Pages

কেন আমরা হাসবো?


কেন আমরা হাসবো?
  হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা নিয়েই মানুষের জীবন।মহান কারিগর এমন ভাবে মানুষ বানিয়েছেন। কোন কিছুর ঘাটতি হলে এর বিকল্প ব্যাবস্থা হয়ে যায় সাথে সাথে। মানুষের চলার পথে অনেক ধরনের বিষয় এর সাথে মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হয়। অভাব- অনটন, দুঃখ- বেওদনা সহ অসখ্য বিষয় এর সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকে। নিজের জ্ঞান বুদ্ধি দ্বারা প্রতিহত না হলে প্রয়োজন হয় অন্যের পরামর্শের। এমন অনেক কঠিন বাস্তবতা, বিরোক্তিকর অবস্থা উত্তরণের উপাই হতে পারে হাসি। হ্যা সত্যিয়, হাসি নিয়ে গবেষনালব্ধ তথ্য দিয়েছেন মন বিজ্ঞানী গণ। তা নিম্নরুপঃ
১। হাসি উত্তম ব্যায়াম : অন্য যে কোন ব্যামের চাইতে এই ব্যায়াম যেমন অনেক সহজ তেমনই অনেক উপকারী। হাসির সময় আমাদের শরীরের প্রায় সবধরনের পেশীতে স্নগকচন-প্রশারন হয়। তাই শরীরের বিরাট উপকার সাধিত হয়। বঅলা হয়ে থাকে ১ মিনিটের হাসি যে কোন ২০ মিনিটের ব্যাময়ের চাইতেও উপকারী।
২। হ্রদরোগের চিকিৎসায় হাসি : বাস্তবিক যুক্তি ও প্রমানের উপর আজ এই কথা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরেছে যে হ্রদরোগের চিকিৎসায় হাসির প্রভাব সাফল্যজনক। কোন ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই শুধু মাত্র হাসি খুশী থেকে এই রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন অনেকেই।
৩। মানুষের প্রিয় হয়ার পথে সহায়ক হাসিঃ হাসি তা চিড়ল দাঁতের হোক কিম্বা অন্য কোন দাঁতের। তা মানুষের মনে যায়গা করে নিতে পারে । মানুষের স্বভাবতই বৈশিষ্ট যে তার সাথে হাসি মখে কথা বললে তার প্রিয় হয়ে যায়।
৪। ব্যক্তিত্ত বিকাশে হাসি : রাগি , বদমেজাজী মানুষ কে সবাই এড়িয়ে চলে। তেমনই সদা হাসসজ্জল প্রাণবন্ত মানুষকে সবাই ভালো বাসে। উন্নত ব্যক্তিত্ত গঠনে অনেক বেশী সহায়ক হয় হাসি।
৫। উচ্চরক্তচাপ কমাবে হাসিঃ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তবতা। মানুষের মানুষিক অবস্থার উপর নির্ভর করে তার শরীরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বেশী দুশ্চিন্তা, মানুষিক অস্থিরতা রক্ত চলাচলের পথে রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। হাসি এই বাঁধা দূর করতে বেশ সহায়ক হয়।
৬। দুশ্চিন্তা দূর করবে হাসি : আমরা যখন দুশ্চিন্তা নিয়ে হাসতে থাকে,তখন আমাদের দেহে এক ধরনের হরমন ক্ষরিত হয় ফলে আমরা ভুলে যায় যে চিন্তা আমাদের মাথায় ঘুরে আমাদের বিরক্ত করে যাচ্ছিল। সুন্দর একটা অনুভুতি ফিরে পায় তখন।
৭। পুন্য অর্জনের উপায়ঃ সব ধর্মেই মার্জনীয় হাসির কদর রয়েছে। শান্তির ধর্ম ইসলামে এটা কে সদকার সাথে তুলনা করা হয়েছে। প্রিয় নবী(সাঃ) বলেছে মুমিনরা যেন অন্যদের সাথে কথা বলার সময় হাসিমুখে কথা বলে, এটা তার জন্যে সাদকাতে পরিনত হয়।
কে বলে হাসতে পারিনা আমি, চেষ্টায় পারে সব কিছু করতে। হ্যা হাসি অবশ্যই সব দিক বিবেচনায় অতান্ত উপকারী। তার পরেও হাসির কিছু ব্যঙ্গাতক রুপ আছে যা অবশ্যই ক্ষতিকর। মানুষকে ছোট মনে করে হাসাও অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই আসুন আমরা হাসির উপকারী দিক গুলো ব্যবহার করে উপকৃত হয়।

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন