Pages

প্রেমিকাকে প্রতারণার লক্ষণ


প্রেমিকাকে প্রতারণার লক্ষণ
নারী তার সবটুকু রমনীয়তা দিয়ে সাজাতে চায় আপন ভালবাসার মানুষটিকে। বিশ্বাসের বাহুডোরে আবদ্ধ করতে চায় প্রিয় পুরুষকে। দু’হাত জড়িয়ে ধরে বলতে চায় মনের গোপন কথাগুলো। সবকিছু ছেড়েছুড়ে একেবারে চলে আসতে চায় প্রেমিকের হাত ধরে।

কিন্তু সেই প্রেমিক পুরুষটি যদি প্রেমের আকাশে প্রতারণার রং মাখে তখন প্রেমিকার বিষাদের আর অন্ত থাকে না। প্রেমিকার মনের রংধনুটি তখন ঢেকে যায় মেঘের আঁচলে। তাই কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কে অন্ধ হওয়ার আগে আপনিও একবার ভেবে দেখুন, আপনার প্রেমিকের মধ্যে প্রতারণামূলক কোনো প্রবনতা আছে কিনা? যদি তাই থাকে তবে নিজের মতো করে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।



তবে তার আগে আপনার প্রেমিক সম্পর্কে কিছু বিষয় আপনাকে পরখ করে দেখে নিতে হবে। সে আপনাকে নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকতে চায় কিনা। আপনার মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করে কিনা। নিজে থেকে বিয়ের জন্য আগ্রহী হয় কিনা।

শুধু এগুলোই নয়। আরো কিছু থাকে যা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আপনার প্রেমিক কি আপনাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। সে কি আপনার বান্ধবীদের সাথে মিশতে চায়। সে কি আপনার ফোন পেলে বিরক্তি বোধ করে। কিংবা ওই প্রেমিক পুরুষটি কি আপনাদের সম্পর্ক গোপন রাখতে চায়। অথবা সেকি আপনাকে কোনো ব্যাপারে সহজেই সন্দেহ করে।

হতে পারে তার ফেসবুক বা টুইটারে মেয়ে বন্ধু অনেক বেশি। তাছাড়া সেইসব মেয়েরা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। অনেকেই তাকে আপত্তিকর কমেন্টসও করে। আপনার ফোন ধরতে না পারলে সেকি চার্জ না থাকার অজুহাত দেখায়। মিষ্টি কথা দিয়ে আপনার কাছে তার অপরাধ লুকোতে চায়। সেকি সবসময় শুধু আপনার শরীরের প্রতিই আকর্ষণ বোধ করে, কিংবা কথায় ভুলিয়ে আপনাকে উত্তেজিত করতে চায়। যদি এমন হয় তবে মনে রাখবেন সে শুধু আপনার শরীরের প্রেমেই সীমাবদ্ধ। মনের দাম সেখানে উপেক্ষিতই থেকে যায়।



প্রাথমিকভাবে অন্তত এটুকু জেনে রাখুন, আপনার আশপাশে প্রায় প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে এরকম ছলনাময় ঘটনা। অনেক নারীই না জেনে ভুল পথে পা বাড়িয়ে বিষাক্ত করে তুলছে নিজের স্বাভাবিক সুন্দর জীবন। অবশেষে বেছে নিচ্ছে আত্মহননের পথ।

অতএব আপনার জীবনে যেন এমন দুঃস্বপ্নের দিন না আসে, আপনি যেন নিজের পছন্দের জীবনটি নিয়ে সুখে-শান্তিতে সবার সাথে আনন্দে থাকতে পারেন- সেজন্য অবশ্যই উল্লেখিত কথাগুলোকে বিবেচনায় নেয়া জরুরী। আপনার ভবিষ্যত জীবনকে নিরাপদ রাখা জরুরী।

আপনার যে আচারণ নারীর চোখে আপনাকে আকর্ষণীয় করে




আপনার যে আচারণ নারীর চোখে আপনাকে আকর্ষণীয় করে
আপনার
কিছু আচরণ নিজের কাছেই বিচিত্র লাগে? এই বিচিত্র আচরণগুলোই হয়তো দারুণ পছন্দ করেন আপনার স্ত্রী বা প্রেমিকা। পুরুষের এমন কিছু আচরণ আছে যেগুলো তাঁর নিজের কাছে বিচিত্র কিংবা লজ্জার মনে হলেও নারীদের চোখে এই ব্যাপারটা পুরুষকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। চলুন, আজ জানা যাক এমন ১০টি বিচিত্র আচরণ সম্পর্কে।

১) বাচ্চাদের সাথে যখন আপনি দারুণ মিলেমিশে যেতে পারেন
বাচ্চা লালন-পালনকে মেয়েদের কাজই মনে করেন বেশিরভাগ পুরুষ। কিন্তু একজন পুরুষ যখন একটি বাচ্চা সামলাতে পারেন এবং বাচ্চারাও তাঁকে খুব পছন্দ করে, এমন পুরুষের আকর্ষণ নারীর চোখে সবচাইতে বেশি।

২) কাঁদতে জানে এমন পুরুষ
কাঁদতে পুরুষ ঘৃণা করে। কিন্তু নারীর চোখে কাঁদতে জানাটা হচ্ছে পুরুষটির নরম ও আবেগী মনের প্রমাণ।

৩) স্ত্রী/প্রেমিকার জন্য মেয়েলি কেনাকাটা নিজেই আগ্রহ নিয়ে করলে
মেয়েলি কেনাকাটা বা মেয়েদের শপিং ঘৃণা করেন? কখনো নিজের ভালোবাসার নারীর জন্য একটি কাজল বা একটি লিপস্টিক কিনেই আনুন নিজে পছন্দ করে। আর তারপর দেখবেন, কি ভীষণ খুশি হবেন এই সামান্য উপহারে তিনি।

৪) সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য বিচিত্র কাণ্ডকারখানা করলে
হয়তো নাচতে জানেন না মোটেও, কিন্তু স্ত্রী বা প্রেমিকাকে সারপ্রাইজ দিতে বেশ একটু নেচে দেখালেন। এমন বিচিত্র মজার সারপ্রাইজ দেয়ার ব্যাপারটি সব মেয়েই পছন্দ করেন। তাঁরা বুঝতে পারেন যে ভালোবাসার পুরুষটি কেবল তাঁকে খুশি করার জন্যই এমন কাজ করছেন যা তিনি আসলে পারেন না।

৫) মুখে তুলে খাইয়ে দিলে
মুখে তুলে খাইয়ে দেয়ার কাজটা নারীরাই করেন সাধারণত, আর পুরুষ এটা উপভোগ করেন। কিন্তু পুরুষ যখন এই কাজ করেন, তখন নারীর মন জয় করে নিতে বাধ্য।

৬) নারীর ওজন নিয়ে মাথাব্যথা না থাকলে
সব পুরুষই খোঁজেন স্লিম, সুন্দর ফিগারের নারী। কিন্তু কোন পুরুষ যখন নারীর বাড়তি ওজন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখান না বা বিষয়টি নিয়ে তাঁর কোন অসুবিধা হয় না, এমন পুরুষকে সঙ্গী হিসাবে পেতে চান সকল নারী।

৭) একটু ঘরকুনো/ অসামাজিক আচরণ
পুরুষ মানেই সাধারণত একটু আড্ডাবাজ, বন্ধুবান্ধব ঘেঁষা হয়ে থাকেন। কিন্তু যেসব পুরুষেরা নিজের স্ত্রী ও পরিবারের সাথেই সময় কাটাতে বেশি ভালোবাসেন, নারীর চোখে তাঁদের এই বিচিত্র আচরণটাই বেশি সুন্দর।

৮) বিদায়ের সময় একটুখানি ভালোবাসা
পছন্দের মেয়েটি চলে যাচ্ছেন, যেতে যেতে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন আর দেখলেন যে আপনি তাঁর দিকে চেয়ে আছেন। এই সামান্য বিষয়ে নারীরা যে কি ভীষণ খুশি হন, সেটা কোন পুরুষ আন্দাজও করতে পারেন না।

৯) ছোটখাট ব্যাপারে আগ্রহ দেখালে
নারীরা প্রেমিক কিংবা স্বামীর ছোটখাট সব ব্যাপারেই ভীষণ মাথা ঘামান আর এটা নিয়ে বেশিরভাগ পুরুষই খুব বিরক্ত থাকেন। মজার বিষয়টা হচ্ছে, নারী কিন্তু চান পুরুষও তাঁর ছোট ছোট সব বিষয়ে মাথা ঘামাক। খেয়েছে কিনা, কী করছেন, সারাদিন কী হলো এইসব ছোট ব্যাপার জানতে চাইলে ভীষণ খুশি হয়ে ওঠে মেয়েরা।

১০) নিজের পছন্দ মত সাজতে বললে
ভাবছেন মেয়েদের সাজগোজের আপনি কি বোঝেন? তবুও একদিন স্ত্রী কিংবা প্রেমিকাকে বলুন একটা বিশেষ রঙের শাড়ি পরতে, কপালে একটু কাজল কিংবা খোঁপায় একটা ফুল দিতে। দেখবেন আপনার প্রতি কি ভীষণ ভালোবাসায় ভরে যাবে তাঁর অন্তর। নারী মনে করবেন যে আসলেই তাঁর চোখে আপনি সুন্দর আর তাই তো এত পরোয়া করছেন তাঁর সাজের।

নারীর আকর্ষণ চিরকালই বিবাহিত পুরুষের প্রতি


নারীর আকর্ষণ চিরকালই বিবাহিত পুরুষের প্রতি


 
বিবাহিত পুরুষের প্রতি নারীর আকর্ষণ চিরকাল৷ তবে বিবাহিত পুরুষের প্রতি আকর্ষণের ফলাফলটা খুব একটা প্রীতিকর নয়৷ এতে নারীর মানসিক যন্ত্রণা বেড়ে চলে৷ এতে নারীর চরিত্রেই কলঙ্ক লাগে৷ তবে বিবাহিত বলেই যে কোনও পুরুষের প্রতি একজন নারীর আকৃর্ষণ জন্মাতে পারে না এমন কোনও কথা নেই৷ কিন্তু বিবাহিত পুরুষ হলে একটা বাধা তো থেকেই যায়৷ এসব ক্ষেত্রে খুব কম সময়ের মোহ বা জীবন উপভোগের সুযোগ থাকলেও ভবিষ্যতে ভালো কিছু হয়না৷ এই কারণেই নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ বিবাহিত পুরুষের প্রতি আকর্ষণ বোদ করলে কি করবেন নারীরা সেই টিপসই রইল আপনাদের জন্য৷

আকর্ষণ সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই আসে৷ পরিচিত হোক বা অপরিচিত বিবাহত পুরুষের প্রতি আকর্ষণ জন্মাতেই পারে৷ কিন্তু তাই বলে মনের আবেগকে রোমিও-জুলিয়েটের মত নাটকীয় করে তুলবেন না৷ তার চেয়ে মনে করুন, বিবাহিত পুরুষের এই আকর্ষণ শুধুই একটা মোহ৷ অবিবাহিত কোনও পুরুষ আপনার জীবনে আসলেই আপনার এই ক্ষণিকের মোহ ভেঙে যাবে৷

ধরে নেওয়া গলে আপনি এমন এক বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পড়েছেন যিনি স্মার্ট, হ্যান্ডসাম, ভদ্র৷ ঠিক যেমন আপনি চান তেমনই৷ কিন্তু ওই মানুষটি যে আপনার নয় এটা আপনাকে বুঝতে হবে৷ কারণ তাকে আপনি যতই ভালবাসুন না কেন, প্রতিদানে তার কাছ থেকে আপনি কিছুই পাবেননা৷

এমন কিছু পুরুষ রয়েছেন যারা বিয়ের পরেও অন্য নারীর সঙ্গে বা প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বজায় রাখতে চান৷ এক্ষেত্রে তারা স্ত্রীর সামনে নিজেরে আদর্শ স্বামী হিসেবে পরিচয় দেন৷ কিন্তু অন্যদিকে কোনও নারীর সামনে নিজেকে অসুখী প্রমাণ করে তার কাছ থেকেো ভালবাসা আদায় করতে চান৷ কিন্তু তিনি একই সঙ্গে নিজের বিবাহিত জীবন থেকে পিছু হাঁটতে চাইবেন না৷ এক্ষেত্রে নিজের মাথা ঠান্ডা রাখুন৷ ভেবে দেখুন, যে নারী তাকে বিয়ে করেছেন তিনি তার জীবনে কতটা ঠকেছেন৷ এক্ষেত্রে আপনার নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করা উচিত যে ওই মহিলার জায়গায় আপনি নেই৷

একজন পুরুষ বিয়ের পরও যদি অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেন তবে বুঝে নিতে হবে তার চরিত্রটাই এমন৷ আপনি তার কাছে কেবলও অন্য এক নারী৷ আপনি তার জীবনে প্রধান নন৷ আপনি না থাকলেও অন্য এক নারী আপনার জায়গা যখন তখন নিয়ে নিতে পারে৷ তাই নিজেরে টেকেন ফর গ্রান্টেডের জায়গা থেকে সরিয়ে আনুন৷

আপনাকে খুশি রাখান জন্য বিবাহিত পুরুষটি হয় নানা ধরণের উপহার, বা মনভোলানো কথা হয়ত বলবেন৷ কিন্তু কথা শুনেই গলে যাবেন না৷ কারণ এতে তিনি আরও সুযোগ পেয়ে যাবেন৷ এক্ষেত্রে ভেবে দেখুন যে পুরুষ নিজের স্ত্রী সঙ্গে প্রতারণা করতে পারেন, তিনি একদিন আপনাকেও প্রতারিত করতে পারেন৷ আপনা তাকে অবহেলা করুন৷ তিনি যগদি ব্যক্তিত্ববান হন তবে তিনি আপনার পথ থেকে সড়ে দাঁড়াবেন৷ তবে এতেও যদি তিনি না বদলান তবে বুঝে নিতে হবে তিনি আপনাকে নিজের শিকার বানাতে চান৷

যে বিবাহিত পুরুষকে আপনি খুব একটা বেশি চেনেন না তাকে যে আপনার ভাল লাগছে৷ কিন্তু ওই মানুষটি নিজেকে যেমন ভাবে প্রদর্শন করেন তিনি আদৌ সেকরম কিনা সে বিষয়ে আপনি নিশ্চিত নন৷ সেকারণেই আপনি তাকেই সেরা পুরুষের তকমা দিতে পারেন না৷ সেকারণেই তাকে চেনার পিছনে নিজের সময় ব্যয় না করে নিজের মনের মানুষটিকে খুঁজুন৷

বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পরা একেবারেই অপরাধ নয়৷ কিন্তু যদি এমন হয় যে আপনার কেবল বিবাহিত পুরুষই ভাল লাগে তবে সেক্ষেত্রে চিন্তার বিষয় রয়েছে৷ এক্ষেত্রে নিজের বিবেকের সঙ্গে বোঝাপড়া করুন৷ কি কারণে আপনার এমন মনে হয় সেটা খুঁজে বের করুন৷ নিজের কাছে নিজের মনভাবকে আগে পরিষ্কার করুন৷

কেন আমরা হাসবো?


কেন আমরা হাসবো?
  হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা নিয়েই মানুষের জীবন।মহান কারিগর এমন ভাবে মানুষ বানিয়েছেন। কোন কিছুর ঘাটতি হলে এর বিকল্প ব্যাবস্থা হয়ে যায় সাথে সাথে। মানুষের চলার পথে অনেক ধরনের বিষয় এর সাথে মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হয়। অভাব- অনটন, দুঃখ- বেওদনা সহ অসখ্য বিষয় এর সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকে। নিজের জ্ঞান বুদ্ধি দ্বারা প্রতিহত না হলে প্রয়োজন হয় অন্যের পরামর্শের। এমন অনেক কঠিন বাস্তবতা, বিরোক্তিকর অবস্থা উত্তরণের উপাই হতে পারে হাসি। হ্যা সত্যিয়, হাসি নিয়ে গবেষনালব্ধ তথ্য দিয়েছেন মন বিজ্ঞানী গণ। তা নিম্নরুপঃ
১। হাসি উত্তম ব্যায়াম : অন্য যে কোন ব্যামের চাইতে এই ব্যায়াম যেমন অনেক সহজ তেমনই অনেক উপকারী। হাসির সময় আমাদের শরীরের প্রায় সবধরনের পেশীতে স্নগকচন-প্রশারন হয়। তাই শরীরের বিরাট উপকার সাধিত হয়। বঅলা হয়ে থাকে ১ মিনিটের হাসি যে কোন ২০ মিনিটের ব্যাময়ের চাইতেও উপকারী।
২। হ্রদরোগের চিকিৎসায় হাসি : বাস্তবিক যুক্তি ও প্রমানের উপর আজ এই কথা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরেছে যে হ্রদরোগের চিকিৎসায় হাসির প্রভাব সাফল্যজনক। কোন ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই শুধু মাত্র হাসি খুশী থেকে এই রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন অনেকেই।
৩। মানুষের প্রিয় হয়ার পথে সহায়ক হাসিঃ হাসি তা চিড়ল দাঁতের হোক কিম্বা অন্য কোন দাঁতের। তা মানুষের মনে যায়গা করে নিতে পারে । মানুষের স্বভাবতই বৈশিষ্ট যে তার সাথে হাসি মখে কথা বললে তার প্রিয় হয়ে যায়।
৪। ব্যক্তিত্ত বিকাশে হাসি : রাগি , বদমেজাজী মানুষ কে সবাই এড়িয়ে চলে। তেমনই সদা হাসসজ্জল প্রাণবন্ত মানুষকে সবাই ভালো বাসে। উন্নত ব্যক্তিত্ত গঠনে অনেক বেশী সহায়ক হয় হাসি।
৫। উচ্চরক্তচাপ কমাবে হাসিঃ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তবতা। মানুষের মানুষিক অবস্থার উপর নির্ভর করে তার শরীরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বেশী দুশ্চিন্তা, মানুষিক অস্থিরতা রক্ত চলাচলের পথে রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। হাসি এই বাঁধা দূর করতে বেশ সহায়ক হয়।
৬। দুশ্চিন্তা দূর করবে হাসি : আমরা যখন দুশ্চিন্তা নিয়ে হাসতে থাকে,তখন আমাদের দেহে এক ধরনের হরমন ক্ষরিত হয় ফলে আমরা ভুলে যায় যে চিন্তা আমাদের মাথায় ঘুরে আমাদের বিরক্ত করে যাচ্ছিল। সুন্দর একটা অনুভুতি ফিরে পায় তখন।
৭। পুন্য অর্জনের উপায়ঃ সব ধর্মেই মার্জনীয় হাসির কদর রয়েছে। শান্তির ধর্ম ইসলামে এটা কে সদকার সাথে তুলনা করা হয়েছে। প্রিয় নবী(সাঃ) বলেছে মুমিনরা যেন অন্যদের সাথে কথা বলার সময় হাসিমুখে কথা বলে, এটা তার জন্যে সাদকাতে পরিনত হয়।
কে বলে হাসতে পারিনা আমি, চেষ্টায় পারে সব কিছু করতে। হ্যা হাসি অবশ্যই সব দিক বিবেচনায় অতান্ত উপকারী। তার পরেও হাসির কিছু ব্যঙ্গাতক রুপ আছে যা অবশ্যই ক্ষতিকর। মানুষকে ছোট মনে করে হাসাও অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই আসুন আমরা হাসির উপকারী দিক গুলো ব্যবহার করে উপকৃত হয়।

কর্মস্থলে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার ১২টি কৌশল


কর্মস্থলে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার ১২টি কৌশল





কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থানকে শক্ত করতে অবশ্যই কিছু কৌশল মেনে চলতে হবে। হতে পারে অনেক বেশি সময় ও কর্ম দক্ষতা দেখিয়েও আপনি খুশি করতে পারছেন না আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে।এই প্রতিযোগিতাময় সময়ে মেধার পাশাপাশি প্রয়োজন মনোবল। হয়তো কর্তৃপক্ষকে বদলানো সম্ভব নয়, কিন্তু আপনি নিজের দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে নিন খানিকটা।তাই এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মাইকেল কেরিগ্যন নামের একজন গবেষক।

তবে জেনে নিই তার  কৌশলগুলো:১) নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে উপস্থাপন করুনঃ স্মার্ট পোষাক, পরিচ্ছন্নতা, হালকা সুগন্ধী আপনার স্মার্টনেস কেবল অন্যের চোখেই না আপনার নিজের চোখেও নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। সকালে অফিসে যাবার আগে ১০ মিনিট বেশি ব্যয় করুন নিজের পেছনে। দেখবেন, সারাদিন নিজেকে প্রেজেন্টেবল আর আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে।

 ২) অঙ্গভঙ্গীতে আত্মবিশ্বাসী ভাব ফুটিয়ে তুলুনঃ মেরুদণ্ড সোজা ও মাথা উচু করে হাঁটুন। মাথা নিচু করে কুজো হয়ে হাঁটবেন না। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অন্যদের ধারণা খারাপ হবে।

৩) সহকর্মী বা বসের নেতিবাচক কথা মনে ধরে রাখবেন না। একটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ কেউ প্রশংসা করে আবার কেউ ভুল ধরিয়ে দিয়ে কাজ আদায় করতে চেষ্টা করেন। বুঝতে চেষ্টা করুণ আপনার বসের মানসিকতা কেমন।হয়তো তিনি আপনার সম্পর্কে নানা নেতিবাচক কথা বলছেন আপনার কাছ থেকে তার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ আদায় করতে। আর সেটা কি আপনার যোগ্যতার কারণেই নয়? চেষ্টা করুন নিজের ভুলগুলো শুধরে নেবার।

আবার সহকর্মীরা হয়তো অনেক সময় আপনার নামে নেতিবাচক কথা বলে থাকে, আপনার কাজের দক্ষতাকে ঈর্ষা করে বলেই এমনটা হয়!

৪) কথা বলুন চোখে চোখ রেখেঃ যখনই কারো সাথে কথা বলবেন তার চোখে চোখ রেখে কথা বলুন, কথা বলার সময় এদিক ওদিক তাকাবেন না বা অন্য কিছু করবেন না। এটি আত্মবিশ্বাসী হবার একটি অন্যতম চিহ্ন।

৫) মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তারপর বলুনঃ কেউ যাখন আপনার সাথে কথা বলছেন তখন তার কথার মাঝখানে কথা বলবেন না বা প্রশ্ন করবেন না। আগে শুনুন। এতে তিনি ভাববেন আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং তখন তিনিও আপনার কথা শুনতে আগ্রহী হবেন। কেউ যখন আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

৬) নিজের ব্যাপারে নেতিবাচক কথা বলবেন নাঃ আমি খুব অগোছালো, ডেডলাইন ছুঁতে পারি না, ধীরে কাজ করি, অন্যদের মত ভালো প্রেজেন্টেশন করতে পারি না, ইত্যাদি নিজের নেতিবাচক দিকগুলো কখনোই কর্মস্থলে বলতে যাবেন না। নিজের ইতিবাচক দিকগুলো বলুন, এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে আবার সহকর্মী বা বসের কাছেও আপনি গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।

৭) মানুষজনের সাথে মিশুন ও নেটওয়ার্ক বাড়ানঃ পরিচিতির গণ্ডি বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আপনার মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, ব্যক্তিত্ব ও জ্ঞানের পরিধি বাড়াবে। আশেপাশে মানুষের একটি বড় বৃত্তে আপনি অনেক বেশি নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী বোধ করবেন।

৮) নিজের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তিগুলো লিখে ফেলুনঃ মানুষজনের কথায় কেবল নিজের অপ্রাপ্তি নিয়ে হতাশায় ভুগবেন না। বরং ভাবুন নিজের প্রাপ্তিগুলো নিয়েও। লিখে ফেলুন একটি ডায়েরিতে আগামীর লক্ষ্যও। দেখবেন হারানোর চেয়ে অর্জন আর সম্ভাবনায়ই ভরে উঠেছে আপনার খাতা ও মন।

৯) আগ্রহের জায়গায় দক্ষতা বাড়ানঃ ভাষা, পড়াশোনা বা প্রযুক্তি, যেখানেই আপনার আগ্রহ থাকুক না কেন, দক্ষতা বাড়ান, আপনার পেশাদারী আত্মবিশ্বাসে একটি নতুন পালক যুক্ত হবে, সন্দেহ নেই।

১০) অন্যদের সাহায্য করুনঃ যতটা সম্ভব অন্যদের সাহায্য করুন। সমাজসেবা জাতীয় সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকুন। অন্যের উপকার করার মধ্য দিয়ে আপনি নিজের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠবেন। নিজেকে নিজে বড় ভাবতে না পারলে আপনার আত্মবিশ্বাস কখনোই বাড়বে না।

১১) ক্ষতিকর মানুষদের সঙ্গ ত্যাগ করুনঃ যারা কেবল আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক কথাই বলে ও সুযোগ পেলে আপনার ক্ষতি করতেও দ্বিধা করবে না, হোক বন্ধু বা সহকর্মী, এদের কাছ থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখুন। আপনার কনফিডেন্স লেভেল কমাতে এদের জুড়ি নেই।

১২) সাফল্য প্রত্যাশা করুন, ততটুকুই কাজ নিন, যতটা শেষ করতে পারবেনঃ নিজেকে দায়িত্বশীল প্রমাণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত কাজ কাঁধে নিয়ে ভালোভাবে না করতে পারলে সেই ব্যর্থতা আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেবে। এর চেয়ে যতটুকু সম্ভব ততটুকু কাজ আর ভালো দক্ষতাকে মূলমন্ত্র করেই সফলতার দিকে এগিয়ে যান।

আপনি জন্মেছিলেন আত্মবিশ্বাস নিয়েই, হয়তো নানা কারণে তা কমে যাচ্ছে। কিন্তু আপনিই পারেন আপনার হারানো আত্মবিশ্বাসকে ফিরিয়ে আনতে।

শুধু মুসলিম পর্যটকদের জন্য ওয়েবসাইট




শুধু মুসলিম পর্যটকদের জন্য ওয়েবসাইট
 
ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা সব সময় চান ইসলামের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে থাকা যায়গার সাথে পরিচিত হতে। তাদের কথা মাথায় রেখে চালু হয়েছে একটি ওয়েবসাইট। সেখানে গেলে একজন পর্যটক তাঁর বেড়ানোর স্থানে মসজিদ আর হালাল খাবারের হোটেলের ঠিকানা সহজেই খুঁজে পাবেন।

অস্ট্রিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান গত জুন মাসে ওয়েবসাইটটি চালু করেছিল। এরপর সিঙ্গাপুরের ক্রিসেন্টরেটিং কোম্পানি সেটা কিনে নিয়ে নতুন করে শুরু করেছে। ‘হালালট্রিপ ডটকম' নামের ওয়েবসাইটটিতে হালাল রেস্টুরেন্ট ও মুসলমানদের জন্য ভ্রমণ উপযোগী স্থানগুলোর তথ্য রয়েছে।

ক্রিসেন্টরেটিং এর প্রধান নির্বাহী ফজল বাহারদিন বলেন, মুসলিম পর্যটকদের জন্য যাতায়াত থেকে শুরু করে হোটেল বুকিং পর্যন্ত সব সুবিধা সমৃদ্ধ এ ধরনের ওয়েবসাইট বিশ্বে এটাই প্রথম।

এর মাধ্যমে বিশ্বের ৪ লাখ হোটেল থেকে পছন্দেরটি বেছে নিতে পারবেন একজন পর্যটক। সেই সঙ্গে থাকছে বিমান ও ট্যুর প্যাকেজের ব্যবস্থাও। জুনে যখন প্রথম এই ওয়েবসাইটটি চালু করা হয় তখন মাত্র ১,০০০ হোটেলে বুকিং দেয়া যেত।

রিজারভেশন ফার্ম ‘বুকিং ডট কম' এবং ট্রাভেল সার্চ ইঞ্জিন ‘ওয়েগো ডট কম' – এই দুই পার্টনারের মাধ্যমে পর্যটকরা খুব সহজেই এই সাইটের সাহায্যে হোটেল এবং হালাল রেস্তোরাঁ খুঁজে পাবেন। এছাড়া মসজিদসহ নানা দর্শনীয় স্থানের তালিকাও রয়েছে ঐ গ্লোবাল ডিরেক্টরিতে।

ইস্তান্বুল, বেইজিং এবং কুয়ালালামপুরের মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোর হোটেল রেস্টুরেন্ট রয়েছে এই তালিকায়। কোম্পানিটি জানিয়েছে, সাইটটি আরবি এবং অন্যান্য ভাষায় করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, বিশ্বে মুসলিম পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১১ সালে মুসলিম পর্যটকরা ভ্রমণ খাতে ব্যয় করেছেন ১২৬ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালে এই ব্যয় ২০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা ক্রিসেন্টরেটিং এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ড্যানি বোলডাকের।

সম্পর্ক নষ্টের তিন রেড সিগন্যাল


সম্পর্ক নষ্টের তিন রেড সিগন্যাল




 
প্রেম করে বিয়ে করেছিল সাফিন। ক্যাম্পাসে যেদিন প্রথম নীরাকে দেখে সেদিনই মনে হয়েছিলো নীরা এমন একটি মেয়ে যাকে নির্দ্বিধায় ভালোবাসা যায়। নীরারও নাকি এমনটাই মনে হয়েছিলো। ক্যাম্পাসে শ্রেষ্ঠ জুটির তালিকায় যে তারাই প্রথম এমন কথাও রটে গিয়েছিলো সবার মুখে মুখে।

অথচ বিয়ের মাত্র এক বছরের মধ্যে ওদের সম্পর্ক যেখানে দাঁড়িয়েছে তাতে মনেই হয়না ওরা একদিন বন্ধুদের দেওয়া শ্রেষ্ট জুটির আখ্যায়িত দু’জন। অহেতুক সন্দেহের তীরে দু’জন দু’জনকে বিদ্ধ করতে সদা তৎপর। আর তাতেই আজ এ অবস্থা সাফিন নীরার।

সম্পের্কে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। দু’জনের ভাবনায় সম্পর্ক  যেমন অনেক মধুর হয় তেমনি তিক্ত হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার অনেক কারণ থাকলেও তিনটি কারণ সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য। কারণ তিনটি হলো-

অকারণে সন্দেহ নয়
অকারণে সন্দেহ করেছেন তো নিজেই আপনার সম্পর্কের ভবনে প্রথম রেড সিগন্যালটি দিয়ে দিলেন। সাথের প্রিয় মানুষটি কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে কথা বলছে, কিভাবে কথা বলছে, ইত্যাদি নানা বিষয় যদি সন্দেহের চোখে দেখেন তবে সম্পের্কে ভাটা পরবে অচিরেই। তবে তার সম্পর্কে খোজ রাখবেন নজরদারি নয়।

অফিসের কাজ বাসায় নয়
একদম নিরুপায় না হলে কখনোই অফিসের কাজ বাসায় আনবেন না। এতে দাম্পত্য সুখে ভাটা পরতে পারে। মনে রাখবেন অফিসের মেজাজে বাসায় চলা যাবেনা।

উপেক্ষা করা নয়
ওকে ঠিক আছে-এমন বাক্য দিয়ে কোন কথার উত্তর দিতে গেলেই তাতে মনে হতে পারে আপনি হয়তো উপেক্ষা করছেন। যে কোন ছোট ছোট বিষয়ও প্রাধান্য দিয়ে কথা বলবেন। প্রিয়জনকে বিশ্বাস করার চেষ্টা করুন। তার অভিযোগ মন দিয়ে শুনুন।

নারীদের সুস্বাস্থ গঠনের জরুরী ৬ ধরনের খাবার


নারীদের সুস্বাস্থ গঠনের জরুরী ৬ ধরনের খাবার




 
নারীরা সৌন্দর্য সচেতন হয়। নিজেদের ত্বক রক্ষায় তারা বেশি সময় ব্যয় করে। তবে অনেক সময়ই তারা তাদের স্বাস্থ গঠনের প্রতি মনযোগী হয় না। তাই আগছালো খাদ্যাভাসে তারা গ্রহন করে থাকে। যার ফলে কখনো তাদের স্বাস্থ স্থুলাকায় বা কখনো শুকিয়ে যায়। তাই সুস্বাস্থ গঠনে তাদের উচিত তাদের শরীরের গ্রহনীয় খাবার গ্রহন করা।
প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত খাদ্য ও শস্য নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট। শুধু প্রয়োজন খাবার নিয়ে একটুখানি সচেতনতার। আমাদের দেশের অসংখ্য নারী রক্তস্বল্পতা, হাড়ের দুর্বলতা ও হরমোনের সমস্যায় ভুগছেন। অথচ একটু খাদ্যসচেতন হলেই এসব সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন কী ধরনের খাবার রাখবেন আপনার রোজকার খাদ্যতালিকায়।
বীজজাতীয় খাবার :
বীজসমৃদ্ধ খাবার নারীদের খাদ্যতালিকায় থাকা খুবই জরুরি। এসব খাবারে পুষ্টিগুণ থাকে বেশি, চর্বি থাকে কম এবং প্রয়োজনীয় আমিষের অন্যতম উত্‍স। এই গ্রুপের খাদ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ হরমোন যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। শিম, বরবটি, মটরশুঁটি ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন।পাতাসমৃদ্ধ সবজি :ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর এই জাতীয় সবজি। মহিলাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন হলো বি। গর্ভাবস্থায় এই ভিটামিনের অভাবে হতে পারে শিশুর নিওরাল টিউব ডিফেক্ট। এতে শিশু গর্ভাবস্থায় অথবা জন্ম নেয়ার পর মারা যায়। কেউ কেউ বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মায়। বাঁধাকপি, লেটুস পাতা, গাঢ় সবুজ পাতাওয়ালা শাকসবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন।
হলুদ রঙের সবজি :পাকা পেঁপে, আলু, মিষ্টি কুমড়া, গাজর মেয়েদের জন্য সবচেয়ে কাছের বন্ধু! কারণ এসব খাবার নিম্নমাত্রায় ক্যালরিযুক্ত এবং উচ্চমাত্রায় বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এসব উপাদান অকাল বার্ধক্য রোধ করে, কোষ ও টিস্যুর পুনর্গঠন করে। ব্রেস্ট ক্যানসারসহ অন্যান্য ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে এই গ্রুপের খাবার।
আয়রনসমৃদ্ধ খাবার :পুরুষের তুলনায় নারীর রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা কম থাকে। তাই নারীদের প্রয়োজন অধিক আয়রনসমৃদ্ধ খাদ্য। এক্ষেত্রে চর্বি ছাড়া লাল মাংস আয়রনের একটি বড় উত্‍স।
উদ্ভিজ উত্‍সের মধ্যে রয়েছে শুকনো এপ্রিকট বা কুল জাতীয় ফল, শিম, সবুজ শাক, কলা, বীজ জাতীয় শস্য, শালগম, ওলকপি, কুমড়ার বিচি ইত্যাদি। রক্ত স্বল্পতা দূরীকরণে এসব খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য :সব বয়সী নারীদের হাড় সুদৃঢ় রাখার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ। ক্যালসিয়ামের সর্বোচ্চ দৈনিক চাহিদা হলো ১২০০ মিলিগ্রাম।
ক্যালসিয়ামের অন্যতম একটি উত্‍স হলো দুধ। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন। ম্যাগনেসিয়াম এমন এক ধরনের উপাদান যা নতুন হাড় তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের তা বিশেষভাব প্রয়োজন। কারণ এতে গর্ভস্থ শিশুর হাড় গঠন সঠিকভাবে হবে।
মাছ :তেলযুক্ত মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ও ভিটামিন ই। যা উচ্চ রক্তচাপ, খারাপ কোলেস্টেরল ও হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া ডিপ্রেশন, ডায়াবেটিস, বাত ও ক্যানসারের সম্ভাবনা কমায়। গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের জন্য এসব উপাদান খুবই জরুরি। তাই গর্ভবতী মায়েরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে মনে রাখুন।

এড়িয়ে চলুন ৯ টি দোষ


এড়িয়ে চলুন ৯ টি দোষ

আমরা প্রত্যেকেই চাই জীবনকে পরিশ্রম ও কাজের মাধ্যমে সুন্দর করে তুলতে। কিন্তু মাঝে মাঝে অনিচ্ছাকৃত ভাবে আর নিজের অজান্তেই প্রতিনিয়ত আমরা কিছু ভুল আচরণ বা কাজ করি বা ক্ষতিকর কিছু মানসিক প্রবণতা নিজের ভেতরে লালন করে থাকি। নারীদের এমন কিছু প্রবণতা যা দৈনন্দিন জীবনকে করে তোলে অসুখী আর যা থেকে উঠে আসা তেমন কঠিন কিছু নয়, এ বিষয়টি নিয়েই রইল কিছু টিপসঃ

১) অন্যদের সাথে তুলনাঃ অন্যের সাথে, বিশেষত নিজের বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী বা চারপাশের মানুষের জীবনের সাথে নিজের জীবনের তুলনা করাটা বিশাল বোকামি। এভাবে আপনি কেবল অস্থিরতা আর হতাশায়ই ভুগবেন।আপনার চেনা আরেকজন নারী হয়তো একজন ধনী স্বামী পেয়েছেন কিন্তু আপনি পেয়েছেন অত্যন্ত ভালো একজন মানুষকে। কেন অযথা আফসোস করে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি ডেকে আনবেন?

২) একা থাকার ভয়ঃ দূর্ভাগ্যজনকভাবে বেশিরভাগ নারীই দ্রুত কোন সম্পর্কে জড়ান এবং সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করেন জীবনকে বা সম্পর্কটিকে উপভোগ করার জন্যে নয় বরং তারা একা হয়ে যাবেন এই ভয়ে। দেখা যায় কোন ব্রেক আপের পরে নারীরা যত জলদি সম্ভব নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন যদিও তারা জানেন সেই মানুষটি তার যোগ্য নন। এটি ঠিক নয়, জীবন কখনোই একার নয় বরং মা বাবা, বন্ধু, সহকর্মী সবাইকে নিয়েই আপনি সুখে থাকতে পারেন, সম্পর্কে জড়াবার আগে যৌক্তিক ভাবে চিন্তা করুন।

৩) সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টাঃ সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টায় নারীরা নিজের জীবনকেই বঞ্চিত করেন। ‘না’ বলতে শিখুন। নিজের কাজগুলোকে, নিজের জীবনকে ও আনন্দকে গুরুত্ব দিন। আপনি ‘না’ বললেই যে মানুষ আপনাকে অপছন্দ করা শুরু করবে তা কিন্তু নয়। যৌক্তিক আর আন্তরিক ভাবে বুঝিয়ে বললে মানুষ বুঝবে না কেন!প্রথমে নিজে খুশি থাকুন তারপরে অন্যের কথা ভাবুন।

৪) ছুটি না নেয়াঃ  আপনি কাজ ভালোবাসেন, ভালোবাসেন পরিবারের সবার যত্ন নিতেও। কিন্তু এভাবে আপনি নিজেকে সময় দিচ্ছেন না। এভাবে আপনি নিজের শরীরকে ক্ষতিগ্রস্থ করছেন। মাঝে মাঝে ব্রেক নিন। ছুটি কাটান। সংকীর্ণতা কেটে গিয়ে মন হবে উদার।

৫) জীবনের সবকিছুর ডেডলাইন ঠিক করে রাখাঃ প্রতিদিন যেসব কাজ করবেন সেগুলোর ডেডলাইন থাকতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে জীবনে সব কিছুই আপনার প্ল্যান মত নির্দিষ্ট সময়েই ঘটবে। মাঝে মাঝে ডেডলাইন ক্রস হতেই পারে, হয়ত তার জন্যে আপনি দায়ী নন। যেমন ২৫-২৬ বছরের মাঝে বিয়ে আর ৩০ বছরের ভেতর প্রথম সন্তান নেয়ার প্ল্যান আপনার থাকতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কোন কারনে তা না হলে জীবন এখানেই শেষ। বরং নতুন করে প্ল্যান করুন আবারো। গুছিয়ে নিন। হতাশ হবেন না।

৬) অন্য নারীদের যৌন বা দাম্পত্য জীবন নিয়ে ঈর্ষাঃ পরিচিত বা অপরিচিত নারীদের যৌন বা দাম্পত্য জীবন নিয়ে ঈর্ষান্বিত হতে দেখা যায় অনেক নারীকেই। এই ঈর্ষা এক অসম্ভব আকাংক্ষার জন্ম দেয় যা তার নিজের বা জীবনসঙ্গীর পক্ষে পূরণ করা কঠিন হয়ে পরে। মনে রাখুন প্রত্যেকের দাম্পত্য জীবনের একটি নিজস্ব সুর আছে। অন্য কারো সুরে সেটাকে বাজানোর চেষ্টা করবেন না। এতে দাম্পত্যে কেবল অশান্তিই হবে।

৭) প্রতিদিন হাইহিল পরার অভ্যাসঃ উচ্চতা নিয়ে হীনম্মণ্যতায় ভোগেন অনেক নারীই। তাই প্রতিদিন হাইহিল পরার অভ্যাস গড়ে ওঠে। কিন্তু এতে আপনাকে সাময়িকভাবে আকর্ষনীয় দেখা গেলেও এটি একটু একটু করে ক্ষয় করে ফেলে আপনার মেরুদন্ডের হাড়। ফলে আপনি অকালে পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন।

৮) নিজেকে সুখী প্রমাণ করার চেষ্টাঃ নিজেকে অন্যদের সামনে সুখী প্রমাণ করার চেষ্টা দেখা যায় অনেক নারীর মাঝেই। এজন্যে তাঁরা নানা ধরনের মিথ্যে কথা আশ্রয় নিতেও দ্বিধা করেন না। এ ধরনের আচরণ দ্বারা এক ধরনের সাময়িক আত্মতৃপ্তি পাওয়া গেলেও দিনশেষে তা মিথ্যে বলেই সবার সামনে প্রমাণিত হয়। তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন।

৯) নিন্দা করার অভ্যাসঃ অনেকের মাঝেই অপরের নামে খারাপ কথা বলার প্রবণতা থাকে। হোক তা সত্যি বা মিথ্যা। এই নিন্দা করার ফলে আপনি যাদের নিন্দা করছেন তাদের সম্পর্কে মানুষের খারাপ ধারণা হবার পাশাপাশি আপনাকেও কিন্তু মানুষ নিন্দুক বলেই চিনবে। আর তাছাড়া যার নামে খারাপ কথা বলছেন তার কানে কথাগুলো গেলে তিনিও মনে কষ্ট পাবেন। এ অভ্যাসটি ত্যাগ করে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলুন।

হয়ত শুধু পড়েই নিজেকে বদলাতে পারবেন না। তাই নিজেকে জানুন জীবনকে সহজ করার চেষ্টা করুন।কিছু প্রবনতা এড়িয়ে চলার মাধ্যমে নিজের মাঝে ও অন্যের মাঝে সুখী হয়ে উঠুন।

প্রকৃতি যখন ত্বকের চিকিৎসক


প্রকৃতি যখন ত্বকের চিকিৎসক





প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রিত  এই সময়ে অনেকেই প্রকৃতির ওপর ভরসা করতে পারে না। তাই হয়তো নিজের ত্বকের দাগ ও ব্রন থেকে মুক্তি পেতে দ্বারস্থ হন বিভিন্ন চর্ম বিশেষজ্ঞের কাছে। কখনো পার্লারে মেকআপ করে কখনো বা লেজার ট্রিটমেন্ট করে কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকের দাগ চিকিৎসায় রোগীরা কাঙ্খিত ফল পান না।

ত্বকের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আছে কিছু সহজ প্রাকৃতিক উপায়। এসব পদ্ধতি ব্যবহার করলে এক রাতের মধ্যে দাগ থেকে মুক্তি না পেলেও ধীরে ধীরে দাগ মিলিয়ে যায় পুরোপুরি।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের দাগ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পাঁচটি প্রাকৃতিক উপায়।

লেবুর রসলেবুর রসে আছে আলফা হাইড্রোক্সিস এসিড যা ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে দিতে সহায়তা করে এবং নতুন কোষ গঠন করে। ফলে ত্বকের দাগ হালকা হয়ে যায়। এছাড়াও লেবু হলো প্রাকৃতিক ব্লিচ যা দাগ হালকা করে দেয়।
•    প্রথমে দাগ ও তাঁর চারপাশের ত্বক পরিষ্কার করে নিন।
•    ত্বক পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন।
•    তুলায় এক চা চামচ লেবুর রস নিন।
•    ত্বকের যে স্থানে দাগ আছে সেখানে তুলা দিয়ে চেপে লেবুর রস লাগিয়ে নিন।
•  ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

মধুদাগ দূর করতে মধু অতুলনীয়। এছাড়াও মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। তাই কাঁটা ছেড়াতেও মধু লাগালে ভালো হয়ে যায়।
•    দুই টেবিল চামচ মধুর সাথে ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।
•    ৩ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
•    একটি টাওয়েল গরম পানিতে ভিজিয়ে মুখের ওপর রাখুন।
•    টাওয়েল ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মুখ মুছে ধুয়ে ফেলুন।


অলিভ ওয়েল
অলিভ ওয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও কে আছে। এছাড়াও অলিভ ওয়েলের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দাগকে হালকা করে দেয়।
•    এক টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল নিন।
•    প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন।
•    ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

শসা
রূপচর্চায় শসা ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী। শসা বেশ সস্তা এবং সহজলভ্য বলে ব্যবহার করাও বেশ সহজ।
•    শসা ত্বকে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না।
•    শসা ছিলে এর বীজ ফেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
•    শসার মিশ্রণটি দাগে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন।
•    ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
•    ভালো ফল পেতে প্রতিদিন ব্যবহার করুন।

গোসল করার সঠিক উপায়




 গোসল করার সঠিক উপায়
 
গোসল করার সময় আপনি কি প্রথমে চুল ধোন, তারপর মুখ ও সবশেষে শরীর ধোন? যদি এমন হয়, তাহলে আপনি বড় ভুল করছেন।

গত ২১ নভেম্বর জাপানের 'আধুনিক জার্নাল' ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ভুল উপায়ে গোসল করার কারণে জাপান প্রতি বছর ১৪ হাজার মানুষ মারা যায়। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা নেমে যাওয়ার কারণে ধমনীতে রক্তের চাপ বেশি হয়। এসময় গোসলকালে পড়ে গিয়ে ডুবে যাওয়ার ঘটনা খুব বেশি ঘটে।

"যদিও গোসল-সংশ্লিষ্ট সরাসরি মৃত্যুর হার কম, তবে ভুল গোসল করার পদ্ধতি সত্যিই পরিচ্ছন্ন হওয়ার কাঙ্খিত ফল আনতে সক্ষম হয় না। উল্টো বিপদ সৃষ্টি করে," বলছিলেন চীনের ছোং ছিং চিকিত্সা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং স্বাস্থ্যরক্ষা কর্মী থাং ছেংলিন।

শীতকালে মানুষভেদে গোসলের পানির তাপমাত্রার তারতম্য হয় বেশ। মানুষের গোসল করার পদ্ধতিও ভিন্ন। অধিকাংশ মানুষ গোসলের সময় প্রথম চুল ধোন। এটা ভুল পদ্ধতি।

থাং ছেংলিন বলেন: "শীতকালে তাপমাত্রা কম থাকে। কাপড় খুলে স্নানাগারে প্রবেশ করার পর রক্ত হৃৎপিণ্ড ও মাথায় ঘনিভূত হয়। স্নানাগারে ঢুকে আগেই চুল ধুলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন কমে যেতে পারে। দীর্ঘকাল ধরে এমনভাবে করলে সেরিব্রোভাসকুলার রোগ হতে পারে।" তিনি বলেন, গোসলের সঠিক পর্যায়গুলো হচ্ছে যথাক্রমে মুখ ধোওয়া, শরীর ধোওয়া এবং তারপর চুল ধোওয়া।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রথমে মুখ ধোওয়া হলে শরীর গরম পানির সংস্পর্শে আসার পর লোমকূপ দ্রুত বিস্তৃত হয়। এছাড়া আগে মুখ ধোওয়া হলে মুখের লোমকূপে বেশি ধূলো প্রবেশ এড়ানো যায়।

শরীর ধোওয়া বা পরিষ্কার করার সময় হৃত্পিণ্ড থেকে দূরবর্তী চারটি অঙ্গ আগে ধোওয়া উচিত। এরপর পুরো শরীর এবং সবশেষে চুল ধোওয়া উচিত্। একদিকে ঠাণ্ডা ও গরম পালাক্রমে ব্যবহার করলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহে অস্বাভাবিকতা এড়ানো যায়। অন্য দিকে কিছু সময় গরম পানিতে শরীর ধুলে সেই সময়ে মাথার খুলি ও চুল জলীয় বাষ্পে পুরোপুরি আর্দ্র হয়ে ওঠে। এটা পরিষ্কারও সুস্থ চুলের জন্য উপযোগী।

৩টি খুঁটিনাটি বিষয় অবহেলা করবেন না।

১. বর্তমানে বাজারে অনেক ওয়াটার হিটার পাওয়া যায়। যখন বেশ পানির পাইপ কয়েকটি জায়গায় গরম পানি নির্গত করে, তখন ঝরনা অগ্রভাগ থেকে বের হওয়া পানির তাপমাত্রা সম্ভবত দেখানো তাপমাত্রার চেয়ে কম থাকে।

২. গোসল করার সময় স্নানাগারের দরজা শক্ত করে লাগাবেন না, যাতে নিম্ন রক্তচাপের কারণে ঘটা সাময়িক সংজ্ঞাহীনতাসহ অন্যান্য অপ্রত্যাশিত ঘটনায় কেউ সাহায্য করতে পারে।

৩. ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস থাকলেও পানির তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে কম না হওয়া ভালো।
মনে রাখুন

গোসল করার আগে গা ঘামিয়ে নিন। গোসলের সময় আকুপাংচার পয়েন্টে মাসাজ করুন। এ দুটি বিষয়ই স্বাস্থ্য রক্ষায় গোসলের গোপন সূত্র।

"নিম্ন তাপমাত্রার পরিবেশ থেকে গিয়ে তড়িঘড়ি গরম পানিতে গোসল করলে মানুষের শারীরিক রক্তপ্রবাহ নিম্ন পর্যায় থেকে উঁচু পর্যায়ে ওঠে হঠাত্ করে। বয়স্ক, শিশু বা হৃদরোগে আক্রান্তদের পক্ষে সেটা সহ্য করা অসুবিধাজনক হয়।

থাং ছেংলিন বলেন, শীতকালে গোসল করার আগে কিছুক্ষণ গা ঘামিয়ে নেওয়া, যেমন পায়চারি করা ও কোমর মোচড়নাসহ বিভিন্ন অনুশীলন করা উচিত্।

সার্ভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস ও গেঁটেবাত রোগীরা ঝরনার অগ্রভাগ দিয়ে আক্রান্ত অংশে গরম পানি দেওয়ার পাশাপাশি মাসাজ করতে পারে, যাতে সেঁক দেওয়ার ফল পাওয়া যায়। এছাড়া পায়ের নিচে ৩ থেকে ৫ মিনিটের মাসাজ করা যায়। থাং ছেংলিন মনে করিয়ে দেন যে, পায়ের নিচে অনেক প্রতিবিম্ব অঞ্চল আছে। গোসল করার সময় যখন রক্তপ্রবাহ দ্রুত হয়, তখন পায়ের নিচে মাসাজ করলে ক্লান্তি দূর হয়। কিন্তু মাসাজ দীর্ঘ সময় ধরে চালানো উচিত না। স্নানাগারে একটি ছোট টুল রেখে সেখানে বসে মাসাজ করা যায়।

গোসলের পানি তাপমাত্রা
শীতকালে গরম পানিতে গোসল করা খুব আরামদায়ক ব্যাপার। ছোংছিং সান্ধ্যপত্রিকা পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী, অনেক মানুষ শীতকালে গোসল করে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে। এ সময় পানির তাপমাত্রা থাকে ৪২ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর ব্যাপার।

থাং ছেংলিন জানান, শীতকালে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির গোসলের সময় ৩০ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। প্রবীণ, শিশু বা হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য এ সময় ২০ মিনিটের বেশি হওয়া উচিত না।

গবেষণা থেকে জানা যায়, ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানিতে ১০ মিনিটের বেশি থাকলে স্নায়ুবিক উত্তেজনা হয় এবং তার ফলে হৃত্স্পন্দনের গতি এবং রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। গোসলের সময় সীমাবদ্ধ রাখা গোসলের শেষভাগে রক্তচাপজতিন সাময়িক সংজ্ঞাহীনতা এড়ানোর মূলমন্ত্র।

খাওয়ার পর গোসল করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। কারণ খাওয়ার পর মানুষের, বিশেষ করে হৃদরোগে আক্রান্তদের, জিভে রক্ত জমা হয়। খাওয়ার কমপক্ষে এক ঘন্টা পর গোসল করা উচিত্। সিন ছিয়াও হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের ডাক্তার গেং শাও হুয়া বলেন, খাওয়া শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে গোসল করলে বদহজম ও রক্তচলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হবে। করোনারি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য গোসলের পানির তাপমাত্রা বেশি হওয়া উচিত না। গরমকালে গোসলের পানির তাপমাত্রা দেহের তাপমাত্রার সমান হলে ভালো। আর শীতকাল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত না। যদি শীত লাগে, তাহলে পানি গরম করার সরঞ্জাম ব্যবহার করা যায়। গোসল করার আগে গরম পানি দিয়ে শরীর মুছে নেওয়া যায়। আস্তে আস্তে শরীরের তাপমাত্রা পানির তাপমাত্রার উপযোগী করে নেওয়া যায়।

গোসল কতবার?
শীতকালেও অনেকের দিনে দু'বার গোসল করার অভ্যাস আছে। এটা ত্বকের জন্য ভালো না।

সিন ছিয়াও হাসপাতালের ত্বক বিভাগের ওয়াং রুপেং বলেন, "আবহাওয়া ঠাণ্ডা হলে প্রতিদিন গোসল করার দরকার নেই। সাধারণত সপ্তাহে দু'বার করে গোসল করলেই হয়।" তিনি বলেন, শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। এসময় খুব বেশি গোসল করলে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে যায়। এছাড়া মেদ থেকে ক্ষরিত রস পাতলা হলে অ্যাস্টাটোটিক এক্সিমা হতে পারে।

দীর্ঘ সময় পর একবার গোসল করলেও বেশি শক্তি দিয়ে ত্বক ঘষা উচিত না। সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে কোমল স্পঞ্জ দিয়ে হালকাভাবে ত্বক ঘষা।

চিরতরুণ থাকতে বিস্ময়কর ৭ খাবার




চিরতরুণ থাকতে বিস্ময়কর ৭ খাবার
চিরতারুণ্য, চিরযৌবন ধরে রাখতে সবাই চায়। এ জন্য ফোসিয়াল, ফেসপ্যাক, বিউটি পার্লারের পেছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করে শেষ পর্যন্ত কোনো লাভই হয় না। এর চেয়ে বরং সস্তা কিছু খাবার যদি আপনার তারুণ্যকে ধরে রাখে তবে তা নিশ্চয়ই মন্দ হয় না? তবে জেনে নিই সেরকম বিস্ময়কর ৭ খাবারের সন্ধান।

১. অনেক দেশেই ঝিনুক খাওয়ার বেশ চল আছে। ঝিনুক খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বহুগুণে বেড়ে যায়। ঝিনুকে খনিজ জিঙ্ক থাকে যা ত্বকের জন্য উপকারী। আপনার দেহের কোনো ক্ষত যদি না শুকায় তাহলে দেহে জিঙ্কের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এটি শরীরে দ্রুত কাজ করবে। বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে ঝিনুক খান।

২. রসুন মানবদেহের অস্টিওআর্থারাইটিস কমাতে বেশ সহায়ক এবং রসুনের তেল হার্টের জন্য উপকারী। রসুন রক্তচাপ কমাতেও সহায়তা করে। লন্ডনের কিংস কলেজের এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এছাড়া চীনের এক গবেষণায় দেখা যায় যে রসুনে থাকা এক ধরনের উপাদান লিভারের জন্য উপকারি যা বয়স বাড়ার প্রবণতাকে ধীর করে দেয়।

৩. সব ধরনের বেরিফলেই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যেটি শরীরের কোষের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে এবং বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। ব্ল্যাকবেরি ক্যান্সার এবং ডায়বেটিস প্রতিরোধে সহায়ক। বেরিফল যত বেশি কালো হয়ে থাকে তাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ তত বেশি হয়। ব্লুবেরি স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, বিভিন্ন ব্যথা নিরসন করে এবং ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। এছাড়া সব ধরনের বেরি ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। মেরীল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয় যে বেরিফলে থাকা ভিটামিন সি শুধু ত্বকের মরা কোষই ধ্বংস করে না বরং ত্বকের ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে থাকে যা বয়স বৃদ্ধির হার ধীর করতে সহায়তা করে।

৪. টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যা রান্না করার পরও বহাল থাকে। টমেটোর সস বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। গবেষণায় বলা হয় হার্টের রোগ, ক্যান্সার, অস্টিওপোরোসিস নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পরিমাণে টমেটো খাওয়া বেশ কার্যকর।

৫. ডিমে উচ্চমাত্রার কোলেস্টোরেলের কারণে ডিম স্বাস্থ্যোপযোগী নয় বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখতে পান, প্রতিদিন ১টি করে ডিম খাওয়া হার্টের অসুখের জন্য অত্যন্ত ভালো। ডিমে কখনোই কোলেস্টোরেল বাড়ে না বা কোনো ধরনের ক্ষতিও হয় না। বরং এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌবন ধরে রাখতে দারুণ কার্যকর।

৬. বাদাম ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে- এমন ধারণা অনেকের। তবে এর সত্যতা কিছুটা ভিত্তিহীন। কেননা যেকোনো খাবারই বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রতিদিন ৩/৪ টা বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যপোযোগী। এটি দেহে সেলেনিয়ামের চাহিদা পূরণ করে যা জিঙ্কের মতো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয় এবং বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে কমিয়ে আনে।

৭. কডফিশ বা স্যালমন ফিশে ওমেগা-৩ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যেগুলো দেহের ক্যান্সার এবং মানসিক চাপ নিরসনে সহায়তা করে। এছাড়া এই মাছে থাকা প্রাণীজ প্রোটিন বয়ঃবৃদ্ধির প্রবণতাকে হ্রাস করে থাকে।

সুন্দর নখের খুঁটিনাটি


সুন্দর নখের খুঁটিনাটি


সুন্দর নখ কে না চায়। তবে নখ সুন্দর রাখার জন্য প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। জেনে নিন নখ সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখার উপায়।

সরঞ্জাম:
নখ সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখতে অবশ্যই যত্ন নিতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন ঝামা-পাথর, ফ্রুট স্ক্রাব, ময়েশ্চারাইজার, টোনার, ব্রাশ, নেইল শাইনার, অরেঞ্জ স্টিক, টো-নেইল-নিপার, নেইল কাটার, গোলাপজল ইত্যাদি।

কিভাবে যত্ন নেবেন:
প্রথমে প্লাস্টিকের গামলায় কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে এক প্যাকেট মিনিপ্যাক শ্যাম্পু গুলিয়ে নিন। এরপর কয়েক ফোঁটা গোলাপজল দিয়ে তার মধ্যে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন। এবার কিউটিক্যাল দিয়ে নখের চারপাশের চামড়া পরিষ্কার করুন। নখের ভেতরের ময়লা পরিষ্কার করুন অরেঞ্জ স্টিক দিয়ে। নখের চারপাশে মরা চামড়ার আলাদা স্তর থাকলে টো-নেইল ট্রিয়ার দিয়ে কেটে ফেলুন সাবধানে। আবার পানির ভেতর হাত ও পা ডুবিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর তোয়ালে দিয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন।

নখের ফ্যাশন:নখের ফ্যাশন এখন জনপ্রিয়। তরুণীরা লম্বা নখ রাখতে পছন্দ করে। আবার অনেকে পছন্দ করেন ছোট ও চারকোনা নখ রাখতে। আর তাতে করেন ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর।

বিভিন্নভাবে নখে নকশা করা যায়। এ ক্ষেত্রে ন্যাচারাল নেইলপলিশ দিয়ে প্রথমে বেজ তৈরি করে নিতে হয়। এরপর স্টোন, গি্লটার নেটের লেইস, ফুল, প্রজাপতি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া বাজারেও বিভিন্ন ধরনের নকশা করা ফেক নেইল পাওয়া যায়।

নখের অসুখ:
রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় নখ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ফুসফুস বা হার্টের অসুখেও নখ আক্রান্ত হয়।

নখের সাদা দাগ:
ছত্রাকের আক্রমণে নখে সাদা দাগ হতে পারে।

নখ ভেঙে যাওয়া:
শারীরিক অসুস্থতায় নখ ভাঙতে পারে। খুব বেশি সাবান ও নেইলপলিশ ব্যবহারেও নখ ভাঙতে পারে।

পায়ের নখ ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া:
নখ বড় হওয়ার সময় ভেতরের দিকে ঢুকে গেলে এমন হয়। এতে করে ওই জায়গা ফুলে যায়। অনেক সময় ইনফেকশনও হয়।

প্রতিকার:
নখ কাটার সময় দুই পাশের নখ কাটবেন। ভালো জুতা পরবেন। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ক্রিম নখের কোণে লাগাবেন।

নখের সরঞ্জামের দরদাম:
বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় ম্যানিকিউর-পেডিকিউর বক্স পাওয়া যায়। দাম ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের ফেক নেইল (নকশা করা ও নকশা ছাড়া) পাবেন ২০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। নেইল শাইনার ৫০ থেকে ১০০ টাকা। পার্লারে ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করাতে খরচ পরে ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা।

নখের যত্নে কিছু টিপস:
* ছোট করে নখ কাটুন, এতে ময়লা কম জমবে।
* ম্যানিকিউর করার আগে হাতে যদি কোনো তেলজাতীয় পদার্থ থেকে থাকে তা ভালোভাবে তুলে ফেলুন।
* নেইলপলিশ দেওয়ার সময় নখের সামনের বাড়তি অংশ কোনো কিছু দিয়ে ঢেকে রাখুন। এতে নেইলপলিশ বাইরের অংশে ছড়িয়ে পড়বে না।
* বড় নখ ভেঙে গেলে নতুন কোনো শেপে কাটতে পারেন।
* নখের শুষ্কতা কমাতে এবং নখ ভেঙে যাওয়া রোধে ক্যাস্টার অয়েল বা অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন। সপ্তাহে দুদিন করলে ভাঙবে না এবং নখ শক্ত হবে।
* নখে অনেক দিন নেইলপলিশ থাকলে নখ রুক্ষ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মাসে দুবার নেইলপলিশ তুলে গরম পানিতে শ্যাম্পু ,লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে তাতে হাত ও পায়ের নখ ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর মুছে ক্রিম লাগান।