটিদেশের
প্রায় ৭০ ভাগ।
৬। যে স্বামী তার স্ত্রীকে প্রতিদিন সকালে কিস করে সে অন্যদের চেয়ে পাচঁ বছর বেশি বাচেঁ।
৭। যারা নতুন নতুন প্রেমে পড়ে তাদের দেহে সেরেটোনিন নামক এক প্রকার হরমোন উৎপন্ন
হওয়া কমে যায়। যার ফলে মন
কিছুটা উদাস থাকে বা বিষণ্ণতায় ভুগে।
৮। বেশিরভাগ ব্রেক-আপ
হয়ে থাকে রিলেশনের ৫-৬ মাসের মাথায়।
9. পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রকৃত
প্রেমিকরা কিস করার সময় ডান গাল থেকে শুরু করে ।
মজা পেলে লাইক , সঠিক বা ভুল মনে হলে কমেন্ট , নতুন কিছু জানতে পারলে শেয়ার করুন

মুসলিম জনসংখ্যাঃ

মুসলিম জনসংখ্যাঃ
1. আফগানিস্তান 100%
2. আলবেনিয়া 75%
3. আলজেরিয়া 99%
4. Angola 25%
5. আর্জেন্টিনা 2%
6. অস্ট্রেলিয়া 2.09%
7. আজারবাইজান 93%
8. Bahrin 100%
9. বাংলাদেশ 85%
10. ভুটান 5%
11. ব্রাজিল 0.6%
12. মায়ানমার 10%
13. কানাডা ২ 1.48%
14. Cntral Africn rpblc 55%
15. 11% চীন
16. মিশর 94%
17. Ethopia 65%
18. ফিজি 11%
19. ফ্রান্স 7%
20. জর্জিয়া 11%
21. Germeny 3.4%
22. গ্রীস 1.5%
23. গিনি 95%
24. গিয়ানা 15%
25. Hongkong 1%
26. ভারত 24%
27. ইন্দোনেশিয়া 95%
28. ইরান 99%
29. ইরাক 97%
30. Isreal 14%
31. ইতালি 1%
32. জাপান 1%
33. Jordan 95%
34. কেনিয়া 30%
35. কুয়েতে 89%
36. লেবানান 70%
37. লিবিয়া 100%
38. মালদ্বীপ 100%
39. Malasiya 52%
40. মরিশাস 19.5%
41. 99% মায়োট
42. নাইজেরিয়া 75%
43. ওমান 100%
44. পাকিস্তান 97%
45. Phillipines 14%
46. কাতার 100%
47. রোমানিয়া 20%
48. রাশিয়া 18%
49. সৌদি আরব 100%
50. সিঙ্গাপুর 17%
51. সোমালিয়া 100%
52. শ্রীলঙ্কা 9%
53. সুদান 85%
54. সিরিয়া 90%
55. Tazakistan 85%
56. তাঞ্জানিয়া 65%
57. Thiland 14%
58. টিউনিস্ 98%
59. তুরস্ক 99,8%
60. সংযুক্ত আরব আমিরাত 96%
61. যুক্তরাজ্য 2.5%
62. মার্কিন 3.75%
63. Uzbekistan 88%
::নেট থেকে নেয়া হয়েছে তথ্যগুলো::
▬▬►আপনাদের জন্য অনেক কষ্ট করে তথ্য
গুলো সংগ্রহ
করেছি। লাইক পেলে ভাল লাগবে।।

লাইলাতুল ক্বদর

আজ রাত থেকে শুরু হচ্ছে রমজানের শেষ দশক যা এই মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে সবচেয়ে গুরু্ত্বপূর্ণ একটি রজনী যা হাজার মাসের (প্রায় ৮৪ বছর) থেকেও উত্তম।
কিন্তু কোন নির্দিষ্ট তারিখে এই রজনীটি তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাই শেষ দশকের প্রত্যেকটি রাতেই একে খুজে বের করার চেষ্টা করা উচিৎ। অনেকেই এটা করেন না।
আবার অনেকেই চাকরির কারনে রাত জাগতে পারেন না। তাই আমি একটা ছোট্ট ফরমুলা নিয়ে হাজির হচ্ছি। যাতে করে প্লান করে করলে প্রতিটি ব্যস্ত এবং চাকরিজীবিদের পক্ষেই লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করতে সম্ভব হয়।
লাইলাতুল ক্বদর শুরু হয় মাগরিবের আযানের সাথে সাথেই তাই আপনি ইফতারির পর মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদে গেলেন। নামাজ পড়ে বাসায় এসে ১৫ মিনিট রেস্ট নিলেন তারপর ৮ রাকাত নফল নামাজ পড়লেন। নামাজ শেষে কোর’আনের ১০টি আয়াত পড়লেন, আর ৫টি হাদিস পড়লেন। তারপর এশার নামাজের আগ পর্যন্ত রেস্ট নিলেন (শুয়ে শুয়ে কিছু তসবিহ-তাহলিল পড়তে পারেন)। এশার নামাজ-তারাবীহ পড়ে বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে ১০ মিনিট রেস্ট নিয়ে ৪ রাকাত নফল পড়ে ঘুমাতে গেলেন। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি এতসব নামাজ পড়ার পরও আপনার ঘুমাতে যাওয়ার সময় ১১:৩০ এর বেশী হবে না। তারপর ৩:১৫ এর দিকে ঘুম থেকে উঠুন। উঠে আট রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ে নিন। বাস! হয়ে গেল আপনার প্রতি দিনের লাইলাতুল ক্বদরের সন্ধান। তবে অবশ্যই কেউ যদি এর চেয়ে বেশী আমল করতে পারে তাহলে সেটা অনেক অনেক ভাল এবং বেশী পছন্দনীয়। তাই চেষ্টা করুন বেশী বেশী ইবাদত করার।

হাদিসের শিক্ষা

হযরত জাবির (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, যে শরীর হারাম থেকে গঠিত, তা বেহেশতে প্রবেশ করবে না। যে সকল গোশত হারাম মালথেকে গঠিত তারজন্য দোযখই শ্রেষ্ঠ স্থান।
(মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং-১৩৯১৯)
প্রসঙ্গ : এ হাদীসে মহানবী(স) ঘোষণা করেছেন, অবৈধ খাদ্যের দ্বারা হৃষ্ট-পুষ্ট শরীরা জাহান্নামের ইন্দন হবে।
হাদিসের শিক্ষা :
এ মহান বাণী থেকে আমরা যে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি, তাহলো :

১। হালাল উপার্জন করে হালাল রিয্ক খেয়ে জীবিকা গ্রহণ করতে হবে।
২। হারাম উপায়ে অর্জিত ও উপার্জিত জীবিকা দ্বারা গঠিত শরীরের রক্ত-মাংস অপরিত্র।
৩। হারামের শরীর কখনও বেহেশতে প্রবেশ করবে না।
৪। হারাম দ্বারা গঠিত শরীর জাহান্নামেরই উপযুক্ত। জাহান্নামের আগুনে তা দগ্ধ হবে।
৫। হারাম উপায়ে উপার্জিত খাদ্য দ্বারা স্ত্রী-পুত্র-কন্যা ও পরিজনের শরীর গঠিত হলে তাও জাহান্নামের ইন হবে। এজন্য প্রত্যেক স্ত্রী ও পুত্র-কন্যা-পরিজনের উচিতস্বামী বা পিতাকে হারাম উপার্জনে বাধা দেয়া।
৬। হারাম উপার্জন ত্যাগ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সর্বতোভাবে হারাম থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
৭। হারাম থেকে বেঁচে না থাকলে কেউই জান্নাতে যেতেপারবে না। জাহান্নামই হারাম শরীরের ঠিকান হবে।
৮। কাজেই ইসলাম যাবতীয় অন্যায়, অবৈধ পন্থায় আয়-উপার্জনকে হারাম ঘোষণাকরেছে।
৯। আর হারাম পন্থায় অর্জিত সম্পদকে অপবিত্র ওনাপাক আখ্যা দেয়া হয়েছে।
১০। অবৈধ সম্পদ দ্বারা লালিত-পালিত দেহ জাহান্নামের ইন্দন হবে। তাই হারাম উপার্জন সর্বতোভাবে বর্জন করতে হবে। হালাল উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। যত কষ্টই হোক, হারাম উপার্জন ত্যাগ করে হালালের দিকে সকলেরই আসা অপরিহার্য। এতেই ব্যক্তি ও সমাজের উন্নতি ও মুক্তি নিহিত।
এসবেরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ আজকের ঐশির পরিবার, তাই আসুন হারাম পরিহার করে হালাল রিজিকের অনুসন্ধান করে নিজেকে ও পরিবারকে দোজখের আগুন থেকে রক্ষা করি....

রেগে গেলেন, তো হেরে গেলেন !

→→ রেগে গেলেন, তো হেরে গেলেন ! ←← এক লোক তার Brand New গাড়ি পরিষ্কার করছিলেন। এই সময় তার ছয় বছরের মেয়েপাথর হাতে গাড়িটির কাছে যায় এবং গাড়ির একপাশে পাথর দিয়ে আঁচড়িয়ে কিছু লেখে। লোকটি যখন দেখতে পায় তার মেয়ে গাড়ির গায়ে আঁচড় কাটছে তখন সে রাগে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে এবং মেয়েটির হাতে আঘাত করে। পরে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন যেতার মেয়ের হাতে একধিক ফ্র্যাকচার হয়েছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মেয়েটি যখন প্রচণ্ড ব্যথায় তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে, “বাবা, আমার হাত কবে ঠিক হবে?”, তখন লোকটি নির্বাক হয়ে পড়ে। সে তার গাড়িটির কাছে ফিরে যায় এবং রাগে গাড়িটিকে অসংখ্যবার লাথি মারে। সে তার মেয়েকে কতটা নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করেছে তা ভেবে সে অত্যন্ত কষ্ট পায় এবং গাড়িটির সামনেই মাটিতে বসে পড়ে। এসময় তার চোখযায় গাড়িটির যেখানে তার মেয়ে পাথর দিয়ে আঁচড় কেটেছিল সেখানে। সেখানে লেখা ছিল, “বাবা, আমি তোমাকে ভালবাসি”। *** ক্রোধ এবং ভালবাসার কোন সীমা নেই। রাগের মাথায় কিছু করবেন না কখনও, অনুরোধ রইলো। ***

হাদিস

কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচবে না ,সব মিথ্যা।

"মেয়েটা ছেলেটাকে ছাড়া বাঁচবে না ...
ছেলেটা মেয়েটাকে ছাড়া বাঁচবে না ...
ব্যাট-বল এর মতই তারা একদম
জোড়া ... ফেভিকল
দিয়ে আটকানো তাদের বন্ধন ...
কেমিস্ট্রি যারা ভালোবাসে,
তারা বলে ওরা আয়নিক
বন্ধনে আবদ্ধ ...
বন্ধুরা বলেঃ "ওরা একদম
পারফেক্ট কাপল" ... ফেইসবুকের
মানুষরা বড়ই ঈর্ষান্বিত ওদের
প্রেম দেখে ... টাইমলাইনে প্রেম,
প্রোফাইল পিকচারে প্রেম,
কমেন্টে প্রেম ... অসহ্যকর ... এত
প্রেম কেন ??
৬ বছর গড়িয়ে ৭ বছরে গেলো তাদের
সম্পর্ক ... কত সুখী তারা ...
মেয়েটার হাত ভর্তি ছেলেটার
দেয়া চুড়ি ... ছেলেটার পরা নীল
শার্টটা মেয়েটার দেয়া গিফট ...
ফেবুতে ৫০০০০ মেসেজ তাদের ...
মেমোরি কার্ডে দুজনের
হাজারখানেক রঙ্গিন ছবি ...
গল্পের বইয়ের পাতার
ভাঁজে ভাঁজে গোলাপ ফুলের
পাপড়ি ... টিএসসির
মোড়ে একসাথে বসে থাকা অনেকগুলো মূহুর্ত ...
রিচার্জের দোকানের খাতায়
হাজারবার দুজনের নাম্বারে ১০০
টাকা রিচার্জের গল্প ... অনেক
রাতের জেগে থাকা, অনেক
ভোরের জেগে ওঠা ...
বালিশে শুকিয়ে যাওয়া চোখের
পানিতে অনেক অভিমানের গল্প !!
... ... ...
আরো ৫ বছর পরের কথা...
মেয়েটা আর ছেলেটার বিয়ে হয়
নি ... কোন
একটা কারণে তারা আলাদা পথে হেঁটে যায় ...
খুব সুন্দর
ইংরেজিতে আমরা ওটাকে বলিঃ "ব্রেক
আপ"
সবাই খুব অবাক হয়েছিলো ... কেউ
কেউ ভেবেছিল, ওদের কেউ
সুইসাইড করবে ... এত বছরের এত
কিছু !!
জীবনটা রোমিও-জুলিয়েট এর
গল্প না ... তারা কেউই মরে নি ...
খুব অদ্ভূত সত্য হলো,
তারা তাদের আলাদা পথেই বেশ
ভালোভাবে বেঁচে আছে !!
মেয়েটা এখন সংসারী ...
রান্নাঘরে দরদর করে ঘামছে সে ...
তবুও হাসিমুখে পোলাও
রান্না করছে ... একটু পরেই অফিস
থেকে আসবে তার স্বামী ...
পোলাও তার খুব খুব পছন্দ !!
ছেলেটা বিদেশ
থেকে পিএইচডি কমপ্লিট
করে এসেছে ... এই বছরই বিয়ে করবে !!
গল্পটা শুনে সবাই অবাক হয় ...
বিশ্বাস করে না ... তারপর নিজ
চোখে দেখে আসে ...
মেয়েটা কি হাসিখুশি ...
ছেলেটা আগের চেয়েও
বেশি চঞ্চল হয়ে গেছে ...
কী অদ্ভূত !! কী অদ্ভূত !!
... ... ...
আসলেই তারা ভালো আছে ... অতীত
তো অতীতই ... অতীত নিয়ে কষ্ট
পেয়ে লাভ নেই ... পথ চলতে হয়, যত
যাই হোক !!
মাঝে মাঝে পথ
চলতে গিয়ে ড্রেসিং টেবিলের
ড্রয়ার থেকে কিছু কাচের
চুড়ি বেড়িয়ে আসে ...
মাঝে মাঝে পুরনো গল্পের
বইটা হাতে নিলে, দুই
একটা গোলাপের
পাপড়ি বেরিয়ে আসে ...
মাঝে মাঝে ফেবুর
পুরনো পোস্টে চোখে পড়ে Facebook
User এর একটা কমেন্টঃ
"দুষ্টু ছেলে !! তুমি নীল শার্ট
পরে না আসলে তোমাকে পিটায়ে ভর্তা বানাবো !!"
ফোনবুকে কারো নাম্বার
খুজতে গিয়ে হুট
করে সামনে চলে আসে তার
নাম ...টিএসসির মোড়ে চায়ের
দোকানের সামনের
জায়গাটা মাঝে মাঝে ধক
করে এসে বুকে লাগে ... প্রচন্ড
রোদে রিকশার হুড তুলে দিতেই
কীসব জানি মনে পড়ে যায় !!
তখন কয়েক সেকেন্ডের জন্য
ভেতরটা শূন্য হয়ে আসে ... পথ
চলতে গিয়ে কেমন
জানি একটা হোচট খেতে হয় ... পিছন
থেকে কেউ একজন ডাকে ...
নিশ্বাস বন্ধ
করে ছেলেটা ভাবে, "তাকাবো ??
পেছনে তাকাবো ??"
একটা দীর্ঘশ্বাস
ফেলে মেয়েটা চোখ বন্ধ
করে ফেলে ... তারপর হাতের
উলটো পিঠ
দিয়ে চোখটা মুছে আবার সব
ভুলে গিয়ে পথ চলতে থাকে !!
এই পথ চলার মাঝের
থমকে যাওয়া মূহুর্তগুলার
কথা কেউ জানে না ... কেউ টের
পায় না ... কেউ না !!
... ... ...
কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচবে না -
খুব বাজে রকমের মিথ্যা এইটা ...
সবাই বেঁচে থাকে ... সবাই খুব
ভালোভাবেই বেঁচে থাকে ...
মরে যায় শুধু স্বপ্নগুলো !!
মরে যাওয়া স্বপ্নগুলো মাঝে মাঝেই
তাই অতীত নিয়ে এসে বিরক্ত
করে মানুষের নতুন জীবনে ... কয়েক
মূহুর্তের জন্য ভেতরটা ওলট
পালট করে দিয়ে যায় ... তারপর
ছেলেটা আর মেয়েটা আবার ওলট
পালট
হওয়া ভেতরটা গুছিয়ে নিয়ে হাসিমুখে বেঁচে থাকে !

আল্লাহ পাকের ৪টি রহমত ও ৪টি আযাব,

আল্লাহ পাকের ৪টি রহমত,
যা মানুষের পছন্দ নয়;
১) কন্যা সন্তান
২) মেহমান
৩) বৃষ্টি
৪) রোগ
______________
আল্লাহ পাকের
৪টি আযাব,
যা মানুষ
আনন্দে গ্রহন করে
১) সুদ খাওয়া
২) মিথ্যা বলা
৩) গীবত করা
৪) যৌতক লওয়া।
সকলকে শেয়ার
করে জানিয়ে দিন।

জমজম কূপ

জমজম কূপ সম্মন্ধে কিছু
জানা অজানা তথ্য:

১) আল্লাহ তা'লার অসীম
কুদরতে ৪০০০ বছর
পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল।
২) ভারী মোটরের
সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০
লিটার
পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক
সৃষ্টির সূচনাকালেরন্যায ়।
৩) পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি,
জন্মায়নি কোন ছত্রাক বা শৈবাল।
৪) সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে,
মাত্র১১ মিনিটেই আবার পূর্ণ
হয়ে যায়
কূপটি।
৫) এই কূপের পানি কখনও শুকায়নি,
সৃষ্টির পর থেকে একইরকম আছে এর
পানি প্রবাহ, এমনকি হজ্ব
মউসুমে ব্যবহার ক'য়েক গুন
বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর
কখনও নিচে নামে না।
৬) সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ

এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই
পরিমানে আছে।
৮) এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম
ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান
অন্যান্য পানির থেকে বেশী, এজন্য এই
পানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এই
পানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।
৯) এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান
বেশী থাকার কারনে এতে কোন জীবানু
জন্মায় না ।
১০) এই পানি পান করলেসকল
ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
► তথ্যগুলো ভালো লাগলে "লাইক"
দিতে ভুলবেন না। কারণ আপনার
একটি "লাইক" আমাদেরকে এরকম
তথ্যমূলক পোস্ট দিতে উত্সাহিত করে!!!

কাবাঘর

Photo: কাবাঘর - এ পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র
স্থান।
প্লিজ share করুন-
“সুবহানাল্লাহ”
এবং শেয়ার করে সবাইকে দেখার
সুযোগ
করে দিন।কাবাঘর - এ পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র
স্থান।
প্লিজ share করুন-
“সুবহানাল্লাহ”
এবং শেয়ার করে সবাইকে দেখার
সুযোগ
করে দিন।

 




এই পথিক

আমি প্রায়ই পথ হারাই,
পথ হারাবার মতন সুখ আনন্দ
বুঝি আর কোথাও নেই
মাঝে মাঝে পথ হারালে নতুন নতুন
পথের ঠিকানা পাই খুঁজে,যায় জানা
আমি তাই কখনো কখনো ইচ্ছে করেই
হারাই
আবার অবলিলা ক্রমেও হারাই
অথচ পথ শুধূ
আমাকে ভালোবেসে করে বিভ্রান্ত
তখন পথের ফাঁদে পড়ে হারাই আনন্দ
আসল পথের ঠিকানা খুঁজি একাকী জীবন
সৈকতে
এইতো সেদিন,
সেদিন মানে আদম হাওয়ার কালে
যে পথ হায়িয়েছি তা আজও
অবধি পাইনি খুঁজে
হাটি শুধু সৃষ্টির মানচিত্র বুকে নিয়ে
মনের ভেতর আঁকি তার ছবি
এইতো আর একদিন পথ হারালাম,
পথের বাঁকে বাঁকে
যাবো উত্তরে পথ ধরলাম দক্ষিনের
কিছু দূর যেতে যেতে কে যেনো
ঘরের জানালারার পাশে দাড়িয়ে
উঁকি মেরে বললো-
এই পথিক ওভাবে এই গভীর অন্ধকারে
যাচ্ছ কোথায়
একা একা সংগে আমাকে নেও
আমি ফিরে তাকাই
যেখান থেকে এসেছিলো ভেসে সেই
অচেনা নারী কণ্ঠ
দেখি ওখানে স্থির জ্যোৎস্নার
ডানা মেলে দাড়িয়ে
কে একজন,
সে যে জ্যোৎস্না ছাড়া আর কেউ নয়
নাহ চাঁদ নাহ সূর্য না অন্ধকার
সে কি তবে সেই তুমি ?

১৪৫০ বছর আগের সত্য ঘটনা এটি।

ছবিতে আপনারা যে গাছটি দেখতে তা কোনো সাধারণ
গাছ নয়... আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর
আগের সত্য ঘটনা এটি।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত
মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বয়স যখন
১২ বছর ছিল তখন এই
গাছটি তাঁকে আল্লাহ তা’আলার ইশারায় নিরাপদ
আশ্রয় দান করেছিল।
আজও সেই গাছটি বেঁচে আছে।
সুবাহানাল্লাহ।
এই গাছটি"একমাত্র জীবিত
সাহাবী গাছ"হিসাবে পরিচিত!! গাছটি জর্ডানের এক
মরুভূমিতে অবস্থিত।
আরেকটি অবাক করার মত
ব্যাপার হল গাছটির শত বর্গ
কিলোমিটার এলাকায়
এটি ছাড়া আর কোনো গাছ নেই।
এই গাছটির নিচে কখনো কেউ
বসতে পারেনি!
তখন গাছটিতে কোন
পাতা ছিলনা!
নবী করিম (সাঃ) ছেলেবেলায় ওঁনার চাচার
সাথে জর্ডানে যান
এবং পথ চলতে চলতে এই
গাছটির নিচে বসেন।
বসার
সাথে সাথে গাছটিতে পাতায় ছেয়ে যায়। #সুবাহানাল্লাহ#শেয়ার_ করুন

কেমন মহিলার সাথে জীবনযাপন করবেন

''একজন দ্বীনহীন মহিলার সাথে জীবনযাপন করার
চেয়ে একটা বিষধর সাপের সাথে থাকা উত্তম।
তাতে হয়ত সাপ তোমার ইহকালীন জীবনকে ধবংস
করে দিবে, কিন্তু দ্বীনহীন মহিলা তোমার
ইহকালীন ও পরকালীন উভয় জীবনকে ধবংস
করে দিবে।"
--শেখ সাদী (রহঃ )
Photo 

একটা সত্য কাহিনী

একটা সত্য কাহিনী , খুব সংক্ষিপ্ত
করে লিখা. আগে পড়ুন তারপর লাইক
এবং কমেন্টস করুন।

S.S.C পরীক্ষার পর collegeএ ভর্তি হলাম।
বাসা দুরে বলে হোস্টেলে থাকতাম.
অনেক ফ্রেন্ডস এন্ড মাস্তি। ভালই
দিনকাল যাচ্ছিলো। পড়াশুনায়
ভালো বলে সব টিচার আমাকে লাইক
করতো।
হোস্টেলে দেখতাম অনেক
মায়ে ফোনে কথা বলে। রাত ১২
টা বাজলেই সবাই ফোন নিয়ে busy
হয়ে পড়ে। আর আমি পড়তাম। একদিন
আমার রুমমেট ফোন নিয়ে আসলো।
সে ভালো মায়ে ফোনে কথা বলেনা।
ওর ফোন নিয়ে সবাই কথা বলে। একদিন
ওর ফোন wrong নম্বর এ একটা কল আসলো।
সে আমাকে দিয়ে কল রিসিভ
করে কথা বলতে। আমি রিসিভ করলাম।
একটা ছেলের কণ্ঠ. ভয়েসটা খুবই সন্দর।
কিন্তু আমি বকা দিয়ে লাইন
কেটে দিলাম। ছেলেটা আবার কল
দিলো আমি আবার রিসিভ করলাম।
ছেলেটা বললো তাকে এই নম্বর
থেকে মিস কল দিয়েছে। আমি কথার
পাত্তা না দিয়ে লাইন কাটে দিলাম।
রাতে যখন পড়তে বসলাম ছেলেটার কণ্ঠ
কানে ভেসে এলো। কন্ঠটা খুব সন্দর.
আমার খুব কথা বলতে ইচ্ছে করলো তাই
মিস কল দিলাম। আর কয়েক
ঘন্টা কথা বললাম. দুজন দুজন
সম্পর্কে জানলাম। ওর নাম আসিফ । B.B.A
পড়ে পাশাপাশি কবিতা আবৃতি করে।
খুব ভালো কবিতা আবৃতি করে তাই ওর
কণ্ঠ এত সুন্দর।
শুনেছি যারা কবিতা আবৃতি করে ওদের
কণ্ঠ অনেক সুন্দর হয়। আমাদের
মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ হয়ে গেলো। love
সম্পর্কে কিছু ভাবিনাই জাস্ট
ফ্রেন্ডশিপ।
একদিন আমরা দেখা করলাম। সিম্পল
একটা ছেলে আমার ভালো লাগলো।
তার
অবস্তা দেখে মনে হলো সে আমাকে লাইক
করেছে। হোস্টেলে চলে এলাম। আর
প্রতিদিনের মত কথা বলতে লাগলাম। ও
আমাকে অনেক কবিতা শুনাতো। ও
নিজেও কবিতা লিখতো। অনেক প্রাইস
পেয়েছে.ওর লিখা কবিতার বই বের
হয়েছে। আমি সব কালেক্ট করেছি।
শিল্পকলাতে কবিতা আবৃতি করার
ছবি প্রথম আলো তে এসেছে আমি সেই
ছবি কেঁটে আমার কাছে রাখেছি।
আমার একটা রুমমেট
আমাকে বলেছে আমি নাকি কোনদিন
প্রেম করতে পারবনা। কিন্তু আসিফ
কে আমি ভালোবেসে ফলেছি। একদিন
সে আমাকে প্রোপস করলো আর
আমি রাজি হয়ে গেলাম। আমি আমার
রুমমেট কে বললাম আমি প্রেম করছি.
আমার মা যখন
আমাকে হোস্টেলে দেখতে আসলো আমি মা কেও
বলে দিলাম।
মা ছবি দেখতে চাইলো আমি দেখালাম।
মা ওর সম্পর্কে জানতে চাইল
আমি বললাম।
৩ বছর ভালো ভাবে কাটলো। ও ওর
বোনকেও আমার কথা বললো। একদিন ওর
বোনের
সাথে আমাকে দেখা করাতে নিয়ে গেলো।
ওর বোন্
আমাকে বললো তোমরাতো চট্টগ্রামের
না। তোমাদের সাথে আমাদের
কালচার মিলেনা। তোমাদের
বিয়ে হওয়া সম্ভবনা। তুমি ভালো হয়
আসিফ কে ভুলে যাও।
তারপর থাকে দেখলাম আসিফ change
হতে লাগলো। আমাকে আগের মত কল
দেয়না। আমার সাথে দেখা করেনা।
একদিন আমাকে কল
করে বলে আমি তোমাকে আগের মত fell
ফিল করতে পারছিনা। তাই
আমি চাচ্ছি এক মাস কথা না বলতে।
তাহলে হয়ত তোমাকে আবার ফিল
করতে পারবো। আমি কেন
জানি হা বললাম। কিন্তু কয়েক
ঘন্টা যেতে না যেতে আমার খরাপ
লাগতে লাগলো। আমি আমার
একটা ফ্রেন্ডএর কাছ থেকে একটা সিম
নিয়ে এলাম আর আমার
একটা বান্ধবীকে রিকোয়েস্ট করলাম
আসিফ এর সাথে কথা বলার জন্য আমি শুধু
আসিফের কন্ঠটা শুনতে চাই। আমার
ফ্রেন্ড রাজি হলো. কিন্তু
আমি দেখলাম আসিফ আমার ফ্রেন্ড এর
সাথে খুব emotinaly কথা বলছে আমার খুব
কষ্ট হচ্ছিলো তাই আমার ফ্রেন্ড কে আর
কথা বলতে দিলামনা।
কিছুদিন পর আসিফের ফ্রেন্ড
আমাকে কল করে বললো আসিফ
রেস্টুরেন্টে একটা মেয়েকে নিয়ে গুরতে গেছে।
কথাটা শুনার পর
মনে হচ্ছিলো আমি আমার জীবনের সব
হারিয়ে ফেলেছি। আমি খুব কষ্টে বড়
হওয়া একটা মেয়ে। মধ্যবৃত্ত পরিবারের
কষ্টে বড় হওয়া একজন দুখী মেয়ে।
আসিফকে আমার ফ্যামিলির সব
দুরবস্তার কথা বলেছি। সব
শুনে সে আমাকে ভালোবাসেছিল।
আসিফকে পেয়ে কষ্ট
ভুলে থাকতে চেয়েছি কিন্তু সেও
আমাকে এইভাবে কষ্ট দিছে। খবর
নিয়ে দেখলাম কথাটা সত্য,
মেয়েটা বিবাহিত। অনেকদিন
ধরে আসিফের সাথে মেয়েটার সম্পর্ক।
আমি আসিফকে ডেকে কথাটা জিজ্ঞাসা করলাম
এবং বললাম তুমি এটা কেন করলে?
সে বললো আমার ভুল
হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দাও।
সে আমাকে খুব অনুরোধ করলো আর
আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম।
আরো ২ বছর এইভাবে চললো। একদিন
আসিফ আমাদের বাসায় আসলো। সবার
সাথে পরিচিত হলো। এবং বিয়ের
বেপারে আমার মা এর কাছে সময়
নিলো।
একদিন আসিফ আমার ভাবিকে কল
করে বলেদিলো সে আমাকে বিয়ে করতে পারবেনা।
তার ফ্যামিলি রাজি হচ্ছেনা।
আমি কথাটা শুনে অনেক কষ্ট পেলাম।
ওকে বুঝাতে লাগলাম। কিন্তু
সে বুঝেনা, খুব কষ্টে দিন পারকরছিলাম
কিন্তু কাওকে কিছু
বলতে পারছিলামনা। কল দিলে busy
পাই।
দেখা করতে চাইলে দেখা করেনা।
একদিন আমাকে কল দিয়ে বলে ওর
বিয়ে। কথাটা শুনার পর বুকটা ধুক
করে উঠলো। বুকের ভিতর চিনচিন
বেথা অনুভব করতে লাগলাম।
ওকে বললাম তুমি আমার সাথে এমন কেন
করছো সে কোনো কথা বলেনা। অনেক
চেষ্টা করলাম ওর
বিয়েটা ঠেকাতে কিন্তু পারলামনা।
কতদিন ওর বাসার
সামনে দাড়িয়ে ছিলাম শুধু
ওকে বুঝানোর জন্য। কিন্তু সে আমার কষ্ট
বুঝলনা. শেষ পর্যন্ত
সে বিয়ে করে ফললো।
এখন শুধু রাত জেগে কান্না করি।
ভুলতে চেষ্টা করি কিন্তু পারিনা।
বাসায় বিয়ের
কথা বললে পাগলামি করি ,
রাগারাগি করি। কি ভাবে বুঝাই
আমার দ্বারা অন্য
কাওকে বিয়ে করা সম্ভবনা।
আসিফকে ছাড়া আজ ২টা বছর
কাটে গেলো।শুনেছি সে ভালই
আছে নতুন সংসার নিয়ে। কিন্তু
আমি আজও
কাওকে নিয়ে ভাবতে পারিনাই।
আমি আজও একা। একা একা রাত জাগি।
নির্গুম রাত এখন আমার সঙ্গী। ভয়ঙ্কর কষ্ট
নিয়ে আমি আজও বেঁচে আছি।
জানিনা এই কষ্ট আর কতদিন
বয়ে বেড়াতে হবে।
<RAFIQ SIR>