Pages

**কিছু সত্য প্রেমের কাহিনী**

রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, শাহজাহান-মমতাজ, লাইলী-মজনু, দেবদাস-পার্বতী সহ আরও অনেক প্রেম কাহিনী ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। যুগ যুগ ধরে প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে ইতিহাসের সেই প্রেমিক-প্রেমিকাদের প্রেম আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
প্রেমের সেই আদর্শ বর্তমান সময়ে এসে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। এখনকার প্রেম-ভালোবাসা মূলত মনের দিক থেকে হয় না। হয় টাকা ও শরীরের দিক থেকে। তবে এর মধ্যেও দেশে-বিদেশে এমন কিছু প্রেম-ভালোবাসার ঘটনা ঘটছে যা আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই সব ঐতিহাসিক প্রেমের ইতিহাসের কাছে। আজ আমরা এমন কিছু প্রেমের গল্প শুনবো।


ঘটনা – ১:
একজন ধর্ষিতা নারীর পাশে দাঁড়ালেন সত্যিকারের একজন বন্ধু। ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি। বন্ধুত্বের মর্যাদা রাখলেন বিহারের এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। চোখের সামনেই তার বান্ধবীকে ধর্ষণ করেছিল পর পর ৩ জন ৷ কিন্তু অধিকাংশ সময়েই যা হয়, এ ক্ষেত্রে তা হয়নি৷ বান্ধবীর পাশ থেকে সরে আসেননি ওই তরুণ৷ প্রথাসম্মত ভাবে বিয়ে করে লাঞ্ছিতা তরণীকে জীবনসঙ্গিনী করেন তিনি৷২২ বছর বয়সী বান্ধবীর সঙ্গে বিহারের বাঁকা জেলার মন্দার পর্বত এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই তরুণ৷ অনেকের বিশ্বাস, ওই পর্বতটিই হল হিন্দু পুরাণ কথিত মন্দারচল পর্বত, যা সমুদ্রমন্থন করে অমৃত তোলার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল৷ তাই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বহু তীর্থযাত্রীর সমাগম হয়৷ কিন্তু সমুদ্রমন্থনে যেমন বিষ উঠে এসেছিল, তেমনিই তীর্থস্থানেও ওই তরুণ-তরুণীর জন্য অপেক্ষা করেছিল বিপদ৷ রাস্তা হারিয়ে কিছু মেষপালকের কাছে পথ জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁরা৷ ভুল তথ্য দিয়ে ওই মেষপালকরা তাঁদের এক নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়৷ দু’জনকেই আটকে রেখে মারধর করা হয়৷ তিন ঘণ্টা ধরে বন্ধুর সামনেই ৩ জনের হাতে গণধর্ষিতা হন ওই তরুণী৷ ছেড়ে দেওয়ার আগে তাঁদের টাকাপয়সাও কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা৷ কোনক্রমে বরাহত থানায় পৌঁছে আক্রান্ত তরুণ-তরুণী এফআইআর দায়ের করেন৷


ঘটনা – ২:
রূপকথাকেও হার মানায় জেতসুন পেমা প্রেম কাহিনী। তিনি তখন ৭ বছরের শিশু। দেখা হলো ১৭ বছরের জিগমে খেসর নামগিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে। সেখানে ওই জিগমে কথা দেন যদি দু’জনই সিঙ্গেল থাকেন ভবিষ্যতে তারা বিয়ে করবেন। দিন যায়, মাস যায়, একে একে বছরও যায়। এভাবে ১৩ বছর পর তাদের দেখা হয়। ৩০ বছর বয়স্ক ওই যুবক তখন ভূটানের রাজা। কথা রাখলেন তিনি। বিয়ে করলেন সেদিনের শিশু আজকের ২০ বছরের তরুণী জেতসুনকে। বৌদ্ধ রীতিতে বিয়ের পর জেতসুন হয়ে গেলেন ভূটানের রানী।


ঘটনা – ৩:
ভঙ্গুর এ সমাজে ভালোবাসার অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর অনুপম সেন। স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা কতটা গভীর এবং নিখাদ হতে পারে তা দীর্ঘ ৫ বছর ধরে তার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন ২০১৪ সালের একুশে পদক বিজয়ী এ শিক্ষাবিদ। দীর্ঘ এ সময়ে, কোমায় থাকা অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার পাশাপাশি নিরলসভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন সেবা শুশ্রুষা । অসুস্থ স্ত্রী`র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিসর্জন দিয়েছেন নিজের সব কিছু। পরম মমতায় স্ত্রী উমা সেনের মাথায় হাত রেখে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে কি না দেখছেন ডক্টর অনুপম সেন। হয়তো সে সঙ্গে কিছুটা নিশ্চিত থাকার চেষ্টা করেন প্রিয়তমা স্ত্রীর এখনো শ্বাস চলছে। আর এভাবে গত ৫ বছর ধরে প্রতিদিন সকাল শুরু হয় শিক্ষাবিদ ডক্টর অনুপম সেনের। সাত সকালে শুরু হওয়া সত্তোরোর্ধ্ব শিক্ষাবিদের নিজ হাতে অসুস্থ স্ত্রীর সেবা চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। এর মাঝে তিনি সেরে নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সব কাজ। অসুস্থ স্ত্রী, সংসার, নিয়মিত লেখালেখি-- এত সবের পরও বসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি-নির্ধারনী সভায়। করে চলেছেন সমাজ সেবামূলক নানা কাজও। স্ত্রী আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন এ আশায় এখনো বুক বেঁধে আছেন ১২টি গবেষণাধর্মী বইয়ের লেখক এ সামজ বিজ্ঞানী। তিনি বিশ্বাস করেন প্রিয়তমা স্ত্রী আবারো জেগে উঠবে। ফিরে আসবে আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে। চট্টগ্রামের বনেদী পরিবারের সন্তান অনুপম সেন। কানাডা থেকে এমএ পাশ করার পর অনুপম সেন সেখানেই পিএইচডি সম্পন্ন করেন। ১৯৬৪ সালে পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করেন প্রতিবেশী ঊমা সেনকে। দীর্ঘ ৫০ বছরের সুখের সংসারে হঠাৎ করেই নেমে আসে বিপর্যয়। ২০০৯ সালে রক্তক্ষরণের কারণে সেমি কোমায় চলে যান উমা সেন। সেই থেকে শুরু হয় ডক্টর অনুপম সেনের আরেক সংগ্রাম।


ঘটনা – ৪:
দাম্পত্য জীবনের বয়স দীর্ঘ ৬০টি বছর। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তারা ছিলেন দু`জনের ছায়া হয়ে। বিয়ের পর থেকে তাদের কখনও আলাদা হতে দেখা যায় নি। ভালোবাসার টান এমনই ছিল যে, মৃত্যুও তাঁদের আলাদা করতে পারেনি। পরস্পরের হাতে হাত রেখেই শেষবারের মতো চোখ বুজেছেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাটাভিয়ায়। স্বামীর নাম এড হেইল (৮৩) ও স্ত্রীর নাম ফ্লোরিন হেইল (৮২)।   ফ্লোরিনের মৃত্যুর পর হাসপাতালের বিছানায় তাঁর হাত ধরে থেকেই মাত্র ৩৬ ঘণ্টা পর পৃথিবী ছেড়েছেন এড।আত্মীয় ও পরিচিতরা জানান, তাঁদের কাছে এড ও ফ্লোরিন দম্পতি ছিলেন আদর্শ প্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কখনো তাঁদের আলাদা হতে দেখেননি তাঁরা। তাঁদের এই মধুর সম্পর্ক নিয়ে ঠাট্টা করে ফ্লোরিনকে যখন তাঁরা জিজ্ঞেস করতেন, তখন ফ্লোরিনের জবাব ছিল- তাঁর আগে এডকে মরতেই দেবেন না! ৬০ বছর আগে এক পার্টিতে পরিচয় ফ্লোরিন ও এডের। তরুণ প্রকৌশলী এড যখন ফ্লোরিনের বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন, তখন তাঁরা বাস্তবিকই সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কারণ মাত্র তিন মাস আগে ফ্লোরিনের বিয়ে হয়েছিল। সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় ফ্লোরিনও প্রচণ্ড আঘাত পান এবং মানসিকভাবে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমন অবস্থায় এত শিগগির মেয়েকে আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসাতে রাজি ছিলেন না তাঁরা। কিন্তু তাঁদের `না`কে মানতে পারেননি এড। তিনি ফ্লোরিনকেই বিয়ে করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন এবং শেষ পর্যন্ত ১৯৫৩ সালের ১২ মে ফ্লোরিনকেই বিয়ে করেন।


ঘটনা – ৫:
মার্কিন মুলুকের আইওয়া প্রদেশের নাগরিক নরমা ও গর্ডন। দু’জনেরই বয়স ৯০ বছরের বেশি। ৭২ বছর ধরে দু’জন একসঙ্গে সংসারের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে আসছেন। হঠাৎ গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে দু’জনকেই একসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে দু’জনই দু’জনের হাত ধরে ছিলেন। ডাক্তাররা উপায় না পেয়ে দু’জনকে একসঙ্গে একটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখেন। দু’জনের হুশ ছিল না; কিন্তু পরস্পরের হাত কেউ ছাড়েননি। হাত ধরা অবস্থায় গর্ডন নরমাকে ছেড়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে মাত্র। এক ঘণ্টা পর নরমাও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ১৯৩৯ সালের ২৬ মে বিয়ে করা এ দম্পতি মৃত্যুর পরও এভাবে পরস্পরের হাত ধরে থাকাই আমাদের বুঝতে শেখায় ভালোবাসার মানবিক বাস্তবতা।


ঘটনা – ৬:
টেইলর মরিস ও ডেনিয়েল কেরি। একসঙ্গে হাইস্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকান। পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে পরস্পরের প্রেমও বেড়ে চলে সমান গতিতে। কিন্তু হঠাৎই যেন ঝড় আসে দু’জনের ভালোবাসার সম্পর্কে। ২০০৭ সালে মার্কিন নেভিতে কর্মরত মরিস এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হলে তার দুই হাত আর পা কেটে ফেলতে হয়; কিন্তু তাতে কি ভালোবাসা কমে! এখন সমুদ্র সৈকতে কেরির কাঁধে চড়ে সমুদ্র দেখে মরিস। নিজের ভালোবাসার মানুষের সেবা-শুশ্রƒষায় বেশ ব্যস্ত দিনই পার হয়ে যায় কেরির। এদিকে টিম ডট নামের এক ফটোগ্রাফার হেরি-মরিস যুগলের ভালোবাসার ছবিগুলো তুলে ছড়িয়ে দেন বিশ্বময়, যা এই প্রেমিক যুগলকে পরিচয় করিয়ে দেয় গোটা দুনিয়ার সঙ্গে।


ঘটনা – ৭:
যদিও আকাশ কুয়াশায় ম্রিয়মাণ, তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান! ৯৬ বছর বয়স্ক ফ্রেডের জীবনের গল্পটা যেন এই গানের মতোই। লরিনকে নিয়ে তার সংসার ৭৫ বছরের। এতগুলোদিন একসঙ্গে থাকার পর হঠাৎ ভালোবাসার মানুষটি যদি চলে যান, তাহলে তো আকাশ মেঘ কালো করবেই। হারানো প্রেমিকার স্মৃতির উদ্দেশে গান লিখতে বসেন মার্কিন নাগরিক ফ্রেড। পরে এক বিজ্ঞাপন দেখে লেখা গানটি মেইল করেন এক প্রতিষ্ঠানের কাছে। ওই প্রতিষ্ঠানেরও পছন্দ হয় ফ্রেডের লেখা গান। পরে গানটি রেকর্ডিংও হয় ‘এ লেটার ফ্রম ফ্রেড’ শিরোনামে।


ঘটনা – ৮:
আমেরিকার অধিবাসী ডোনাল্ড ফিদারস্টোন ও ন্যান্সি। যখন কারও জামা-কাপড়ের দরকার হয়, দু’জন একসঙ্গে মিলে কাপড়ের দোকানে যান। তারপর দু’জনের জন্য এক রঙের, এক ধরনের কাপড় কেনেন। ৩৫ বছর ধরেই এ কাজ করে আসছেন এ দম্পতি। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা আর তীব্র আবেগ প্রকাশের জন্যই এ ব্যবস্থা।


ঘটনা – ৯:
বন্ধুত্বের মাঝে আমাদের ভালোবাসার বোধ মাখামাখি করে থাকে। এ গল্পটা তেমনই। চীনের হেবাইতে ১৬ বছরের এক কিশোর লুই সি চিং। লুই গত আট বছর ধরে সে তার বন্ধুকে কাঁধে করে স্কুলে পৌঁছে দেয়। কেননা ওর বন্ধু লু সাও যে হাঁটার সক্ষমতা রাখে না। আট বছর আগে, এক ঝড়-জলের দিনে মাটিতে পিছলে পড়ে যায় লু সাও। সেই থেকে প্রতিদিন কাঁধে করে বন্ধুকে স্কুলে আনা-নেয়া করে লু। আর সাও ডায়েরিতে টুকে রাখে বন্ধুত্বের নিস্বার্থ দানের গল্প।


ঘটনা – ১০:
১৬ বছর প্রেম করার পর সংসার গড়ার জুটি পৃথিবীতে বিরল। আর এমনি ঘটনা ঘটেছে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায়। দীর্ঘ ১৬ বছর এক নাগারে প্রেম করার পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার নায়ক হলেন, পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের মালিগছ গ্রামের খোকন প্রধানের দ্বিতীয় পুত্র মোনায়েম প্রধান রাসেল। নায়িকা একই উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের খাটিয়াগছ গ্রামের মাহাবুব আলমের তৃতীয় কন্যা মর্জিনা আক্তার। দুজনই সদ্য মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। সম্পর্কের শুরু সেই উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে। উভয়ে তখন সবে মাত্র ভজনপুর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ শ্রেণীতে পড়ে। প্রেম শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই সবার কাছে তাদের প্রেমের খবর পৌছে যায়। তবে তাদের পবিত্র ভালোবাসায় কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। না কোন সহপাঠী, না শিক্ষক আর না অভিভাবক। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া, এক সাথে মাঠে বসে দীর্ঘক্ষণ গল্প করা, ঘুরে বেড়ানো ভালোভাবেই তাদের দিন কেটে যায়। মাঝে মাঝে ঝড়গা আবার মিলন। এরপর পরিবারের পক্ষথেকে আসে কঠিন নির্দেশ। জুড়ে দেয়া হয় শর্ত। সম্পর্ক মেনে নেয়া হবে তবে উভয়কে ভালোভাবে লেখাপড়া সম্পন্ন করতে হবে। এরপর থেকে শুর“ হয়ে তাদের নতুন অধ্যাবসায়। প্রেমের সাথে সাথে চলল লেখাপড়া। রাসেল মাধ্যমিক পাশ করে ভজনপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, দিনাজপুর আইন কলেজ থেকে এল এল বি, ও রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। মর্জিনা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর রাসেলের সাথে একই কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও অনার্স- মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। দুজনেই তাদের জীবনের লক্ষে ও প্রেমকে সার্থক করার লক্ষে ছিলেন অটুট। তাই মাস্টার্স পাশের পর পরই অভিভাবকরাও তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। দিয়েছেন তাদের পারিবারিক স্বীকৃতি। মহা ধুমধামে এই প্রেমিক জুটির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।


ঘটনা – ১১:
মুকেশ কুমার পেশায় একজন কৃষক। বাড়ি ভারতে হরিয়ানার ভারতে। আর আদ্রিয়ানা পেরাল এর বাড়ি সদূর আমেরিকা। ৪১ বছরের আদ্রিয়ানা পেরালের জীবনটা কাটছিল আর বাকি পাঁচজন হাইপ্রোফাইল গৃহস্থ মার্কিন মহিলার মতই। অফিসে রিসেপসনিস্টের কাজ, তারপর সন্ধ্যায় জিম, রাতে নাইটক্লাবে দেদার নাচ। এভাবেই দিন কাটত পেরালের। অফিসে ফেসবুকের সামনে মাঝে মাঝে বসার সুযোগ পেতেন। তখনই পরিচয় হয় হরিয়ানার ২৫ বছরের মুকেশ কুমারের সঙ্গে। মুকেশের সঙ্গে কথা বলতে বেশ লাগত পেরালের। মুকেশের সঙ্গে মিশেই জীবনের মানে খুঁজে পেতে শুরু করেন পেরাল। মুকেশের কথা পেরাল জানান তাঁর মেয়ে ওবন্ধু বান্ধবদের। পেরালের আত্মীয়-বন্ধুরা বলেন, ‘ফেসবুকে অনেক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থাকে। ওই নামের আসলে কেউ নেই, তোমায় কেউ ঠোকাচ্ছে।’ জেদ চেপে বসে পেরালের। মুকেশের কাছ থেকে ঠিকানা চেয়ে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে প্লেনে চড়ে দিল্লি। দিল্লি এয়ারপোর্টে তখন পেরালের জন্য অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে মুকেশ। যা দেখে চোখে জল চলে এল পেরালের। পেরালের মেয়ের ও দারুণ পছন্দ হয়ে যায় মায়ের প্রেমিক মুকেশকে। এরপর আর কী.. সাত পাকে বাধা। তার সংসার জীবন.. ক্যালিফোর্নিয়ার সেই পাঁচতারা জীবন ছেড়ে হরিয়ানায় একতারা জীবনে পাড়ি। এখন নিজে হাতে রুটি করেন, লাঙল দেন, মুকেশকে চাষের কাজে সাহায্য করেন। শ্বাশুরির কাছে রামায়ণ-মহাভারতের গল্পও শোনেন।

ঘটনা - ১২:
পল ম্যাসনের ওজন ছিল ৯৮০ পাউন্ড। বিশ্বের সবচেয়ে ভারী মানুষ ছিলেন তিনি। ওজনের ভারে উঠতে পারতেন না পর্যন্ত। সেই পলের জীবনেই ক মাস আগে বদল আসে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একজন পলের জীবন বদলে দেয়। সেখানেই মনের মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। নিজের পরিচয় দিয়ে পল তার প্রিয় পছন্দের মানুষটিকে বলেছিল, ‘তুমি সঙ্গে থাকলে আমি সব ভার বইতে পারব। সেই ৯৮০ পাউন্ডের মানুষ পল ম্যাসনের প্রেম কাহিনি আজ নতুন পথ দেখাল বিশ্বের তাবৎ মোটা মানুষদের। প্রেমের টানে ৬৭২ পাউন্ড ওজন কমালেন তিনি!  ৫২ বছর বয়সী পলের এই প্রেমিকার নাম রেবেকা মাউন্টেন। রেবাকাকে প্রথমবার মুখোমুখি দেখে কেঁদে ফেলে পল বললেন, থ্যাঙ্ক ইউ আমার পাশে থাকার জন্য। পলের প্রেমিকা রেবেকাও নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। এই রকম একটা অন্য ধরনের প্রেমকাহিনি দেখে সবাই অবাকও বটে। যে মানুষটা ক মাস আগেও শরীরের ভারে উঠতে পারতেন না, তিনিই আজ ওজন কমিয়ে প্রেমে মজেছেন।


ঘটনা - ১৩:
কারলি ওয়াটস হলেন একজন বিকিনি মডেল তারকা। নগ্নতাই ছিল তার মডেলিং পেশা। কিন্তু সেই কারলি ওয়াটস এখন রীতিমতো হিজাব পরতে শুরু করেছেন। এমনকি ইসলাম ধর্মেও দীক্ষিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই আমেরিকান মডেল তারকা। আর কিছু নয় শুধুমাত্র প্রেমের টানেই তার এই পরিবর্তন।

তিউনিশিয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়ে সেখানকার মুহাম্মদ সালেহর দেখা পান কারলি ওয়াটস। পরিচয় থেকে ভালোলাগা, তারপর ভালোবাসা।

 কারলি ওয়াটস জানান, তিনি এতোদিন মডেলিং করেছেন।  সারা রাত নাইটক্লাবে নগ্ন হয়ে নেচেছেন। কিন্তু মুহাম্মদকে ভালোবাসার পর থেকে তার বিশ্বাস বদলে যেতে থাকে। তিনি জানান, মুহাম্মদ খুব ভালো মানুষ। তিনি আমাকে খুব ভালোবাসে। বাকি জীবনটা তাই মুহাম্মদের সঙ্গেই কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারলি।


ঘটনা - ১৪:
দীর্ঘ ২৭ বছর স্ত্রীর কবরের পাশে কাটিয়েছেন তিনি। পারিবারিক চাপে স্ত্রীর কবর ছাড়লেও বাড়িতে ফেরেননি। গত ৬ বছর থেকে বাড়ির বাইরে কবরের আদলে তৈরি করা ঘরে অবস্থান করছেন। স্ত্রীর আত্মার সান্নিধ্য লাভের আশায় পার্থিব জগতের আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাস আর চাওয়া-পাওয়া ত্যাগ করেছেন তিনি। সহধর্মিনীর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার বেদনা বিধুর অমলিন স্মৃতিকে ধরে রাখতেই তার এই আত্মত্যাগ। ভালোবাসার এই ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের মৃত বরকত আলী মিয়ার পুত্র হাফিজউদ্দিন (৮১) এখনও সাধনায় আছেন স্ত্রীর আত্মার সান্নিধ্যের আশায়।
বিয়ের ১৯ বছরের মাথায় স্ত্রী বিয়োগে কাতর হাফিজউদ্দিন দীর্ঘ ২৭ বছর নির্জন গোরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে জীবিত লাশ হয়ে সহাবস্থানের চেষ্টায় রত ছিলেন। এমন বিরল ঘটনা পৃথিবীতে সম্ভবত এটিই প্রথম। ভালোবাসার জন্য জীবন্ত লাশ হয়ে নির্জন গোরস্থানে স্ত্রীর কবরের কাছে সময় কাটানোর কঠিন এ ব্রত সম্রাট শাহজাহানের ভালোবাসার নিদর্শনকেও হার মানিয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের ২বছর পর পারিবারিক ব্যবস্থায় বাড়ির পাশেই বিয়ে করেন। কনে ৬ বছরের শুকুরী বিবিকে। বিয়ের পর ৭/৮ বছর স্ত্রী শুকুরী ছিলেন হাফিজউদ্দিনের মা সূর্য্য বানু বিবি’র সঙ্গে। এরপর ১৯৫৬ সালের দিকে দু’জনের সংসার শুরু হয়। প্রেম-ভালোবাসা আর আবেগমথিত রোমান্টিক জগতে অবগাহন করে হংস-মিথুনের আনন্দেই কেটে যাচ্ছিল হাফিজ-শুকুরীর সংসার জীবন।
এভাবে কেটে যায় ১৯ বছর। এরপর হঠাৎ করেই পরকালের ডাকে ইহলোক ত্যাগ করেন শুকুরী। এভাবে তার অসময়ে চলে যাওয়াকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি হাফিজ। শোকে-দুঃখে কাতর হয়ে পড়েন।

ঘটনা - ১৫
ভারতের উত্তরপ্রদেশের বুলান্দশাহর গ্রামের ফাইজুল হাসান কাদরি তার স্ত্রী তাজামুল্লি বেগমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাজমহল নির্মাণ করেছেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে স্ত্রী মারা গেলে শোকে কাতর হয়ে পড়েন ফাইজুল। এরপরই এটি নির্মানের উদ্যোগ নেন। নিজের বাগানে তাজমহল গড়েছেন তিনি। আকারে ছোট হলেও এটি দেখতে হুবহু আগ্রার তাজমহলের আদলে তৈরি।মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ প্রচুর অর্থ ব্যয় করে তাজমহল বানিয়েছিলেন। এতো অর্থ ব্যয় করা সাধারণ কোনো মানুষের পক্ষে হয়তো সম্ভব নয় কিন্তু ভালোবাসার স্বরূপ তো সব প্রেমিকের ক্ষেত্রে একই। আর তাই ৭৭ বছর বয়সী ফাইজুল বানিয়েছেন ৫০/৫০ ফুট এই তাজমহল।
তাজমহলের এই নতুন সংস্করণ তৈরি করা দরিদ্র ফাইজুলের পক্ষে খুবই কঠিনসাধ্য একটি কাজ ছিল। নিজের সারাজীবনের সঞ্চয় ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে অবশেষে তিনি নির্মান করেন পাঁচ হাজার স্কয়ারফিটের সমাধিসৌধটি।
ফাইজুল হাসান বলেন, আমাদের কোনো সন্তান নেই। স্ত্রীর মৃত্যুর সময় তার বিছানার পাশে আমিই ছিলাম। তখন সে আফসোস করে বলেছিল, দেখো আমাদের সবাই ভুলে যাবে। আমাদের তো কোনো বংশধর নেই যে আমাদের নাম ভবিষ্যতে টেনে নিয়ে যাবে। সেদিনই আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম তার কবরের ওপর তাজমহলের মতো একটি সৌধ গড়ে তুলব। যা পৃথিবীর মানুষ দীর্ঘদিন মনে রাখবে।


ঘটনা - ১৬:
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় এক দম্পতির জন্ম হয় ১৯১৮ সালের একই দিনে।  স্কুলে পড়তে পড়তে একে অপরের প্রেমে পড়েন। পরিবার বাধা দিলে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, পালিয়ে বিয়ে করবেন। বয়স তখন ১৮ বছর। যেই কথা সেই কাজ। এভাবেই চলছিল বেশ। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁরা ৭৫তম বিবাহবার্ষিকী পালন করে পরিবারকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ভালবাসার অর্থ।  ২০১৩ সালে ছেলে লেস ব্রাউন জুনিয়র জানালেন ১৬ জুলাই তাঁর মা হেলেন ব্রাউন মারা যান। আর কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে মারা যান বাবা লেস ব্রাউন। কয়েক ঘণ্টার তফাতে তাঁদের মৃত্যু হয়। দুইজনের বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।


ঘটনা - ১৭
আজহারের বাড়ি পাকিস্তানে এবং নাগিতা রমেশ এর বাড়ি ভারতে। একে তো দুই দেশ চিরপ্রতিদ্বন্ধী, তার উপর দুজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী। ফেসবুকে এই প্রেমিক যুগলের পরিচয় হয়। একসময় এই পরিচয় প্রণয়ে রূপ নেয়। একসময় ভারতীয় নাগিতা রমেশ হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। প্রেমিকের সাথে দেখা করার জন্য ভারত থেকে পাকিস্তানে ছুনে যান নাগিতা রমেশ। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। এদিকে প্রেমিকাকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন পাকিস্তানি প্রেমিক আজহারও।



ঘটনা - ১৮
এটি বাংলাদেশের একটি ঘটনা। শিমুল ও সমি দুজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী। সমির বাড়ি হবিগঞ্জে এবং শিমুলের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কাকতালীয়ভাবে দুজনের নানাবাড়ি পাশাপাশি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ গ্রামে। শিমুলের নিজের বাড়িও একই গ্রামে। নানাবাড়িতে প্রায়ই বেড়াতে যেতেন মাধবপুর সদরের শংকর চক্রবর্তীর মেয়ে সমি। কয়েক বছর আগে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে শিমুল চৌধুরীর সঙ্গে তার পরিচয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে একসময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে তৈরি হয় ঘনিষ্ঠতা। একসময় শিমুলকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন রূপসী সমি। তখন বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় ধর্ম। একে তো হিন্দু তার ওপর ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম। অভিভাবকদের কোনভাবেই রাজি করাতে পারছিলেন না সমি। ততদিনে তাদের প্রেম প্রশান্ত মহাসাগরের মতো গভীরতায় রূপ নেয়। অবশেষে প্রিয়জনের হাত ধরে ডিঙান ধর্মীয় বাধার দেয়াল। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে পাল্টে ফেলেন ধর্মীয় পরিচয়। সমি চক্রবর্তীর বদলে নতুন নাম রাখেন আয়েশা আক্তার সুমি। ওই দিনই তাকে বিয়ে করেন শিমুল। এদিকে শিমুলের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন সমির পিতা শঙ্কর চক্রবর্তী। মামলার পর গ্রেপ্তার করা হয় প্রেমিক যুগলকে। কিন্তু প্রেমের কাছে চূড়ান্তভাবে হার মানে রক্তের বন্ধন। এখন তারা দিব্যি সুখে সংসার করছেন।



ঘটনা - ১৯
এই পৃথিবীতে মিলনের সম্ভাবনা না থাকায় পরপারে মিলনের আশায় দু`জনের শরীর একই সঙ্গে বেঁধে আত্মহুতি দিলেন প্রেমিক জুটি। রমজান আলী (২০) ও সুখী আকতার (১৬) `র বাড়ি ছিল পাশাপাশি। সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইনও। পাশাপশি বাড়ি হওয়াতে প্রতিদিনই দু`জনের দেখা হতো। কথা হতো। এভাবেই দু`জনের মধ্যে ভাললাগার জন্ম নেয়। এই ভাল লাগা থেকে প্রেম। এক সময় ঘর বাঁধার স্বপ্নে বিভোর হয় দু`জন। কিন্তু দুই পরিবারের মধ্যে পূর্বের একটি দ্বন্দ্ব থাকায় তাদের ভালবাসাটাকে তাদের পরিবার স্বাভাবিকভাবে মেনে নিবে কিনা এই নিয়ে দু`জনের মধ্যেই সন্দেহ দেখা দেয়। পূর্বের দ্বন্দ্বটিও ছিল প্রণয়ঘটিত কারণেই। তিন বছর আগে রমজানের বড় ভাই আজগর আর সুখীর বড় বোন লাকী ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। এ সম্পর্ক এখনো মেনে নেয়নি দুই পরিবার। এ বিষয়টি তাদের দু`জনকে বেশ হতাশ করে তোলে। তাদের মিলন অনিশ্চিত ভেবে তারা সহমরণের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে ভালবাসার আরেক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলেন।
দুই তরুণ-তরুণীর আত্মহননের আগে একটি চিরকুটে লিখে গেছেন, ‘আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। সবার কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ। আমাদের দেহগুলো দয়া করে কাটতে দেবেন না। পাশাপাশিই আমাদের কবর দেবেন। আর সবাই আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমরা একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। তাই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলাম। বেঁচে থাকতে তো কেউ আমাদের এই সম্পর্ক মেনে নেবে না। বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে তাদের মনেও কষ্ট দিতে পারব না। তাই এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হলাম দুজন। ইতি: রমজান + সুখী। (চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ার চৌধুরীহাটে ঘটনা এই ঘটনাটি)

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন