Pages

ইসলাম মানেই শান্তি

মুমিনদের গুনাহ

একদিন এক যুবক একজন আলেমের
কাছে এসে বললঃ "হুযুর, আমি একজন
তরুণ যুবক ।
কিন্তু সমস্যা হল, আমার
মাঝে মাঝে প্রবল
খায়েশ কাজ করে । আমি যখন
রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি, তখন
আমি মেয়েদের
দিকে না তাকিয়ে পারি না।
আমি এখন কি করতে পারি ?"
তখন ঐ আলেম কিছুক্ষন
চিন্তা করলেন ।
চিন্তা করার পর তাকে একটা দুধ
ভর্তি গ্লাস
দিলেন । গ্লাস পুরোটায়
দুধে কানায় কানায়
পরিপুর্ণ ছিল ।
অতঃপর ঐ আলেম
তাকে বললেনঃ "আমি তোমাকেবাজারের
একটি ঠিকানা দিচ্ছি, তুমি এই
দুধটুকু
সোজা সেখানে পৌছিয়ে দিয়ে আসবে ।
ঐ আলেম
তাকে আরও নির্দেশ দিলেন যে,
গ্লাস থেকে এক
ফোঁটা দুধও যাতে না পরে । অতঃপর
ঐ আলেম,
উনার এক ছাত্রকে ঐ যুবকের
সহযোগী করে আদেশ
দিলেনঃ "তুমি এই যুবকের
সাথে বাজারে যাও
এবং সে যদি যাওয়ার সময়
এই গ্লাস থেকে এক ফোঁটা দুধও
ফেলে দেয়,
তাহলে তুমি তাকে চরমভাবে পিটাতে থাকবে ।
ঐ যুবকটি সহজেই দুধটুকু
বাজারে পৌছিয়ে দিল
এবং এই সংবাদ হুযুরকে জানানোর
জন্য দৌড়ে ছুটে আসল ।
হুযুর
জিজ্ঞাসা করলেনঃ "তুমি যাওয়ারসময়
কয়টি মেয়ের চেহারা দেখেছ?"
যুবকটি সবিস্ময়ে বললঃ "হুযুর,
আমি তোবুঝতেই
পারি নি আমার
চারপাশে কি চলছিল । আমি তো এই
ভয়েই তটস্থ ছিলাম যে,
আমি যদি দুধ ফেলে দিই
তবে রাস্তায় সমবেত
সকল মানুষের
সামনে আমাকে মারা হবে ।
হুযুর হাসলেন
এবং বললেনঃ "মুমিনরা ঠিক
এভাবেই আল্লাহকে ভয় করে ।
এবং মুমিনরা সবসময় চিন্তা করে,
যদি সে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ঐ
দুধের ন্যায়
ছিটকে ফেলে তবে তিনি সুবহানাহু
ওয়া তায়ালা কিয়ামত
দিবসে সমগ্র
সৃষ্টিজগতের
সামনে তাকে অপমানিত করবেন ।
এভাবে সর্বদাই বিচার দিবসের
চিন্তা,
মুমিনদের গুনাহ
হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে ।"

ফজরের নামাযে মসজিদে যাওয়ার সময় পড়তে হয়,

ফজরের নামাযে মসজিদে যাওয়ার সময় পড়তে হয়,

اللهم اجعل في قلبي نورا، وفي لساني نورا، واجعل في سمعي نورا، واجعل في بصري نورا، واجعل من خلفي نورا، ومن أمامي نورا، واجعل من فوقي نورا، ومن تحتي نورا، اللهم أعطني نورا

অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার অন্তরে নূর দান করুন। আমার দৃষ্টিতে নূর দান করুন। আমার ডানে-বায়ে, সামনে-পিছনে, উপরে-নিচে সবদিকে নূর দান করুন এবং আমাকে নূরে নূরান্বিত করুন।’

ভেবে দেখুন, এই দুআটি যদি কবুল হয়ে যায় তাহলে কল্যাণের আর কী বাকি থাকে?

হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

Picture
হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

”কেউ কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করলে সে তাদেরই দলভুক্ত।”

-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪০২৭; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৯৭৪৭; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৫১১৪

আজকাল মুসলিম দেশগুলোতে সভ্যতা-সংস্কৃতি, শিক্ষা-দীক্ষা, আইন-বিচার, রাজনীতি এবং বেশভূষা ও জীবন যাপনের পদ্ধতিতে পশ্চিমাদের যে অনুসরণ-অনুকরণ চলছে তা সরাসরি জাহেলি আদর্শের অনুসরণ।

এই অন্ধকার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণ করেছেন এবং তাঁর সূত্রে আমাদেরকে শরীয়ত, সুন্নত, উসওয়ায়ে হাসানাহ এবং মীযান ও হিকমত দান করেছেন।

হায়! আমাদের কালিমা পাঠকারী ভাইয়েরা যদি এই সত্য উপলব্ধি করতেন! তারা যদি বুঝতেন যে, আল্লাহর কুরআন ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর ঈমান আনার অর্থই হল, বিদআত, নফসানিয়াত ও জাহিলিয়াতের অনুসরণের পরিবর্তে আল্লাহ তাআলার নাযিলকৃত শরীয়ত মোতাবেক এবং তাঁর রাসূলের সুন্নাহ ও উসওয়ায়ে হাসানা অনুযায়ী জীবন যাপন করা, যাতে রয়েছে আকীদা-ইবাদত থেকে নিয়ে দুআ ও যিকির পর্যন্ত, লেনদেন ও সামাজিকতা থেকে নিয়ে আচার-আচরণ পর্যন্ত, জন্মের আগ থেকে নিয়ে কবরে সমাহিত হওয়া পর্যন্ত, ব্যক্তি থেকে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত, জাহের থেকে বাতেন
পর্যন্ত, হালাল ও হারাম থেকে নিয়ে আদব ও শৃঙ্খলা পর্যন্ত-সকল বিষয়ের বিধান ও নির্দেশনা।

জান্নাত তাঁর মায়ের পদতলে রয়েছে।

Picture
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মায়ের খেদমতে নিয়োজিত থাক। কারণ জান্নাত তাঁর পদতলে রয়েছে।

{সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ৩১০৪; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫৫৩৮}

তিনি আরো ইরশাদ করেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি রয়েছে পিতার সন্তুষ্টিতে। আর আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতার অসস্ত্তষ্টিতে।

{জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৮৯৯; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৪২৯}

* তবে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে, আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের আনুগত্য নয়-সব সময় প্রযোজ্য। এই মূলনীতির দিকে সর্বদা লক্ষ্য রাখা জরুরি। আর এই মূলনীতির প্রতি লক্ষ্য রেখে উত্তম ব্যবহারও সম্ভব। সুতরাং উত্তম ব্যবহারের ছুঁতায় আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার সুযোগ নেই।

শ্রেষ্ট দিন হল জুমুআর দিন

Picture
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ সূর্য উদিত হয় এমন সকল দিনের মধ্যে শ্রেষ্ট দিন হল জুমুআর দিন।

{তিরমিযী-৪৮৮}

হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ জান্নাতে এমন বালাখানা, প্রাসাদ রয়েছে যে, এর ভেতর থেকে বাহির এবং বাহির থেকে ভিতর দেখা যাবে। তখন এক বেদুঈন উঠে দাঁড়িয়ে বললেনঃ 'হে আল্লাহর রাসূল! এটি কার জন্য?' তিনি [রাসূল সাঃ] বললেনঃ এটি হবে ঐ ব্যক্তির জন্য যে ভাল কথা বলে, লোকদের খাদ্য খাওয়ায়, সবসময় সিয়াম পালন করে, এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন আল্লাহর জন্যই রাতে উঠে নামাজ [তাহাজ্জুদ] আদায় করে।

{তিরমিযী-২৫২৯}

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

Picture
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা রাতে তাঁর রহমতের হাত প্রসারিত করেন (বান্দার তাওবা কবুল করার জন্য উন্মুক্ত থাকেন) যাতে দিনের অপরাধী তওবা করে (কৃতকর্মের ব্যাপারে অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে) এবং আল্লাহ তাআলা দিনে তাঁর রহমতের হাত প্রসারিত করেন যাতে রাতের অপরাধী তওবা করে। যত দিন না সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হয় (কেয়ামতের আগ পর্যন্ত এ সুযোগ অবধারিত)।

{সহীহ মুসলিম ২/৩৫৮}

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ

Picture
হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ জান্নাতে এমন বালাখানা, প্রাসাদ রয়েছে যে, এর ভেতর থেকে বাহির এবং বাহির থেকে ভিতর দেখা যাবে। তখন এক বেদুঈন উঠে দাঁড়িয়ে বললেনঃ 'হে আল্লাহর রাসূল! এটি কার জন্য?' তিনি [রাসূল সাঃ] বললেনঃ এটি হবে ঐ ব্যক্তির জন্য যে ভাল কথা বলে, লোকদের খাদ্য খাওয়ায়, সবসময় সিয়াম পালন করে, এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন আল্লাহর জন্যই রাতে উঠে নামাজ [তাহাজ্জুদ] আদায় করে।

{তিরমিযী-২৫২৯}

হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর বাড়ি । । ।

Picture
জান্নাতের মহিলাদের সর্দার হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর ১৪০০ বছর পূর্বের বাড়ী, যাহা মদিনাতে অবস্থিত। একজন মুসলমান হিসেবে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি এই ছবি দেখতে পেরেছি বলে এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি বলে (সুবাহানআল্লাহ)।

হালাল-হারাম

Picture
আল্লাহ তাআলা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যেসব দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে হালাল-হারামের বিষয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-

যে তাদের জন্য পবিত্র বস্ত্ত হালাল করে এবং অপবিত্র বস্ত্ত হারাম করে।
{সূরা আরাফ : ১৫৭}

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার নির্দেশে হালাল ও হারামের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং জীবনভর নিজেও সে বিধান মেনে চলেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-

হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্ত্ত থেকে আহার কর এবং সৎ কর্ম কর। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আমি সবিশেষ অবহিত। {সূরা মুমিনুন : ৫১}

নিজের কথা ও কাজের মাধ্যমে উম্মতকে কুরআনের এই বিধান মোতাবেক চলার তাকিদ করে গেছেন-

হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে আমি যেসব পবিত্র বস্ত্ত দিয়েছি তা হতে আহার কর এবং আল্লাহর শোকরগোযারী কর যদি তোমরা শুধু তাঁরই ইবাদত কর।
{সূরা বাকারা : ১৭২}

উম্মতের উদ্দেশে ইরশাদ করেছেন-

লোকসকল! আললাহ তাআলা পবিত্র, তিনি কেবল পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করেন। আর আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে ঐ আদেশ দিয়েছেন, যা তিনি রাসূলদেরকে দিয়েছেন (অর্থাৎ হালাল ও পবিত্র জীবিকা গ্রহণ কর এবং নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা করতে থাক)। এরপর তিনি উপরোক্ত আয়াত দুটি তিলাওয়াত করে শোনালেন এবং বললেন, এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন সফরে রয়েছে, ধুলিমলিনবেশে আসমানের দিকে হাত উঠিয়ে আল্লাহকে ডাকছে-ইয়া রব, ইয়া রব! (সফরের হালতে, বিশেষত এ ধরনের অসহায় অবস্থায় দুআ কবুল হয়ে থাকে।) কিন্তু এই ব্যক্তির তো পানাহার হারাম, জীবিকা হারাম। তো কীভাবে তার দুআ কবুল হতে পারে!

{সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১০১৫; জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৯৮৯}

অন্তত এটুকু করি যে, সুদ, ঘুষ, জুয়া, চুরি-ডাকাতি-প্রতারণা প্রভৃতি উপায়ে অর্জিত সম্পদ থেকে নিজেকে এবং নিজের জীবিকাকে পবিত্র রাখুন। মনে রাখবেন, হকদারকে হক থেকে বঞ্চিত রাখা, ভাইবোনকে মীরাছ থেকে বঞ্চিত রাখা এবং অন্যান্য হকদারের হক আদায় না করা, এতীমের হক আত্মসাৎ করা, মজদুরের মজুরি আদায় না করা বা মজুরি আদায়ে টালবাহানা করা সবই গছব ও আত্মসাতের বিভিন্ন প্রকার।

“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট।”

এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে দেখলেন একটি দশ
বৎসরের ছেলে একান্ত একাগ্রতার সাথে সালাত আদায় করছে, যদিও তখন কোনো ফরজ সালাতের ওয়াক্ত ছিলো না !

তিনি ছেলেটির সালাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত
অপেক্ষা করলেন। সালাত শেষে তিনি ছেলেটির
কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন , "কার
সন্তান তুমি?" ছেলেটি মাথা নত করে দাঁড়িয়ে রইলো এবং তার গাল বেয়ে অশ্রু বিন্দু গড়িয়ে পড়তে লাগলো ।

সে মাথা তুলে জবাব দিলো,"আমি এক অনাথ, আমার বাবা-মা কেউই নেই।"

অনাথ ছেলেটির প্রতি ভদ্রলোকের খুবই করুণা হলো,
তিনি তাঁকে প্রশ্ন করলেন,"তুমি কি আমার ছেলে হবে?"
ছেলেটি জবাব দিলো - "আমি ক্ষুধার্ত হলে আপনি আমাকে আহার করাবেন?"
-"হ্যা" ।
"আমি বিবস্ত্র হলে আমাকে পোশাক দেবেন ?"
-"হ্যাঁ " ।
" আমি অসুস্থ হলে আমাকে সুস্থ করবেন ?"
-জবাবে তিনি বলেন -" আমি তো তা করতে পারবো না, বাবা ।"
"আমি মৃত্যু বরণ করলে আবার জীবিত করতে পারবেন?"
-ভদ্রলোক বললেন, "আমি তো তা করতে অক্ষম।"

ছেলেটি তখন বললো - "তবে আমাকে ক্ষমা করুন !
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, যিনি আমাকে নেক পথ
প্রদর্শন করেছেন এবং তিনিই এক আল্লাহ্ যিনি আহার/ পান করিয়েছেন । আমি রোগাক্রান্ত হলে তিনি আরোগ্য দান করেছেন । তিনিই এক আল্লাহ্ যিনি বিচার দিবসে আমাকে ইন-শা-আল্লাহ্ ক্ষমা করবেন।"

ভদ্রলোক হতবাক হয়ে গেলেন । তিনি তাঁর পথে ফিরে যেতে যেতে বললেন -"আর আল্লাহর উপর ভরসা কর যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।"

[সূরা আল মায়েদাহ-২৩]

“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট।”

[সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব -০৩]

কুর'আন হল সেই গ্রন্থ যেটা পড়া হয় সবচে বেশি এবং বোঝা হয় সেই অনুপাতে সবচে কম।

♦ একটি বিষ্ময়কর তথ্য! ♦


► কুরআনেঃ-

♦ পুরুষ শব্দটা এসেছে ২৪ বার, নারী শব্দটা এসেছে ২৪ বার
♦ আদেশ শব্দটা এসেছে ১০০০ বার, নিষেধ শব্দটা এসেছে ১০০০ বার
♦ হালাল শব্দটা এসেছে ২৫০ বার, হারাম শব্দটা এসেছে ২৫০ বার
♦ জান্নাত শব্দটা এসেছে ১০০০ বার, জাহান্নাম শব্দটা এসেছে ১০০০ বার
♦ দুনিয়া শব্দটা এসেছে ১১৫ বার, আখিরাত শব্দটা এসেছে ১১৫ বার
♦ ফেরেশতা শব্দটা এসেছে ৮৮ বার, শয়তান শব্দটা এসেছে ৮৮ বার
♦ জীবন শব্দটা এসেছে ১৪৫ বার, মৃত্যু শব্দটা এসেছে ১৪৫ বার
♦ উপকার শব্দটা এসেছে ৫০ বার, ক্ষতিকর শব্দটা এসেছে ৫০ বার
♦ মানুষ শব্দটা এসেছে ৩৬৮ বার, রাসূল শব্দটা এসেছে ৩৬৮ বার
♦ যাকাত শব্দটা এসেছে ৩২ বার, বরকত শব্দটা এসেছে ৩২ বার
♦ জিহ্বা শব্দটা এসেছে ২৫ বার, উত্তম বাক্য শব্দটা এসেছে ২৫ বার
♦ মাস শব্দটা এসেছে ১২ বার, দিন শব্দটা এসেছে ৩৬৫ বার

► অতএব, এটা নির্দিধায় বলা যায় যে, মহাগ্রন্থ আল কুরআন কোন মানুষের বানানো নয় বরং এটা মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য এক বিশেষ নেয়ামত। মুক্তির পথ।
---------------------------------- সুবহানাল্লাহ!

" কবর "

Picture
কবর প্রতিদিন ৭ বার করে ডেকে বলে,
হে কবরের পথযাত্রী একটু দারাও,
শুনে যাও,

আমি সঙ্গীসাথী হীন গৃহ।
আমার কাছে আসার আগে কোরআন তেলোয়াত দ্বারা এই নির্জনতার সাথী তৈরি করে এসো।

আমি অন্ধকার কুঠির।
তাহাজ্জুদ এর নামাজ দ্বারা আমাকে আলোকিত করার বেবস্থা করে এসো।

আমি কঠিন মাটির ঘর।
নেক আমল দ্বারা নরম বিছানা বানায় নিয়া এসো ।

আমি সাপ বিচ্ছুর আবাস স্থল।
দান খয়রাতের বিষ পাথর সঙ্গে আনিও।

আমি বড় সংকীর্ণ স্থান ।
নেক আমল দ্বারা আমাকে প্রসস্থ করে এসো।

আমি মুনকার নকিরের প্রশ্নের স্থান।
উত্তর তৈরি করে এসো।

হে কবরের পথ যাত্রী ঃ

কেউই বলতে পারবে না মানুষের মৃত্যু কখন আসবে।তাই আসুন এই মুহূর্ত থেকে অল্প অল্প
করে মৃত্যুর কথা ভাবি।এবং পরকালের প্রস্তুতি গ্রহন করে দেই।
অতীত জীবনের যত ধরনের গুনাহ আছে ,তার কথা স্মরণ করি এবং খালেস দিলে তওবা করি।
নামাজ পরার অভ্যাস করি, নামাজের মধ্যে সকল সমস্যার সমাধান এটা আল্লাহাপাকের ওয়াদা।
শয়তান আমাকে আপনাকে সুদ, ঘুষ, চুরি, রাহাজানি, মিথ্যা, গীবত, মানুষকে ঠকানো, ওজনে
কম দেওয়া,মদ খাওয়া, মানুষের হক নষ্ট করার মতো পাপে লিপ্ত করতে পারে,তাই শয়তানের
বিরুদ্ধে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।

একটি সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চা না বুঝে আগুনে হাত দিতে চাইলে তাকে নিশ্চই আপনি বাচাতে
চাইবেন। একই ভাবে আমি আপনি আমাদের পরিবার, বন্ধু, বান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পারা প্রতিবেশী
আল্লাহাকে ভুলে ক্রমশই জাহান্নামের আগুনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে - আমি আপনি কেন ঐ
ফুটফুটে বাচ্চার মতো সকলকে বাচাতে চাইব না বা চেষ্টা করব না?????

একবার এক ইমানদার রমণীকে জিজ্ঞাসা ক্রা হলঃ তোমার  সৌন্দযের জন্য তুমি কি কি বস্ত ব্যবহার কর ?

সে উত্তরে বললঃ ঠোঁটের সৌন্দর্যের জন্য সততা ব্যবহার করি, আওয়াজের সৌন্দর্যের জন্য কোরআন তিলাওয়াত, চোখের সৌন্দর্যের জন্য করুণা ও স্নেহ, হাতের সৌন্দর্যের জন্য দয়া-দাক্ষিণ্য, অস্তিত্বের সৌন্দর্যের জন্য দৃঢ়তা এবং হৃদয়ের সৌন্দর্য বিধানে ইখলাস তথা সব কাজ আল্লাহর জন্য করার অভিপ্রায়।

মুসাইলামা বিশ্বাসঘাতকতা করে হাবীব (রা) কে এমন নিষ্ঠুরতার সাথে হত্যা করে যা শুনলে ...লোম শিউরে উঠে।

Picture
বিখ্যাত মহিলা সাহাবী হযরত উম্মে উমারা (রা) এর সন্তান হাবীব ইবনে যায়েদ (রা)। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে দূত হিসেবে পাঠান ভণ্ড নবী মুসাইলামাতুল কাযযাব এর নিকট......

মুসাইলামা বিশ্বাসঘাতকতা করে হাবীব (রা) কে এমন নিষ্ঠুরতার সাথে হত্যা করে যা শুনলে ...লোম শিউরে উঠে।

ঘটনাটি ছিলে এরকম, মুসাইলামা প্রথমেই হাবীব (রা)কে বন্দী করে জিজ্ঞাসা করে-

-তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল?
-হ্যাঁ।
-তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে আমি আল্লাহর রাসূল?
-আমি শুনতে পাচ্ছি না, কী বলছ?

মুসাইলামা তার ডান হাত কেটে দিল......

এভাবেই সে বারবার একই প্রশ্ন করতে থাকল আর হাবীব (রা) একই উত্তর দিতে থাকলেন। প্রত্যেকবার উত্তরের পর পাষণ্ড তাঁর এক একটি অঙ্গ কেটে ফেলছিল। দুই হাত দুই পা কেটে ফেলার পরও তাঁর অবিচলতা দেখে মিথ্যুক মুসাইলামা তাঁর জিহ্বা কেটে আবার জিজ্ঞাসা করল- তুমি কি আমাকে আল্লাহর রাসূল বলে বিশ্বাস কর? হাবীব ইবনে যায়েদ (রা) দৃঢ়তার সাথে মাথা নেড়ে অস্বীকার করলেন ভণ্ড নবীর নবুওয়াতের দাবীকে। 'পাষাণ গলে যাবে, এমন একটি কঠিন যন্ত্রণা সহ্য করেও অটল, অনড় ঈমান নিয়ে অবশেষে তিনি প্রান ত্যাগ করলেন। ইন্না...লিল্লা...হি ওয়া ইন্না...ইলাইহি রা..জিউ..ন।

****
তাঁর মার কাছে তার সন্তানের মৃত্যুর ভয়াবহ খবর পৌঁছানো হলো। তিনি সব শুনে কিছু বললেন না। বললেন সামান্য একটু কথা-
" এমন এক ভূমিকার জন্যই আমি তাকে গড়েছিলাম, আমি আল্লাহর ফয়সালায় তুষ্ট, আমি প্রতিদান চাই তাঁর কাছেই। শৈশবে সে 'আকাবার রাতে' শপথ নিয়েছিল প্রিয়নবিজীর হাতে। অনেক বড় হয়ে আজ সে সেই অঙ্গীকারের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে।"............

{ সুওয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবিয়্যাত}

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন