Pages

যে ১৩টি মিথ্যা মেয়েরা অহরহ বলে



প্রথমেই সবাইকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক। 



মেয়েরা কিছু মিথ্যা বলে স্রেফ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অথবা পরিস্থিতি সামাল দিতে। অনেক সময় সংঘাত বা তর্ক এড়াতেও তারা এ কাজটি করে। মেয়েরা যে মিথ্যাগুলো বলে সেগুলোর মধ্যে বিখ্যাত ১৩টি জেনে নিন:

১. আমি তো তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম না।

২. আমি তোমাকে পছন্দ করি কিন্তু কখন আমার মধ্যে ভালোবাসা তৈরি হবে জানি না।

৩. এখনই যদি আমি রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেই, তবে তোমাকেই বেছে নেব।

৪. আমার মনে আমাদের বিলটা শেয়ার করা উচিত। সবসময় তুমি দেবে কেন?

৫. আমি কখনোই বুঝতে পারিনি- এটা আমার এত ভাল লাগবে।

৬. যৌনতা মজার বিষয়।

৭. হোক ছেলেটা টাকমাথার এবং দেখতে খারাপ। কিন্তু টাকা তো আছে। একটা নিশ্চিত জীবন পাওয়া যাবে।

৮. আমি সবকিছু আঁকড়ে ধরে থাকতে চাই না। ঘ্যানঘ্যানও করতে চাই না।

৯. আমি শুধু তোমাকেই চেয়েছিলাম।

১০. আমি যদি তার সঙ্গে না থাকি, তবে সে আরেকজনকে ঠিকই খুঁজে নেবে।

১১. তোমার কোনো ভুল নেই, আমারই কোথাও ভুল হয়েছে।

১২. তোমার বাড়ির লোকদের সঙ্গে আমি ভালই আছি। হাজার হোক তারা তো আমারই পরিবার।

১৩. তুমি যদি বন্ধু হতে চাও- আমার আপত্তি নেই। আমিও তাই ভাবছিলাম। কেন শুধু শুধু জটিলতা ডেকে আনা?

নারীর চোখে আদর্শ পুরুষের ৩০টি বৈশিষ্ট্য্



মেয়েরা কেনাকাটা, ঘুরে বেড়ানো, সিনেমা দেখা ইত্যাদি কাজ করতে দারুণ ভালোবাসেন। এ কথা সবাই জানেন। আর এসব কাজে সঙ্গী হিসেবে যাকে পেতে চান অর্থাৎ প্রেমিক বা হবু জামাইবাবুটির মাঝেও কিন্তু বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখতে চান নারীরা।

মেয়েদের এসব চির রহস্যময় আকাঙ্খা উন্মোচনে সম্প্রতি গবেষণা চালিয়েছে এক ফ্যাশন হাউজ। মেয়েদের চোখে একেবারে 'আদর্শ পুরুষ' বলতে যা বোঝায়, তা হতে হলে ৩০টি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হবে আপনাকে। এ তালিকাটি তুলে ধরা হলো আপনাদের জন্য।

১. ঝাড়া ৬ ফুট উচ্চতা
২. পেশীবহুল, একহারা এবং অ্যাথলেটিক দেহের অধিকারী
৩. বাদামী চোখ
৪. ছোট কাল চুল
৫. রুচিশীল পোশাক সম্পর্কে ধারণা আছে
৬. স্টাইলিশ
৭. পানীয়ের ব্যাপারে সচেতন
৮. অধূমপায়ী
৯. রুচিশীল জিন্স, শার্ট এবং ভি গলার গেঞ্জি বাছাইয়ে পারদর্শী
১০. মাত্র ১৭ মিনিটেই বাইরে যেতে প্রস্তুত হতে পারেন
১১. সৌখিনভাবে জীবনধারণে উপার্জনক্ষম
১২. পরিবারের বন্ধন চান
১৩. কেনাকাটা পছন্দ করেন
১৪. গোশত খেতে পছন্দ করেন
১৫. গোসলে বাছাই করা সাবান ব্যবহার করেন
১৬. ক্লিন শেভ করেন
১৭. মসৃন চওড়া বুক
১৮. ফুটবল খেলা দেখতে পছন্দ করেন
১৯. স্টাইলিশ গাড়ি চালান
২০. শিক্ষিত
২১. অন্তত প্রেমিকা বা স্ত্রীর চেয়ে বেশি আয় করেন
২২. কৌতুক করেন এবং নিজেও হাসেন
২৩. সঙ্গিনীর মন খারাপে তারও মন খারাপ থাকে
২৪. সত্যিকার অর্থেই সঙ্গীনিকে ভালোবাসেন
২৫. অন্য নারীর দিকে তাকালে তা স্বীকার করেন
২৬. ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে
২৭. সাঁতার কাটতে পারেন
২৮. বাইক চালাতে দক্ষ
২৯. গাড়ি বা বাইকের চাকা বদলাতে পারেন
৩০. প্রতিদিন নিজের মায়ের খোঁজ নেন.

মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাতের ১০ মিনিটের মধ্যেই যে ১০ ব্যাপার খেয়াল করে ছেলেরা



১. হাসি
হাসির ধরন দেখেই আপনার সম্পর্কে অনেক কিছুই বলা যায়। সুতরাং একবার ভাবুন, প্রথমবারের মতো আপনি ছেলেটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন কি না। যদি তাই হয়, তবে এমন ভাব করবেন না- যাতে মনে হয় আপনি তাকে সন্তুষ্ট করতে খুবই উৎসাহী। কিংবা অবোধ শিশুর মতো উৎসাহব্যাঞ্জক হাসি হাসবেন না। আবার মুখটি একেবারে হাঁড়ির তলার মতো রাখাও ঠিক নয়।


২. পোশাক-পরিচ্ছদ
মুখাবয়ব ছাড়াও আপনি কি পোশাক পরেছেন তা অনেক সময় প্রথম দৃষ্টি কাড়ে ছেলেদের। আপনি কি গেছো মেয়ে, না কি কোন বালিকাসুলভ মেয়ে- এসবই প্রকাশ পেতে পারে আপনার পরিধেয় পোশাকে। শুধু এটা দেখেই কোন ছেলে মনস্থির করতে পারে, সে আপনার দিকে এগোবে না কি পেছাবে।


৩. আপনি কী খাচ্ছেন
আপনি কী খাচ্ছেন, কীভাবে খাচ্ছেন তা থেকে ছেলেটি আপনার সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে। অনেক রহস্যমোচনে ভূমিকা রাখে খাবার ও পানীয়। পানীয় দেখেও ধারণা মিলতে পারে আপনি সাহসী নাকি রক্ষণশীল।


৪. আপনার কথার ধরন
যে সব ব্যাপারে আপনার একেবারেই আগ্রহ নেই নেই সেসব বিষয়ে কপটতাপূর্ণ আগ্রহ প্রকাশ করার চেষ্টা করবেন না। ছেলেটি যদি ফুটবল নিয়ে কথা বলে আর আপনার যদি এতে অংশ নেওয়ার মতো কোন সূত্র না থাকে তবে নীরব থাকুন। এমন ভাব করবেন না আপনি এ বিষয়ে খুবই উৎসাহী। নইলে ছেলেটি আপনাকে ফাঁপা মনে করতে পারে।


৫. আপনার কেশবিন্যাস
আপনি কি চুলের খোঁপা নিয়ে সাদাসিধে থাকতে চান? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে এমন কৌতুককর হেয়ার স্টাইল ছাড়ুন যাতে আপনাকে দেখে দৌড়বিদ বলে মনে হয়। চুল কিছুটা অগোছালো থাকলো- সেও ভালো, কিন্তু পুরোদস্তুর এলোমেলো যেন না থাকে।


৬. আপনার বক্ষদেশ
মুখে স্বীকার না করলেও ছেলেরা এ কাজটি সন্তর্পণে সেরে নেয়। এই সত্যটি জেনে রেখে আপনাকেই ঠিক করতে হবে, কিভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন। একেবারে গলা পর্যন্ত বোতাম আঁটা জামা পরে থাকলে বেশি রক্ষণশীল মনে হতে পারে। আবার একেবারে খোলামেলা ডিপ নেকের পোশাক পরলে তা বাড়াবাড়ি বা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্যরকম মনে হতে পারে। সুতরাং সিদ্ধান্তটি আপনার।


৭. আপনার ব্যাগের ভিতর কি আছে
যদি আপনার ব্যাগটি হয় একটি ঝোলাবিশেষ তবে তা হয়তো একটু দৃষ্টিকটু। হতে পারে আপনি অতিমাত্রায় রক্ষনশীল নন, কিন্তু যদি অহেতুক বাড়তি জিনিস আপনার ঝোলায় মজুদ করে রাখেন তবে তা বাজে দেখাতেও পারে। সুতরাং ব্যাগটি হতে হবে স্মার্ট ও আধুনিক।


৮. পোশাক আর মেক-আপে যত্ন
এমন মেক-আপ করবেন না যাতে আপনাকে কোন কফি হাউজের পুতুল মনে হয়। আবার আপনি এমন অবস্থায় পার্টিতে হাজির হয়েছেন যে দেখে মনে হয় আপনি মুখ ধোয়ার সময়টুকুও পাননি, সেটিও ঠিক নয়। বরং আপনার এমনভাবে হাজির হওয়া উচিৎ যাতে কোন ছেলের কাছে ঠিক আবেদনময়ী নয় তবে আকর্ষণীয় মনে হয়।


৯. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বলছি আপনার স্কিন সম্পর্কে। আপনার মুখে কোনো গাঢ় প্রলেপ কিংবা অপরিচ্ছন্ন মুখাবয়ব- কোনটাই দেখতে চায় না ছেলেরা। সুতরাং প্রসাধনী না থাকুক- মুখটি যেন থাকে পরিষ্কার, ঝকঝকে।


১০. চলাফেরা
আপনার হাঁটা, বসা, দাঁড়ানো- সবকিছুই অনেক কিছুই বলতে পারে আপনার সম্পর্কে। আসনে বসে স্নায়বিক অস্থিরতায় ভুগলে তা স্পষ্টই আপনার বিশেষ দুর্বলতার দিককেই উন্মোচিত করে। কিংবা দূরে সটান হয়ে বসে থাকলেও মনে হতে পারে আপনি আসলে বিব্রত। সুতরাং থাকুন স্বাভাবিক ও আয়েসি ভঙ্গীমায়।

ছেলেদের যে ছয়টি ভুলে মুখ ফিরিয়ে নেয় মেয়েরা



সবাইকে স্বাগতম। আজ আমার জীবনের একটি বিশেষ দিন। হয়তো এই দিনের জন্যই আমার এই ব্লগটি
তৈরি হয়েছে। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে আসল কথায় আসি। আজ আমি বলব ছেলেদের যে ছয়টি ভুলে মুখ ফিরিয়ে নেয় মেয়েরা। 

সুদর্শন সুপুরুষ ছেলেটিকে দেখে প্রশংসাসূচক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে যেকোনো মেয়ে। কাজেই ছেলেটি নিজের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে গিয়ে প্রায়ই হোঁচট খেতে হয় তাকে। এর কারণ অনুসন্ধান করে গবেষকরা বের করেছেন যে, এর মূলে রয়েছে ছেলেদের বড় মাপের ছয়টি ভুল। যার খেসারত দিতে হয় সম্পর্কটি অঙ্কুরে বিনষ্ট করে। মূলত ছেলেদের এসব ভুলের কারণে যেকোনো মেয়ে তার থেকে এক শ হাত দূরে ছিটকে যায়।

১. সহজে বেজায় খুশি: সম্পর্কের শুরুতে বেশি খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠা ছেলেদের একটি বড় ভুল। হাস্যকর না হলেও মেয়েটির কৌতুকে অযথা হেসে কুটিকুটি হওয়া বা সে যা বলে তা করতে সদাপ্রস্তুত থাকা- এমন ছেলেদের নিয়ে মেয়েরা বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। ইতিবাচক মন্তব্য মেয়েরা পছন্দ করলেও তাদের খুশি করার মাত্রাতিরিক্ত প্রচেষ্টায় রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তারা।

২. খুব শিগগিরই বেশি অধিকার খাটানো: আপনার সম্পর্ক অল্প কিছু দিনের। প্রেমিকা তার বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গেছে এবং আসতে একটু দেরিই হচ্ছে। ব্যস, আপনি পাগল হয়ে গেলেন। বারবার ফোন, ম্যাসেজ আর ফেসবুকে খুঁজতে খুঁজতে প্রেয়সীকে অস্থির করে তুললেন। এই ধরনের আচরণে মেয়েটি বিরক্তবোধ করবে।

৩. আপনি জানেন বিষয়টি কেমন: ধরুন, আপনার প্রেমিকা তার অন্য বন্ধু বা ছেলে কলিগদের সাথে দু'ঘণ্টা ধরে আড্ডা দিচ্ছে। এতো সময় পেরিয়ে গেলেও আপনি তার কোনো খোঁজ করলেন না। বরং হিংসাভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাসায় বসে ভিডিওগেম খেলা শুরু করলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে আপনার প্রেমিকা এ বিষয়টিকে মোটেও ভাল চোখে দেখবে না। হিংসার পথে না গিয়ে তাকে বোঝান যে, সে তার খুশিমতো চলতে ফিরতে স্বাধীন। আর যদি তা করতে পারেন, দেখবে উল্টো মেয়েটিই আপনার সাথে সময় কাটাতে চাইছে।

৪. যেকোনো খরচে মানিব্যাগটি বের করে ফেলেন: রেস্টুরেন্টে একসাথে খেতে গেলেই আপনি দামি খাবার ছাড়া অর্ডার দেন না। খরচের মুহূর্তে নিজের পকেট থেকে মানিব্যাগটা সব সময়ই বের করেন। এ ধরনের স্বভাব বেশ অস্বস্তিকর মেয়েদের জন্য। বরং অন্য কোনো সাধারণ খাবার খেতে যান তাকে সাথে করে। আবার সে বিল দিতে চাইলে তাকে দিতে দিন। এতে মেয়েটির ভাল লাগবে। অন্যদিকে, প্রতিবার বিলের ঝক্কি প্রেমিকার ঘাড়ে চাপানোও ভালো নয়। এতে আপনার সাথে মেয়েটি কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে না।

৫. অতীত প্রেম নিয়ে টানাটানি: আপনার জীবনে সাবেক প্রেম থাকতে পারে। এ ঘটনা জানতেও পারে নতুন প্রেমিকা। এ জন্য তার কাছে প্রায়ই আগের প্রেমিকার দোষ তুলে ধরা বা তার সঙ্গে অশান্তির জীবনের বয়ান দেওয়া বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আপনাকে অবধারিতভাবেই সে জঞ্জাল বলে মনে করবে। তা ছাড়া এ ধরনের গল্পে নতুনজন নিজেকে আপনার অনেক দূরের একজন বলে ভাবতে শুরু করবে।

৬. শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে পীড়াপীড়ি করা: মেয়েরা সাধারণত ভালবেসে দীর্ঘ সম্পর্কে আবদ্ধ হতে চায়। প্রায়ই দেখা যায়, এ কারণে ছেলেরা প্রেমিকার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করতে পীড়াপীড়ি করে। আসলে এমন করার প্রয়োজন নেই। সে নিজেই আপনাকে বুঝিয়ে দিবে যে কখন সে প্রস্তুত। আর ধারণার অনেক আগেই হয়তো মেয়েটি আপনার সাথে এমন সম্পর্কে জড়াতে চাইবে। কাজেই তাকে সময় দিন।

যে সব নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন না



যারা নারীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে চাইছেন কিংবা জীবনসঙ্গী খুঁজছেন, সে সব পুরুষদের বলছি। জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক না হলে সারা জীবন এর মূল্য দিতে হতে পারে। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদন এমন পাঁচ ধরনের নারীর কথা বলা হয়েছে, যাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোটা পুরষদের জন্য বিপদজনক। এমন নারীদের এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

সাবেক প্রেমিকাআগে একজনের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ছিল। সেটা ভেঙে যাওয়ার পর নতুন একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এ অবস্থায় ভুলও আগের প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে যাবেন না। অতীত ভুলে শুধু বর্তমান সঙ্গিনীকে নিয়েই থাকুন।
ধরুন, নিভৃত কোনো জায়গায় একাকি বসে আছেন। পুরোনো প্রেমিকার সঙ্গে বিশেষ মুহূর্তগুলো বার বার মনে হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে কী কারণে, কার ভুলের কারণে সম্পর্কের ইতি ঘটল, এসব কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ভাবছেন, তাঁর সঙ্গে একটু কথা বলে মনটা হালকা করবেন কি না! সাবধান। কোনোভাবেই এমনটা করতে যাবেন না। এতে মারাত্মক গোলযোগ বেঁধে যেতে পারে, হারাতে হতে পারে বর্তমান সঙ্গিনীকেও।
সবচেয়ে কাছের বন্ধুর বোন
সবচেয়ে কাছের বন্ধুটির বোনকে আপনার ভালো লেগে গেল। এ অবস্থায় নিজেকে সংযত করুন। এত দিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুটির সঙ্গে সম্পর্কটা এক মুহূর্তে শেষ হয়ে যেতে পারে। বন্ধুদের সম্পর্কটা নিমিষে পরিণত হতে পারে শত্রুতায়।
যাদের সঙ্গে সম্পর্কেঝুঁকিআছে
যে ধরনের মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে আপনার বিপদে পড়ার আশঙ্কা থাকবে, তাদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন। সম্পর্কে জড়িয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগার চেয়ে নিরাপদ থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রলোভনকে কখনোই প্রশ্রয় দেবেন না।
পকেট কাটাই লক্ষ্য যাদের
এমন মেয়েদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন, যারা প্রচণ্ড অর্থলোভী। যাদের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ালে ফতুর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এ ধরনের মেয়েরা নানা বাহানায় আপনার কাছ থেকে অর্থ খসানোর চেষ্টা করবে। তার বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে কোথাও ঘুরতে যেতে চাইবে। বিভিন্ন উপলক্ষে দামি উপহার চাইবে। অফিসে আপনার ব্যস্ততার কোনো মূল্য তার কাছে নেই। ‘তোমাকে নিয়ে ভালো থাকার জন্যই তো এত কষ্ট করছি’—আপনার এমন কথাও তার কাছে অর্থহীন। সাবধান, এমন ‘গুণ’সম্পন্ন মেয়েরা স্বার্থসিদ্ধি হলেই আপনার কাছ থেকে সটকে পড়বে।
বন্ধুর সাবেক প্রেমিকা
বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে মর্যাদা দিন। আপনার কাছের বন্ধুর সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কে জড়াবেন না। এ ধরনের সম্পর্কে জড়ালে সব বন্ধুদের কাছেই আপনি হাস্যরসের পাত্র হবেন। এর পরও যদি বন্ধুর সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়েই ফেলেন, সেটা কতটুকু মধুর হবে তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যায়।

যে ৬টি কারণে ভালোবাসার সম্পর্কে প্রতারনা করেন পুরুষেরা



ভালোবাসার সম্পর্ক ইদানিং কেমন যেন ছেলেখেলা হয়ে গিয়েছে। আগের মত পবিত্রতা এখন অনেক সম্পর্কেই খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রতারনার জাল ভালোবাসার সম্পর্কের প্রবিত্রতাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। কারণে অকারণে প্রতারনার আশ্রয় নেয়ার ঘটনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
ভালোবাসার সম্পর্কে প্রতারনার প্রায় ৬০%ই হয় পুরুষের দিক হতে। গবেষকদের মতে যখন প্রথম ভালোবাসা অনুভূত হয় তখন মানুষের শরীরে একধরনের কেমিকেলের নিঃসরণ ঘটে। পরবর্তীতে যখন অন্য কাউকে দেখে একই ধরনের কেমিকেলের নিঃসরণ হয়, তখনই প্রতারনার আশ্রয় গ্রহন করে মানুষ। আর এই ঘটনাটি ছেলেদের মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ তো গেল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুসারে ছেলেদের প্রতারনার কারণ। এছাড়াও আরও অন্যান্য আরও কারণ রয়েছে। চলুন দেখে নেয়া যাক কারণ গুলো কী কী।

প্রেমিকা/স্ত্রীকে আর আকর্ষণীয় মনে না হলে

যেসব পুরুষরা প্রতারণা করেন তাদের বিশাল একটা অংশের অভিমত এই যে তারা আর সঙ্গিনীকে আগের মত আকর্ষণীয় মনে করেন না। ভালোবাসার শুরুতে যে আকর্ষণের জন্য তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, সেই আকর্ষণ হারিয়ে গেছে বলেও দাবী করেন অনেকে। কিন্তু প্রতারণা কেন? সম্পর্ক ভেঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়ালেই পারেন? কিন্তু এরও ব্যাখ্যা রয়েছে। গবেষকদের মতে, যারা নিজের প্রেমিকাকে আকর্ষণীয় মনে করেন না তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে না ফেলার পিছনে রয়েছে বন্ধুত্ব। প্রেমিকার সাথে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে তিনি বর্তমানে জড়িয়ে আছেন তা ঝেড়ে ফেলতে চান না। অথচ জীবনে নতুন আনন্দ চান। তাই প্রতারণার আশ্রয় নেন।

বর্তমান সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলার জন্য

মনোবিজ্ঞানীদের মতে প্রায় ৩৬ ভাগ পুরুষেরা নিজের বর্তমান সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলার জন্য প্রতারণাকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। সাধারন কোন মেয়ের পক্ষে তার একান্ত পুরুষের প্রতারণা মেনে নেয়া সম্ভব হয় না। আর তখনই ভালোবাসার সম্পর্ক ভেঙে যায়।
কিন্তু কেন এই কাজটি করা হয়? মনোবিজ্ঞানীরা দেখতে পান যে অনেকদিন ধরে চলা সম্পর্ক হতে অনেক পুরুষই মুক্তি পেতে চান, যদিও তার প্রেমিকার দিক হতে কোনোরূপ ভুলভ্রান্তি নেই। পুরুষরা জানান, যে সম্পর্ক ৮/৯ বছর ধরে বিদ্যমান সেই পুরনো সম্পর্ককে আরও কিছু দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন তারা। ভালোবাসার শুরুতে যে ধরনের অনুভুতি কাজ করতো তা এখন তারা অনুভব করতে পারেন না। এই ধরনের সম্পর্ক টেনে নিতে তারা আগ্রহী নন, অথচ সঙ্গিনীর কোন দোষও বের করতে পারছেন না। ফলশ্রুতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকেন।

আর্থিক কারণ

একটা বড় সংখ্যার পুরুষ আর্থিক কারণে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকেন। অনেক পুরুষই ধনী প্রেমিকা খোঁজেন। আর সেটা পাওয়ার জন্য বর্তমান প্রেমিকা/স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করতে একটুও দ্বিধা করেন না তারা। আবার দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ধনী সঙ্গিনীর সাথেও প্রতারণা করে থাকেন তারা। আর্থিক চাহিদা মিটে গেলেই অন্য চাহিদা পূরণের জন্য মনযোগী হন নানান দিকে।

দৈহিক সম্পর্কের জন্য

সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটাই যে, পুরুষেরা দৈহিক সম্পর্কের জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেন। বাড়তি শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্য, সঙ্গিনীর শরীরের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেললে কিংবা যৌন জীবনে নিত্য নতুন আনন্দের স্বাদ পেতে নিজের সঙ্গিনীর সাথে প্রতারণা করেন। সঙ্গিনীর সাথে যখন দৈহিক সম্পর্ক পুরনো বা একঘেয়ে হয়ে যায়, তখনই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পুরুষেরা অন্য কারো শরণাপন্ন হন। মজার ব্যাপারটা হচ্ছে- অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুরুষটি তার সঙ্গিনীকে ভালোবাসেন, কিন্তু দৈহিক চাহিদার আগ্রহের জন্য প্রতারনা করেন।
এছাড়া অনেক পুরুষ এমনও আছে যারা বিভিন্ন নারীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে আগ্রহী থাকেন। তারা তাদের ভালোলাগা থেকেই এই কাজটি করেন। ভালোবাসার সম্পর্কে প্রতারনার ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক অনেক বড় ভূমিকা পালন করে পুরুষের ক্ষেত্রে।

প্রতিশোধ নেয়ার জন্য

মনোবিজ্ঞানীদের মতে প্রায় ২০% পুরুষ পূর্ব সম্পর্কে প্রতারণা প্রতিশোধ হিসেবে বর্তমান প্রেমিকার সাথে প্রতারণা করেন। প্রতিশোধ প্রবন ছেলেরা প্রেমে ব্যর্থ হলে প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হন। দুর্বল সম্পর্কের এই আধুনিক যুগে প্রতারণার শিকার হওয়া নতুন কিছু নয়। যদি আগে কোন প্রেমে প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে তবে অনেকেই ব্যাপারটি মন থেকে মুছে ফেলতে পারেন না। তখন মেয়েদের প্রতি বিরূপ ধারনার সৃষ্টি হয়। প্রতিশোধ নেয়ার আত্মতৃপ্তি পাবার জন্য জেদের বসে সম্পর্কে জড়িয়ে সঙ্গিনীর সাথে প্রতারনা করতে দেখা যায় অনেককে, কারণ তাদের চোখে তখন সকল নারীই খারাপ।

পারিবারিক কারনে

শুনতে হাস্যকর মনে হলেও অনেক ছেলে পারিবারিক কারনে প্রতারণা করে থাকেন। অনেকে মনে করতে পারেন জেনেটিকাল ডিসঅর্ডার সম্পর্কে বলা হচ্ছে। কিন্তু ব্যাপারটি ঠিক জেনেটিক্সের পর্যায়ে পরে না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে কিশোর বয়সে বাবা/মায়ের পরকীয়ার সাক্ষী হলে বর্তমান জীবনে সঙ্গিনীকে প্রতারণার হার বাড়ে। কেননা তাদের কাছে পরকীয়া বা প্রতারণাটা খুব সহজ আর স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, যেসব দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তাদের সন্তানদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্কে প্রতারণার প্রবণতা অধিক।

কেমন যাবে ২০১৪ সালে আপনার প্রেম-ভালোবাসা


ভাগ্যে বিশ্বাস আছে আপনার? জেনে নিতে চান কেমন যাবে আপনার প্রেম-ভালোবাসা ও যৌনতা ২০১৪ সালে? জেনে নিতে চান আপনার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক কোট সময়টাতে বিয়েতে পরিণত হতে পারে? কখন প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন? কিংবা ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে সে বিষয়ের আদ্যোপান্ত? জেনে নিতে নিতে চান আপনার যৌনাকাঙ্ক্ষা কখন একটি বিশেষ গতি লাভ করতে পারে? আপনি প্রেম-ভালোবাসা ও যৌনতায় সফল নাকি ব্যর্থ? আনন্দিত নাকি বিমর্ষিত?

রাশিচক্র নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি আছে আমাদের। মিলে গেলে ভালো, না মিললে মহা সংশয়বাদী। কিন্তু তারপরও খুঁজি আঁতিপাতি একটা নিশ্চিত জীবনের উত্তরে। আমরা বিশ্বাস করি বা না করি, নিজেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও জেনে নিতে চাই। নিজেদের মন্দ দিকগুলো বিদায় করে হয়ে উঠতে চাই স্বচ্ছ, স্পষ্ট এবং সচল। পাঠক, আপনাদের ইচ্ছেপূরণের জন্য আমরা কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে আপনাদের দ্বারপ্রান্তে হাজির।

একটি সুন্দর আগামী আমাদের দুর্গম অভিযাত্রাকে সহনীয় করুক। আমরা আরও সুন্দর সময়কে ধারণ করতে চাই, পরিতৃপ্ত না হই, নিশ্চিত হতে চাই আগামী বছরগুলোর সূত্রে। তাই হাতে তুলে নিই কি করে মূর্ত করবো জীবনের বহুবিধ ইচ্ছেগুলোকে। উপভোগ করুন, ভালোবাসুন পূর্ণিমায়, অমাবশ্যায়। পাঠক পড়ুন, ভালো লাগলে জানান আমাদের।

মেষ (Aries)
যাদের জন্ম ২১ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিল তারিখের মধ্যে

মেষ রাশি হওয়ায় আপনি যত না প্রেমাবেগময় তার চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও অত্যুৎসাহী স্বভাবের। খুব সহজেই আপনি আপনার সঙ্গীর সাথে খুব সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হন। কন্যা এবং বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকলেও সিংহ এবং ধনু রাশির জাতক জাতিকারা আপনার জন্য সবচেয়ে সুখকর জুটি হতে পারে। মিথুন এবং কুম্ভু রাশির জাতক-জাতিকারাও সুখী জুটি হতে পারে। তবে তুলা রাশিকে এড়িয়ে চলা আপনার জন্য ভালো। প্রেমের জন্য এ বছর অত্যন্ত ফলপ্রসূ বছর। বিশেষ করে প্রথম দিকে যৌনাবেগময় শুক্র আপনার পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে আপনার অনুকূলে নিয়ে আসবে। এতে আপনার যৌনাকাঙ্ক্ষা বেড়ে যেতে পারে। প্রেমের প্রতি আপনার আকুতি আরও জোরদার হবে। এপ্রিল-মে মাসে চনমনে শুক্র আর সেক্সি মঙ্গল এর মহাজাগতিক যুগল অনেক বেশি উষ্ণ হয়ে উঠবে। এর ফলে প্রেমের বন্ধনে আটকে পড়া প্রেমিক-প্রেমিকারাদের বর্তমান সম্পর্কটা আরও প্রাঞ্জল হয়ে উঠতে পারে, যা আপনাকে সারাজীবন মুগ্ধ করে রাখবে। যারা একাকী রয়েছেন বছরের মাঝামাঝি সময়ে (জুন-জুলাই) তাদের জীবনে নতুন কোনো সম্পর্কের শুভসূচনা হতে পারে। তবে অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে ইউরেনাসের প্রবল প্রভাবে অনেক ছোট ছোট ভুলের জন্ম হতে পারে। এতে আপনার সম্পর্কটা টিকে নাও থাকতে পারে। উপরন্তু, সারা বছরই আপনাকে বেশ সুযোগ সন্ধানী হতে হবে। তা নাহলে আপনার মানুষটিকে আপনি চিরতরে হারাতে পারেন।

বৃষ (Taurus)
যাদের জন্ম ২০ এপ্রিল থেকে ২০ মে'র মধ্যে

বৃষ রাশির জাতক হওয়ায় আপনি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী ও দৃঢ়চেতা স্বভাবের। খুব সহজেই অন্যের উপর নিজের প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে অনেকাংশে নারীর সৌন্দর্যকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। অপরদিকে এ রাশির জাতিকা হিসাবে আপনি অনেক আবেগপ্রবণ আর ভীতু প্রকৃতির হলেও প্রেমে নিজেকে সহসাই সাহসী প্রমাণ করতে পারেন। আপনি তুলা এবং ধনু রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করে থাকেন খুব সহসাই। কিন্তু মনে রাখবেন, কন্যা এবং মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করে থাকেন খুব সহসাই। কিন্তু মনে রাখবেন, কন্যা এবং মকর রাশির জাতক-জাতিকারা আপনার জন্য হতে পারে সবচেয়ে সুখকর জুটি। তবে কর্কট এবং মীন রাশির জাতক-জাতিকারাও আপনার সুখী জুটি হতে পারে। বৃষ রাশির সুপ্রিয় জাতক-জাতিকা আপনি ২০১৪ সালের এই বছরটিতে একটি আনন্দঘন ও ভালোবাসাপূর্ণ যৌনজীবন উপভোগ করতে যাচ্ছেন। তবে এজন্য আপনাকে কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হতে পারে। প্রায় সারাটি বছর ধরেই আপনাকে আপনার মনের মানুষের পছন্দটাকেই বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হতে পারে। আপনাকে হতে হবে যথেষ্ট উন্মুক্ত চিত্তের। সঙ্গীকে তার মতো করে বাঁচতে দিন। তার পছন্দ তাকেই করতে দিন। এমনকি তার কর্তব্যগুলো তাকেই অনুধাবন করতে এবং তা পালন করতে দিন। বছরের মধ্যভাগে (জুন-জুলাই) অযাচিত কিছু ভুলের জন্ম নিতে পারে আপনার সুখের ঘরে। বেশিদিন পুষে রাখবেন না। শুক্র গ্রহের প্রভাবে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে আপনার প্রেমের ঘরে অবিস্মরণীয় চমৎকারিত্বের সৃষ্টি হবে, যাতে আপনি একটি সুগভীর ভালোবাসার বন্ধনে মেতে উঠবেন। এ সময় অলস হয়ে ঘরে বসে থাকবেন না। বরং আনন্দভ্রমণে বেরিয়ে পড়ুন দুজনে।

মিথুন (Gemini )
যাদের জন্ম ২১ মে  থেকে ২০ জুন তারিখের মধ্যে

জাতক হোন আর জাতিকাই হোন প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে খানিকটা নাটকীয়তা করা আপনার বৈশিষ্ট্য। অপর লিঙ্গকে খুব সহজেই আকৃষ্ট করতে পারেন। আপনি। তবে যদি কাউকে একবার ভালো লেগে যায় তখন আপনি একজন নিবেদিতপ্রাণ। বৃশ্চিক এবং মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতি আপনার আকর্ষণ আপনার সহজাত। তবে তুলা এবং কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা আপনার সহজাত। তবে তুলা এবং কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা আপনার জন্য সবচেয়ে সুখকর জুটি। মেষ এবং সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারাও সুখী জুটি হতে পারে। তবে ধনু রাশিকে এড়িয়ে চলা আপনার জন্য ভালো। সর্বোপরি খুব একটা ভালো কাটবে না ২০১৪ সাল। এক সময় আপনার মনে হতে পারে ভালোবাসার কোনো অর্থ নেই। প্রথম দিকে আপনার ধৈর্য ও নান্তরিকতার ঘরে অবস্থানরত প্রেমের দেবী শুক্রের প্রভাব ক্ষীণ হতে থাকবে। ফলে ভালোবাসার প্রতি আপনার মোহ কিংবা আকুতি দুটোই কমে যেতে পারে। তবে বছরের মধ্যম ভাগে আপনার ভালোবাসার ঘরে থাকা মঙ্গল গ্রহের প্রভাবে আপনার হৃদয়াত্মা ভালোবাসার আকুতিতে ফেটে পড়তে পারে। এ সময়টিতে আপনি সবচেয়ে রোমাঞ্চকর কিছু মুহূর্ত কাটাতে পারেন। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক এ সময়টাতে বিয়েতে পরিণত হতে পারে। তবে যারা এখনও একাকী রয়েছেন তাদের প্রেম-ভালোবাসার ঘরকে বিপরীতমুখে চালিত করতে পারে। ফলে বিবাহিতদের কারো কারো সংসারে কথা কাটাকাটি লেগে যেতে পারে। ভালোবাসার মানুষের জন্য বিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারেন। অতএব, অযথা কোনো ঝামেলায় জড়াবেন না। যতটা সম্ভব প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকুন। একে অপরকে ভালো করে বুঝতে চেষ্টা করুন। অপরের মতামতকে মূল্য দিন। একটি রোমাঞ্চকর বছরের দায়ভার গ্রহণ করুন।

কর্কট (Cancer)
যাদের জন্ম ২১ জুন থেকে ২২ জুলাই তারিখের মধ্যে

পার্টনারের ভালো-মন্দের ব্যাপারে আপনার খেয়ালি মনোভাব আপনার পার্টনারকে বেশ সুখী করে তোলে। তারপরেও স্বভাবগতভাবেই এরা ধনু এবং কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে থাকে। তবে বৃশ্চিক এবং মীন রাশির জাতক-জাতিকারা এদের জন্য সবচেয়ে সুখকর জুটি হয়ে থাকে। বৃষ এবং কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারাও সুখী জুটি হতে পারে। মকর রাশিকে এড়িয়ে চলা এদের জন্য ভালো। শুক্র গ্রহ কিছুটা মুখ ঘুরিয়ে রাখলে আপনি প্রেম বিষয়ে কিছুটা উদাসীন হয়ে পড়তে পারেন। আর এভাবেই শুরু হতে যাচ্ছে আপনার ২০১৪ সাল। বছরটি আপনি অনেক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে পার করতে পারেন। একবার ভালো, একবার মন্দ। যদি কেউ এখনও একা থাকেন তবে প্রথম দিকে আপনার এমন মনে হতে পারে- কেউ আপনাকে চায় না। আপনাকে ভালোবাসে না। বুধের দুর্বল প্রভাবে প্রিয়জনের সাথে আপনার দূরত্ব ক্রমশ বেড়ে যেতে পারে। এতে ভুল বোঝাবুঝির উদ্রেক হতে পারে। আপনি নীরস হয়ে পড়তে পারেন। তবে মঙ্গলগ্রহ জুলাই মাসে আপনার ভালোবাসার আঙ্গিনায় আসলে আপনি পূর্ণাবেগে আপনার ভালোবাসার জগতে প্রবেশ করতে পারবেন। কারও কারও পুরাতন প্রেম জোড়া লাগতে পারে। আবার কেউ কেউ নতুন কোনো প্রেমে জড়িয়ে পড়তে পারেন। অতএব কখনও আশা হারাবেন না। বরং যতটা সম্ভব প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন।

সিংহ (Leo)
যাতের জন্ম ২৩ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট তারিখের মধ্যে

বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ সিংহ রাশির জাতক-জাতিকাদের একজন আন্তরিক সঙ্গী হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে। সূর্যের প্রভাবদুষ্ট আপনি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। একাধিকবার প্রেমে পড়া আপনার স্বভাব। মকর এবং মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতি আকর্ষণ থাকলেও মেষ এবং ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা আপনার জন্য সবচেয়ে সুখকর জুটি হয়ে থাকে। কুম্ভ রাশির সাথে দুরত্ব বজায় রাখা আপনার জন্য ভালো। ২০১৪ সালের পুরো বছর নেপচুন আপনার ধৈর্য আর আন্তরিকতার ঘরে অবস্থান করবে। এর প্রভাবে আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গলাভে যেকোনো স্থানে যেকোনো দিগন্তে চলে যেতে সদাপ্রস্তুত থাকবেন। মঙ্গলগ্রহের প্রভাব ফেব্রুয়ারি মাসে আপনার প্রেম-ভালোবাসা এবং আন্তরিকতাকে পেছনের দিকে টেনে ধরতে পারে। তখন আপনার যেকোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়তে পারে। আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর এ সময় প্রেমের দেবী শুক্র গ্রহের কল্যাণে আপনি বছরের সবচেয়ে রোমান্টিক যৌনমুহূর্তগুলো কাটাতে পারেন। বছরের শেষ ভাগে দায়িত্ববান শনি আপনাকে মিথ্যা রঙিন জগৎ থেকে বাস্তবে নিয়ে আসবে। এতে আপনার পুরাতন প্রেম পুনরায় জোড়া লেগে যেতে পারে।

কন্যা (Virgo)
যাদের জন্ম ২৩ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যে

মিষ্টি স্বভাবের কারণে কন্যা রাশির জাতক-জাতিকাদের ভালোবাসার কোনো অভাব হয় না। ভালোবাসার ক্ষেত্রে কখনোই এদের বোঝাপড়ার অভাব হয় না। যৌনক্রিয়ার ক্ষেত্রে এরা প্রকৃতিগতভাবেই খানিকটা বিস্ফোরণোন্মুখ স্বভাবের। স্বভাবগত কারণেই আপনি মেষ এবং কুম্ভ রাশির বিপরীত জাতক-জাতিকাদের প্রতি সহসাই আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তবে আপনার জন্য সবচেয়ে মানানসই হবে মকর এবং বৃষ রাশির জাতক-জাতিকা। উপররন্তু, কন্যা রাশির উপযুক্ত জুটি হতে পারে বৃশ্চিক, মকর, মীন এবং কর্কট। ২০১৪ সালের এই বছরটি প্রথম অর্ধেক ভাগে রোমান্সের জগতে আপনি বেশ মঙ্গলজন্ক ইঙ্গিত পেতে পারেন। যারা বিবাহবন্ধনে ইতোমধ্যে আবদ্ধ রয়েছেন তাদের জন্য জুলাই নাগাদ খুব ভালো সময়। সময়টি ভালোবাসার। দুজন-দুজনার আরো কাছাকাছি হবার। যতটা সময় পাবেন ভালোবাসার মানুষের কাছাকাছি থাকুন। নচেৎ বিচ্ছেদের মতো দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। দিনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্তে সততার সাথে ভালোবাসার চরম আনন্দময়তার স্পর্শ অনুভব করুন। আপনার জন্যে তা হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত মানসিক প্রশান্তি। নচেৎ তিল পরিমাণ ভুল সিদ্ধান্ত আপনার জন্য চরম দুঃখ ডেকে আনতে পারে। বছরের মধ্যভাগে আপনার পেশাগত কাজের প্রয়োজনে আপনাকে অনেকদিন ঘরের বাইরে থাকতে হতে পারে বা জনস্বার্থে আত্মনিয়োগের ফলে আপনার পারিবারিক সম্পর্কে কিছুটা ভাটা নেমে আসতে পারে। কারণ এসময়ে আপনাকে বিশেষভাবে শাসন করতে যাচ্ছে কঠোর কর্মদাতা শনি। কিন্তু জীবনে যাই ঘটুক, মনের মানুষের সাথে সম্পর্কে কোনো প্রকার অনীহা প্রকাশ করবেন না। এর প্রভাব আপনার উদ্ভাবনী শক্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলতে পারে।
একজন সত্যিকারের প্রেমিক-প্রেমিকা হিসাবে আপনার বেশ সুখ্যাতি আছে। প্রেমের প্রতি আপনার ঐকান্তিক উৎসাহ এবং সত্যিকারের আকর্ষণ আপনাকে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে উদ্ধার করে থাকে। এ বছরে যারা এখনও সঙ্গীহীন, তাদের জন্য বিশেষ সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে। আপনার ঐকান্তিক চাওয়ার প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগ দিন। মনের মধ্যে সাহস সঞ্চয় করুন। কোনো চিঠি নয়। অন্য কোনো মিডিয়া নয়। সরাসরি বলে ফেলুন তাকে আপনার কথা, আপনার ইচ্ছার কথা। তবে আপনার আকাঙ্ক্ষাগুলো মনের মানুষের উপর চাপিয়ে দিবেন না। এমন কিছুই করবেন না, যা তার নিকট অসহ্যকর বলে মনে হয়। সুযোগকে কাজে লাগান। মনে রাখবেন , এবারে না পারলে অনেক বছরের জন্য আপনার এই সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। একটি সুস্থ ও সুন্দর প্রেমময় জীবনে প্রবেশ করুন।

তুলা (Libra)
যাদের জন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর তারিখের মধ্যে

জুটি হিসেবে তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ রোমান্টিক হয়ে থাকে। প্রেমের দেবী শুক্র এদের নিয়ন্ত্রক হওয়ায় এদের প্রেমাবেগ খুব সহজেই বিপরীত লিঙ্গকে নিজের বশে আনতে পারে। তবে জুটি হিসেবে মিথুন এবং কুম্ভরাশির জাতক-জাতিকা তুলারাশির জন্য সবচেয়ে উপযোগী। তবে তারা সিংহ, কুম্ভ এবং নিজেদের জাতক-জাতিকাদের মধ্যে থেকেও তাদের জুটি বেছে নিতে পারেন। মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের এড়িয়ে চলা উচিত হবে। বিবাহিতদের কারও কারও সংসারে বুল বোঝাবুঝির সুষ্টি হতে পারে। তবে বছরের শেষদিকে আপনার বেশি আগ্রহ না থাকলেও আপনি একটি রোমান্টিক সম্পর্কের কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত বা অপ্রত্যাশিত রোমান্টিক প্রাপ্তি দিয়ে বছরটি পার করতে যাচ্ছেন। আপনি যখন যে রকমটি চাইবেন সে রকমটি নাও পেতে পারেন। কারণ খামখেয়ালি ইউরেনাস সারাটি বছর আপনার ভালোবাসার ঘরকে কম বেশি প্রভাবিত করবে। এর সাথে যুক্ত হতে যাচ্ছে বুধ এবং মহাজাগতিক প্রেমিক মঙ্গল গ্রহ। তাই প্রথম দিকে ভালোবাসার প্রতি আপনার আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যাবে। তবে আশানুরূপ ফল পাবেন না। মনের মানুষকে নিয়ে কোনো আনন্দভ্রমণে যেতে পারেন। কেউ কেউ নতুন কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েত পারেন।

বৃশ্চিক (Scorpio)
যাদের জন্ম ২৩ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর তারিখের মধ্যে

বৃশ্চিক জাতক-জাতিকারা উভয়ই সাধারণত উদার মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে থাকে্ তারা সহজেই অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তবে প্রেম প্রায়শ্চই তাদের জীবনে খুব একটা সুখকর হয় না। কর্কট এবং মীন রাশির জাতক-জাতিকারা এদের জন্য সবচেয়ে সুখকর জুটি হয়ে থাকে। তবে বৃষ রাশিকে এড়িয়ে চলা এদের জন্য ভালো। আপনি একজন নীরব প্রেমিক-প্রেমিকা। নেপচুন সারা বছর আপনার ভালোবাসার ঘরে অবস্থান করবে। আপনি এ বছর আপনার মনের মানুষের খুব কাছাকাছি থাকতে চাইবেন সারাটি বছর। আপনার প্রেমাবেগ আপনার মনকে প্রবলভাবে তার কাছে আপনাকে বেঁধে রাখবে। তবে ফেব্রুয়ারির দিকে বুধ আপনার কাছ থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখলে আপনি ধৈর্যহীন হয়ে পড়তে পারেন। প্রিয় মানুষের সাথে ভুল বোঝাবুঝির উদ্রেক হতে পারে। এ সময়ে কারও কারও সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। বছরের মাঝামাঝিতে আপনার আন্তরিকতার ঘরে বুধের বিরোধী প্রভাব বিরাজ করতে পারে। তখন আপনি একা বোধ করতে পারেন। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এ সময়ে আপনার পুরানো কোনো বন্ধু আপনার জীবনে ফিরে আসতে পারে।

ধনু (Sagittarius)
যাদের জন্ম  ২২ নভেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে

অন্তর্নিহিত শক্তি ও স্নিগ্ধ স্বভাবের কারণে ধনু রাশির জাতকদের তুলনায় জাতিকাদের প্রেমের সম্পর্ক বেশ সুখের হয়ে থাকে। কারণ এরা খুব সহজেই বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করতে পারে। মেষ এবং সিংগ রাশির জাতক-জাতিকারা এদের জন্য সবচেয়ে সুখকর জুটি হয়ে থাকে। তবে তুলা এবং কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারাও সুখী জুটি হতে পারে। সুপ্রিয় ধনু রাশির জাতক-জাতিকা ২০১৪ সালে আপনি খুব ভাগ্যবান হতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতি প্রথম থেকেই আপনার আন্তরিকতার ঘরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এ সময়ে আপনি প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন। কারও কারও ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে। এ সময় অনেকের ব্যর্থ প্রেমের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিতে পারে। তাছাড়া ইউরেনাস প্রায় সারা বছরই আপনার প্রেমের ঘরে বসবাস করবে। এর ফলে কিছুটা খামখেয়ালি মনোভাব আপনাকে প্রায় আচ্ছন্ন করে রাখতে পারে। ফলে আপনার প্রিয়জনের মনের কোণে সন্দেহের বীজ বুনে যেতে পারে। এদিকে খুব সতর্ক দুষ্টি রাখতে হবে। অন্য সময়ের তুলনায় বেশি করে সময় বের করুন। প্রিয়জনকে সময় দিন। বুধ জুন-জুলাইয়ের দিকে আপনার ভালোবাসার ঘরে প্রবেশ করলে প্রেমের উদ্দীপনায় আপনি ভেসে যেতে পারেন। ভালো লাগা মানুষের প্রতি আপনার আকর্ষণ বেড়ে যেতে পারে। কারও কারও প্রেমের প্রস্তাবে তাড়াহুড়ো করে সাড়া দিতে হতে পারে। তাই প্রেমের ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নিন।

মকর (Capricon)
যাদের জন্ম ২২ ডিসেম্বর থেকে ১৯ জানুয়ারি তারিখের মধ্যে

প্রেমের ক্ষেত্রে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আগ্রহে কখনো কোনো ভাটা পড়ে না। তবে এদের পারিবারিক এবং দাম্পত্যজীবন খানিকটা ঘাত-প্রতিঘাতময়। মকর জাতক-জাতিকাদের জন্য উত্তম জুটি হতে পারে বৃষ, কন্যা, বৃশ্চিক এবং মীন। ২০১৪ সালটি সব দিকে দিয়েই আপনার প্রেম-ভালোবাসাকে বেশ আনন্দময় করে তুলতে পারে। আপনি আপনার মনের মানুষের সঙ্গ উপভোগ করতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠতে পারেন। একটি জ্বলন্ত যৌনাকাঙ্ক্ষা আপনার প্রিয়জনকে সবসময় আপনার দিকে টেনে রাখবে। আপনি আরও তীব্র ভালোবাসায় উজ্জ্ব্ল হয়ে উঠতে পারেন। এই সব হতে পারে কারণ বৃহস্পতি জুলাই পর্যন্ত আপনার প্রেম-ভালোবাসা ও আন্তরিকতার ঘরে অবস্থান করবে। এপ্রিল মাসে আপনার ভালোবাসার ঘরে সূর্য গ্রহণ প্রবেশ করলে আপনার যৌনাকাঙ্ক্ষা একটি বিশেষ গতি লাভ করতে পারে। তখন আপনি খুব সহজেই আপনার ভালো লাগার মানুষের ভালোবাসা পেতে পারেন। যারা এখনই একা তাএদর মনের দরজায় কেউ কড়া নাড়তে পারে। কারো কারো ভেঙে যাওয়া প্রেম আবার জোড়া লাগতে পারে। তবে জুন-জুলাইয়ের দিকে বুধ কিছুটা পশ্চাৎপদ হওয়ায় আপনার প্রেমে কিছুটা ভাটাও চলে আসতে পারে। যতটা সময় প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন। তার পছন্দ-অপছন্দকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করুন।

কুম্ভ (Aquarius)
যাদের জন্ম ২০ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখের মধ্যে

আবেগপ্রবণ স্বভাবের হওয়ায় কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের মাঝে এমন কিছু আর্ষণীয় বিষয় থাকে, যা বিপরীত লিঙ্গকে খুব সহজেই মুগ্ধ করে রাখতে পারে। মিথুন এবং তুলা রাশি এদের জন্য উত্তম জুটি হয়ে থাকে। সিংহ রাশিকে এড়িয়ে চলা এদের জন্য ভালো। ২০১৪ সালের এ বছরটিতে আপনি বৃহস্পতির ছোঁয়া পেতে যাচ্ছেন আপনার ভালোবাসার ঘরে। বছরের প্রায় পুরোটা সময় ধরে সে আপনাকে প্রভাবিত করবে। তবে যখন আপনি ভালোবাসার সম্পর্কে জড়াবেন তখন এটা ভালোভাবে নিশ্চিত হোন যে আপনার ভালোবাসার সম্পর্কটি একটি নিশ্চিত পথের দিকে এগোচ্ছে। তা নাহলে ভবিষ্যতে আপনাকে এর জন্য দুঃখ পোহাতে হতে পারে। এ বছরে যদি আপনি কোনোএ সম্পর্কের সাথে যুক্ত থাকেন তবে তা বিবাহের দিকে ধাবিত হতে পারে। আর যদি একা থাকেন তবে নতুন কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েত পারেন। তবে সেক্ষেত্রে সদাহাস্যময়ী জাতক-জাতিকাদের কারও সাথে সম্পর্ক করাটা আপনার জন্য ভালো হবে। বছরের শেষভাগে কারও কারও ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক আবার জোড়া লাগতে পারে।

মীন (Pisces)
যাদের জন্ম ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ তারিখের মধ্যে

নেপচুন এবং সহযোগী নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে বৃহস্পতি গ্রহের প্রভাবে মীন রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত আদর্শবাদী এবং রোমান্টিক হয়ে থাকে। এরা খুবই বন্ধুভাবাপন্ন এবং গভীর মনের অধিকারী। স্বভাবতভাবেই এরা সিংগ এবং তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে থাকে। তবে কর্কট এবং বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা এদের জন্য সবচেয়ে সুখকর জুটি হয়ে থাকে। বৃষ এবং মকর রাশির জাতক জাতিকারও সুখী জুটি হতে পারে। প্রেমময় জীবনের ভারটা ২০১৪ সালে বৃহস্পতির উপরই ছেড়ে দিন।
আপনার জন্য পুরো বছরটাই যৌনাকাঙ্ক্ষার জন্য নিবেদিত হতে যাচ্ছে। হয়ত এমন কাউকে পেয়ে যেতে পারেন যাকে আপনি আপনার আকাঙ্ক্ষা ফসল বলতে পারবেন। বাঁধহীনভাবেই আপনার ভালোবাসাকে উপভোগ করুন। প্রিয়জনকে আরো কাছাকাছি রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। এ বছর অনেকেই প্রেমের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া পাবেন। তবে বছরের মাঝামাঝির পরে কিছুটা দিন আশানুরূপ ফল নাও পেতে পারেন। তবে নিরাশ না হয়ে রবং আপনার ঐকান্তিক ভালোবাসায় প্রিয়জনকে ভরিয়ে রাখুন। কারণ কুব অল্পদিনের মধ্যেই স্বর্গীয় ভালোবাসার টানে সব মেঘ কেটে যাবে। একটা অনাবিল স্বর্গীয় ভালোবাসার টানে সব মেঘ কেটে যাবে। একটা অনাবিল স্বর্গীয় আনন্দ লাভ করতে পারবেন আপনার মনের মানুষের কাছ থেকেই। বছরের শেষ সময়টাতে শুক্র ও নেপচুন যৌথভাবে আপনার আন্তরিকতার ঘরে প্রবেশ করবে। তখন আপনি আপনার বন্ধুদের বা মনের মানুষের সাথে আনন্দদায়ক চরম মুহূর্ত উপভোগ করতে পারবেন।

নতুন প্রেমে সফল হওয়ার কৌশল



বেশ কয়েক দিনে ধরে একজনকে খুব ভাল লাগছে। কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছেন না কী করবেন। আসলে আপনি খুব `কনফিউজড` আপনার এই ভাললাগা অথচ কিছুটা কঠিন সময়ের জন্য থাকল কিছু টিপস


১) চোখের ভাষা বোঝো
বেশ কয়েকদিন ধরে তো ওর দিকে দেখেছেন, ভেবে দেখুন তো একবারও কি চোখের মাধ্যমে কোনও সংকেত আদানপ্রদান হয়েছে কি। যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে বলব, এবার বোঝার চেষ্টা করো ওই দুটো চোখ ঠিক কী বলতে চাইছে। উত্তরটা নেগেটিভ নাকি পজেটিভ সেটা মাথা দিয়ে, অঙ্ক দিয়ে ঠান্ডা মাথায় বিচার করুন। মনে রাখবে ওই অঙ্কটা কিন্তু আপনার আগামী কটা দিনের জন্য হয়ত বা আজীবনের জন্য খুব গুরত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আর তাই চোখের ভাষাটা শুধু নিজের পছন্দের মত করে মানে করবে না, আর চোখের সংকেতকে ভাষায় পরিণত করার কঠিন কাজটা নিজেই করুন, প্লিজ বন্ধুদের সাহায্য নেবেন না। এতে বিভ্রান্তি বাড়বে।

যদি চোখের মাধ্যমে কোনও এখনও কোনও যোগাযোগ স্থাপন না করে থাকেন তাহলে বলব, এখুনি করে ফেলুন। হ্যাঁ, না এসবের কিছু একটা কিছু একটা সংকেত অবশ্যই পাবেন। মনে রাখবেন চোখটা মনের আয়না। চোখে অবশ্যই মনের প্রতিফলন পড়বে। এবার আপনার ব্যাপার সেই আয়নার ছবিটাকে আপনি ঠিক কী মানে করবেন।

২) পছন্দের মানুষটার ভালো লাগা-খারাপ লাগাগুলো জানুন


আস্তে আস্তে জানতে থাকুক পছন্দের মানুষটা ভাললাগা খারাপ লাগাগুলো ঠিক কীরকম। প্রিয় রঙ, প্রিয় সিনেমা, প্রিয় নায়ক- নায়িকা, পছন্দের পোষ্য, হবি এসব মোটা দাগের পছন্দের মধ্যেও অনেক বার্তা থাকে। মনে রাখুন কাউকে ভালবাসতে হলে তার ভাললাগাকে ভালবাসতে হয়। হতে পারে আপনি হয়তো একটু `সেকেলে`, আর আপনার পছন্দের মানুষটা হয়ত লেট নাইট পার্টি আর হেভি ড্রিংকস তত্ত্বে বিশ্বাসী .. কিংবা হয়ত ঠিক তার উল্টোটা... ভেবে দেখেন এবার কী এগোতে চান!

৩) তাড়াহুড়ো করবেন না---- এমন একটা মনের অবস্থায় সবচেয়ে কঠিন কাজ নিজেকে শান্ত রাখা। নিজের মনের কথা জানানোর আগে কয়েকবার ভেবে নিন আপনার ভালবাসাটা অপাত্রে দান হয়ে যাচ্ছে না তো। এতে হয়তো এতে কিছুটা সময় যাবে, কিন্তু মনে রাখবেন ভাল জিনিস পেতে গেলে তাড়াহুড়ো করলে চলে না। এই যে খনি থেকে কত কয়লা ভাঙলে তবে একটা হিরে পাওয়া যায়। শ্রমিকরাই বলে, কত কয়লা এমন পড়ে নষ্ট হয়ে যায় যেগুলো শুধু তাড়াহুড়োর কারণেই হিরে আছে কিনা জানা যায় না। সম্পর্কস্থাপনের প্রক্রিয়াটাও ঠিক কয়লা থেকে হিরে বের করে আনার মত। তাড়াহুড়ো করলে অনেক দামী জিনিস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৪) প্রস্তাবের দিন (First Dating)--- এই দিনটা একটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটায় নিজেকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখুন। আলাদা করে নিজেকে সাজিয়ে রাখবেন না। আপনি যেরকম সেরকমই নিজেকে উপস্থাপন করুন। নিজের পেশা, ভাললাগাগুলো সত্যি সত্যিই বলুন.. মনে রাখবেন আমরা অনেক সময় মোড়ক দেখে জিনিস কিনি ঠিকই, কিন্তু সেই জিনিসটা ভাল না হলে ব্যবহার করি না শুধুই সাজিয়ে রাখি। তাই মোড়ক নয় আসল আমিটাকেই তোমার প্রিয় মানুষটার সামনে তুলে ধরুন। হতে পারে সেটা তাঁর দারুণ পছন্দের হল না। কিন্তু সততা আর সত্যির একটা আলাদা মুল্য আছে। ভালবাসার ক্ষেত্রে কথাটা বড় বেশি করে সত্যি।

৫) সত্য রে লও সহজে-- লুডো খেলেছেন কখনও। তা হলে তো জানেনই, এই যে আমরা ডায়াস মানে গুটিটা যখন কোর্টের মধ্যে ছুঁড়ি তাতে ছক্কার পরার সম্ভাবনা থাকে ১/৬ ভাগ। অঙ্ক জিনিসটা বড় কাঠখোট্টা, ওসব হিসাবটিসাব মানে না। আপনি যাকে প্রেমের প্রস্তাব করছেন তার কাছ থেকে পজেটিভ উত্তর আসার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। আবার প্রত্যাখানের সম্ভাবনাটাও ওই ৫০ ভাগ। এই অঙ্কটা যদি বুকে পাথর চড়িয়েও মেনে নেন তাহলে ভাল। প্রস্তাবের দিন ওর মুখে না শুনে নিজেকে বদলে ফেলেন না, জোর করবেন না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কথাটা খুব বলতেন সেটা মেনে নিন। সত্য রে লও সহজে...আর অবশ্যই উত্তর যদি হ্যাঁ আসে তাহলে একেবারে সপ্তম স্বর্গে উঠে যাবেন না। মনে রাখবেন যেই মুহূর্তে উত্তর হ্যাঁ এল আপনার ওপর অনেক দায়িত্ব এল। আসল দায়িত্বটা হল যে মানুষটা আপনাকে এত বিশ্বাস করে হ্যাঁ বলল, সেই বিশ্বাসটা ফিরিয়ে দেওয়ার। এটা কিন্তু অনেক কঠিন কাজ।

৬) যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখুন--- প্রস্তাব করার পর উত্তর যাই আসুক যোগাযোগ যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখেন। জানি কথাটা মুখে বলা অনেক সহজ, করা কঠিন। কিন্তু শুধু আপনার প্রস্তাবে না করেছে বলে আপনি দেবদাস হয়ে পাগলামি করবেন কিংবা শক্তি কাপুরের মত ভিতু হয়ে লেজ গুটিয়ে পালাবেন এমন কাজ করবেন না। তবে হ্যাঁ তাকে ভুলে যাওয়ার জন্য কদিন একটু দূরে থাকতেই পা্রেন। আর প্রেমের প্রস্তাবের উত্তর হ্যাঁ আসলে ফোন,এসএমএস, মেইলের সংখ্যা অতি উত্‍সাহে এমন বাড়িয়ে ফেলবেন না যাতে সে বিরক্ত হয়। মনে রাখুন আপনি যতই ক্ষুধার্ত হন বেশি খেলে কিন্তু বদহজম হয়ে যায়।

সব মেয়েরাই ছেলেদের কাছে যে ১০টি জিনিস চায়

নারীরা তার প্রিয় মানুষটির কাছে কতো কিছুই না চায়। পুরুষরা বলেন, নারীর চাওয়ার নাকি শেষ নেই। কিন্তু বহু মনো-পরীক্ষা আর গবেষণার পর এ রহস্যভেদের চেষ্টা চালিয়েছেন অভিজ্ঞরা। তারা বলছেন, সব নারীর মোটামুটি ১০টি মৌলিক চাওয়া আছে যা একজন পুরুষের কাছে তারা আশা করে থাকে। এ ১০টি বিষয় জেনে রাখলে আপনি প্রেমিকা বা অর্ধাঙ্গিনীকে অনেক সুখী করতে পারেন। বহু নারী নিজেরাই এ কথাগুলো বলেছেন। তাদের ভাষাতেই তুলে দেয়া হল।



১. ছেলেটা আমাকে শুধুই দেখতে চায়- এ আকাঙ্খা সব নারীরই থাকে তার পুরুষ সঙ্গীর কাছে। অবসরে মোবাইলে মিষ্টি মেসেজ, ফুল, চকোলেট, কার্ড, ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি কাজে ছেলেরা যেনো কখনোই ক্ষান্ত না দেয়। আমরা মনেপ্রাণে চাই যে আমার প্রেমিক যেনো এসব কাজ সবসময় করে।

২. আমরা নিরাপদ বোধ করতে চাই। একটা ছেলের সাথে সময় কাটানোর সময় যেনো মনে হয় পরিবারেরই কারো সাথে আছি। তাকে আমি চিনি-জানি। কাজেই ছেলেদর উচিত আমাদের কাছে নিজেকে স্পষ্ট করে তোলা।

৩. তুমি আমার সবকিছু, আমার প্রিয়তমা- এমনভাবেই যেনো ছেলেরা আমাদেরকে দেখে। মেয়ে হয়ে আমরা তোমাদের সমান নই, তা মানতে রাজি নই। আমাদের সব কাজেই তোমাকে এগিয়ে আসতে হবে তা কিন্তু নয়। আবার তাই বলে ছেলেদের ভদ্রতা বা সৌজন্যবোধ সম্পর্কে আমরা যথেষ্ট সজাগ। মেয়েরা আসলে পুরুষের কাছে নিজেদেরকে খুব ঐশ্বর্যমন্ডিত, আদুরে এবং সৌন্দর্য্যের উপমা হিসেবে দেখতে চায়।

৪. আমরা কথা বলতে পছন্দ করি। আর এসব কথা আমার প্রেমিক বা হাজবেন্ড মনযোগ দিয়ে শুনলে আমাদের আর কিছুই চাই না। সব কথাই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নয়। অযথা বকবক হলেও আমাদের কথা বলতে ভাল লাগে। ছেলেরা শুধু শুনলেই চলবে।

৫. আমরা আশা করি ছেলেরা যেনো সম্পর্কের নানা ঘটনা বা বিশেষ সময়টি মনে রাখে। কারণ সে যা পছন্দ করে তা নিশ্চয় মনে রাখে। ক্রিকেট খেলা কোন দিন বা অমুকের সঙ্গে মিটিং কবে এসব মনে রাখতে পারলে আমাদের প্রথম প্রপোজের দিন বা মেয়েদের জন্মদিন কেনো মনে রাখতে পারবে না।

৬. আমরা সাজগোজ করতে ভীষণ ভালবাসি। কাজেই যেকোনো সময় আমাদের রূপচর্চা বা সাজসজ্জার ব্যাপারে উদার হতে হবে। আর এ কারণে অন্যরা আমাদের দিকে একটু বেশি তাকালে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাওয়ার কিছু নেই। কারণ আমি সারাক্ষণ তোমার বুকেই আছি।

৭. ছেলেরা যা কথা দেয় সেগুলো রাখলে মেয়েরা বেজায় খুশি হয়। মেয়েরা হালকা সৌজন্যবোধ পছন্দ করে। ছেলেদের সময়ানুবর্তীতা আমাদের কাম্য। আর যদি কিছু পরিবর্তন ঘটতে থাকে তাদের মনে, তবে তা খোলাসা করে বলে দেয়াই ভাল।

৮. মেয়েদের মন থেকে ভালবাসতে হবে। ঠিক যেমন ছেলেরা মেয়েদের মোহনীয় সৌন্দর্য্যে পাগল, আমরাও তেমনি স্বপ্নীল প্রেমালাপ আর খাঁটি ভালবাসা পেতেই অপেক্ষা করি।

৯. আমরা খেলা ও খেলতে পছন্দ করতে পারি। তবে তা যে ছেলেটির পছন্দের হতে হবে তা কিন্তু নয়।

১০. এটা ছেলেরা হয়ত বিশ্বাস করতে চাইবে না; কিন্তু একেবারে সত্যি। আমরা সবসময় ছেলেদেরকে তাদের আড্ডা থেকে দূরে রাখতে চাই না। আমরা বুঝি যে এসবের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আমাদেরও বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিতে অনেক ভাল লাগে।

খুব সহজ সরল বিষয়। এই ব্যাপারগুলো একটু খেয়াল করে পালন করলেই একটি ছেলে তার প্রিয়তমার অনেক চাওয়া-পাওয়া পূরণ করতে পারে। মেয়েরা নিজেরাই তা আপনাদের শিখিয়ে দিয়েছেন অবলীলায়।

বন্ধুর প্রেমে পরলে কি করবেন





অর্ক এবং তনু (ছদ্মনাম) একসাথে একই কলেজে পড়াশুনা করে। আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। একে অপরের সাথে সুখ দুঃখের কথা শেয়ার করে। কিন্তু দিন বাড়ার সাথে সাথে অর্ক তনুর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। এক সময় অর্ক তনুকে অনেক পছন্দ করে ফেলে। কিন্তু বন্ধুত্তের জন্য মনের কথা বলতে পারে না। অনেক আকার ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করেও যখন কোন ফল পেল না তখন সে এস এম এস করে তাকে জানায়। বন্ধুর এমন কথা শুনে চমকে ওঠে তনু। কী করবে বুঝে উঠতে পারে না। বন্ধুকে যে শুধু বন্ধু হিসেবেই চায় সে, প্রেমিক হিসেবে নয়। কিন্তু অর্ক এদিকে তনুর জন্য অস্থির উদ্দীপনায় পড়ে আছে, যা অর্কর পড়াশুনা সহ স্বাভাবিক কাজগুলোর ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়তই ঘটছে এমন ঘটনা। কম বয়সের কোনো ছেলে বা মেয়ে ভবিষ্যতের কথা ভেবে বা বুঝে-শুনে যে বন্ধুর প্রতি ভালো লাগার কথা জানায় তা কিন্তু নয়। আবার যাকে ভালো লাগার বিষয়টি জানাচ্ছে, সেও তার মতো একই বয়সী বলে বুঝে উঠতে পারে না যে কী করবে। ‘তোমাকে না পেলে মরে যাব’ বন্ধুর এমন কথায় সে ভড়কে গিয়ে হয়তো না বুঝেই হ্যাঁ বলে ফেলে। আবার বন্ধুর পক্ষ থেকে উত্তরটি নেতিবাচক হলে ঘুমের ওষুধ খাওয়া, পরীক্ষা না দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। অপর পক্ষের বন্ধুর মানসিক অবস্থাও যে তখন খুব স্বাভাবিক থাকে তা নয়। কারণ, সে নিজেও তার বন্ধুর ভালো চায়। তাকে হারাতে চায় না।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ এহসান হাবীব বলেন, ‘আমাদের জীবনে অন্যতম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো বন্ধু। কৈশোরে বা কম বয়সে বন্ধুত্বকে ছাপিয়ে ভালো লাগা তৈরি হলে তখন উভয় পক্ষেরই বিষয়টি গ্রহণ ও মোকাবিলা করার মানসিক প্রস্তুতি থাকে না। ফলে না বুঝে তারা নানা রকম ভুল করে ফেলে। এ জন্য বাড়িতে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন সন্তান যেকোনো কথা এসে বলতে পারে। সন্তানকে ভুল না বুঝে তাকে সাহায্য করতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ এহসান হাবীব বলেন, ‘আমাদের জীবনে অন্যতম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো বন্ধু। কৈশোরে বা কম বয়সে বন্ধুত্বকে ছাপিয়ে ভালো লাগা তৈরি হলে তখন উভয় পক্ষেরই বিষয়টি গ্রহণ ও মোকাবিলা করার মানসিক প্রস্তুতি থাকে না। ফলে না বুঝে তারা নানা রকম ভুল করে ফেলে। এ জন্য বাড়িতে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন সন্তান যেকোনো কথা এসে বলতে পারে। সন্তানকে ভুল না বুঝে তাকে সাহায্য করতে হবে।’

পরামর্শঃ

১। কোনো বন্ধুকে বিশেষভাবে ভালো লাগলে আগে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে। কথাটি বলার উপযুক্ত সময় হয়েছে কি না তা বুঝতে হবে। যদি ভেবেই নেন না বলে থাকতে পারছেন না, তাহলে বলে ফেলুন। তবে এটিও মনে রাখতে হবে, যে বন্ধুকে ভালো লাগার কথা বলবেন তাঁর ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। তিনি প্রেমিক হিসেবে আপনাকে নাও মানতে পারেন। এটি মেনে নেওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি থাকতে হবে

২।  ভালো লাগা ভালোবাসায় জোর খাটে না, তাই বন্ধুকে কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়। বন্ধুর যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখা বুদ্ধিমানের কাজ

৩। সবকিছু ভাবাভাবির পর ধরা যাক বন্ধুটি বলেই দিল মনের না-বলা কথা। অপর পক্ষেরও তখন বন্ধু হিসেবে কিছু কর্তব্য আছে। যেকোনো ব্যর্থতাই মেনে নেওয়া কষ্টকর। নিজের অপারগতার কথা হঠাৎ করেই রূঢ়ভাবে প্রকাশ না করে বা তাঁকে এড়িয়ে না গিয়ে স্বাভাবিক থাকতে হবে। বন্ধুকে বোঝাতে হবে এ 
মুহূর্তে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়া বেশি জরুরি।

৪।  অন্য বন্ধুদের সামনে বন্ধুর ভালো লাগা নিয়ে হাসিঠাট্টা করা উচিত নয়। তাঁকে অপমানিত ও লজ্জিত না করে আগের মতো বন্ধু হয়ে পাশে আছেন, এটি বোঝাতে হবে।

৫। বন্ধুকে সময় দিতে হবে। শুধু দুজন একসঙ্গে না থেকে দলের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে

৬। বন্ধুর ভালোর জন্য সব বন্ধু মিলে আলোচনা করতে পারেন। তবে বন্ধু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে মনোবিজ্ঞানীর শরণাপন্ন হতে হবে। আপনি যে তাঁর সত্যিকারের বন্ধু, তা প্রকাশ পাবে এভাবেই

আগেই বলেছি এটার পরামর্শ পত্রিকা থেকে সংগৃহীত। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।

সৌন্দর্য্য ও প্রেম


সৌন্দর্য্যের কারণ


পূর্ব্বে এক স্থানে বলিয়াছি, যে, যখন জগতের স্বপক্ষে থাকি তখনই আমাদের প্রকৃত সুখ, যখন স্বার্থ খুঁজিয়া মরি তখনই আমাদের ক্লেশ, শ্রান্তি, অসন্তোষ। ইহা হইতে আর-একটা কথা মনে আসে। যাহাদিগকে আমরা সুন্দর বলি তাহাদিগকে আমাদের কেন ভাল লাগে?

পণ্ডিতেরা বলেন, যে সুন্দর তাহার মধ্যে বিষম কিছুই নাই; তাহার আপনার মধ্যে আপনার পরিপূর্ণ সামঞ্জস্য; তাহার কোন-একটি অংশ অপর-একটি অংশের সহিত বিবাদ করে না; জেদ করিয়া অন্য সকলকে ছাড়াইয়া উঠে না; ঈর্ষ্যাবশতঃ স্বতন্ত্র হইয়া মুখ বাঁকাইয়া থাকে না। তাহার প্রত্যেক অংশ সমগ্রের সুখে সুখী; তাহারা ভাবে "আমরা যে আপনারা সুন্দর সে কেবল সমগ্রকে সুন্দর করিয়া তুলিবার জন্য'। তাহারা যদি স্বস্বপ্রধান হইত, তাহারা যদি সকলেই মনে করিত "আর সকলের চেয়ে আমিই মস্ত লোক হইয়া উঠিব', একজন আর এক জনকে না মানিত, তাহা হইলে, না তাহারা নিজে সুন্দর হইত, না তাহাদের সমগ্রটি সুন্দর হইয়া উঠিত। তাহা হইলে একটা বাঁকাচোরা হ্রস্বদীর্ঘ উঁচুনীচু বিশৃঙ্খল চক্ষুশূল জন্মগ্রহণ করিত। অতএব দেখা যাইতেছে, যথার্থ যে সুন্দর সে প্রেমের আদর্শ। সে প্রেমের প্রভাবেই সুন্দর হইয়াছে; তাহার আদ্যন্তমধ্য প্রেমের সূত্রে গাঁথা; তাহার কোনখানে বিরোধ বিদ্বেষ নাই। প্রেমের শতদল একটি বৃন্তের উপরে কি মধুর প্রেমে মিলিয়া থাকে! তাই তাহাকে দেখিতে ভাল লাগে। তাহার কোমলতা মধুর; কারণ কোমলতা প্রেম, কোমলতা কাহাকেও আঘাত করে না, কোমলতা সকলের গায়ে করুণ হস্তক্ষেপ করে, সে চোখের পাতায় স্নেহ আকর্ষণ করিয়া আনে। ইন্দ্রধনুর রংগুলি প্রেমের রং, তাহাদের মধ্যে কেমন মিল! তাহারা সকলেই সকলের জন্য জায়গা রাখিয়াছে, কেহ কাহাকেও দূর করিতে চায় না, তাহারা সুরবালিকাদের মত হাত-ধরাধরি করিয়া দেখা দেয়, গলাগলি করিয়া মিলাইয়া যায়। গানের সুরগুলি প্রেমের সুর, তাহারা সকলে মিলিয়া খেলাইতে থাকে, তাহারা পরস্পরকে সাজাইয়া দেয়, তাহারা আপনার সঙ্গিনীদের দূর হইতে ডাকিয়া আনে! এই জন্যই সৌন্দর্য্য মনের মধ্যে প্রেম জন্মাইয়া দেয়, সে আপনার প্রেমে অন্যকে প্রেমিক করিয়া তুলে, সে আপনি সুন্দর হইয়া অন্যকে সুন্দর করে।

সৌন্দর্য্য বিশ্বপ্রেমী

যে সুন্দর, কেবল যে তাহার নিজের মধ্যে সামঞ্জস্য আছে তাহা নয়; সৌন্দর্য্যের সামঞ্জস্য সমস্ত জগতের সঙ্গে। সৌন্দর্য্য জগতের অনুকূল। কদর্য্যতা সয়তানের দলভুক্ত। সে বিদ্রোহী। সে যে টিঁকিয়া থাকে সে কেবল মাত্র গায়ের জোরে। তাও সে থাকিত না, কারণ কতটুকুই বা তাহার গায়ে জোর -- কিন্তু প্রকৃতি তাহা হইতেও বুঝি সৌন্দর্য্য অভিব্যক্ত করিবেন।

মনের মিল

জগতের সাধারণের সহিত সৌন্দর্য্যের আশ্চর্য্য ঐক্য আছে। জগতের সর্ব্বত্রই তাহার তুলনা, তাহার দোসর মেলে। এই জন্য সৌন্দর্য্যকে সকলের ভাল লাগে। সৌন্দর্য্য যদি একেবারেই নূতন হইত, খাপছাড়া হইত, হঠাৎ-বাবুর মত একটা কিম্ভূত পদার্থ হইত, তাহা হইলে কি তাহাকে আর কাহারো ভাল লাগিত?

আমাদের মনের মধ্যেই এমন একটা জিনিষ আছে, সৌন্দর্য্যের সহিত যাহার অত্যন্ত ঐক্য হয়। এজন্য সৌন্দর্য্যকে দেখিবামাত্র তৎক্ষণাৎ   "আমার মিত্র" বলিয়া মনে হয়। জগতে আমরা "সদৃশকে" খুঁজিয়া বেড়াই। যথার্থ সদৃশকে দেখিলেই হৃদয় অগ্রসর হইয়া তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া ডাকিয়া আনে। কিন্তু সৌন্দর্য্যের মধ্যে যেমন আমাদের সাদৃশ্য দেখিতে পাই, এমন আর কোথায়? সৌন্দর্য্যকে দেখিলে তাহাকে আমাদের "মনের মত" বলিয়া মনে হয় কেন? সে-ই আমাদের মনের সঙ্গে ঠিক মেলে, কদর্য্যতার সঙ্গে আমাদের মনের মিল হয় না।

আমরা সকলেই যদি কিছু না কিছু সুন্দর না হইতাম, তাহা হইলে সুন্দর ভাল বাসিতাম না!

উপযোগিতা

যাহা আমাদের উপকারী ও উপযোগী, তাহাই কালক্রমে অভ্যাসবশতঃ আমাদের চক্ষে সুন্দর বলিয়া প্রতীত হয় ও বংশপরম্পরায় সেই প্রতীতি প্রবাহিত ও পরিপুষ্ট হইতে থাকে, এরূপ কথা কেহ কেহ বলিয়া থাকেন। তাহা যদি সত্য হইত তাহা হইলে লোকে অবসর পাইলে ফুলের বাগানে বেড়াইতে না গিয়া ময়রার দোকানে বেড়াইতে যাইত, ঘরের দেয়ালে লুচি টাঙ্গাইয়া রাখিত ও ফুলদানীর পরিবর্ত্তে সন্দেশের হাঁড়ি টেবিলের উপর বিরাজ করিত!

আমরা সুন্দর

প্রকৃত কথা এই যে, আমরা বাহিরে যেমনই হই-না কেন, আমরা বাস্তবিকই সুন্দর। সেই জন্য সৌন্দর্য্যের সহিতই আমাদের যথার্থ ঐক্য দেখিতে পাই। এই সৌন্দর্য্য-চেতনা সকলের কিছু সমান হয়। যাহার হৃদয়ে যত সৌন্দর্য্য বিরাজ  করিতেছে, সে ততই সৌন্দর্য্য উপভোগ করিতে পারে। সৌন্দর্য্যের সহিত তাহার নিজের ঐক্য ততই সে বুঝিতে পারে ও ততই সে আনন্দ লাভ করে। আমি যে ফুল এত ভালবাসি তাহার কারণ আর কিছু নয়, ফুলের সহিত আমার হৃদয়ের গূঢ় একটি ঐক্য আছে -- আমার মনে হয় ও একই কথা, যে সৌন্দর্য্য ফুল হইয়া ফুটিয়াছে সেই সৌন্দর্য্যই অবস্থাভেদে আমার হৃদয় হইয়া বিকশিত হইয়াছে; সেই জন্য ফুলও আমার হৃদয় চাহিতেছে, আমিও ফুলকে আমার হৃদয়ের মধ্যে চাহিতেছি। মনের মধ্যে একটি বিলাপ উঠিতেছে যে, আমরা এক পরিবারের লোক, তবে কেন অবস্থান্তর নামক দেয়ালের আড়ালে পর হইয়া বাস করিতেছি? কেন পরস্পরকে সর্ব্বতোভাবে পাইতেছি না?

সুদূর ঐক্য

সৌন্দর্য্যের ঐক্য দেখিয়াই বিক্‌টর হ্যুগো গান গাহিতেছেন।

মহীয়সী মহিমার আগ্নেয় কুসুম
সূর্য্য ধায় লভিবারে বিশ্রামের ঘুম।
ভাঙ্গা এক ভিত্তি-'পরে ফুল শুভ্রবাস,
চারি দিকে শুভ্রদল করিয়া বিকাশ
মাথা তুলে চেয়ে দেখে সুনীল বিমানে
অমর আলোকময় তপনের পানে;
ছোট মাথা দুলাইয়া কহে ফুল গাছে,
"লাবণ্য-কিরণ-ছটা আমারো ত আছে! "


"লক্ষান্তরেহর্কশ্চ জলেষু পদ্মঃ " ইহাদের মধ্যেও ঐক্য!

সুন্দর সুন্দর করে

সুন্দর আপনি সুন্দর এবং অন্যকে সুন্দর করে। কারণ, সৌন্দর্য্য হৃদয়ে প্রেম জাগ্রত করিয়া দেয় এবং প্রেমই মানুষকে সুন্দর করিয়া তুলে। শারীরিক সৌন্দর্য্যও প্রেমে যেমন দীপ্তি পায় এমন আর কিছুতে না। মানুষের মিলনে যেমন প্রেম আছে, পশুদের মিলনে তেমন প্রেম নাই, এই জন্য বোধ করি, পশুদের অপেক্ষা মানুষের সৌন্দর্য্য পরিস্ফুটতর। যে মানুষ ও যে জাতি পাশব, নিষ্ঠুর, হৃদয়হীন, সে মানুষের ও সে জাতির মুখশ্রী সুন্দর হইতে পারে না। দেখা যাইতেছে, দয়ায় সুন্দর করে, প্রেমে সুন্দর করে, হিংসায় নিষ্ঠুরতায় সৌন্দর্য্যের ব্যাঘাত জন্মায়। জগতের অনুকূলতাচরণ করিলে সুন্দর হইয়া উঠি ও প্রতিকূলতা করিলে জগৎ আমাদের গালে কদর্য্যতার চুনকালি মাখাইয়া তাহার রাজপথে ছাড়িয়া দেয়, আমাদিগকে কেহ সমাদর করিয়া আশ্রয় দেয় না।

শাস্তি

এ শাস্তি বড় সামান্য নয়। আমাদের নিজের মধ্যে সৌন্দর্য্যের ন্যূনতা থাকিলে, আমরা জগতের সৌন্দর্য্য-রাজ্যে প্রবেশাধিকার পাই না, ধরণীর ধুলা-কাদার মধ্যে লুটাইতে থাকি। শব্দ শুনি, গান শুনি না; চলাফিরা দেখিতে পাই, নৃত্য দেখিতে পাই না; আহার করিয়া পেট ভরাই, কিন্তু সুস্বাদ কাহাকে বলে জানি না। জগতের যে অংশে কারাগার সেইখানে গর্ত্ত খুঁড়িয়া অত্যন্ত নিরাপদে বৈষয়িক কেঁচো হইয়া বুড়া বয়স পর্য্যন্ত কাটাইয়া দিই, মৃত্তিকার তলবাসী চক্ষুবিহীন কৃমিদের সহিত কুটুম্বিতা করি, ও তাহাদের সহিত জড়িত বিজড়িত হইয়া স্তূপাকারে নিদ্রা দিই।

উদ্ধার

এই কৃমিরাজ্য হইতে উদ্ধার পাইয়া আমরা সূর্য্যালোকে আসিতে চাই। কে আনিবে? সৌন্দর্য্য স্বয়ং। কারণ, অশরীরী প্রেম সৌন্দর্য্যে শরীর ধারণ করিয়াছে। প্রেম যেখানে ভাব, সৌন্দর্য্য সেখানে তাহার অক্ষর; প্রেম যেখানে হৃদয়, সৌন্দর্য্য সেখানে গান; প্রেম যেখানে প্রাণ, সৌন্দর্য্য সেখানে শরীর; এই জন্য সৌন্দর্য্যে প্রেম জাগায় এবং প্রেমে সৌন্দর্য্য জাগাইয়া তুলে।

কবির কাজ

কবিদের কি কাজ এইবার দেখা যাইতেছে। সে আর কিছু নয়, আমাদের মনে সৌন্দর্য্য উদ্রেক করিয়া দেওয়া। উপদেশ দিয়া তত্ত্বনির্ণয় করিয়া প্রকৃতিকে মৃতদেহের মত কাটাকুটি করিয়া এ উদ্দেশ্য সাধন করা যায় না। সুন্দরই সৌন্দর্য্য উদ্রেক করিতে পারে। বৈষয়িকেরা বলেন ইহাতে লাভটা কি? কেবলমাত্র একটি  সুন্দর ছবি পাইয়া, বা সুন্দর কথা শুনিয়া উপকার কি হইল? কি জানিলাম? কি শিক্ষা লাভ করিলাম? সঞ্চয়ের খাতায় কোন্‌ নূতন কড়িটা জমা করিলাম? কিছুক্ষণের মত আনন্দ পাইলাম, সে ত সন্দেশ খাইলেও পাই। ততক্ষণ যদি পাঁজি দেখিতাম, তবে আজকেকার তারিখ বার ও কবে চন্দ্রগ্রহণ হইবে সে খবরটা জানিতে পাইতাম।

বৈষয়িকেরা যাহাই বলুন-না কেন, আর কোন উদ্দেশ্যের আবশ্যক করে না, মনে সৌন্দর্য্য উদ্রেক করাই যথেষ্ট মহৎ। কবিতার ইহা অপেক্ষা মহত্তর উদ্দেশ্য আর থাকিতে পারে না। সৌন্দর্য্য উদ্রেক করার অর্থ আর কিছু নয় -- হৃদয়ের অসাড়তা অচেতনতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা, হৃদয়ের স্বাধীনতাক্ষেত্র প্রসারিত করিয়া দেওয়া। সে কার্য্যে যাঁহারা ব্রতী, তাঁহাদের সহিত একটি ময়রার তুলনা ঠিক খাটে না।

অতএব কবিদিগকে আর কিছুই করিতে হইবে না, তাঁহারা কেবল সৌন্দর্য্য ফুটাইতে থাকুন -- জগতের সর্ব্বত্র যে সৌন্দর্য্য আছে তাহা তাঁহাদের হৃদয়ের আলোকে পরিস্ফুট ও উজ্জ্বল হইয়া আমাদের চোখে পড়িতে থাকুক, তবেই আমাদের প্রেম জাগিয়া উঠিবে, প্রেম বিশ্বব্যাপী হইয়া পড়িবে।

কবিতা ও তত্ত্ব

কবিরা যদি একটি তত্ত্ববিশেষকে সমুখে খাড়া করিয়া তাহারই গায়ের মাপে ছাঁট-ছোঁট করিয়া কবিতার মেরজাই ও পায়জামা বানাইতে থাকেন, ও সেই পোষাকে সুসজ্জিত করিয়া তত্ত্বকে সমাজে ছাড়িয়া দেন, তবে সে তত্ত্বগুলিকে কেমন খোকাবাবুর মত দেখায় ও সে কাজটাও ঠিক কবির উপযুক্ত হয় না। এক-একবার এমন দর্জ্জীবৃত্তি করিতে দোষ নাই, এবং মোটা মোটা বয়স্ক তত্ত্বেরা যদি মাঝে মাঝে অনুষ্ঠান-বিশেষের সময়ে তাঁহাদের থানধুতি ছাড়িয়া এইরূপ পোষাক পরিয়া সভায় আসিয়া উপস্থিত হন তাহাতেও তেমন আপত্তি দেখি না। কিন্তু এই যদি প্রথা হইয়া পড়ে, কবিতাটি দেখিলেই যদি দশজনে পড়িয়া তাহার খোলা ও শাঁস ছাড়াইয়া ফেলিয়া তাহা হইতে তত্ত্বের আঁটি বাহির করাই প্রধান কর্ত্তব্য বিবেচনা করেন, তাহা হইলে নিশ্চয়ই ক্রমে এমন ফলের চাষ হইতে আরম্ভ হইবে, যাহার আঁটিটাই সমস্ত, এবং যে সকল ফলের মধ্যে আঁটির বাহুল্য থাকিবে না শাঁস এবং মধুর রসই অধিক, তাহারা নিজের আঁটিদরিদ্র অস্তিত্ব ও মাধুর্য্য-রসের আধিক্য লইয়া নিতান্ত লজ্জা অনুভব করিবে। তখন গহনা-পরা গরবিনীকে দেখিয়া ভুবনমোহিনী রূপসীরাও ঈর্ষ্যাদগ্ধ হইবে।

তত্ত্বের বার্দ্ধক্য

তত্ত্ব অর্থাৎ জ্ঞান পুরাতন হইয়া যায়, মৃত হইয়া যায়, মিথ্যা হইয়া যায়। আজ যে জ্ঞানটি নানা উপায়ে প্রচার করিবার আবশ্যক থাকে, কাল আর থাকে না, কাল তাহা সাধারণের সম্পত্তি হইয়া গিয়াছে। কাল যদি পুনশ্চ সে কথা উত্থাপন করিতে যাও তবে লোকে তোমাকে মারিতে আসে; বলে, " আমি কি জাহাজ হইতে নামিয়া আসিলাম, না আমি কাল জন্মগ্রহণ করিয়াছি? " জ্ঞান একটু পুরাতন হইলেই তাহার পুনরুক্তি আর কাহারও সহ্য হয় না। অনেক জ্ঞান কালক্রমে লোপ পায়, পরিবর্ত্তিত হইয়া যায়, মিথ্যা হইয়া পড়ে। এমন একদিন ছিল যখন, আমরা শব্দ যে কানেই শুনি সর্ব্বাঙ্গ দিয়া শুনি না, এ কথাটাও নূতন সত্য ছিল। তখন এ কথাটা প্রমাণ দিয়া বুঝাইতে হইত। কিন্তু হৃদয়ের কথা চিরকাল পুরাতন এবং চিরকাল নূতন। বাল্মীকির সময়ে যে-সকল তত্ত্ব সত্য বলিয়া প্রচলিত ছিল, তাহাদের অনেকগুলি এখন মিথ্যা বলিয়া স্থির হইয়াছে, কিন্তু সেই প্রাচীন ঋষি-কবি হৃদয়ের যে চিত্র দিয়াছেন তাহার কোনটাই এখনও অপ্রচলিত হয় নাই।

অতএব জ্ঞান কবিতার বিষয় নহে। কবিতা চিরযৌবনা। এই বুড়ার সহিত বিবাহ দিয়া তাহাকে অল্প বয়সে বিধবা ও অনুমৃতা করা উচিত হয় না।

সৌন্দর্য্যের কাজ

প্রকৃতির উদ্দেশ্য -- জানানো নহে, অনুভব করানো। চারি দিক হইতে কেবল নানা উপায়ে হৃদয়-আকর্ষণের চেষ্টা হইতেছে। যে জড়হৃদয় তাহাকেও মুগ্ধ করিতে হইবে, দিবানিশি তাহার কেবল এই যত্ন। তাহার প্রধান ইচ্ছা এই যে, সকলের সকল ভাল লাগে, এত ভাল লাগে যে আপনাকে বা অপরকে কেহ যেন বিনাশ না করে, এত ভাল লাগে যে সকলে সকলের অনুকূল হয়। কারণ, এই ইচ্ছার উপর তাহার সমস্ত শুভ তাহার অস্তিত্ব নির্ভর করিতেছে। প্রথম অবস্থায় শাসনের দ্বারা প্রকৃতির এই উদ্দেশ্য সাধিত হয়। প্রথমে দেখিলে -- জগৎকে ঘুষি মারিলে তোমার মুষ্টিতে গুরুতর আঘাত লাগে, ক্রমে দেখিলে -- জগতের সাহায্য করিলে সেও তোমার সাহায্য করে। এরূপ শাসনে এরূপ স্বার্থপরতায় জগতের রক্ষা হয় বটে; কিন্তু তাহাতে আনন্দ কিছুই নাই, তাহাতে জড়ত্ব ও দাসত্বই অধিক। এই জন্য প্রকৃতিতে যেমন শাসনও আছে তেমনি সৌন্দর্য্যও আছে। প্রকৃতির অভিপ্রায় এই, যাহাতে শাসন চলিয়া গিয়া সৌন্দর্য্যের বিস্তার হয়। শাসনের রাজদণ্ড কাড়িয়া লইয়া সৌন্দর্য্যের মাথায় রাজছত্র ধরাই প্রকৃতির চরম উদ্দেশ্য। প্রকৃতি যদি নিষ্ঠুর শাসনপ্রিয় হইত, তাহা হইলে সৌন্দর্য্যের আবশ্যকই থাকিত না। তাহা হইলে প্রভাত মধুর হইত না, ফুল মধুর হইত না, মনুষ্যের মুখশ্রী মধুর হইত না। এই সকল মাধুর্য্যের দ্বারা বেষ্টির হইয়া আমরা ক্রমশঃ স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হইতেছি। আমরা ভালবাসিব বলিয়া জগতের হিত সাধন করিব। তখন ভয় কোথায় থাকিবে! তখন সৌন্দর্য্য জগতের চতুর্দ্দিকে বিকশিত হইয়া উঠিয়াছে! অর্থাৎ আমাদের হৃদয়কমলশায়ী সুপ্ত সৌন্দর্য্য জাগ্রত হইয়া উঠিয়াছেন। তিনি জাগিয়াই আমাদের চতুর্দ্দিকস্থ শাসনের সিপাহীগুলোর নাম কাটিয়া দিয়াছেন, জগতের চারি দিকে তাঁহার জয়জয়কার উঠিয়াছে।

স্বাধীনতার পথপ্রদর্শক

কবিরা সেই সৌন্দর্য্যের কবি, তাঁহারা সেই স্বাধীনতার গান গাহিতেছেন, তাঁহারা সজীব মন্ত্রবলে হৃদয়ের বন্ধন মোচন করিতেছেন। তাঁহারা সেই শাসনহীন স্বাধীনতার জন্য আমাদের হৃদয়ে সিংহাসন নির্ম্মাণ করিতেছেন, সেই মহারাজা-কর্ত্তৃক রক্তপাতহীন জগৎজয়ের জন্য প্রতীক্ষা করিয়া রহিয়াছেন; কবিরা তাঁহারই সৈন্য। তাঁহারা উপদেশ দিতে আসেন নাই। সজীবতা ও সৌন্দর্য্য লাভ করিবার জন্য কখন কখন তত্ত্ব তাঁহাদের দ্বারে আসিয়া উপস্থিত হয়, তাঁহারা তত্ত্বর কাছে কখন উমেদারী করিতে যান না। কবিরা অমর, কেননা তাঁহাদের বিষয় অমর, অমরতাকে আশ্রয় করিয়াই তাঁহারা গান গাহিয়াছেন। ফুল চিরকাল ফুটিবে, সমীরণ চিরকাল বহিবে, পাখী চিরকাল ডাকিবে, এবং এই ফুলের মধ্যে কবির স্মৃতি বিকশিত, এই সমীরণের মধ্যে কবির স্মৃতি প্রবাহিত, এই পাখীর গানে কবির গান বাজিয়া ওঠে। কবির নাম নির্জ্জীব পাথরের মধ্যে খোদিত নহে, কবির নাম প্রভাতের নব নব বিকশিত বিচিত্রবর্ণ ফুলের অক্ষরে প্রত্যহ নূতন করিয়া লিখিত হয়। কবি প্রিয়, কারণ, তিনি যাহাদিগকে ভালবাসিয়া কবি হইয়াছেন তাহারা চিরকাল প্রিয়, কোনকালে তাহারা অপ্রিয় ছিল না, কোন-কালে তাহারা অপ্রিয় হইবে না।  

পুরাতন কথা

যাঁহারা বলেন " সকল কবিরা ঐ এক কথাই বলিয়া আসিতেছেন, নূতন কি বলিতেছেন? " তাঁহাদের কথার আর উত্তর দিবার কি আবশ্যক আছে? এক কথায় তাঁহাদের উত্তর দেওয়া যায়। পুরাতন কথা বলেন বলিয়াই কবিরা কবি। তাঁহারা নূতন কথা বলেন না, নূতনকে বিশ্বাস করে কে? নূতনকে অসন্দিগ্ধচিত্তে প্রাণের অন্তঃপুরের মধ্যে কে ডাকিয়া লইয়া যাইতে পারে? তাহার বংশাবলীর খবর রাখে কে? কবিরা এমন পুরাতন কথা বলেন যাহা আমার পক্ষেও খাটে, তোমার পক্ষেও খাটে; যাহা আজও আছে, কালও ছিল, আগামী কালও থাকিবে। যাহা শুনিবামাত্র সুদূর অতীত হইতে সুদূর ভবিষ্যৎ পর্য্যন্ত সকলে সমস্বরে বলিয়া উঠিতে পারে, ঠিক কথা! যাহা শুনিয়া আমরা সকলেই আনন্দে বলিতে পারি -- পরের হৃদয়ের সহিত আমার হৃদয়ের কি আশ্চর্য্য যোগ, অতীত কালের হৃদয়ের সহিত বর্ত্তমান কালের হৃদয়ের কি আশ্চর্য্য ঐক্য! হৃদয়ের ব্যাপ্তি মুহূর্ত্তের মধ্যে বাড়িয়া যায়!

জ্ঞান ও প্রেম

পূর্ব্বেই বলা হইয়াছে জ্ঞানে প্রেমে অনেক প্রভেদ। জ্ঞানে আমাদের ক্ষমতা বাড়ে, প্রেমে আমাদের অধিকার বাড়ে। জ্ঞান শরীরের মত, প্রেম মনের মত। জ্ঞান কুস্তি করিয়া জয়ী হয়, প্রেম সৌন্দর্য্যের দ্বারা জয়ী হয়। জ্ঞানের দ্বারা জানা যায় মাত্র, প্রেমের দ্বারা পাওয়া যায়। জ্ঞানেতেই বৃদ্ধ করিয়া দেয়, প্রেমেতেই যৌবন জিয়াইয়া রাখে। জ্ঞানের অধিকার যাহার উপরে তাহা চঞ্চল, প্রেমের অধিকার যাহার উপরে তাহা ধ্রুব। জ্ঞানীর সুখ আত্মগৌরব-নামক ক্ষমতার সুখ, প্রেমিকের সুখ আত্মবিসর্জ্জন-নামক স্বাধীনতার সুখ।

নগদ কড়ি

জ্ঞান যাহা জানে তাহা প্রকৃত জানাই নয়, প্রেম যাহা জানে তাহাই যথার্থ জানা। একজন জ্ঞানী ও প্রেমিকের নিকটে এই সম্বন্ধে একটি পারস্য কবিতার চমৎকার ব্যাখ্যা শুনিয়াছিলাম, তাহার মর্ম্ম লিখিয়া দিতেছি।

পারস্য কবি এইরূপ একটি ছবি দিতেছেন যে, বৃদ্ধ পক্বকেশ জ্ঞান তাহার লোহার সিন্দুকে চাবি লাগাইয়া বসিয়া আছে; হৃদয় "নগদ কড়ি দাও" "নগদ কড়ি দাও" বলিয়া তাহারই কাছে গিয়া উপস্থিত হইয়াছে, প্রেম এক পাশে বসিয়াছিল, সে হাসিয়া বলিতেছে "মুস্কিল! "

অর্থাৎ, জ্ঞান নগদ কড়ি পাইবে কোথায়! সে ত কতকগুলো নোট দিতে পারে মাত্র, কিন্তু সেই নোট ভাঙ্গাইয়া দিবে এমন পোদ্দার কোথায়! জ্ঞানে ত কেবল কতকগুলো চিহ্ন দিতে পারে মাত্র, কিন্তু সেই চিহ্নের অর্থ বলিয়া দিবে কে? জগতের সকল ব্যাঙ্কে নোটই দেখিতেছি, চিহ্নই দেখিতেছি, হৃদয় ব্যাকুল হইয়া বলিতেছে, নগদ কড়ি পাইব কোথায়? প্রেমের কাছে পাইবে।

আংশিক ও সম্পূর্ণ অধিকার

যেমন শরীরের দ্বারা শরীরকেই আয়ত্ত করা যায়, তেমনি জ্ঞানের দ্বারা বাহ্যবস্তুর উপরেই ক্ষমতা জন্মে, মর্ম্মের মধ্যে তার প্রবেশ নিষেধ।

একজন ইংরাজ স্ত্রীকবি এই সম্বন্ধে যাহা বলিতেছেন তাহা নিম্নে উদ্ধৃত করিতেছি। ইহার মর্ম্ম এই যে, যদি অংশ চাও তবে জ্ঞান বা শরীরের দ্বারা পাইবে, তাও ভাল করিয়া পাইবে না; যদি সমস্ত চাও, তবে মন বা প্রেমের দ্বারা পাইবে।

INCLUSIONS
Oh, wilt thou have my hand, Dear,
to lie along in thine?
As a little stone in a running stream,
it seems to lie and pine!
Now drop the poor pale hand, Dear,...
unfit to plight with thine.
Oh, wilt thou have my cheek, Dear,
drawn closer to thine own?
My cheek is white, my cheek is worn,
by many a tear run down.
Now leave a little space, Dear,... lest it
should wet thine own,  
Oh, must thou have my soul, Dear,
commingled with thy soul?
Red grows the cheek, and warm the
hand,...the part is in the whole!...
Nor hands nor cheeks keep separate,
when soul is joined to soul.
----- Mrs. Browning.


লক্ষ্মী

লক্ষ্মী, তুমি শ্রী, তুমি সৌন্দর্য্য, আইস, তুমি আমাদের হৃদয়-কমলাসনে অধিষ্ঠান কর। তুমি যাহার হৃদয়ে বিরাজ কর, তাহার আর দারিদ্র্যভয় নাই; জগতের সর্ব্বত্রই তাহার ঐশ্বর্য্য। যাহারা লক্ষ্মীছাড়া, তাহারা হৃদয়ের মধ্যে দুর্ভিক্ষ পোষণ করিয়া টাকার থলি ও স্থূল উদর বহন করিয়া বেড়ায়। তাহারা অতিশয় দরিদ্র, তাহারা মরুভূমিতে বাস করে; তাহাদের বাসস্থানে ঘাস জন্মায় না, তরুলতা নাই, বসন্ত আসে না।

তুমি বিষ্ণুর গেহিনী। জগতে সর্ব্বত্র তোমার মাতৃস্নেহ। তুমি এই জগতের শীর্ণ কঠিন কঙ্কাল প্রফুল্ল কোমল সৌন্দর্য্যের দ্বারা আচ্ছন্ন করিতেছ। তোমার মধুর করুণ বাণীর দ্বারা জগৎ-পরিবারের বিরোধ বিদ্বেষ দূর করিতেছ। তুমি জননী কিনা, তাই তুমি শাসন হিংসা ঈর্ষ্যা দেখিতে পার না। তুমি বিশ্বচরাচরকে তোমার বিকশিত কমলদলের মধ্যে আচ্ছন্ন করিয়া অনুপম সুগন্ধে মগ্ন করিয়া রাখিতে চাও। সেই সুগন্ধ এখনি পাইতেছি; অশ্রুপূর্ণনেত্রে বলিতেছি, " কোথায় গো! সেই রাঙা চরণ দুখানি আমার হৃদয়ের মধ্যে একবার স্থাপন কর, তোমার স্নেহহস্তের কোমল স্পর্শে আমার হৃদয়ের পাষাণ-কঠিনতা দূর কর।" তোমার চরণ-রেণুর-সুগন্ধে সুবাসিত হইয়া আমার হৃদয়ের পুষ্পগুলি তোমার জগতে তোমার সুগন্ধ দান করিতে থাকুক্‌!

এই-যে তোমার পদ্মবনের গন্ধ কোথা হইতে জগতে আসিয়া পৌঁছিয়াছে। চরাচর উন্মত্ত হইয়া মধুকরের মত দল বাঁধিয়া গুন্‌ গুন্‌ গান করিতে করিতে সুনীল আকাশে চারি দিক হইতে উড়িয়া চলিয়াছে!