Pages

চিরতরুণ থাকতে বিস্ময়কর ৭ খাবার




চিরতরুণ থাকতে বিস্ময়কর ৭ খাবার
চিরতারুণ্য, চিরযৌবন ধরে রাখতে সবাই চায়। এ জন্য ফোসিয়াল, ফেসপ্যাক, বিউটি পার্লারের পেছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করে শেষ পর্যন্ত কোনো লাভই হয় না। এর চেয়ে বরং সস্তা কিছু খাবার যদি আপনার তারুণ্যকে ধরে রাখে তবে তা নিশ্চয়ই মন্দ হয় না? তবে জেনে নিই সেরকম বিস্ময়কর ৭ খাবারের সন্ধান।

১. অনেক দেশেই ঝিনুক খাওয়ার বেশ চল আছে। ঝিনুক খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বহুগুণে বেড়ে যায়। ঝিনুকে খনিজ জিঙ্ক থাকে যা ত্বকের জন্য উপকারী। আপনার দেহের কোনো ক্ষত যদি না শুকায় তাহলে দেহে জিঙ্কের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এটি শরীরে দ্রুত কাজ করবে। বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে ঝিনুক খান।

২. রসুন মানবদেহের অস্টিওআর্থারাইটিস কমাতে বেশ সহায়ক এবং রসুনের তেল হার্টের জন্য উপকারী। রসুন রক্তচাপ কমাতেও সহায়তা করে। লন্ডনের কিংস কলেজের এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এছাড়া চীনের এক গবেষণায় দেখা যায় যে রসুনে থাকা এক ধরনের উপাদান লিভারের জন্য উপকারি যা বয়স বাড়ার প্রবণতাকে ধীর করে দেয়।

৩. সব ধরনের বেরিফলেই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যেটি শরীরের কোষের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে এবং বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। ব্ল্যাকবেরি ক্যান্সার এবং ডায়বেটিস প্রতিরোধে সহায়ক। বেরিফল যত বেশি কালো হয়ে থাকে তাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ তত বেশি হয়। ব্লুবেরি স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, বিভিন্ন ব্যথা নিরসন করে এবং ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। এছাড়া সব ধরনের বেরি ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। মেরীল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয় যে বেরিফলে থাকা ভিটামিন সি শুধু ত্বকের মরা কোষই ধ্বংস করে না বরং ত্বকের ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে থাকে যা বয়স বৃদ্ধির হার ধীর করতে সহায়তা করে।

৪. টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যা রান্না করার পরও বহাল থাকে। টমেটোর সস বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। গবেষণায় বলা হয় হার্টের রোগ, ক্যান্সার, অস্টিওপোরোসিস নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পরিমাণে টমেটো খাওয়া বেশ কার্যকর।

৫. ডিমে উচ্চমাত্রার কোলেস্টোরেলের কারণে ডিম স্বাস্থ্যোপযোগী নয় বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখতে পান, প্রতিদিন ১টি করে ডিম খাওয়া হার্টের অসুখের জন্য অত্যন্ত ভালো। ডিমে কখনোই কোলেস্টোরেল বাড়ে না বা কোনো ধরনের ক্ষতিও হয় না। বরং এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌবন ধরে রাখতে দারুণ কার্যকর।

৬. বাদাম ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে- এমন ধারণা অনেকের। তবে এর সত্যতা কিছুটা ভিত্তিহীন। কেননা যেকোনো খাবারই বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রতিদিন ৩/৪ টা বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যপোযোগী। এটি দেহে সেলেনিয়ামের চাহিদা পূরণ করে যা জিঙ্কের মতো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয় এবং বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে কমিয়ে আনে।

৭. কডফিশ বা স্যালমন ফিশে ওমেগা-৩ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যেগুলো দেহের ক্যান্সার এবং মানসিক চাপ নিরসনে সহায়তা করে। এছাড়া এই মাছে থাকা প্রাণীজ প্রোটিন বয়ঃবৃদ্ধির প্রবণতাকে হ্রাস করে থাকে।

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন