Pages

বিশ্বের রহস্যময় ১০টি ছবি


ঢাকা: পুরো বিশ্বটাই যেন রহস্যের আধার। এর মধ্যে কিছু বস্তুর রহস্য উদঘাটন করা গেলেও বিশ্বে এখনও অনেক বস্তু রয়েছে যার রহস্য উদ্ধার করা যায়নি। আসুন দেখে নেয়া যাক তেমনি ১০ টি রহস্যেঘেরা বস্তু-

মঙ্গলে ব্লুবেরি: ২০০৪ সালে মঙ্গল গ্রহে অনুসন্ধানকালে ব্লুবেরি ফলরে মতো অদ্ভুত কিছু বস্তুর সন্ধান পায় বিজ্ঞানীরা। ২০১২ সালে ওই ব্লুবেরির রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু মঙ্গলের ওই রহস্য এখন পর্যন্ত উন্মোচন করতে পারেনি বিজ্ঞানীরা।



দ্য বাবুশকা লেডি: বাবুশকা অপরচিতি এক নারীর ডাকনাম। ১৯৬৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যার সাথে জড়িত বলে যাকে সন্দেহ করা হয়। কেননা কেনেডি হত্যার সময় ওই নারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কন্তিু তারপর আর ওই নারীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।



হুক দ্বীপের দৈত্য: ১৯৬৫ সালে হুক দ্বীপে ৭৫ থকেে ৮০ ফুট লম্বা একটি দৈত্যের দেখা মিলেছিল। হুক দ্বীপের রর্বাট লি সেকেরের স্ত্রী ওই দৈত্যটি প্রথমে দেখতে পান। দৈত্যটি দেখার পর রর্বাটের স্ত্রী তার পছিু নেন। কন্তিু কছিুক্ষণ পরে দৈত্যটি পানিতে নেমে যায়। রর্বাট অবশ্য দৈত্যটির কয়কেটি ছবি তুলছেলিনে। কন্তিু সইে দৈত্যের রহস্য এখন পর্যন্ত রহস্যই থেকে গেছে।



দ্য ব্লাক নাইট স্যাটেলাইট: এবারের রহস্যেঘেরা ছবিটি তোলা হয় ১৯৬০সালে মানুষের তৈরি প্রথম স্যাটেলাইট ‘দ্য ব্লাক নাইট থেকে। ছবিটি এমন একটি যন্ত্রের যা তখনকার যুগে রাশিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে তৈরি করা সম্ভব ছিল না। তাই ছবিটি কিসের সে রহস্য আজও উদঘাটন করা যায়নি।



তবে গুজব রয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী নিকোলা তেসলা প্রথম মানব হিসেবে ১৮৯৯ সালে পৃথিবীর বাইরের কোন স্যাটেলাইটের সংকেত শুনতে পান। ধারণা করা হয়, নিকোলা তেসলা আবিষ্কৃক সংকেত এ স্যাটেলাইটেরই। তবে এ ধারণার সবই গুজব বাস্তব কোন ভিত্তি নেই।

টাইম ট্রাভেলার উইথ সেল ফোন: ১৯২৮ সালে চার্লি চ্যাপলিনের ‘দ্য সার্কাস’ নামের একটি স্বল্প দৈঘ্যের চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে দর্শকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় ছবিটি দেখার জন্য ও মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দির উদ্দেশ্যে ছবি তোলার জন্য। কিন্তু ঐ দিনকার একটি ছবিতে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন একলোক সেলফোনে কথা বলছেন। এ কিভাবে সম্ভব কারণ সেলফোন আবিষ্কৃত হয়েছে বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে।
আজও সে রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি।



৬০ ফুট লম্বা ইউএফও ডিস্ক: ২০১২ সালে সুইডিস মহাসাগর গবেষণা দল বাল্টিক সাগরের তলদেশে ৬০ ফুট লম্বা একটি ডিস্ক আবিষ্কার করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বস্তুটি কি তা এখনো জানা যায়নি। এ নিয়ে রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। এটাকি নাজি বাহিনীর সাবমেরিন বিধ্বংসী যন্ত্র? পৃথিবীর গভীরের কোন বস্তু? নাকি মহাকাশ থেকে পতিত কোন বস্তু? এ রহস্য আজও উদ্ধার হয়নি।



হেসডেলেনের আলাে: নরওয়ের হেসডেলেনের আলো এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্যময়ই রয়ে গছে।২০০৭ সালে নরওয়ের একদল শক্ষিক, ছাত্র ও বিজ্ঞানী ওই লাইটের রহস্য উদঘাটনের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা চালায়। কিন্তু তারা ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ওই আলোর রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়।



চাঁদের পিরামিড: অ্যাপোলো ১৭ ফ্লাইটের সর্বশেষ তোলা চাঁদের পিরামিডের ছবি নিয়ে এখনো রহস্য রয়ে গেছে বিজ্ঞানীদের নিকট।



দ্য স্লোওয়ের মহাকাশযানঃ ১৯৬৪ সালের ২৩ মে জিমি টম্পেলটেন নামে এক মহাকাশচারী মহাকাশে ভ্রমণের সময় এক যুগল নারীকে একটি জলাভূমিতে বসে থাকতে দেখেন। তিনি ওই নারী যুগলের তিনটি ছবি তোলেন। কিন্তু তাদের বসে থাকার কারণ জানা যায়নি।



ভুতুড়ে বৈমানিকঃ প্রথম বশ্বিযুদ্ধের সময় বিমান দুর্ঘটনায় ফ্রেডি জ্যাকসনের নিহতের ঘটনা এখনো রহস্যই রয়ে গেছে। কিন্তু ওই রহস্য উন্মোচন না হওয়ায় তাকে ভুতুড়ে বৈমানিক হিসেবে অভিহিত করা হয়।





No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন