Pages

মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ১৬ টি কার্যকরী কৌশল

মস্তিষ্ক
স্মৃতিশক্তির জন্যই মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয়। স্মৃতি ক্ষমতা আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং জীবনীশক্তির উপর নির্ভর করে। মানসিকভাবে দুর্বল স্মৃতিশক্তির জন্য প্রতিদিনের কাজে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। মাত্র ৫ মিনিট আগের বলা কথার স্মৃতিও হারিয়ে যায় মস্তিষ্ক থেকে। ছোটোখাটো জিনিস কোথায় রেখেছি তা হুট করেই ভুলে যাই, এইসকল ছোটোখাটো ব্যাপার খুব বেশি ঝামেলা তৈরি না করলেও এগুলো সত্যিকার অর্থেই যন্ত্রণার।
১.পর্যাপ্ত ঘুম
প্রতিদিনের ঘুম মস্তিষ্ক সুরক্ষা রাখার জন্য অনেক কার্যকরী। কারণ ঘুমের মধ্য মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়। পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ভাল ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। ঘুমের সময় সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যগুলোকে মস্তিষ্কসংরক্ষণ করতে থাকে। আর ঘুমকে বলা হয় মেমোরি চার্জার। ঘুমের সময় আপনার মেমোরি পরবর্তী স্মৃতি ধরার জন্য প্রস্তুত হয়।
২. মস্তিষ্কের ব্যায়াম
প্রথমে শুনলে হয়ত পাগলামী ভাবতে পারেন কিন্তু আপনি আপনার মস্তিষ্ককে যত বেশি কাজে লাগাবেন, আপনার মস্তিষ্ক তত বেশি কাজ করবে…যেমন সবজি কাটার ছুরিটি দিয়ে যত বেশি কাটা কাটা করবেন ছুরিটি তত বেশি ধার হবে। মানুষের মস্তিষ্ক একটি বিস্ময়কর ক্ষমতা, এই ক্ষমতা স্নায়ু নমনিয়তা হিসাবে পরিচিত হয়। অধিকার উদ্দীপনার সঙ্গে আপনার মস্তিষ্ক নতুন স্নায়বিক পথ গঠন করে ও উপস্থিত সংযোগ পরিবর্তন করে। এবং নতুন কোন শেখার বিষয় স্মৃতি আসে যখন নিজেই পুর্ণনির্মাণ মস্তিষ্ক এর অবিশ্বাস্য ক্ষমতা অধিকারী হবেন। আপনি আপনার জ্ঞানীয় ক্ষমতার বৃদ্ধিতে নতুন তথ্য জানতে পারেন, যা স্নায়ু নমনিয়তা শক্তি বৃদ্ধি করবে।
 ৩.পাজল বা ওয়ার্ড
গবেষণায় দেখা যায় যাদের নিয়মিত পাজল সমাধান, স্ক্রাবল, সুডোকো মেলানোর অভ্যাস রয়েছে তাদের মস্তিষ্ক অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। যখন খেলা হয় তখন মস্তিস্কের স্মৃতি এলাকাগুলো সহ পুরো মস্তিস্কের সমস্ত স্নায়ুগুলো সক্রিয় হয় যা কিনা স্মৃতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এছাড়াও তাদের স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা জনিত সমস্যাও হয় না। তাই সময় পেলেই এইধরনের খেলা খেলে নিন। এইসব গেম প্রায়ই বুদ্ধিজীবী কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে মস্তিষ্কের লক্ষ্যপূর্ণ এলাকায় উদ্দীপিত করতে পারেন।
৪. মেলোথেরাপি মিউসিক
থেরাপিকে সাধারণত মেলোথেরাপি বলা হয়। এটি  দুর্বল স্মৃতিশক্তি কে কমিয়ে দেয় একেবারেই। এই মেলোথেরাপির মাধ্যমে মনোযোগ নির্দিষ্ট হওয়ার ক্ষমতা বাড়ে। গবেষণায় দেখে গিয়েছে ক্লাসিক ধরণের গান মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় শিশু কিশোরদের মধ্যেও।
৫. বই পড়া
বই পড়া হচ্ছে মস্তিষ্কের সবচাইতে ভালো ব্যায়াম। যে ধরণের বই…ই হোক না কেন বই পড়ার বিষয়টি মস্তিষ্কের স্নায়ু সচল রাখতে সহায়তা করে। এমনকি খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন যাই হোক না কেন অবসর সময়ে তা পড়ে নিলে মস্তিষ্কের বেশ ভালো ব্যায়াম হয়। এতে করে স্মৃতিশক্তিও উন্নত হয়।
৬. লেখালেখি
নতুন ভাষা শেখা নতুন একটি ভাষা শেখা এবং লেখার মাধ্যমে নিজের আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ে তেমনই কমে যায়  স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা। নতুন একটি ভাষা শেখা, বোঝা এবং প্রয়োগ করার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়ে যা স্মৃতিশক্তিকে দুর্বল হতে বাঁধা দেয়।
৭. মস্তিষ্ক প্রশিক্ষণ ও  উদ্দীপিত
মুখস্থকৃত বিষয়ের উপর ‘আমল করা। মনোবিজ্ঞানী এ ব্যাপারে একমত যে, কোনো একটি বিষয় যত বেশিবার পড়া হয় তা আমাদের মস্তিষ্কে স্মৃতিতে দৃঢ়ভাবে জমা হয়। মৌলিক জ্ঞানীয় দক্ষতা কাজ স্মৃতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি হিসাবে পরিচিত। মুখস্থ দিয়ে মস্তিষ্ক প্রশিক্ষণ হয়। ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ফোন বা ব্যক্তিগত কম্পিউটার এর মাধ্যমে শিক্ষাগত সাধন হয়। মস্তিষ্কের প্রশিক্ষণ ফলে আমাদের চিন্তা সৃজনশীল, বুদ্ধিমান, অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ নিশ্চিত হতে পারে।
৮. যোগাযোগ
যোগাযোগ আমাদের সাধারণ বুদ্ধি মাত্রা জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা আমাদের শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পায়। এটি একটি মজার সামাজিক কার্যকলাপ। বিষণ্ণতা এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাই সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করুন। সামাজিক কর্মকাণ্ড বিষণ্ণতা এবং মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করে। যদি আপনি একা একা থাকেন তবে দিনের কিছুটা সময় কাটান আপনার প্রিয় কোন বন্ধু বা প্রিয় কোন ব্যক্তির সাথে। এতে আপনার বিষণ্ণতা কমবে।
৯. শারীরিক ব্যায়াম
শারীরিক ব্যায়াম-শারীরিক, মানসিক এবং এমনকি বুদ্ধিহীনতা সমস্যার বিস্তৃত একটি বড় সমাধান। ব্যায়াম করলে আপনার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং আপনার মস্তিষ্ক গ্রহণ করে গ্লুকোজ, যা আপনার রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়. ব্যায়াম শারীরিক সমন্বয় জড়িত হিসাবে এটি শারীরিক কার্যকলাপ পরিবর্তন করে। ব্যায়াম মস্তিষ্কের নতুন মস্তিষ্ক কোষ (নিউরন) বৃদ্ধি করে।
১০. অক্ষর জ্ঞান
আপনি মনে রাখতে চান, আক্ষরিক জ্ঞান  স্মৃতি দায়িত্বশীল করে যারা কোন অংশ অনুশীলন করে আপনার মস্তিষ্কের এলাকায়  রক্ত প্রবাহ সৃষ্টি করে। আপনি একটি গল্প লিখা ও পড়ার কাজ শুরু করতে পারেন – এই কার্যক্রম সব মনে রাখা এবং তথ্য মুখস্থ করা আপনার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করবে।
 ১১. গান শোনো
গবেষণায় দেখা গেছে সঙ্গীত শোনার মাধ্যমে পুরানো স্মৃতি পুনরায় ডাকা খুব সহায়ক। কিছু সংগীত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে উপকারি। কোন ঘটনার সময় আপনি যদি কোন গান শুনেন তবে পুনরায় সেই গান শোনার সময় সেই ঘটনার স্মৃতি আপনার মস্তিষ্কে জেগে উঠবে যা আপনার মস্তিষ্ককে সচল করবে।
 ১২. মস্তিষ্কের খাবার
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাজা ফলমূল, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, গমের রুটি প্রভৃতি প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। পরিমান মতো বিশুদ্ধ পানি পান করুন। প্রচুর চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। বিশেষ করে বাসি-দূষিত খাবার খাবেন না। ধূমপান ও মাদক সেবন থেকে বিরত থাকুন। এগুলো মস্তিষ্কের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।
১৩. প্রকৃত ধারণা
কোন স্মৃতি মনে করার জন্য, তার পড়াশোনা তথ্য কল্পনা করতে পারেন। আপনার পাঠ্যপুস্তক প্রদর্শিত, অথবা আপনি একটি বই অধ্যয়নরত এমন ভাবতে পারেন, এটা আপনার মনে রাখার স্মৃতিকে বাড়িয়ে দিবে।
১৪. দক্ষতা আয়ত্ত করুন
খুব সম্প্রতি একটি সুইডিশ গবেষণায় পাওয়া গেছে যে যারা নতুন ভাষা শিখেছে তাদের অন্যদের নাম মনে রাখার ক্ষেত্রে স্মৃতি শক্তি বেড়েছে। অন্যান্য কর্মকাণ্ড যেমন সেলাই শেখা বা স্কিইং শেখা ইত্যাদিও স্মৃতি বাড়াতে সহায়ক । সুতরাং, স্মৃতি বাড়াতে নতুন নতুন দক্ষতাকে আয়ত্ত করার অভ্যাস গড়ে তুলুন ।
১৫. কায়িক শ্রম
শারীরিক পরিশ্রম পুরো শরীর এবং মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে । এই রক্ত সঞ্চালন আমাদের স্মৃতিকে উন্নত করতে সহায়তা করে । সুতরাং দিনের কিছু সময় অতিবাহিত করুন শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করে।
১৬.নিজে নিজে অভ্যাস
নিজে নিজে কথা বলা বা আপনমনে কথা বলার কাজটি খুব বেশি পাগলামি মনে হলেও এটি অনেক বেশি কার্যকরী। গবেষণায় দেখা যায়….যারা আপনমনে কথা বলেন তাদের স্মৃতিশক্তির তুলনায় যাদের এই অভ্যাস নাই তাদের স্মৃতিশক্তি বেশ কম। এমনকি নিজেকেই নিজে গল্প শোনানোর বিষয়টি স্মৃতিভ্রষ্টের সমস্যা দূর করে।
স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়ার পেছনে অন্য কোন শারীরিক বা মানসিক সমস্যা থাকতে পারে। কেউ যদি স্মৃতি শক্তি জনিত গুরুতর সমস্যায় ভোগেন তাহলে অবশ্যই তাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

উপস্থাপনা এবং বক্তৃতাকে প্রাণবন্ত করতে ২১ টি সুত্র

উপস্থাপনা
উপস্থাপনা এবং বক্তৃতা এমন একটা মাধ্যম যা আপনাকে অন্যদের সামনে আপনার যোগ্যতা ও সৃষ্টিশীলতার পরিচয় প্রকাশ করবে যদি আপনি হতে চান একজন শিক্ষক, কর্মক্ষেত্রের অফিসার এবং নেতৃস্থানীয় কোন ব্যক্তিত্ব। আপনার মূল কাজ হলো প্রেরণা বা মটিভেশন করা। তাই কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন যদি এরকম অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। এই বিষয়ে থাকলো কিছু পরামর্শ।
কবি শেখ সাদির যুগেই পোশাকের মূল্যায়ণ ছিল। বর্তমানে মানুষ তো আরো উন্নয়নের শীখরে পৌছে যাচ্ছে। বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির যুগে পোশাকের কথা বলাই বাহুল্য।
উপস্থাপনা এবং বক্তৃতার প্রথম ধাপ পরিপাটি বা সাজসজ্জা
১. প্রদর্শিত হওয়া
যেহেতু উপস্থাপনা এবং বক্তৃতা একটি পাবলিক এবং আনুষ্ঠানিক বিষয়। তাই স্থান ও অবস্থা ভেদে আপনার পোশাক নির্বাচন করুন। এটা এমন একটা বিষয় যে, সুন্দর ও মননশীল হলেই মানুষ আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে।
২. ধুয়ে মুছে ইস্ত্রি
কয়েকদিন আগেই নির্ধারিত পোশাক ধুয়ে মুছে ইস্ত্রি করে রাখুন। কাজে যাওয়ার আগের দিন পোশাকটি নির্বাচন করে রাখুন। ছেলেরা শার্ট-প্যান্ট এবং মেয়েরা শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ পরিধান করতে পারেন।
৩. রঙ নির্বাচন
খুব বেশি উজ্জ্বল না আবার খুব বেশি অনুজ্জ্বলও না, আরামদায়ক ও দেখতে মানানসই এরকম কাপড় নির্বাচন করুন।
৪. চুল, দাড়ি
ছেলেরা চুল, দাড়ি কাটিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে নিন। তারপর ঋতু, সময় এবং অবস্থা ভেদে টাইও পরতে পারেন।
৫. হালকা সাজ
মেয়েরা অধিক সাজসজ্জা পরিহার করুন এবং হালকা সাজসজ্জার উপর নিজেকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন।
৬. সুগন্ধি ব্যবহার
অতীব তীব্র বডি স্প্রে বা সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৭. জুতা
একজন ব্যক্তির পায়ের জুতাই বলে দেয় ব্যক্তির রুচিবোধের কথা। তাই আগের দিন জুতা নির্বাচন করে রাখুন।
৮. প্রতিষ্ঠানিক জিনিস
প্রতিষ্ঠানের বা প্রোগ্রামের আইডিকার্ড, ঘড়ি, চশমা এগুলো প্রস্তুত রাখুন। মোট কথা, উপস্থাপনা ও বক্তৃতার জন্য আপনার ব্যক্তিত্ব সাজসজ্জার মাধ্যমে উপস্থাপিত করতে পারেন।
উপস্থাপনা এবং বক্তৃতার দ্বিতীয় ধাপ স্ক্রিপ্ট তৈরি বা নোট তৈরি করা
৯. নোট বা স্ক্রিপ্ট
উপস্থাপনায় বা বক্তৃতায় কি বলবেন তার জন্য একটি নোট তৈরি করুন। নতুবা আপনি হঠাৎ করে ঘাবড়ে যেতে পারেন দর্শকশ্রোতাদের সামনে। সাথে কিছু উদাহরণ মুখস্থ করুন।
১০. সঠিক ভাবে উচ্চারণ
আপনার কথা গুলো এমন হওয়া উচিৎ হবে যা সবাই পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারে। উপস্থাপনা করার সময় আপনি কথা গুলো খুব দ্রুত বা গড়গড় করে না বলাই ভালো, সময় নিয়ে বুঝিয়ে ও পরিষ্কারভাবে কথা বলুন, এতে আপনার কথা সবার বুঝতে সুবিধা হবে এবং সবার মনযোগ বজায় থাকবে।
১১. আত্মবিশ্বাস
নিজের প্রতি ও নিজের বিষয় বা নোট সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী থাকুন। অপ্রয়োজনীয় ও অমার্জিত বিষয় স্ক্রিপ্টে ব্যবহার করবেন না।
১২. সময়, দর্শকশ্রোতা
সময়, দর্শকশ্রোতাদের শ্রেনী বা ক্যাটাগরি এবং অবস্থার কথা মাথায় রেখে স্ক্রিপ্ট তৈরি করুন।
১৩. অনুশীলন
আয়না বা অন্য কারো মুখোমুখি হয়ে স্ক্রিপ্ট অনুশীলন করুন।
১৪. মূল বিষয়
স্ক্রিপ্টের মূল বিষয়গুলো মাথায় থাকলে আপনি সবার সামনে ভালভাবে উপস্থাপনা করতে পারবেন বা বক্তৃতা দিতে পারবেন।
১৫. অনুসরণ
সার্থক একটি উপস্থাপনা ও বক্তৃতার জন্য একজন ভাল উপস্থাপক বা বক্তার স্ক্রিপ্ট কিংবা ইউটিউব থেকে ভিডিও অনুসরণ করতে পারেন।
১৬.সাংকেতিক বিষয়
উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের আকর্ষণ করে এরকম কিছু শব্দ বা লাইনও টুকে রাখতে পারেন। এমনভাবে কিছু সাংকেতিক বিষয় দিয়ে সাজাবেন যাতে আপনার এক নজর দেখার সাথে সাথে মনে পড়ে।
উপস্থাপনা এবং বক্তৃতার তৃতীয় ধাপ শারীরিক অঙ্গভঙ্গি
১৭. মার্জনীয় ভাব
উপস্থাপনা এবং বক্তৃতার জন্য আপনার শারীরিক অংগভঙ্গি অবশ্যই বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন এবং মার্জনীয় হতে হবে।
১৮. দর্শক সারি
প্রয়োজনে আপনি কয়েক ধাপ অনুষ্ঠানস্থলের কাছাকাছি হেঁটে নিতে পারেন অথবা দর্শক সারির মাঝামাঝি গিয়ে একটু ঘুরে আসতে পারেন যা আপনার আত্মবিশ্বাস অটুট করবে।
১৯. অবগত থাকা
মনে রাখবেন আপনি আপনার স্ক্রিপ্ট সম্পর্কে যদি অবগত থাকেন তাহলে আপনি সুন্দরভাবে অঙ্গভঙ্গি ও চমকপ্রদ কিছু কথা দিয়ে –অল্প সময়েই দর্শকশ্রোতাদের মন জয় করে ফেলতে পারবেন।  —সামনে যারা থাকবেন তারা সবাই পুতুল আর আপনি মানুষ। আপনি যা বলবেন তাই তারা শুনবেন। কাজেই শারীরিক অঙ্গভঙ্গিতে সেটা ফুটিয়ে তুলুন।
২০. দৃষ্টিভঙ্গি
সবার চোখের তাকিয়ে কথা বলার চেষ্টা আপনার আত্মবিশ্বাস বজায় রাখবে। এবং অনেক সময় আপনার চোখ আপনার না বলা কথা বলে দেবে।
২১. প্রশ্ন করা
উপস্থাপনা বা বক্তৃতা দিতে গিয়ে শুধু যে নিজেই কথা বলবেন তা না দর্শক সারি কে প্রশ্ন করার মাধ্যমে দর্শকের মনযোগ আপনার প্রতি ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
উপস্থাপনা ও বক্তৃতা একটি অনন্য গুণ এর ফলে সবাই আপনার কথা ও কাজকে গুরত্ব প্রদান করবে। উপস্থাপনা ও বক্তৃতা দ্বারা নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। নিজেকে এই গুণে গুণান্বিত করতে পারলে জীবনের উন্নতির ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না।

ঈদে অতিথি আপ্যায়নে সহজ কৌশল

অতিথি
ঈদ মানেই ঘরে অতিথির আগমন। আর সেই আগমনকে সুখকর করে তুলতে আপনার প্রয়োজন নিজের রুচি আর পরিবেশকে সুচারুভাবে উপস্থাপন করা। ঈদের বাসায় একসাথে অনেক অতিথি নিমন্ত্রণ করেছেন সেক্ষেত্রে বাড়ি সাজানো থেকে শুরু করে অতিথি অভ্যর্থনা সমস্ত দায়িত্ব আপনার উপর এসে পড়ে। অতিথির সামনে নিজেকে উপস্থাপন যেমন জরুরি তেমনি প্রাধান্য পায় অতিথি আপ্যায়ন তার জন্য রইলো গুরুত্বপুর্ণ কিছু সহজ কৌশল-
১. ঠিকানা
অতিথিকে ফোনে নিমন্ত্রণ জানালে বাড়ির ঠিকানা ভাল করে বুঝিয়ে বলুন যাতে অতিথিদের বাড়ি চিনতে কোনরকম অসুবিধা না হয়। না বুঝলে বাড়ির আশে পাশের সবার পরিচিত দোকানের নাম, রাস্তার নাম উল্লেখ করে দিন।
২. নতুন অতিথি
অতিথিকে আপনি নিজে হাসি মুখে অভ্যর্থনা জানিয়ে ভিতরে আসতে বলুন। পথে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করুন। এতে মেহমান আপনার সাথে সহজ হতে পারবে এবং তার কোন সমস্যা হলে নিঃসিঙ্কোচে বলতে পারবে। অতিথি নতুন আসলে পুরো বাসা ঘুরিয়ে দেখান।
৩. বিরক্তবোধ না করা
কোন অতিথি আপনার বাসায় প্রথমবার আসলে বাড়ির ডেকোরেশন নিয়ে নানা প্রশ্ন করতে পারেন, এতে বিরক্ত না হয়ে হাসি মুখে উত্তর দিন।
৪. শোভনীয় নয়
নিজের রুচির চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ করে ঘরের চারপাশের গোছগাছ। অতিথি নতুন আসলে ঘুরিয়ে দেখানোর সময় জিনিসপত্রের দাম নিয়ে আলোচনা করা বা তুলনা করা শোভনীয় দেখায় না।
৫. ধৈর্যশীলতার পরিচয়
কোনও অতিথি ভুলবশত কোন কাঁচের জিনিস যদি ভেঙ্গে ফেলে বা অতিথিদের বাচ্চারা কিছু নষ্ট করে ফেললে বিরক্তি ও রাগ কোনটাই প্রকাশ করবেন না ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিন।
৬. উপহার
নতুন অতিথির পছন্দের কোন জিনিস উপহার দিতে পারেন। এতে অতিথির সামনে অতিথিকে পেয়ে আপনার আনন্দের বহিঃপ্রকাশ পাবে। আপনার উৎসবকে করবে আরও আনন্দময়।
৭. ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ
আড্ডায় ব্যক্তিগত প্রসঙ্গগুলো নিয়ে বেশী ঘাঁটাঘাঁটি না করাই ভালো। যখনি বুঝতে পারবেন আপনার অতিথি প্রশ্নের উত্তর দিতে সঙ্কোচ বোধ করছেন, বিষয়টি ওখানেই থামিয়ে দিন।
৮. সংগীত
অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করতে মিউজিকের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। সংগীতের হালকা মূর্ছনা এক সপ্নীল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। অতিরিক্ত শব্দ যেন প্রতিবেশীর ঘুম হারাম না করে সেইদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
৯. আপ্যায়নের প্রথম ধাপ
অতিথি আসার সাথে সাথে তাকে ফলের জুস, দইয়ের শরবত, কোল্ড ড্রিংকস দিয়ে আপ্যায়ন করতে পারেন।
১০. খাবারের তালিকা
খাবারের তালিকায় বাংলাদেশী খাবার থাকলে তার সঙ্গে চাইনিজ, ইতালিয়ান খাবার মিশিয়ে ফেলবেন না। আমিষ, নিরামিষ দুইটারই সমন্বয় রাখুন। কেননা অনেকে আছেন মাছ মাংসের চেয়ে সবজি বেশি পছন্দ করেন। ভারি খাবারের পর মিষ্টি,দই, ফলমুল,আইসক্রিম এর ব্যবস্থা রাখুন।
১১. অতিথির সংখ্যা
অতিথির সংখ্যা বেশি হলে বিশেষভাবে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করুন। প্রত্যেকে ঠিকঠাক খাচ্ছে কিনা তদারকি করুন। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী রুচিসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করুন। সচরাচর খাবারে বৈচিত্র্য আনতে চেষ্টা করুন।
১২. সুসম্পর্ক গড়তে
আপনার এলাকায় ঘুরে দেখার মতো কোন বিশেষ জায়গা থাকলে আপনার অতিথিকে নিয়ে ঘুরে আসুন। তাতে তারা যেমন আনন্দিত হবে তেমনি আপনারদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে ।
মনে রাখা প্রয়োজন যে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ও তার জীবনযাত্রার মান অনুমান করা যায় সে কিভাবে অতিথিকে সমাদর ও আপ্যায়ন করছেন। সবার ঈদ হোক আনন্দময়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী তার কতর্ব্য হল মেহমানকে সম্মান করা।” (বুখারী ও মুসলিম)

ফ্রিজে খাবার তাজা ও স্বাদ অক্ষুণ্ণ রাখতে ১০টি কার্যকরি কৌশল

ফ্রিজে-খাবার
বর্তমানে ব্যস্ত জীবনে ফ্রিজ ছাড়া যেন আমাদের চলেই না। শাকসবজি, মাছ-মাংস, রান্না করা খাবার ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য সাধারণত আমরা ফ্রিজ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেকেরই এই অভিযোগ ফ্রিজে রাখা খাবার কেমন শুকিয়ে যায়, রান্না করা খাবারে গন্ধ হয়ে যায়, এক খাবারের গন্ধ মিশে যায় অন্য খাবারের সাথে, ফ্রিজে রাখা সত্ত্বেও দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে খাবার, কিংবা ডিপ ফ্রিজে রাখা খাবারে স্বাদ মিলছে না মোটেও। এই সমস্ত সমস্যার সমাধান পেতে জেনে নিন অসাধারণ কার্যকরি কৌশল-
১. মাংস
ফ্রিজে যে কোন মাংস রাখুন না কেন, সেগুলো অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে একদম পরিষ্কার করে রাখুন। এতে মাংসে বাজে গন্ধ হবে না, অনেকদিন পর্যন্ত সতেজ থাকবে, স্বাদ থাকবে অক্ষুণ্ণ।
২. মাছের তাজা স্বাদ
মাছ ফ্রিজে রাখার আগে ভালো করে কেটে বেছে, লবণ পানি দিয়ে ধুয়ে তবেই রাখুন। এতে স্বাদে কোন হেরফের হবে না। বেশ আঁশটে গন্ধ ওয়ালা মাছে সামান্য একটু ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। মাছের তাজা স্বাদ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে দুধ। প্রথমে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে ঠাণ্ডা ছাড়িয়ে নিন। এরপর মাছের পিসগুলো একটি বড় বাটিতে দুধ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট। তারপর স্বাভাবিক ভাবে ধুয়ে রান্না করুন। দেখবেন মাছের তাজা স্বাদ ফিরে এসেছে এবং আঁশটে গন্ধও নেই একেবারে।
৩. কাটা পেঁয়াজ
ফ্রিজে কাটা পেঁয়াজ রাখতে চাইলে পেঁয়াজ একটি এয়ার টাইট বাক্সে রেখে সামান্য লবণ ছিটিয়ে দিন। তারপর বাক্সটি মুখ বন্ধ করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে নিন। ব্যাগটি সিল করে ফ্রিজে রাখুন।
৪. ডিম সংরক্ষণ 
ফ্রিজে ডিম রাখার সময় মোটা অংশটি নিচের দিকে ও সরু অংশটি ওপরে রাখুন। ডিম হাতলে না রেখে বাটিতে করে ফ্রিজের ভেতরে রাখুন। অনেকদিন ভালো থাকবে।
৫. সবজি সংরক্ষণ
অনেকে সবজি পলিথিনের ব্যাগে রাখেন। এই কাজটি করবেন না মোটেও। সবজি রাখুন কাগজের প্যাকেটে কিংবা খবরের কাগজ দিয়ে মুড়ে। অনেকদিন সতেজ থাকবে।
৬. মরিচ ও ধনে পাতা
কিছু খাবার একটু অন্যভাবে রাখতে পারেন ফ্রিজে। যেমন ধরুন মরিচের বোঁটা ফেলে রাখবেন, শাক কুটে রাখবেন, ধনে পাতা রাখবেন গোঁড়া সহ। শাকের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ রাখার উপায় হচ্ছে একটু ভাপিয়ে রাখা। বেগুনের গায়ে মেখে রাখতে পারেন সামান্য একটু তেল।
৭. তাজা ফলমূল
ফ্রিজের গায়ের সাথে লাগিয়ে কোন খাবার রাখবেন না। বিশেষ করে কোন রকমের তাজা ফলমূল বা সবজি তো একেবারেই না। ফল বাজার থেকে যেভাবে কিনে এনেছেন, ঠিক সেভাবেই রাখুন। পানি লাগাবেন না। ফলগুলো কাগজের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।
৮. ঘি বা মাখন
মাখন তো ফ্রিজে রাখতেই হয়। ঘি ফ্রিজে রাখতে পারেন অনেকদিন ভালো রাখার জন্য। তবে দুটিই রাখবেন একদম এয়ার টাইট পাত্রে।
৯. গুঁড়ো দুধ,চানাচুর-বিস্কিট
আপনি জানেন কি, গুঁড়ো দুধ কিংবা চানাচুর-বিস্কিটের মত খাবার ফ্রিজে একদম সতেজ ও মুচমুচে থাকে। এক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো হবে প্লাস্টিকের পাত্রে সংরক্ষণ করলে।
১০. লেবু , বেকিং সোডা
ফ্রিজে যাই রাখুন না কেন, প্লাস্টিকের এয়ার টাইট বাক্সে সংরক্ষন করুন। এবং ফ্রিজে সর্বদা এক টুকরো কাটা লেবু রাখুন। মাঝে মাঝে বেকিং সোডা মেশানো পানি দিয়ে ফ্রিজ মুছে নিন। এতে এক খাবারের গন্ধ অন্য খাবারে প্রবেশ করবে না। ফ্রিজেও দুর্গন্ধ হবে না।

গেরস্থলীর কাজে ২২টি সাধারণ উপকরণের অসাধারণ ব্যবহার

ডিমের খোসা
আমাদের হাতের কাছের এমন অপ্রয়োজনীয় জিনিস আছে যার সঠিক ব্যবহার আমরা জানিনা। অপ্রয়োজনীয় জিনিস মোটেও ফেলনা কোন কিছু নয় বরং এই অপ্রয়োজনীয় জিনিসের গুণের কোন অন্ত নেই। যার অল্প একটু ব্যবহারের ফলে আমাদের প্রতিদিনের কাজ আরো সহজ হয়ে যাবে। গেরস্থলীর ব্যবহারের জিনিসপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতে, এসব উপকরণ সামান্য ব্যবহারে আপনার যেমন সময় বাঁচবে তেমনি আসবাবপত্র গুলো হবে ঝকঝকে তকতকে।
১. গন্ধ দূর করতে ম্যাচের কাঠি
দীর্ঘদিন দরজা-জানালা বন্ধ থাকা বা অব্যবহৃত ঘর খুললে একটা ভ্যাপসা গন্ধ বের হয়। দু-তিনটা ম্যাচের কাঠি জ্বালান, কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘর থেকে গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
২. কর্পূর ব্যবহার
কয়েক টুকরো কর্পূর আধাকাপ পানিতে ভিজিয়ে খাটের নিচে রেখে দিন। সব মশা পালাবে। এবং ভালোভাবে মুখ বন্ধ করা শিশিতে কর্পূর ভরে যন্ত্রপাতির বাক্সে রেখে দিন। এতে যন্ত্রপাতিতে দীর্ঘদিনেও মরচে পড়বে না।
৩. পাতিলেবুর রস
চামড়ার ব্যাগ বা স্যুটকেসের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এক টুকরো ফ্লানেল বা কম্বলের কাপড়ে পাতিলেবুর রস মাখিয়ে ঘষুন। পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
৪.  চা পাতা দিয়ে ফোটানো পানি
পুরানো কাঠের আসবাবপত্রে ময়লা আস্তর পরে। কাঠের আসবাবপত্র থেকে ময়লা আস্তর দূর করতে ও ঝকঝকে রাখতে তিন কাপ পানিতে চা পাতা দিয়ে ফোটানো পানি ঠান্ডা করে পালিশ করতে পারেন।
৫. ডিটারজেন্টের সাথে লেবুর রস
বাথরুমের টাইলসে দীর্ঘ সময়ের জমে থাকা ময়লা দূর করতে ডিটারজেন্টের সাথে লেবুর রস ও এক চামচ ফিনাইল মিশিয়ে বাথরুমের টাইলস ঘষেঘষে পরিস্কার করুন। দেখবেন ঝকঝকে হয়ে উঠেছে।
৬. সিগারেটের ছাই
কাঠের ওপর থেকে কলমের কালি দিয়ে লেখা বা দাগ তুলতে সিগারেটের ছাই খুব কার্যকর। পাতলা কাপড়ে সিগারেটের ছাই নিয়ে কাঠের ওপর ঘষে ঘষে খুব সহজেই দাগ তোলা যায়। এই কাজ কেরোসিন দিয়েও করা সম্ভব।
৭. গরম পানিতে ভেজানো রুমাল
যদি বোতলের ছিপি খুব শক্ত হয়ে আটকে যায়, তবে একটি রুমাল গরম পানিতে ভিজিয়ে হালকা ভাবে চিপে নিয়ে বোতলের ছিপির নিচে জড়িয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরেই ছিপিটি আলগা হয়ে আসবে।
৮. অ্যাকোরিয়ামের পানি
অ্যাকোরিয়ামের পানি ফেলে না দিয়ে গাছের গোড়ায় দিন। এটা গাছের সার হিসেবে খুব ভাল কাজ করে।
৯. সাধারণ বা পানি কালার নেলপালিশ
পোড়ামাটির দ্রব্য পরিষ্কার রাখতে, ওগুলোর ওপর সাধারণ রঙের নেলপালিশ লাগান। রং ঝকঝকে থাকবে আর জিনিসটিও নোংরা হবে না। এবং অলংকার বা গহনার তীক্ষ্ণ বা ধারালো প্রান্তে ন্যাচারাল কালার নেলপালিশ লাগান। এতে খোঁচা লেগে পোশাকের ক্ষতি হবে না।
১০. ভিনেগার
এক ফোঁটা ভিনেগার দিয়ে চশমার কাঁচ ভালোভাবে পালিশ করুন, চশমার কাচ ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
১১. গ্লিসারিন
এক বালতি পানিতে আধা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। উলের পোশাক ধোওয়ার পর এই মিশ্রনটিতে ডুবিয়ে নিয়ে শুকাতে দিন। এতে পোশাকের নরম ভাব বজায় থাকবে। এবং জানালার কাঁচ, কাঠ বা স্টিলের টেবিলের দাগ উঠাতে ফ্লানেলের টুকরোতে গ্লিসারিন ভিজিয়ে দাগের অংশে ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।
১২. লবণ ছিটিয়ে
গরমে পিপড়ে, মাছির উপদ্রব বাড়ে। মেঝেতে লবণ ছিটিয়ে নিয়ে পানি দিয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলুন। পিঁপড়া, মাছির উপদ্রব কমে যাবে।
১৩. তোয়ালে
শিশুকে গোসল কারনোর আগে বাথরুমের মেঝেতে তোয়ালে বিছিয়ে দিন। এতে বাচ্চা হড়কে যাবে না, আবার বসেও আরাম পাবে।
১৪. সেলোটেপ
সেলোটেপের মুখ খুঁজে না পেলে ১০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। সেলোটেপের রিলটা খুলে আসবে।
১৫. স্টিকার তুলতে
স্টিলের পাত্রের স্টিকার তুলতে, স্টিকার লাগানো অংশের উল্টোপিঠটা গরম করে নিন। এরপর স্টিকার খুব সহজেই উঠে আসবে।
১৬. টুথপেস্ট, লবন আর রিঠা
সোনা-রূপার গয়না টুথপেস্ট দিয়ে ঘষে নিন। পানি দেয়ার দরকার নেই। শুকনো কাপড় দিয়ে পেস্ট মুছে ফেলুন। দেখবেন গয়না আরো ঝকঝক করে উঠবে। এবং পানির সাথে লবণ আর রিঠা দিয়ে তাতে রূপার গয়না পনেরো মিনিট ফোটালে রূপোর স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।
১৭. চাল ধোয়া পানিতে
চাল ধোয়া পানিতে স্টিল ও কাঁচের বাসন কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। বাসন ঝকঝক করবে।
১৮. আলুর খোসা
রান্নার সময় হাতে হলুদের দাগ ধরে গেছে? আলুর খোসা ছাড়িয়ে হাতে ঘষে নিন। তারপর হাত ধুয়ে নিলে আর হলুদের দাগ থাকবে না।
১৯. ডিমের খোসা
আপনার ঘরের কোনো জেদি দাগ বা টয়লেটের প্যানের নোংরা দাগ তুলতে ডিমের খোসার তুলনা হয় না। তাই ডিমের খোসা ফেলে না দিয়ে সেটা সংরক্ষণ করে রাখুন। প্রয়োজনে এই খোসা ভেঙ্গে গুঁড়ো করে আপনার ঘরের মেঝে বা টয়লেটের প্যান পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করুন।
২০. স্পিরিট, কেরোসিন ও চকের গুঁড়া
চকের গুঁড়োর সাথে পানি আর স্পিরিট বা কেরোসিন মিশিয়ে দাগ ধরা জানালা বা দরজার কাঁচের ওপর মাখুন। শুকিয়ে গেলে খবরের কাগজ দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে ফেলুন। দেখবেন কাঁচ ঝকঝক করছে।
২১. ইউক্যালিপটাস তেল
এক বালতি পানিতে দুই টেবিল চামচ ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে নিন। এরপর ধুয়ে নেয়া গরম পোশাক বা সিল্কের কাপড় পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে শুকাতে দিন। এতে পোশাক পোকায় কাটার ভয় থাকবে না। পোশাকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
২২. ফ্রিজের দাগ তুলতে টুথপেস্ট
দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারে ফ্রিজের গায়ে বসে যাওয়া দাগ উঠাতে স্পঞ্জে টুথপেস্ট লাগিয়ে ভালোভাবে ঘষুন, দাগ উঠে যাবে।
সাধারণ জিনিসের এতোগুলো অসাধারণ ব্যবহার দেখার পর, নিশ্চয়ই আর এই জিনিস গুলোকে কখনো অপ্রয়োজনীয় বা ফেলনা      উপকরণ হিসেবে মনে হবে না

ঔষধীগুণে পূর্ণ কলার খোসা দিয়ে স্বাস্থ্য ও ত্বকের পরিচর্চা

কলার খোসা
কলা আমরা এমনি খেতে অভ্যস্ত, তেমনি কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে, কলার পুডিং, মাফিন, কেক এমনকী কলার বড়াও বেশ উপাদেয়। তবে কলা যেভাবেই খাই না কেন খোসাটি কিন্তু যায় সেই ডাস্টবিনে। চমৎকার পুষ্টিগুণসম্পন্ন এই ফলটিতে রয়েছে প্রোটিন এবং প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। রয়েছে তিনটি প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সুগার: গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ ও সুক্রোজ। আমাদের দেহের এমন কিছু সমস্যা রয়েছে, যা রোধে ওষুধের থেকে কলা অনেক কার্যকর। চলুন জেনে নেই কিভাবে ঔষধীগুণে পূর্ণ কলার খোসা দিয়ে স্বাস্থ্য ও ত্বকের পরিচর্চা করা যায়-

ক্যানসার ও হৃদরোগ

জাপানের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সবুজ খোসার থেকে বেশি উপকারী হলুদ খোসা। এই খোসা রক্তে শ্বেতকণিকার পরিামণ ঠিক রেখে ক্যানসার মোকাবিলা করতে পারে। আবার কলায় রয়েছে ডোপামিন, যার সাহায্যে কিডনিতে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া সচল থাকে।

অবসাদ কাটাতে

সবুজ খোসার মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপ্টোফ্যানের কারণে রাতে ভাল ঘুম হয়। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সবুজ খোসার মধ্যে থাকা সিরোটোনিন অবসাদের মোকাবিলা করতেও সক্ষম। তাই ময়লা হিসেবে কলার খোসা ফেলে দেওয়ার চেয়ে তা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।

ওজন কমাতে

কলার খোসায় থাকা প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। কলায় প্রচুর পরিমাণে সলিউবল এবং ইনসলিউবল ফাইবার আছে যা কোলস্টেরল দ্রুত কমাতে সাহায্য করে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেইসঙ্গে আপনার ওজনও রাখে নিয়ন্ত্রণে। কলাতে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ৬, ভিটামিন ১২ এবং ফাইবার যা পাচনতন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি৬ আর অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদান রয়েছে। কলার খোসা শরীরে রক্তচাপের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অধিক পটাশিয়ামযুক্ত বলে রক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।

অর্শ্বরোগ

অর্শ্বরোগ ও মলের সাথে রক্ত গেলে চামড়াসহ দুটি কলা আগুণে পুড়ে বা কাবাব করে খেয়ে নিন, আপনার অর্শ্বরোগ ও মলে রক্ত যাওয়া অবস্থা ক্রমেই উন্নত হবে।

অতিবেগুনি রশ্মি

অতিবেগুনি রশ্মির ছোবল থেকে চোখকে বাঁচায় এই খোসার মধ্যে থাকা লুটিন নামক পদার্থ, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও উপকারী। চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে কলার খোসা। চোখের চুলকানি ও চোখের অবসাদ দূর করতে চোখের ওপর কলার খোসা মেখে নিতে পারেন। চোখ ভাল রাখতে এবং চোখকে ছানি পড়া থেকে বিরত রাখতেও সাহায্য করে।

আঁচিল দূর করতে

অনেকেই শরীরে অতিরিক্ত আঁচিল নিয়ে অনেক বিব্রত অবস্থায় পরেন। ঘরোয়া ভাবে কলার খোসা এই আঁচিল দূর করতেও সাহায্য করতে পারে। কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের ওপর রেখে কাপড় বা সুতা দিয়ে বেঁধে রাখুন সারা রাত। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে। তবে ৭ দিনের মধ্যে এ পদ্ধতিতে আঁচিল পড়ে না গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।

দাদের ওষুধ

কলার খোসা দাদের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। চুলকালে সেই অংশে কলার খোসা ঘষে দিলে চুলকানি বন্ধ হবে এবং দ্রুত দাদ সেরে যাবে।

খোসপাঁচড়া দূর করে

ত্বকে কোথাও ঘা বা পাঁচড়া-জাতীয় কিছু হলে সেই জায়গায় কলার খোসা মেখে রাখুন, অথবা কলার খোসা পানির মধ্যে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে সংক্রমিত জায়গা কয়েক দিন ধুয়ে ফেলুন উপকার পাবেন।

পোকা-মাকড় কামড়ালে

যদি কোনো পোকা-মাকড় হঠাৎ কামড় দিয়ে বসে এবং চুলকাতে থাকে এর জন্য কলার খোসা কাজে লাগাতে পারেন। দ্রুত ব্যথা ও চুলকানি সেরে যাবে।

ঝকঝকে সাদা দাঁতের জন্য

ঘরোয়া উপায়ে দাঁত সাদা করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের দিকটা দাঁতে ঘষতে থাকুন ২ মিনিট ধরে। এরপর ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর আপনার নিয়মিত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন। মাত্র ৭ দিনেই দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।

ব্রণ দূর করতে

মুখের ব্রণ দূর করতে কলার খোসা উপকারী। এই উপায়ের মাধ্যমে একবার সেরে গেলে ব্রণ আর ফিরে আসে না। মুখে ভালো করে ঘষে সারারাত রেখে দিলে ব্রণের সমস্যা কাটবে।

মুখের দাগ দূর করতে

কলার খোসা ব্যবহার করে সহজেই মুখের দাগ দূর করা যায়। মধুর সঙ্গে কলার খোসা মিশিয়ে মুখে ভালো করে ঘষলে এই দাগ দূর হয়।

বলিরেখা দূর করতে

ত্বকের জন্যও কলার খোসা অনেক উপকারী। কলার খোসায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা বলিরেখা ঢাকে ত্বকের টান টান ভাব ফিরিয়ে দিতে পারে। এটি ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করতে পারে।

মসৃণ ত্বকের জন্য

মুখমণ্ডল যদি শুষ্ক আর খসখসে হয়, কলার খোসার ভেতরের অংশ মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক মসৃণ ও মোলায়েম হয়ে গেছে।

জানতে দোষ কি ? মজার কিছু তথ্য


আজ অনেক দিন পরে আবার   টেকটিউনস এ ফিরলাম , দারুন আনন্দ হচ্ছে । সকলকে আমার সালাম ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইল। আজ আমরা আলোচনা করব বেশ কিছু মজার ঘটনা –যা নিতান্তই স্বাভাবিক বিজ্ঞান সম্মত  । কিন্তু আমরা হয়তো সেভাবে সেগুলিকে ভাবি না বা নজর দিই না । এরকম বেশ কিছু মজার মজার ঘটনা , (যার তথ্য সূত্র অবশ্যই ইন্টার নেট বা উইকি বা ব্রিটানিকা এন্সাইক্লোপিডিয়া  ) বেছে বেছে নিয়ে হাজির করলাম আপনাদের জন্য । এর মধ্য বেশ কিছু জিনিস হয়তো অনেকের জানা , কিন্তু এটি ঠিক ঈশপের গল্পের মত  , জানা জিনিস আর একবার জেনে নিতে দোষ কি ! যদি না সেটা আমার বা  আপনাদের পূর্বের ডেটা বেস কে আমাদের মস্তিষ্কের মেমরি থেকে উড়িয়ে না দেয় । আসুন  ভনিতা ছেড়ে একএক করে মজার বিষয়গুলিকে আলোচনা করি –
১।
যদি আমরা আমাদের পায়ের তলায় একখন্ড  পেঁয়াজ অর্ধেক করে কেটে নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ঘষি তাহলে কিছুক্ষণ পরেই আমরা সেই পেঁয়াজের স্বাদ অনুভব করতে পারব । মজার ব্যাপার না !
এবার দেখে নিই  এর পেছনে কি বিজ্ঞান কাজ করছে ? আসলেই বিষয় টি অত্যন্ত সহজ – যদি আমরা পেয়াজ টি কে বেশ কিছুক্ষণ ধরে পায়ের  নীচে ঘষি তাহলে পেঁয়াজের রস   আমাদের ব্লাড ভেসেলের মাধ্যমে রক্তস্রোতে মিশে যায় । আর আমরা জানি যে রক্ত হল সংযোজক কলা যা রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে দেহের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে পড়ে এবং সবশেষে টেস্ট বাড বা স্বাদ কোরোকের সংস্পর্ষে আসলেই আমরা তার স্বাদ অনুভব করতে পারি ।

২।
সবথেকে বেশীদিন পানি  না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে আমাদের পরিচিত এমন এক প্রাণী – এমন প্রাণীর নাম বললেই আমাদের কার কথা মনে পড়ে ? অবশ্যই  মরুর জাহাজ উটের কথা । এর ব্যাখ্যাও আমরা কম বেশী জানি । একদম ছোট বেলায় জানতাম উটের পিঠের কুঁজের মধ্যে থাকে পানি – আর আর একটু বড় হয়ে শিখেছি – উটের পিঠের কুঁজ আসলে চর্বি পিন্ড যার মূল উপাদান ফ্যাটি অ্যাসিড আর গ্লিসারল এবং এর অক্সিডেশনের ফলে উট তার প্রয়োজনীয় পানি  তৈরী করে  ও তার পানির  চাহিদা মেটায় ।কিন্তু মজার ব্যাপার হল সব থেকে বেশীদিন পানি না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে এমন প্রানী অবশ্যই  উট নয় – সেটি হল জিরাফ । একটি ঊটের থেকে একটি জিরাফ আরো বেশী দিন পানি  না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে

৩।
এটিও একটি মজার বিষয় কিন্তু আমরা হয়তো সেভাবে পর্বেক্ষণ করিনা বা করিনি । লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে যে সকল মানুষ ডান হাতি ( রাইট হ্যান্ডেড ) হন তারা যখন খাবার চিবোন তখন সাধারনত মুখের ডান দিকে খাবার টিকে চিবোন । আর যারা বাঁ হাতি তাদের মধ্য একটি স্বাভাবিক প্রবনতা থাকে মুখের বাঁ  দিকে খাবার চিবানোর ।  তবে এখানে একটি ব্যাতিক্রম রয়েছে  যাদের দাঁতে পোকা বা দাত না থাকা বা দূর্বল দাঁতের সমস্যা রয়েছে তাদের অভ্যাস গত কারনে এর পরিবর্তন হতে পারে ।

৪। আমরা
হাসতে গেলে অনেকেই কৃপণতা করি । আরে ভাই ভুললে চলবে  “Smile Costs  nothing but pays everything ”-  এতো গেলো জ্ঞানের কথা এবার আসি বিজ্ঞানে – বিজ্ঞান বলছে হাসলে আমাদের শরীর স্ট্রেস হরমোন গুলির ক্ষরণ সীমীত হয় ও অনাক্রমন তন্ত্র বা ইমিউন সিস্টেম আরো বেশী সক্রিয় হয় । আর মজার ব্যাপার কি জানেন ? তথ্য সূত্রানুসারে – একটি ৫ বা ৬ বছরে শিশু সারা দিনে গড়ে ১৫০ থেকে ৩০০ বার হাসে আর উলটো দিকে একজন পূর্ণ বস্ক মানুষ সেখানে গড়ে দিনে ১৫ থেকে ১০০ বার হাসে । তাহলেই বুঝে নিন রোগ ব্যাধির ক্ষেত্রে কারা বেশী ভালনারেবল ?

৫।
ডালমেশিয়ান কুকুরের কথা আমরা কম বেশী সকলেই জানি , বা হয়তো নাম না জানলেও অনেকেই ছবিতে দেখেছি । ডালমেশিয়ান প্রজাতির কুকুরের কথা বললেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে সাদার উপর কালো বড় বড় ছোপ ছোপ দাগ । কিন্তু আবার একটি মজার তথ্য উপস্থাপন করছি সেটি কি ? সেটি হল জন্মের পরে কিন্তু ডালমেশিয়ান কুকুরের গায়ে একটিও ছোপ দাগ  থাকে না – একদম ধপধপে সাদা । বিশ্বাস হচ্ছেনা ? তাহলে নিজেই দেখে নিন ।

৬ ।
বাদুড় কে আমরা সবাই জানি বা চিনি । বাদুড় বললেই হয়তো মনে পড়ে যায় রোম খাড়া  করা কোন ভুতের ছবি বা গল্প বা হয়ত ব ব্যাট্ ম্যান এর কথা । আমরা বাস্তবে বা সিনেমায় বা ছবিতে বা গোয়েন্দা উপন্যাসে বহূ বার এরকম দেখেছি যে একটা পোড়ো বাড়ি বা ঘরের কপাট খুললেই সশব্দে কতগুলি বাদুড় উড়ে গেল , বা কোনো গূহা বা কন্দর থেকে বাদুড় বেরিয়ে সাঁ করে ঊড়ে  গেল । কখনো কি সেই ঊড়ার গতিপথ নিয়ে ভেবেছি ? নাহ্‌ । কিন্তু কিছু পাগলল বিজ্ঞানী অবশ্যই রয়েছেন যারা এইসব নিয়ে দীর্ঘ দিন গবেষনা ( গরু খোঁজা ) চালিয়ে যাচ্ছেন । আর তাদের রিসার্চের ফলেই ঊঠে এসেছে  অবিশ্বাশ্য তথ্য সেটি হল । পৃথীবীর সব বাদুড়ই যখন কোনো গুহা , ফোঁকোর বা বন্ধ ঘর ( এক কথায় কনফাইন্ড এরিয়া ) থেকে বের হয় , সর্বদাই প্রথমেই বা  দিকে টার্ণ নিয়ে ওড়ে । কি বিশ্বাস হচ্ছে না , ঠিক আছে পারলে একবার একটা পোড়ো বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে দেখে নিও । তবে একটা পরামর্শ একা একা না গিয়ে কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারো ।


। এটা হয়তো এখন কার ছেলে মেয়েরা অনেকি জানেন , কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি জানতাম না তাই শেয়ার করলাম । জেন্টস গারমেন্টস বা পুরূষদের জামার বোতাম থাকে ডান দকে আর লেডিজ গারমেন্টস বা মেয়েদের পোষাকের জামার বোতাম থাকে বাঁ দিকে । না জানা থাকলে অবশ্যই মজার ।

৮।
পক্ষী কূলে আমাদের চেনা অচেনা যত পাখী রয়েছে তাদের মধ্যে পেঁচা –ই হল একমাত্র পাখী যারা চোখ বন্ধ করার সময় চোখের উপরের পাতা (আপার আই লিড ) কে নীচে নামিয়ে চোখ বন্ধ করে বা পলক ফেলে । আর সমস্ত পাখীরাই ছোখের নীচের পাতা বন্ধ করে অর্থাৎ লোয়ার আই লিড কে ওপরে তুলে চোখ বন্ধ করে ।

৯।
ও  ও  ওহফ হ্যাচ্ছো ...।।হ্যাচ্ছো হ্যা...চ্ছো । কি জানি লিখতে লিখতে নাকের মধ্যে কি একটা ঢুকে গিয়ে । শুরু হল হাঁচি । সরি । আছা হাঁচির কথা যখন এসেই গেল তখন বলেই ফেলি – আমরা যতবার হাঁচি ততবার আমাদের মস্তিষ্কের বেশ কিছু কোষ মারা যায় । কি বেশ অবাক ব্যাপার না ? তবে ভয়ের কিছু নাই – এই হারে ব্রেন সেল মারা যেতে থাকলে একদিন তো ঘটে আর কিছুই থাকবে না । না  না অত ভয় পেয়ো না । আমাদের ব্রেনের গ্লিয়াল সেল গুলি থেকে আবার রিপ্লেনিশ হয়ে যায় ।

১০।
Honey বা মধু – হানি – এটি যেমন উপাদেয় তেমনি পুষ্টি কর একটি খাবার । সেই প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত সকল শ্রেনীর মানূষের মধ্যে তাদের খাদ্য তালিকার অন্যতম একটি খাদ্য উপাদান হল মধু । মধুর সবথেকে বড় গুন হল এটি অত্যন্ত সহজ পাচ্য । এর কারন কি জানা আছে ? কারন হল – It has already been digested by a bee.   আরে আরে তা বলে কি মধু খাবো না ? না না মোমাছি অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীব ।

১১।
সকাল বেলায় প্রহর ঘোষনা করে কে ?  কার ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে ? কি ?কাক ? আরে আরে না না । একেবারে রঙ ট্র্যাক ধরে ফেলেছো ।  আসলে আমি বলতে চেয়েছিলাম মোরোগের কথা । মোরোগের ডাক আমরা সবাই শুনেছি বা বা মোরোগ  কে আমরা সবাই ডাকতে দেখেছি । কেমন সুন্দর গলা ঊঁচ্চিয়ে কঁকর কঁ করে ডাকে । হ্যা এর মধ্যে মজার তথ্য টা কোথায় ? আছে আছে এত ব্যস্ত হওয়ার কিছু নাই । তাহলে বলেই ফেলি – গলা উঁচু  না করলে মোরোগ ডাকতেই পারবেনা । কেউ কি কখনো মরোগ কে গলা না উঁচু করে ডাকতে দেখেছো ? না দেখনি । এর কারন তাদের ভোকাল কর্ডের অবস্থান গত বিন্যাস । কি অত্যন্ত চেনা ঘটনার একটু অচেনা দিক ?

১২।
সমুদ্রের নীল পানি রাশির সামনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে বা অপার দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশের দিকে অনেক্ষণ চেয়ে থাকলে মনটা দেখবে বেশ শান্ত হয়ে যায় । তোমরা বলবে হ্যা এটার মধ্যে নতুন কি খোজার চেষ্টা করছেন ? এতো প্রকৃতির দান –তার বিশালতা । অবশ্যই সত্য । কিন্তু এর পেছনের বিজ্ঞান টা হল – আমাদের বর্ণালির নীল রঙের একটা বিশেষ  প্রভাব রয়েছে । নীল রঙ আমাদের মস্তিষ্কের উপর সরা সরি প্রভাব ফেলে – এবং কামিং হরমোন ( calming hormones )   গুলিকে নির্গত করতে উদ্দী[পনা যোগায় । যা আমাদের মনটা কে অনেকটা  শান্ত করে দেয় ।  Calming Hormones   হল  Stress Hormones এর  ঠিক উল্টো কাজ করে

১৩।
ইং রেজী শব্দ ভান্ডারে একমাত্র শব্দ হল  CLEAVE   যার দুটি সমার্থক  শব্দ হল  ADHEAR   ও   SEPARATE   যারা আবার একে অপরের বিপরীতার্থক শব্দ ।
১৪।
জলহস্তী বা হিপোদের কে আমরা সবাই দেখেছি । একটি মজার প্রচলিত ধারনা  রয়েছে  জলহস্তীরা যখন খুব আপসেট বা হতাশ হয় বা শক পায় তখন তাদের দেহ থেকে ঘামের বদলে রক্ত ঝরে । আসলে এটি অত্যন্ত প্রচলিত একটি ধারনা –কিন্তু সঠিক নয় । সঠিক ব্যাখ্যা হল  তাদের দেহের মধ্যে থাকা মিউকাস যাতীয় পদার্থ আবা তেলতেলে একটি পদার্থ নির্গত হয় (রেড ওয়েল) যা ঘামা বা Sweat  এর সঙ্গে মিশে যায় এবং বায়ুর সংস্পর্ষে এসে লাল রক্তের মত দেখায় ।

১৫।
স্পুনারিজম একটি অত্যন্ত প্রচলিত টার্ম । এর অর্থ হল শব্দকে ঊলটে  পালটে ফেলা – একটি উদাহরন দিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে -     যেমন   Flag Of Japan      বলতে গিয়ে বলা হল Jlag Of Fapan          । কি বেশ মজার জিনিষ না ? এবার চেষ্টা করে বেশ কিছু স্পুনারিজম আমরা নিজেই খঁজে বের করতে পারি ।

১৬।
এবার আসি আর একটি অপেক্ষাকৃত লঘূ বিষয়ে । টাইটানিক জাহাজের কথা আমরা কে না জানি । আর যার জানতাম না তারাও ইতিমধ্যে বিখ্যাত সেই টাই টানিক সিনেমা ধেকে জেনে গেছি । টাইটানিক  হল প্রথম জাহাজ যাতে  SOS  সিস্টেম চালু করা হয়ে ছিল। না এটি মজার  তেমন কোন তথ্য না । এবার মজার তথ্য টি বলি । টাইটানিক জাহাজ টি তৈরী করতে খরচ হয়েছিল- ৭ মিলিয়ন ডলার । আর টাইটানিক জাহাজের ডুবে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে তৈরী যে ছবি(সিনামা ) সেটি তৈরী করতে খরচ হয়েছিল ২০০ মিলিয়ন ডলার । হায় হায় বাঙালী ।।এই দুঃখ রাখি কোথায় ?

১৭ ।
আমরা জানি রক্তের রঙ লাল – কারন লোহিত রক্ত কণিকা । আমাদের দেহের অসংখ্য  শিরা ঊপশিরা ধমনী –উপধমনী , জালক পথে এই লহিত রক্ত কণিকা ঘুরে বেরায় । সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয় হল এই লোহিত রক্ত কণিকার আমাদের সারা দেহের অলি গলি পথ ঘুরে আসতে সময় লাগে মাত্র ২০ সেকেন্ড ।

১৮ ।
এবার একটি মজার সাধারণ জ্ঞান সন্ধীয় তথ্য বলি – অ্যাজলেট কাকে বলে জানা আছে ? না আমিও জানতাম না তাই শেয়ার করলাম । জুতো আমরা প্রায় সকলেই পরি , জুতোর ফিতে আমরা সবাই বাঁধি । এই জুতোর ফিতের একেবারে প্রান্তে যে প্লাস্টিক কোট টি থাকে তাকেই বলে অ্যাজলেট ।

১৯ ।
আমরা আগেই বলেছি রক্ত হল সংযোজক কলা । রক্ত (কিছুক্ষেত্রে লসিকা ) দেহের সব অঙ্গে পৌছায় । বলতে পার কি দেহের কোন অঙ্গে কখনই রক্ত পৌছায় না ?কি আকাশ পাতাল ভাবতে শুরু করলে ?তাহলে উত্তর টা বলেই দিই - সেটি হল আমাদের চোখের কর্ণিয়া । তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে সেটি সজীব থাকে কি করে ? আসলে এরা সরাসরি বাতাস থেকে অক্সিজেন নেয় ।

২০।
ক্যাঙ্গারু কে আমরা কে না চিনি ? জানো কি ক্যাঙ্গারু একলাফে প্রায়  ৩০ ফিট পথ অতিত্রম করতে পারে !

২১।
প্রেম ছাড়া কি কাব্য হয় ? না কি পৃথিবী চলে ? তাহলে প্রেমের কথাই বলে ফেলি -প্রতি দিন প্রায় ২০০ মিলিয়ন কাপল্‌ পরস্পর  পরস্পর এর  প্রেম  বন্ধনে আবদ্ধ হয় । প্রতিদিন গড়ে ৪০০,০০০ সন্তান জন্মগ্রহন করে আর গড়ে প্রায় ১৪০,০০০ মানুষ মারা যায় ।

২২।
কোলগেট পেস্ট নিয়ে একটি মজার গল্প বলি । কোলগেট পেস্ট একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্র্যান্ড । বিশ্বে বহু দেশে এদের দারুন বাজার । কিন্ত স্পেন ভাষা ভাষীয় দেশগুলিতে মার্কেটিং করতে গিয়ে কোলগেট কম্পানীকে সবথেকে বেশী হোঁচোট খেতে হয় । কারন ? কারন ।  COLGATE      শব্দটির স্পেনীয় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় -  Go Hang Yourself!










২৩।আমরা প্রায়
সকলেই পার্কে বা রাস্তার মোড়ে কিছু কিছু স্ট্যাচু দেখতে পাই । সেখানে অনেক সময় দেখা যায় ঘোড়ার পিঠে একজন বসে আছেন । খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে –কখনো কখনো ঘোড়ার একটি পা তোলা থাকে অর্থাৎ এক্তা পা ঊঁচু করে থাকে , কখনো ২ টি পা উঁচু করে থাকে , কখনো বা চারটি পা ই নীচে থাকে ।এদের অএকটি গূঢ় অর্থ থাকে । সেটি হল- যদি ঘোড়ার ২ টি পা উঁচু করে থাকে- এর অর্থ ওই ব্যাক্তি যুদ্ধ করতে গিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে  মারা যান । যদি ঘোড়ার ১ টি পা উঁচু করে থাকে- এর অর্থ ওই ব্যাক্তি যুদ্ধ করতে গিয়ে য়াহত হন এবং সেই আঘাত জনিত কারনে তার মৃত্যু হয় ।যদি ৪ টি পাই নীতে থাকে এর অর্থ ওই ব্যক্তি স্বাভাবিক ভাবে মারা যান (ন্যাচারাল ডেথ)।

২৪।মানূষের
একটি  ছোট্ট  হৃৎপিন্ডের ক্ষমতা সম্বন্ধে একটি তথ্য দিই – একটি হৃৎপিন্ড এর পাম্পিং  ক্যাপাসিটি এতটাই যে তা রক্তকে প্রায় তিন  তলা বাড়ী র ছাদ পর্যন্ত পাম্প করে উপরে তুলতে পারে ।

২৫।
যে কোনো ঘড়ীর বিজ্ঞাপণে আমরা দেখতে পাই ঘড়িতে ১০-১০ বেজে আছে ।এটি হয়তো অনেকেরই জানা আছে এর কারন কি ? এ সমন্ধে অনেক গুলি ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছে – সেগুলি এবার পর পর আলোচনা করি –
ক) অনেকের মতে ওই সময় ঘড়িতে একটি vertical Symmetry  থাকে । এর বিরুদ্ধ যুক্তিও আছে –সেট হল ৯-৪৫ বা ৮-২০ এর সময় ও একই রকম vertical Symmetry  থাকে ।তাহলে ১০-১০ ই কেন ?
খ) অনেকে বলেন আব্রাহাম লিঙ্কন ১০-১০ এ মারা যান । সেই সময়টিকে স্মরন করার জন্য । কিন্তু এর ও বিরুদ্ধ যুক্তি রয়েছে – সেটি হল –আব্রাহাম লিঙ্কন কে গুলি করা হয় রাত্রি ১০-১৫তে  এবং তিনি মারা যান পরদিন সকাল ৭-২২ মিনিটে ।তাই এই যুক্তি ও খাটে না ।
গ) অনেকে বলেন ১০-১০ এ ঘড়ির কাঁটা থাকলে , কম্পানীর নাম ও অন্যান্য ডিটেইলস যা ঘড়ির কেন্দ্রে উপরের বা নীচের দিকে লেখা থাকে সেটি সব থকে ভালোভাবে দেখা যায় ।
ঘ) প্রথম ঘড়ি তৈরী হয়েছিল ১০-১০ এ ।কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় সব ঘড়ি কোম্পানীই তাহলে সেই সময় টিকে ব্যবহার করে কেন ?
ঙ)অনেকের মতে হিরোসিমা তে যে পরমানূ বোমা ফেলা হয়েছিল সেটি ১০-১০ এ তাই যুদ্ধে মারা যাওয়া অসংখ্য মানূষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে অই সময় । কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাই এটি তো ১৯২০ এর ঘটনা । তাহলে তার আগে থেকেই তো ঘড়ির বিজ্ঞাপণে ওই সময় দেখান হত । কেন ?
কিন্তু সবচেয়ে বেশি গ্রহন যোগ্যতা পেয়েছে যে মত দুটি সেটি হল ১০-১০ এর সময় ঘড়ির কাঁটার অবস্থান অনেকটা স্মাইলি লুক দেয় বা ভি ফর ভিক্ট্রি সাইনকে সূচিত করে ।

২৬ ।
একজন মানূষের শরীরের যত শিরা –ধমনী আছে সেগুলিকে যদি পর পর একটির পর একটির জোড়া দিই কতটা দৈরঘ্য হবে সে সমন্ধে আন্দাজ করতে পার কি ? এর  দৈর্ঘ্য হবে ৬২০০০ মাইল । অর্থাৎ একতা মানূষের দেহের সব শিরা ধমনীকে জোড়া দিয়ে দিয়ে একতা আস্ত পৃথিবীকে প্রায় আড়াই পাক দিয়ে দেওয়া ্যাবে । অবাক করার মত  ব্যাপার না ?
আজ আপাতত এখানেই শেষ করছি , সামনের কোনো সংখ্যায় আবার লিখব । সকলে ভালো থাকবেন । আল্লা হাফেজ ।

আআ......।

উজ্জ্বল, মসৃণ ও দাগহীন ত্বক পাবার ১০০% কার্যকরী কৌশল

দাগহীন ত্বক
শরীরের যেকোনো প্রদাহের কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরণের কালো দাগ ও ব্রণের কালো দাগের সৃষ্টি হয়। আমাদের ত্বকের রঙের জন্য দায়ী যে রাসায়নিক উপাদানটি তার নাম হচ্ছে মেলানিন। এই উপাদানটি যদি ত্বকের যেকোনো এক স্থানে বেশি পরিমাণে উৎপন্ন হয় তাহলে সেখানে কালো কালো দাগের সৃষ্টি হয়।
আবার হরমোনের উঠানামা, বেশি সূর্যের আলোতে থাকা এবং কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেও ত্বকের জেদি দাগ হয় যা সহজে ভালো হতে চায় না। বেশ ব্যায়বহুল এবং অপ্রাকৃতিক চিকিৎসা যতই করি না কেন এগুলো ভালো ভাবে সেরে উঠে না। তাই সৌন্দর্যবর্ধক প্রসাধনীর জন্য অতিরিক্ত বেশি টাকা খরচ না করে যদি নরম, মসৃণ ও দাগহীন উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান তাহলে একটি সাধারণ ও কার্যকরী ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এক এক জনের ত্বকের পিগমেন্টেশন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তাই নিজের দাগহীন ত্বকের জন্য ত্বকের সমস্যা গুলো জেনে নিন। বিশেষ করে ত্বকের সমস্যা তিন ধরনের হয়ে থাকে। সমস্যা গুলো নিচে দেওয়া হলো চলুন দেখে নেওয়া যাক।

লেন্টিজিনেস

এই ধরনের ত্বকের দাগ গুলো সূর্যের আলোতে বেশি থাকার ফলে এর অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে হয়ে থাকে। যা আমাদের সারা শরীর অবস্থান করে থাকে।

মেলাজমা

থাইরয়েডের সঠিক কার্যকারিতার অভাবে এবং বিভিন্ন হরমোনের পরিমাণের হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে মুখের ত্বকে কালো দাগের সৃষ্টি হয়। মুখের ত্বকের কপালের পাশে বা চোখের বা ভ্রুরুর পাশে থেকে গালের দিকে নামতে থাকে।

প্রদাহজনিত হাইপার পিগমেন্টেশন

কোন আঘাতের কারনে ত্বকে কালো দাগ যেমন পুড়ে গেলে, ব্রণের কারণে বা অন্য কোন কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের গাঢ় বা কালো দাগের সৃষ্টি হতে পারে।
মাত্র ৩টি উপাদানে তৈরি এই প্রাকৃতিক ঘরোয়া মাস্কটি অতি সহজেই ত্বকের যে কোন কালো দাগ দূর করে। আর এর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে এটি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী। এটি তৈরি করতে লাগে মধু, বেকিং সোডা এবং অলিভ অয়েল। মধু ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ও লোমকূপের ভাঁজ দূর করে ত্বকেকে করে তুলে প্রাণবন্ত, সতেজ এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে বেকিং সোডা হচ্ছে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েট এজেন্ট যা ত্বকের প্রদাহ দূর করে এবং রক্তের সঞ্চালন বাড়ায়।

উপকরণ-

বেকিং সোডা টেবিল চামচ
অলিভ অয়েল চা চামচ
আধা চামচ মধু

যেভাবে মিশ্রণটি তৈরি করবেন

একটি পাত্রে সবগুলো উপাদান নিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে যতক্ষণ না মিশ্রণটি ভালোভাবে তৈরি হয়। মুখ ভালো করে ধুয়ে মিশ্রণটি লাগাতে হবে এবং ১০ মিনিট রাখতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল, মসৃণ এবং সুন্দর ত্বক পেতে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন।

পুরুষদের বিশ্ব বিখ্যাত ৫টি সুগন্ধি

আপনার চারপাশের পরিবেশকে সুন্দর করতে একটু মিষ্টি নরম গন্ধের সুগন্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে। সুগন্ধি ব্যবহার ছেলেদের সুরুচির পরিচয় দেয় এবং সুগন্ধি প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে। যে যার ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকেন। সুগন্ধি পাগল পুরুষদের জন্যই বিশ্বের বিখ্যাত ৫টি মেনজ পারফিউম নিয়ে এবারের বিষয়…
আসলে প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন যে কখন কোন সুগন্ধির ফ্লেভার আপনার ও আপনাদের ভালো লাগছে। তারপরও বাজারজাত, বিক্রীত, আলোচিত, দাম ও বয়স ইত্যাদি বিবেচনা করে বিশ্বের বিখ্যাত ৫টি সুগন্ধি নিয়ে আজকের লেখা-
১৯৯৬ সালে বাজারজাত হওয়া আকুয়া সুগন্ধিটি ২০১১ সালে আমেরিকার বেস্ট সেলার হিসেবে একচেটিয়া বাণিজ্য করেছে। বিশ্বের অধিকাংশ বিখ্যাত ব্যাক্তির প্রথম পছন্দ হচ্ছে আকুয়া ডি জিও। তাই ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় আকুয়া ডি জিও ইউ জোর্জিও আরমানি। সুগন্ধিটির বিশেষত্ব হলো এর ঘ্রাণ মেয়েদের প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। অনেকটা নিকোটিন ফ্লেভারের আকুয়া ডি জিওর দামও আকাশছোঁয়া।
ছেলেদের আকুয়া ডি জিও সুগন্ধি এর পরের অবস্থান রয়েছে অবসেশন (ইউ কেলভিন ক্লেইন)। ১৯৮৬ সালে প্রথম বাজারে আসা অবসেশন সুগন্ধিটি বয়স্ক পুরুষদের কাছে অধিক পছন্দনীয়। অবসেশনের বর্তমান বাজারমূল্য ১০০ ইউএস ডলার।
বাজারজাতের প্রথমে ওয়ান মিলিয়নের খুব বেশি ব্র্যান্ডভ্যালু না থাকলেও ২০০৮ সালে ওয়ান মিলিয়নে গোল্ডেন ফ্রেগন্যান্স সংযুক্ত হওয়ার পর থেকে পৃথিবীব্যাপী সর্বাধিক বিক্রীত সুগন্ধির মধ্যে অন্যতম। বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত হওয়া ও ব্যবহৃত হওয়া সুগন্ধি ওয়ান মিলিয়ন। ওয়ান মিলিয়ন এর গন্ধটা মন মাতানো আর দামে কিছুটা কম।
জার্মানিতে তৈরি বস ব্র্যান্ডের সুগন্ধি ছেলেদের জন্য সত্যি বসের মতোই। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই কমবেশি বসের সুগন্ধি পাওয়া যায়। জার্মানিতে তৈরি বসই সর্বাধিক ৭টি ফ্লেভারে পাওয়া যায় এরা হলো অরেঞ্জ ম্যান, সিলেকশন, সোল, পিউর, কালেকটরস এডিশন, বটলড ও বটলড নাইট সুগন্ধি।
পুরুষদের জন্য সুগন্ধির মধ্যে আজজারোর অবস্থান বিশ্বের সেরা পাঁচে রয়েছে। এর মধ্যে আজজারো ক্রোম ইউ আজজারো লরিস। মেন্স সুগন্ধির সেগমেন্টের ডাভিডফের কথা বলতেই হয়। দুটি ফ্লেভারের ডাভিডফ বাজারজাত করা হয়। একটি ডাভিডফ কুল ওয়াটার অন্যটি ডাভিডফ হট ওয়াটার, এই দুই ধাঁচের ফ্লেভার রয়েছে। প্যারিসের দুনিয়া মাতানো সুগন্ধির বিশেষত্ব হলো লাগানোর পরে খুবই সতেজ একটি অনুভূতি হয়, যা প্রায় ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশের নামিদামি আউটলেটগুলোতে দেখা মেলে আজজারো সুগন্ধিটির। তবে অনেক বিখ্যাত পুরুষই আরো একটি সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকেন। নাম ব্লু জিন্স ইউ ভাসার্সি
ভিক্টোরিয়া সিক্রেট, বাথ এন্ড বডি ওয়ার্ক্স, দ্যা বডি শপ হচ্ছে অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় কিছু ব্র্যান্ডের নাম যারা সুগন্ধির জন্য বিখ্যাত। সুগন্ধি গুলো এখনো আমাদের দেশে সচরাচর পাওয়া যায় না, কিনতে চাইলে অনলাইনে অর্ডার দিতে হবে।

পৃথিবীর বিস্ময়কর কিছু সত্য ঘটনা এবং মজার সব তথ্য

১. পৃথিবী, গ্রহ, উপগ্রহ সবই এক একটি অজানা রহস্যের ভান্ডার। বতর্মান আধুনিক বিশ্বে এসেও এমন অনেক বিষয় আছে যা অজানা রহস্যে আবৃত। যার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে কিন্তু সেসব অজানা রহস্যের কোন কূল কিনারা করতে পারছেন...া!

২. বতর্মান বিশ্বের তেমনই একটি রহস্যাবৃত, অনুদঘাটিত বিষয় হচ্ছে ইউএফও বা ফ্লাইং সসার। UFO আকাশে উড়ন্ত অদ্ভূত রহস্যময় এক ধরনের অচেনা বস্তু। এটি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বহুবার দেখা গেছে!

৩. মানব পরিচিত পৃথিবীর কোন বস্তুর সাথে এর মিল নেই। মহাকাশে উড়ন্ত অচেনা এই বস্তু নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজ্ঞানীদের পক্ষে এই রহস্য উদঘাটন করা আজও সম্ভব হয়নি।ফ্লাইং সসার নিয়ে সাধারন মানুষের ও কৌতুহলের শেষ নেই!

৪. UFO শব্দের পূর্ণরুপ হচ্ছে Unidentified Flying Object. বাংলায় এর অর্থ অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু যা ফ্লাইং সসার নামে পরিচিত। এটি বিভিন্ন আকৃতির হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি চাকতির মতো ও দেখতে উজ্জ্বল। এগুলো হোভারক্রাফট এর মতো খাড়া হয়ে ভূমিতে অবতরণ করতে পারে এবং অতি দ্রূত মানব দৃষ্টি থেকে অদৃশ্যও হতে পারে। এগুলোর গতিবেগ এতো বেশী যে, মানব আবিস্কৃত কোন যানই এর নাগাল পায় না!

৫. অবস্থাদৃষ্টে মনে করা হয়, UFO খুব শক্তিশালী চুম্বক ক্ষেত্র তৈরী করতে পারে এবং যে কোন বৈদ্যুতিক কৌশলকে অকাযর্কর করে দিতে পারে। আধুনিক যুগে এটাকে ভিনগ্রহীদের উন্নত আকাশযান হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু এগুলো কোথা থেকে বা কিভাবে আসে তা পৃথিবীবাসীর কাছে এখনো অজানা।!

৬. ফ্লাইং সসার গতিপ্রকৃতি থেকে বুঝা যায়, এসব যান অন্য গ্রহ হতে আগত। ওরা পৃথিবীবাসীর সাথে যোগাযোগ করতে ও অবস্থা নিরিক্ষণ করতে আসে। সম্ভবত ওরা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পৃথিবীবাসীর থেকে অনেক বেশী উন্নত। ধারনা করা হয়, ওরা পৃথিবীবাসীর সাথে যোগাযোগ করতে আসে কিন্তু তাদের সাথে আমাদের প্রকৃতি ও প্রযুক্তিগত ব্যবধানের কারনে তাদের প্রেরিত বার্তা আমরা ধারন সক্ষম হই না!

জানা অজানা ৭

► তাইওয়ানের একটি কোম্পানি গমের তৈরি থালা(প্লেট) তৈরি করে থাকে!! খাওয়া শেষে আপনি খুব সহজেই সেই প্লেটটিও খেয়ে ফেলতে পারেন!!

► হাঙর হলো একমাত্র মাছ যা দুই চোখের পাতাই বন্ধ করতে সক্ষম!!

► আপনার হাঁচির গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ মাইল!!

► উটের দুধ দিয়ে দই হয় না!!

► পায়ের নখের চেয়ে হাটের নখ প্রায় ৪ গুন দ্রুত বড় হয়!!

► “I am.” হলো ইংরেজি ভাষার সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম বাক্য!!

ব্যাঙের জুস


পেরুতে গত ১৫ বছর ধরে ব্যাঙের জুস বিক্রি করা হচ্ছে।। সেখানকার কিছু স্থানীয়রা প্রতিদিন এই জুস পান করে থাকেন!! কারন, তাদের ধারণা, এ থেকে তারা শক্তি পায়!!

কারমেন গঞ্জালেস নামের একজন মহিলা সর্বপ্রথম এই জুস তৈরি করা শুরু করেন।। তার দেখাদেখি আরো অনেক জুসের দোকানে ব্যাঙের জুস বিক্রি করা শুরু হয়।। এক একটি দোকানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮০ গ্লাস জুস বিক্রি হয়ে থাকে।। শুধু স্থানীয়রাই নয়, এ...মনকি পেরুতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের কাছেও এই জুসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে!!

প্রথমে জ্যান্ত ব্যাঙগুলোকে আগে একটা একুরিয়ামে রাখা হয়।। তারপর সেখান থেকে নিয়ে মেরে সেটার চামড়া ছিলে ব্লেন্ডারে দেয়া হয়।। সাথে থাকে আরো প্রায় ২০টি উপাদান!! যেমনঃ মধু, অ্যালো ভেরা, বিভিন গাছের শিকড়, ইত্যাদি।। আপনার জন্য প্রতি গ্লাস জুসের দাম পড়বে মাত্র ২ ডলার(2$)!! তবে যারা পান করে তাদের ধারণা, মাত্র ২ ডলার এই অসাধারণ জুসটির জন্য আসলেই কম!!

ছবিতে জুস তৈরির ধাপগুলো পর পর দেয়া আছে!!

জানা অজানা ৬

** শ্রীলংকা হচ্ছে একমাত্র অমুসলিম দেশ যেখানে টেলিভিশনে এবং রেডিওতে ৫ ওয়াক্ত আযান সম্প্রচার করা হয়ে থাকে!! (সুবহানাল্লাহ)

** নেপাল একমাত্র দেশ যে দেশের পতাকা চতুর্ভুজ নয়!!

** পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশই হলো মরুভূমি!!

দুনিয়ার সবচেয়ে লম্বা মানুষ

তুর্কির সুলতান কসেন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জীবিত মানুষ!! উনার উচ্চতা ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি!! ১৯৮২ সালে জন্মগ্রহন করেন তিনি!!

দুনিয়ার সবচেয়ে ছোট মানুষ

জুনরেয় বালাউইং হলেন গিনিজ রেকর্ডধারী পৃথিবীর জীবিত সবচেয়ে খাটো মানুষ!! ২০১১ সালে নেপালের থাপার মাগার(২৬.৩ ইঞ্চি) নামক ব্যাক্তিকে পরাজিত করে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে খাটো মানুষের খেতাব জিতে নেন!! জুনরেয় বালাউইং ১৯৯৩ সালে ফিলিপাইনের সিন্দাঙ্গান নামক অঞ্ছলে জন্মগ্রহন করেন।। উনার বর্তমান উচ্চতা ২৩.৬ ইঞ্চি!!

জানা অজানা ৫


► পৃথিবীর সব সাগরে যে পরিমাণ লবণ আছে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৫০০ ফুট পুরু লবণের স্তূপ দিয়ে ঢেকে ফেলা যাবে!!

► বিষ প্রয়োগে ঢলে পড়ার সময় পিঁপড়া সবসময় তার ডান দিকে ঢলে পড়ে!!

► ইঁদুর আর ঘোড়া কখনো বমি করেনা!!

► ঘোড়ার লেজ কাটা পড়লে সেটা মারা যায়!!

► ‘রিভার ডি’ পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম নদী!!

► আমেরিকার ওকল্যান্ড ব্রীজ পৃথিবীর বৃহত্তম ব্রীজ!!

সুপার বাস

বিশ্বের প্রথম সুপার বাসটি নির্মান করলেন হল্যান্ডের প্রথম নভোচারী এবং সাবেক ফর্মুলা ওয়ান অ্যারোডিনামিক্স বিশেষজ্ঞ ডেফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধ্যাপক উবো ওকেলাস!! ২২ যাত্রী ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন বাসটি সব ধরনের অত্যাধুনিক সরঞ্জামে নির্মিত এবং এর গতিবেগ ঘন্টায় ১৫৫ মাইল!! মিডনাইট ব্লু (Midnight Blue) রঙের বিদ্যুৎ শক্তিচালিত বাসটি নির্মানে খরচ পড়েছে ৭ মিলিয়ন পাউন্ড!! বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৯০ কোটি টাকা!!

জানা অজানা ৪

► একটা মাছি কোনো খাবার খাওয়ার পর তা একবার বমি করে(উগড়ে দেয়) তারপর আবার খায়!!

► কলা এবং সবুজ আপেল ওজন কমাতে সাহায্য করে!!

► সূর্য পৃথিবী থেকে ৩৩০৩৩০ গুন বড়!!

► সিংহের গর্জন প্রায় ৫ মাইল দূর থেকেও শোনা যায়!! (আর হাওলার মাঙ্কির চিৎকার প্রায় ১০ মাইল দূর থেকে!! কি বুঝলেন??)

► অস্ট্রেলিয়াতে এক ধরনের কেঁচো পাওয়া যায় যা লম্বায় ১০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে!!

► ৩০ বছরের পর থেকে মানুষের উচ্চতা আস্তে আস্তে কমতে থাকে!! তবে সেই প্রক্রিয়া খুবই ধীর গতির!!

অদ্ভুত সব রাস্তা ৩ (রোড অফ ডেড)

বলিভিয়ার "রোড অফ ডেড" বা "মৃত্যুর রাস্তা" হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাগুলোর একটি।। ৪৩ মাইল লম্বা এই রাস্তাটি "লা পাজ (La Paz) এবং "করইকো"(Coroico) নামক স্থান দুটোর মাঝে সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যাবহার করা হয়।। রাস্তাটি ভুমি থেকে প্রায় ২০০০ ফুট উপরে এবং এটি এতই সরু যে, একবারে শুধুমাত্র একটি গাড়ি চলাচল করতে পারে।। প্রতি বছর এই রাস্তায় দুর্ঘটনায় প্রায় ২০০-৩০০ মানুষ মারা যায়।। রাস্তায় দুর্ঘটনার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিতে প্রায়ই এই রাস্তায় ভুমিধস, পাহারধস ঘটে থাকে!!

ছবিতে রাস্তাটির একাংশ দেখা যাচ্ছে।।

অদ্ভুত সব রাস্তা ২










অদ্ভুত সব রাস্তা ১










বিস্ময়কর ঘটনা ১

ছবির মেয়েটি একজন বাংলাদেশী।। মেয়েটির দুটো হাতই নেই।। তাই বলে থেমে নেই সে।। নিজের অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধার সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে।। যেখানে ৪-৫টা শিক্ষকের কাছে কোচিং আর প্রাইভেট পড়তে পড়তে আমাদের জান চলে যায়, সেখানে সে নিজের শ্রম আর একাগ্রতা দিয়ে সদ্য সমাপ্ত পরীক্ষায় A+ আদায় করে নিয়েছে।।

বিস্ময়কর!! তাই নয় কি??

আপনার জন্য রইলো শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।।

১০ তলার উপর থেকে জানালা দিয়ে পড়ে ও বেঁচে যাওয়া শিশু

একটা কাহিনী বলি শুনুন!! একটা নাদুস নুদুস বাচ্চা ১০ তলা বিল্ডিং এর উপর খোলা জানালার পাশে বসে খেলছে।। হটাত বাচ্চাটি জানালা দিয়ে পড়ে গেল!! ১০ তলা বিল্ডিং এর উপর থেকে বাচ্চাটি নিচে পড়ছে!! এমন সময় নিচ দিয়ে যাচ্ছিল এক হিরো!! খালি হাতে ক্যাচ ধরল সে!! বেঁচে গেলো বাচ্চাটি!! সুপার হিরোর প্রশংসায় সবাই পঞ্চমুখ!!

আপনারা নিশ্চয়ই সবাই বুঝে গেছেন আমি হলিউড সিনেমার একটা দৃশ্য বর্ণনা করলাম এতক্ষন!!

এখন শু...নুন আসল ঘটনা!! উপরের কাহিনীটি সম্পূর্ণ সত্য!! ছবিতে যেই বাচ্চাটিকে দেখছেন ওর নাম ঝ্যাং ফাংইউ!! একদিন সে খেলতে খেলতে ১০ তলার উপর থেকে জানালা দিয়ে পড়ে যায়।। ঠিক সেই সময় নিচ দিয়ে যাবার সময় বাচ্চাটিকে পড়তে দেখে ২ হাত বাড়িয়ে ধরে ফেলেন উ জুপিং নামের একজন মহিলা (ছবির মহিলাটি)!! বেঁচে যায় বাচ্চাটি।। মহিলার একটি হাত ভেঙ্গে যায় এসময়!!

বিস্ময়কর!!

জানা অজানা ৩

►► আপনি যদি আপনার মাথা দেয়ালের সাথে একটানা বাড়ি দিতে থাকেন তাহলে ঘণ্টায় ১৫০ ক্যালোরি শক্তি এতে ব্যায় হবে!! :O

►► ডান হাতি মানুষ, বাম হাতি মানুষের চেয়ে গরে ৯ বছর বেশি বাঁচে!! (কে কে বাম হাতি আছেন??)

►► পৃথিবীতে বছরে এরোপ্লেন দুর্ঘটনায় যত লোক মারা যায় তার চেয়ে বেশি মারা যায় গাধার আক্রমনে!! :O
...
►► মারলবোরো কোম্পানির প্রথম মালিক ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন!! (সিগারেট ছাড়ুন, সুস্থ থাকুন!!)

►► ভিনেগারে রাখলে মুক্তা খুব সহজেই গলে যায়!! :O

►► বর্তমান সময়ে প্রতি ২ বিলিয়ন, আবারো জানাচ্ছি, প্রতি ২ বিলিয়নে মাত্র একজন মানুষ ১১৬ বা তারচেয়ে বেশি বছর বেঁচে থাকে!!

►► আপনি কি জানেন, ম্যাচ আবিষ্কারের বহু পূর্বেই লাইটার আবিষ্কার হয়েছিলো??

►► অনেক বাচ্চার খেলার সাথী বারবি ডল (Barbie Doll) যদি একটি সত্যিকারের রমণী হতো তবে তার মেসারমেন্ট হতো 39-23-23, এবং তার উচ্চতা হতো ৭ ফুট ২ ইঞ্চি!!

মর্গ থেকে জেগে উঠেছে ‘মরা মানুষ

কতই না বিচিত্র এই পৃথিবী! প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঘটছে বিচিত্র সব ঘটনা। তবে কিছু কিছু ঘটনা সবাইকে অবাক করে দেয়। আর এমনই একটি অবাক করা ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আর সেই অবাক করা ঘটনাটি হচ্ছে, মর্গ থেকে জেগে উঠেছে ‘মরা মানুষ’।

কি অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, অবাক হওয়ারই কথা। শুধু আপনাকে নয় ঘটনাটি অবাক করেছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে। এই অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ শহরে। এই শ...হরের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী এক লোক ২২ জুলাই ২০১১ তারিখ শুক্রবার রাতে স্বাভাবিক ভাবে ঘুমিয়ে যান। পরদিন তিনি ঘুম থেকে আর উঠছিলেন না।

এই দেখে তার পরিবারের সদস্যরা তার ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ তার ঘুম ভাঙাতে ব্যর্থ হয়ে তারা তাকে মৃত ভেবে বেসরকারি একটি মর্গের সাথে যোগাযোগ করে। মর্গে তাকে টানা ২৪ ঘণ্টা রাখা হয়। এরপর রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় মর্গে জেগে উঠেন এই ব্যক্তি এবং বাইরে বের হবার জন্য ডাকাডাকি শুরু করেন। তার ডাক শুনে মর্গের কর্মীরা ভূত ভেবে ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে মর্গের কর্মীরা ফিরে এসে তাকে এম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে তাকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেন। খবরটি ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র সিজুয়ি কুপিলো সংবাদ সংস্থা "সাপা"কে জানিয়েছেন।

বিস্ময়কর!! নয় কি??

জানা অজানা ২

►► বলুন তো, পানি ছাড়া কে বেশি দিন বেঁচে থাকবে?? মরুর জাহাজ খ্যাত উট?? নাকি বই কাটার ওস্তাদ ইঁদুর?? জানি অনেকেই ভুল করবেন।। কিন্তু সত্যি হলো পানি ছাড়া একটি ইঁদুর, একটি উটের চেয়ে বেশীদিন বেঁচে থাকে!!

►► পৃথিবীর মোট জীবিত প্রানির ৮৫ ভাগই পানিতে বাস করে (সমুদ্রে)!!

►► কানাডা একটি ইন্ডিয়ান শব্দ, যার মানে হলো “Big Village (বড় গ্রাম)”!!
...
►► কানাডায় যেই পরিমাণ লেক আছে, সমগ্র পৃথিবীতে একত্রেও সেই পরিমাণ লেক নেই।।

►► একটি তিমি মাছের হৃৎপিণ্ড মিনিটে ৯ বার কম্পিত হয় (ঠিক শব্দটা মনে পড়ছে না, হৃৎপিণ্ড কি হয়?? কম্পিত না স্পন্দিত??)!!

►► আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯৫২ সালে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট হবার অফার পান!!

এইডস

►► প্রতিদিন বিশ্বের প্রায় ৮২০০ মানুষ এইডসে (HIV ভাইরাস) আক্রান্ত হচ্ছে!!

►► বর্তমান বিশ্বে প্রায় ২ মিলিয়নেরও বেশি বাচ্চা HIV ভাইরাস নিয়ে বেঁচে আছে!!
...
►► গত বছরে এইডসে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩০ লক্ষেরও বেশি!!

►► এইডসে আক্রান্ত হবার পর মানুষ সাধারণত ১০ বছরের বেশি বাঁচে না!!

►► এইডসে আক্রান্ত ব্যাক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়!! ফলে, ছোট ছোট অনেক রোগ তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে!!

►► একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এইডসের কিন্তু কোনো প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হয় নি!! তাই, এইডসে আক্রান্ত হওয়া মানে নিশ্চিত মৃত্যু!!

সবার সুস্থতা কামনা করছি।। আসুন সতর্ক হই।।

প্রাণিজগৎ সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য


  • একটা হাতি ৩ মাইল দূর থেকে পানির গন্ধ পায়!!
  • পেঙ্গুইন মাটি/বরফ থেকে ৬ ফিট পর্যন্ত লাফিয়ে উঠতে পারে!!
 
  • বাদুড়ের পায়ের হাড্ডি এতটাই নরম যে, এরা হাঁটতে পারে না!!
  • মশারা নীল রঙের প্রতি দুর্বল!! ঘরের বাতি নীল রঙের হলে মশার সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে!!
  • একটি জিরাফের বাচ্চা জন্মানোর সময় প্রায় ৫ ফিট উপর থেকে মাটিতে পড়ে, কিন্তু অধিকাংশ সময়ই এরা ব্যাথা পায় না বা আহত হয় না!!
  • শ্বেত ভালুক কোনোরকম বিশ্রাম না নিয়ে একটানা ৬০ মাইল পর্যন্ত সাতার কাটতে পারে!!

মশা

অনেকেই দেখলাম মশা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।। তাই এই পোস্ট মশাকে নিয়ে!!

►► পৃথিবীতে মোট ৩০০০ এরও বেশি প্রজাতির মশা আছে!! ( এই জন্যই তো সারাদিন কামড়ায়!!)
...
►► একটি মশার ওজন হতে পারে ২.৫ মিলিগ্রাম অর্থাৎ ০.০০২৫ গ্রাম!! (এই জিনিস মাপছে কেমনে?? :O

►► একটি মশার উড়ার গতিবেগ হলো ঘণ্টায় ১ থেকে ১.৫ মাইল!! (এরচেয়ে তো মুরগী ভালো উড়তে পারে!!)

►► একটি মশা প্রতি সেকেন্ডে ৩০০-৬০০ বার পাখা নাড়ে!! এদের গুনগুন আওয়াজটা আসলে দ্রুতবেগে পাখা নাড়ার আওয়াজ!! (মশারা তাহলে পাখা দিয়ে গান গায়??)

►► মশার ৪৭ খানা দাঁত আছে!! (আর আমাদের মাত্র ৩২টা?? Not Fair!!)

►► মশা কিন্তু রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে না!! মূলত রক্তের প্রোটিন অংশটি কাজে লাগিয়ে তারা ডিম পারে!! মশার আসল খাদ্য হলে গাছের রস!!

►► মশার আয়ুকাল প্রজাতিবেধে ৫-৬ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে!!

►► মশা একসাথে ১০০-৩০০ পর্যন্ত ডিম পারে!! জীবদশায় একটি স্ত্রী মশা ১০০০-৩০০০ ডিম দেয়!! (এই জন্যই তো বলি, ঘরে এতো মশা কেন!!)

পৃথিবীর অদ্ভুত সব বাড়ি

জানা অজানা ১

►► বিশ্বে যে পরিমাণ অপরাধী ধরা পড়ে তার ৮০% ই হলো পুরুষ!! (মেয়েরা তাহলে চালাক অপরাধী!! হুমমমম!!)

►► একজন নরমাল মানুষ এক বছরে ১৪৬০টিরও বেশি স্বপ্ন দেখেন!! (আমার তো একটাও মনে থাকে না!! :O
...
►► চিতা হল স্থল-প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রাণী!! এটা ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে দৌড়াতে পারে!! আর মাত্র ৩ সেকেন্ডে এটা শূন্য থেকে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে যা প্রাণিজগতে অদ্বিতীয়!! (উসাইন বোল্ট!?)

►► কিন্তু চিতারা এই দ্রুত গতিতে ২০ সেকেন্ডের বেশী দৌড়াতে পারে না কারণ এতে তারা হার্টফেল করে মারা যেতে পারে!! তবে তারা খুব দ্রুতগতিতে এই ২০ সেকেন্ডেই শিকার ধরে ফেলে!! (খাইছে!! ইনি পিছনে ছুটলে তো আয়ু মাত্র ২০ সেকেন্ড!!)

►► কেউ যখন ঘুম এর মধ্যে নাক ডাকে এর অর্থ হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে না!! (যারা জেগে আছে তাদের যে ঘ্যানর ঘ্যাঙ শুনতে হয়, তার কি হবে!?)

►► আপনি যদি ৬০ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে একটানা ১৭৬ বছর গাড়ি চালান তাহলে আপনি পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের সমান দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হবেন!! (তেল খরচ দিবো কেডা?? ট্রাই মারতে পারতাম!!)

বাবরি মসজিদ

তোমরা হয়তো একটি মসজিদ ভেঙ্গে দিতে পারো।। কিন্তু, মন থেকে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা আর ঈমান কিভাবে ভেঙ্গে দিবে??

ইন্ডিয়ার বিখ্যাত বাবরি মসজিদটি ধর্মের রেষারেষিতে ভেঙ্গে ফেলা হয়।।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেই বাবরি মসজিদের ধ্বংসাবশেষে নামাজে সিজদারত অসংখ্য মুসলমান ভাইয়েরা।।
...
আল্লাহর রহমতের জন্য প্রার্থনা করা এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখা জরুরী।।
যদি সম্ভব হয় সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন আল্লাহ এবং ইসলামের প্রতি ভালোবাসার এই অপূর্ব নিদর্শনটি।