Pages

কম্পিউটার প্রব্লেম- ও সমাধান

পিসি বারবার রিস্টার্ট নিলে করনীয়-

Details

কম্পিউটারের জরুরী কোন কাজ করার সময় যদি কম্পিউটার রিস্টার্ট নেয় তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। আবার বারবার পিসি রিস্টার্ট নিলে পিসিতে কাজ করাও সম্ভব হয় না।  এর ফলে জরুরী ফাইল নষ্ট হয়েও যেতে পারে।
বারবার পিসি রিস্টার্ট নেবার কারন না জানার চেষ্টা করে কিংবা সমস্যার সমাধান না করে জোর করে পিসি অন রাখার চেষ্টা করলে হার্ডওয়্যার পুড়ে যাওয়া সহ অনেক বড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। নিচে কিছু সম্ভাব্য সমস্যা ও সমস্যার সমাধান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

কুলিং সিস্টেমে সমস্যা :
প্রসেসরের কুলিং সিস্টেম যদি কাজ না করে কিংবা প্রসেসর প্রয়োজনমত ঠান্ডা না হয়ে ওভারহীট হলে পিসি রিস্টার্ট নেয় । সেক্ষেত্রে কুলিং সিস্টেমটি পরিবর্তন করতে হবে।

পাওয়ার সিস্টেমে সমস্যা :
পাওয়ার সিস্টেম হতে মেইনবোর্ড প্রয়োজনী পাওয়ার বা বিদ্যুৎ না পেলে পিসি রিস্টার্ট নেয় । এক্ষেত্রে আপনার পিসির পাওয়ার সিস্টেমটি পরিবর্তন করে দেখুন।

অপারেটিং সিস্টেমে সমস্যা:
অপারেটিং সিস্টেমে সমস্যা দেখা দিলে বা অপারেটিং সিস্টেম ক্র্যাশ করলে পিসি রিস্টার্ট নেয় । এক্ষেত্রে মাই My Computer-এ ডান ক্লীক করে properties থেকে Advanced tab /Start up and Recovery /Settings অপশনে যেয়ে System Failure অপশনের অর্ন্তগত  Automatically Restart  অপশন থেকে টিক চিহ্ণ উঠিয়ে ok  করুন।

ভাইরাসের আক্রমন :
ভাইরাসের কারনেও পিসি রিস্টার্ট নিতে পারে । এজন্য পিসিতে একটি ভালো মানের এ্যন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন এবং ব্যবহৃত এ্যন্টিভাইরাসটি সবসময় আপডেটেড রাখুন।

হার্ডওয়্যার সমস্যা :
নতুন কোন হার্ডওয়্যার সংযুক্ত করলে এবং সেটি পিসির সাথে অসামাঞ্জস্য হলে পিসি রিস্টার্ট নিতে পারে । পুরোনো হার্ডওয়্যারের সংযোগে ক্রুটি দেখা দিলে পিসি অহেতুক রিস্টার্ট নিতে পারে । এজন্য হার্ডওয়্যারের সংযোগ স্থান এবং হার্ডওয়্যার চেক করে দেখুন ঠিক আছে কি না ।

নতুন প্রোগ্রাম ইনস্টল :
নতুন সফটওয়্যার, গেমস ইনস্টল করার কারনে পিসি রিস্টার্ট নেয় । পিসির কনফিগারেশনের সাথে যদি সফটওয়্যার বা গেমস সাম্যঞ্জস্যপূর্ন না হয় তাহলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রোগ্রাম ইনস্টল করার সময় ভালকরে দেখে  নিন ঐ প্রোগ্রাম চালনার জন্য পিসির কি কনফিগার প্রয়োজন ।

হার্ডডিস্কের ব্যাড সেক্টর :
হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর থাকলে পিসি রিস্টার্ট নিতে পারে । ব্যাড সেক্টরের  কারনে হার্ডডিস্ক ডাটা রিড করতে পারে না। এর ফলে পিসি হ্যাং  অথবা রিস্টার্ট হতে পারে । এজন্য হার্ডডিস্ক ইউটিলিটি দিয়ে ব্যাড সেক্টর জনীত সমস্যা দূর  করতে পারেন।

মাদারবোর্ডে সমস্যা :
যদি এর পরও পিসি রিস্টার্ট নিতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার পিসির মেইনবোর্ডে কোন সমস্যা আছে। সেক্ষেত্রে দ্রুত আপনার পিসির মাদারবোর্ডটি পরিবর্তন করুন।
      

কম্পিউটারের বুট আপ টাইম আরও ফাস্ট করুন।

Details
কিছু কিছু সমস্যার জন্য কম্পিউটার দ্রুত চালু হয় না। অনেক সময় দেখা যায় কম্পিউটার চালু হতে ২০ মিনিট সময় লেগে যায় কিন্তু এই সময়টা লাগার কথা সর্ব্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড। এখানে আমরা দেখব কিভাবে আপনার কম্পিউটারের বুট আপ টাইম কমানো যায়।
স্টেপ- ১. স্টার্টআপ প্রোগ্রাম কম রাখুন-
কম্পিউটারে যে কোন প্রোগ্রাম ইন্সটল করলে তার ম্যাক্সিমামই কম্পিউটার অন হবার সময় চালু হয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে, এতে যেমন বুট আপ টাইম বেশি লাগে তেমনই কম্পিউটারও স্লো কাজ করে। নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে অপ্রয়োজনীয় বা কম গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম কম্পিউটার বুট আপ টাইমে চালুন হওয়া বন্ধ রাখতে পারেন। কম্পিউটার চালু হবার পর প্রয়োজন হলে ঐ প্রোগ্রামে ডাবল ক্লিক করে আবার চালু করে কাজ করতে পারেন। অপ্রয়োজনীয় বা কম গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম রান বন্ধ করতে –
১. Start - Run
২. msconfig লিখে  Enter প্রেস করুন।

৩. system configuration utility প্রোগ্রাম চালু হবে। এখানে services অথবা startup ট্যাবে ক্লিক করুন এবং আপনি যে প্রোগামগুলো দীর্ঘসময় ব্যবহার করেনি বা কম ব্যবহার করেন সেগুলোর টিক চিহ্ন তুলে দিন।
৪. OK প্রেস করুন।

স্টেপ- ২. হার্ডড্রাইভ অরগানাইজ করুন-
কম্পিউটারে বিভিন্ন সময়ে কাজ করতে করতে এর ফাইলগুলো ডিজঅরগানাইজ হয়ে পড়ে। তাই প্রাইয় অন্ততঃ সপ্তাহে একবার আপনার হার্ডড্রাইভ রিঅরগানাইজ করা প্রয়োজন। রিঅরগানাইজ করার জন্য আপনার আলাদা কোন সফটওয়্যারের প্রয়োজন নেই। উইন্ডোজের Defragment প্রোগ্রাম ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি আপনার পিসির হার্ডড্রাইভ রিঅরগানাইজ করতে পারেন। নিচে দেখুন-
১. My Computer এর C: drive এ রাইট ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন।
২. Properties এর “Tools” ট্যাবে ক্লিক করুন।
৩. Defragment Now  ক্লিক করুন।
 ৪. Disk Defragmenter প্রোগাম চালূ হবে।
 ৫. এখানে প্রথমে C: drive সিলেক্ট করুন এবংDefragment ট্যাবে ক্লিক করুন।
 ৬. C: drive এরDefragmentসম্পন্ন হলে এভাবে প্রত্যেক ড্রাইভDefragment করুন।

স্টেপ- ৩. স্টার্টআপ ডিলে সময় কমান-
কম্পিউটার দ্রুত চালু করার জন্য বুটি ডিলে টাইম ০ করে দিন। কম্পিউটারের ডিফল্ট ডিলে টাইম ৩০ সেকেন্ড, নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার কম্পিউটারের ডিফল্ট ডিলে টাইম কমিয়ে দিন-
১. Start - Run
২. msconfig লিখে  Enter প্রেস করুন।
৩. system configuration utility প্রোগ্রাম চালু হবে। এখানে boot.ini  ট্যাবে ক্লিক করুন এবং Time Out এর পাশের বক্সে ৩০ এর জায়গায় ৫ অথবা ০ দিন।  
৪. OK প্রেস করুন।    

কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখার কিছু উপায়-

Details ১. কম্পিউটারে একটি ভালো মানের এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে রাখুন এবং ইন্টারনেট থেকে আপডেট করুন। এবং প্রতিদিন এন্টিভাইরাস দিয়ে স্কান করুন। এতে একটু সময় নষ্ট হবে কিন্তু কিম্পিউটারটি ভাইরাস মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।
২. পেন ড্রাইভ, মোবাইল এবং ডিজিটাল ক্যামেরার মেমরি কার্ড কম্পিউটারে ভাইরাস আসার একটি ভালো মাধ্যম। তাই পেন ড্রাইভ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই এন্টিভাইরাস দিয়ে স্কান করুন।
৩. কখনো পেন ড্রাইভ ডাবল ক্লিক করে ওপেন করবেন না। My Computer-এ গিয়ে অ্যাড্রেস বার (Address Bar) থেকে খুলবেন
৪. পেন ড্রাইভ-এ কি কি ফাইল রাখছেন- মনে রাখার চেষ্টা করুন। আপনার রাখা ফাইল ছাড়া অন্য ফাইল থাকলে সেটি ভাইরাস হবার সম্ভাবনা থাকে, সেকারনে অন্য ফাইলগুলি সবসময় মুছে ফেলুন।
৫. কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখতে ভাইরাস সম্পর্কে আরও জানুন এবং ভাইরাসকে চেনার চেষ্টা করুন্।
৬. আপনার কম্পিউটারে ইন্টানেট কানেকশন না থাকলে প্রতি সপ্তাহে একবার এন্টিভাইরাস আপডেট ক্রয় করে আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করুন।
৭. কম্পিউটারের যে ফাইলটি আপনি চেনেন না কিংবা ফাইলটি কি তা যদি না বুঝতে পারেন, তাহলে কখনো ফাইলটিতে ক্লিক করবেন না।
৮. অপরিচিত কারো ইমেইল খুলবেন না। বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাইরাসগুলি ইমেইলের মাধ্যমে কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ছে।
৯. ইন্টারনেট থেকে কোন প্রোগ্রাম/ফাইল/ভিডিও ডাউনলোড করলে, আগে নিশ্চিত হন যে ভাইরাস নয়। তারপর ইন্সটল করুন।
১০. কম্পিউটারে ব্যবহৃত সকল প্রোগ্রাম/ফাইল/ভিডিও এর এক্সটেনশন (.doc, .docx, .mp3, .amr, .avi, .mp4, .3gp etc.) সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখুন।
১১. ফ্ল্যাশ ড্রাইভের অটোরান ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়

অটোরান (autorun.inf) আসলে কোন প্রকার ভাইরাস নয়। এটি ফ্ল্যাশড্রাইভের যে কোন ধরনের ফাইল বা ভাইরাসকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু করে থাকে। কিছু কিছু ভাইরাস নিজেরাই autrun.inf তৈরি করে থাকে। ফলে ফ্ল্যাশ ড্রাইভের আইকনে ডাবল ক্লিক করলেই নির্দিষ্ট ফাইল বা ভাইরাস স্বয়ংক্রিয় ভাবে কম্পিউটারে চালু হবে। তবে কম্পিউটাররের অটোরান সিস্টেম ডিজ্যাবল করা থাকলে ফ্ল্যাশড্রাইভের ভাইরাস কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হতে পারবে না। পেনড্রাইভের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর হার বেশি থাকে। তাই ফ্ল্যাশড্রাইভ বা পেনড্রাউভের ভাইরাস থেকে বাঁচতে চাইলে কম্পিউটারে অটোরান সিস্টেম বন্ধ করতে হবে। এজন্য-

1. প্রথমে Start>Settings/Control Panel>Administrative Tools-এ ডাবল ক্লিক করম্নন। পর্দায় একটি উইন্ডো আসবে।

2. উক্ত উইন্ডোর Service-এ ডাবল ক্লিক করে ওপেন করম্নন। পর্দায় Service উইন্ডো আসবে।

3. এবার Service উইন্ডোর ডান পাশ থেকে Shell Hardware Detection-এ ডাবল ক্লিক করম্নন। পর্দায় Shell Hardware Detection Properties ডায়ালগ বক্স আসবে।

4. উক্ত ডায়ালগ বক্সের General ট্যাবে ক্লিক করে Startup types: অপশন ঘরে Disabled সিলেক্ট করে Apply এবং OK করম্নন।

বি:দ্র: Shell Hardware Detection Service টি বন্ধ করে রাখতে পারেন। এর ফলে CD-ROMS/DVD ROMS বা ফ্ল্যাশড্রাইভ বা পেনড্রাইভের কোন AutoPlay Option কাজ করবে না এবং পিসিতে ভাইরাস আক্রমণ করার সুযোগও থাকবে না।

5. এরপর কম্পিউটার একবার রিস্টার্ট করম্নন। এখন থেকে কম্পিউটারে কোন ফ্ল্যাশড্রাউ বা পেনড্রাইভ অটোরান করতে পারবে না।

নোট: একটি বিষয় লক্ষ রাখা উচিত, কোন External Drive কম্পিউটারে ঢুকানোর পর সেটা ওপেন করতে মাউসের ডাবল ক্লিক না করে ডান বাটন ক্লিক করে Open করা উচিত। এতে ঐ ফোল্ডারে কোনো ভাইরাস থাকলে তা আর ইনস্টল হবে না।

১২. নিজে নিজে ভাইরাস মুছে ফেলা

ভাইরাসের মধ্যে new folder.exe ভাইরাসের সংগে পরিচয় অনেকেরই আছে, যেটা তৈরি হয় মূলত autorun.inf ফাইল থেকে।


এ ভাইরাস মুছতে প্রথমেই-

1. Start মেনু থেকে Search-এ গিয়ে autorun.inf লিখে Search করুন।

2. এখন যে ফাইলগুলো আসবে, তা এক এক করে রাইট ক্লিক করে Properties-এ গিয়ে read only option-টি un-check করুন।

3. এবার ফাইলটি নোটপেড দিয়ে Open করে Ctrl+A চেপে ফাইলে থাকা সব ডেটা ডিলিট করে দিন এবং সেইভ করে বেরিয়ে আসুন।

4. এরপর Start মেনু থেকে Run-এ গিয়ে msconfig লিখে OK করুন।

5. এবার Startup tab-এ যান, regsvr থাকলে un-check করুন এবং Exit without Restart করে বেরিয়ে আসুন।

6. এবার Control panel>Scheduled tasks-এ গিয়ে এখানকার সব task ডিলিট করুন।

7. পুনরায় Start>Run-এ গিয়ে gpedit.msc লিখে OK করুন।

8. এরপর UsersConfiguration>AdministrativeTemplates >System-এ যান এবং Prevent access to registry editing tools-এ গিয়ে disable করে দিন।

9. আবার Start>Run-এ গিয়ে regedit লিখে OK করুন। এবার to edit>find-এ গিয়ে regsvr.exe লিখে Search করুন এবং regsvr.exe-এর সব ধরনের occurrence ডিলিট করুন। এ ক্ষেত্রে সাবধান? যেন কোনো system file ডিলিট না হয়ে যায়। যেমন- regsvr32.exe ডিলিট করা যাবে না। শুধু regsvr.exe থাকলে তা ডিলিট করে দিবেন।

10. আবার Start>Search>all files and folders-এ যান এবং *.exe লিখুন এবং এরপর when was it modified-এ ক্লিক করে specify date সিলেক্ট করুন। যে তারিখের মধ্যে ভাইরাস আসছে বলে মনে হয়, ঐ তারিখ লিখে Search করুন। তারিখ এমনভাবে লিখুন, যে তারিখের মধ্যে শুধু ভাইরাস এসেছে কিন্তু অন্য কোনো Software install করেন নাই বলে মনে হয়।

11. এবার Search শেষ হলে সব .exe ফাইল সিলেক্ট করে Shift+ Delete দিয়ে ডিলিট করুন।

12. একইভাবে regsvr.exe, svchost.exe লিখে search করুন এবং ডিলিট করুন।

13. সব শেষে কম্পিউটার পুনরায় রিস্টার্ট করুন এবং উপভোগ করুন ভাইরাসমুক্ত পিসি। এভাবে অন্যান্য ভাইরাস ডিলিট করা যায়।

১৩. নিজেই এন্টিভাইরাস তৈরি করুন-

1. ডেস্কটপে MyAntivirus নামে একটি ফাইল তৈরি করুন, যার এক্সটেনশন থাকবে .bat অর্থাৎ আপনার পুরো ফাইলটির নাম হবে MyAntivirus.bat.

2. এবার ফাইলে রাইট ক্লিক করে edit option সিলেক্ট করুন।

এবার লিখুন:

cd X:
cd\
del *.exe/ah/s/q/f
del *.inf/ah/s/q/f
del ‘‘New Folder.exe’’/s/q/f
del *.bat/ah/s/f/q
del *.cmd/ah/s/q/f
explorer X:


বি: দ্র: এখানে X হলো আপনার পিসিতে পেনড্রাইভ প্রবেশ করালে যে ডিরেক্টরিতে পাওয়া যায় সেটি যেমন- I কিংবা J

3. এবার ফাইলটি Save করে রাখুন।
4. আপনি যখনই আপনার পিসিতে পেনড্রাইভ প্রবেশ করবেন, তখনই পেনড্রাইভ ক্লিক করে Open না করে বরং এ File ডাবল ক্লক করম্নন। দেখবেন পেনড্রাইভ Open হয়েছে কিন্তু কোন ভাইরাস নেই। মনে রাখবেন পেনড্রাইভে যাতে কোনো হিডেন *.exe ফাইল না থাকে।

১৪. পেনড্রাইভে একামত্ম প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো রাখার চেষ্টা করম্নন।
১৫.  ফোল্ডারের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করার ( সেটিংস ) সময় ‘শো হিডেন ফাইলস অ্যান্ড ফোল্ডারস‘ অবস্থায় রাখুন। এতে কিছু ভাইরাস পেনড্রাইভে হিডেন অবস্থায় দেখতে পাবেন এবং এগুলো মুছে ফেলুন।
১৬. প্রয়োজনীয় ফাইল হার্ডডিস্ক ড্রাইভে সরিয়ে রেখে পেনড্রাইভ মাঝেমধ্যে ফরম্যাট করে নিন।

১৭.  পেনড্রাইভের মাধ্যমে অযাচিত কিছু চালক ফাইল (*.exe) কম্পিউটারে ঢুকে পড়ে। এসবের মধ্যে 2u.exe-সহ আরও বেশ কিছু ফাইল ভাইরাস বহন করে। কিছু আছে, যা কিবোর্ড ও মাউসকে অকার্যকর করে দেয়। এই ফাইলগুলো অটোরানের মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে। এসব ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে হলে-

1. Start মেনু থেকে Run-এ গিয়ে gpedit.msc লিখে এন্টার করুন। এবার Group Policy উইন্ডো আসবে, ওখান থেকে ইউজার কনফিগারেশনে (User Configuration) + চাপুন।
2. এবার Administrative Templates এবং System-এ ক্লিক করুন।
3. এরপর ডান পাশে Turn off Auto play-তে দুই ক্লিক করুন এবং এটা সব ড্রাইভের জন্য Enabled করে Apply এবং OK করুন।  

কিভাবে ল্যাপটপ পরিষ্কার রাখবেন?

Details
ল্যাপটপ পরিস্কার রাখা খুব সহজ। শুধুমাত্র কিছু সাধারণ ক্লিনিং ম্যাটারিয়াল আর আপনার মনোযোগ থাকলেই আপনি আপনার ল্যাপটপটি নিজেই পরিস্কার রাখতে পারবেন।
এই কাজটি বছরে অন্তত ১ বার অথবা প্রয়োজন হলেই করা উচিত। আর যদি আপনি আপনার ল্যাপটপটি নিয়মিত পরিস্কার রাখতে না পারেন তাহলে ল্যাপটপের পরফরমেন্স কমে যাবে, কাজ করতে করতে হ্যাং করবে, রিস্টার্ট নিবে এবং ল্যাপটপটি শাট ডাউনও হয়ে যেতে পারে। এছাড়া খুব তাড়াতাড়িই ল্যাপটপের ডিসপ্রে, র‌্যাম, কীবোর্ড, টাচপ্যাড, ডিভিডি র‌্যাম নষ্ট হয়ে যেতে পরে। 



ল্যাপটপের সাধারণ যন্ত্রাংশ ৫টি- (১) কেসিং, (২) এল.সি.ডি স্ক্রীন, (৩) কীবোর্ড ও টাচ প্যাড, (৪) পোর্টস এবং (৫) কুলিং ভেন্টস।



ল্যাপটপ ক্লিনিং করতে আপনার – (১) কটন ক্লথ, (২) ডিসটিল ওয়াটার, (৩) ১ ক্যান কমপ্রেস্ড এয়ার, (৩) আইসো প্রোপাইল এ্যালকোহোল প্রয়োজন হবে।

তবে মনে রাখবেন- পেপার টাওয়েল, ফেসিয়াল টিস্যু ও ট্যাপের পানি ব্যবহার করা যাবে না। ক্লিনিং শুরু করার পূর্বে অবশ্যই ল্যাপটপের পাওয়ার খুলে রাখূন এবং ব্যাটারীটিও খুলে ফেলুন। পানি এবং এ্যালকোহোল ১:১ অনুপাতে মিশিয়ে একটি সলুশন তৈরি করুন।



(১) কেসিং-

কটন কাপড়টি আপনার তৈরিকৃত সলুশনে ভিজিয়ে নিয়ে ল্যাপটপের বাইরের সাইডটি মুছে ফেলুন। দেখুন ল্যাপটপটি দেখতে একেবারে ব্রান্ড নিউ লাগছে। এবার ল্যাপটপের লিডটি তুলূন এবং কীবোর্ড এর চার পাশ ভারেঅ করে খুব সাবধানে মুছে ফেলুন।



(২) এল.সি.ডি স্ক্রীন-

স্ক্রীনে কখনো সরাসরি কোন স্প্রে করবেন না। একটি নতুন ও শুকনা কটন কাপড় পূর্বের সলুশনে ভিজিয়ে কাপড়টি দিয়ে স্ক্রীনটি বাম থেকে ডানে এবং উপর থেকে নিচের দিকে খুব সফটলী মুছুন।



(৩) কীবোর্ড ও টাচ প্যাড

কীবোর্ডের উপর কমপ্রেস্ড এয়ার স্প্রে করুন এবং খুব সাবধানে আ্ঙ্গুল দিয়ে পরিস্কার করুন। আর বেশি নোংরা হলে প্রত্যেক কী খুলে পরিস্কার করুন। তবে পরিস্কার করা পর অবশ্যই ঠিক ঠিক জায় গায় ঠিক ঠিক কী লাগান। যদি আপনার কীবোরাডটি ওয়াটারপ্রুফ হয়, তাহলে ডিসটিল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে ফেলে শুকিয়ে ফেলুন। শেষে একটি পরিস্কার কটন কাপড় দিয়ে কীবোর্ড ও টাচ প্যাডটি ভালোভাবে মুছে ফেলুন।





(৪) পোর্টস

পোর্টস ক্লিন করার জন্য কমপ্রেস্ড এয়ারের ক্যানিটি ব্যবহার করুন।

(৫) কুলিং ভেন্টস

কুলিং ভেন্টস ক্লিন করার জন্য ও কমপ্রেস্ড এয়ারের ক্যানিটি ব্যবহার করুন। সরাসরি স্প্রে না করে একটু কৌনিক ভাবে স্প্রে করুন। টুথ পিক ব্যবহার করে খুব সাবধানে ফানের ব্লেডগুলো পরিস্কার করুন।

ল্যাপটপটির পাওয়ার অন করার পূর্বে নিশ্চিত হন যে, ল্যাপটপটি খুব ভারেঅ ভাবে শুকানো হয়েছে।          

হার্ডডিস্ক সম্পর্কে জানুন

Details
কম্পিউটারের প্রতিটা ডিভাইসই সমান গুরুত্বপূর্ণ ও সমান ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরও হার্ডডিস্ক অন্য ডিভাইসের চেয়ে অনেক বেশী ঝুঁকিপূর্ণ কারণ এতে রক্ষিত তথ্য যেকোন মুহূর্তেই মুছে যেতে পারে

হার্ডডিক্সের পাওয়ার বা ডেটা ক্যাবেলের সংযোগ ভালোভাবে না থাকলে হার্ডডিক্সে পর্যাপ্ত বিদ্যুত প্রবাহে বাধা সৃ্ষ্টি হবে আর পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ প্রবাহ না থাকায় প্লেটারে ডাটা রিড রাইটে সমস্যা দেখা দিতে পারেফলে সেখানে ব্যাড সেক্টর দেখা দেয়হার্ডডিস্কে দুই ধরণের সমস্যা হয় লজিকাল আর ফিজিকাললজিকাল সমস্যা হল ব্যাড সেক্টর পড়ে যাওয়াডিস্কে অতিরিক্ত ডাটা রাখলে বা ডিস্কের বেশি জায়গা অব্যবহৃত থাকলে সেখানকার সেক্টরে সমস্যা হতে পারেএটা লজিকাল সমস্যা, অর্থাৎ ইউটিলিটি সফটওয়্যারের সাহায্যে রিপেয়ার করা যায়ফিজিকাল সমস্যা হল হেড বেঁকে যাওয়া, প্লেটারের ট্র্যাক নষ্ট হয়ে যাওয়া, অ্যাকচুয়েটরে সমস্যা ইত্যাদিএই সমস্যা সফটওয়্যার দিয়ে রিপেয়ার করা যায়নাএক্ষেত্রে প্লেটার বদলে অথবা লজিক বোর্ড চেঞ্জ করে তথ্য উদ্ধার করা যায়

হার্ডডিস্ক ভালো রাখার কিছু টিপস


  • প্রতি পার্টিশনে অন্তত ২০% ফাকা জায়গা রাখুন
  • নিয়মিত ডিফ্র্যাগ করুন
  • সপ্তাহে একবার বুট টাইম ডিফ্র্যাগ করুনঅর্থাৎ পেজফাইল, হিবারফিল ইত্যাদি সহ  সিস্টেম ফাইল ডিফ্র্যাগ করুন
  • হার্ডডিস্ক এর তাপমাত্রা মনিটর করুনদরকার হলে ক্রিটিকাল তাপমাত্রা সেট করে দিন যেন বেশি গরম হয়ে গেলে আপনি নোটিফিকেশান পান
  • হার্ডডিস্ককে ধুলাবালি থেকে ১০০ গজ দূরে রাখুনমনে রাখবেন ছোট্ট একটা কণা যা আপনার মাথার চুলের দশভাগের একভাগ সেটা আপনার ডিস্ক হেডকে নষ্ট করে দিতে পারে
  • ইউপিএস ব্যবহার করুন।
  • ব্যাকআপের জন্য রেইড বানিয়ে ফেলুন
  • ছয়মাস বা একবছর পর পর সুযোগ পেলে হার্ডডিস্ক এর সকল ডাটা ব্যাকআপ নিয়ে ডিস্ক লো লেভেল ফরম্যাট করে নিনএতে ব্যাড সেক্টর সহ কোন সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে যাবে
  • উইন্ডোজ এর ইনডেক্সিং বন্ধ করে দিনইনডেক্সিং এর মাধ্যমে উইন্ডোজ হার্ডডিস্ক এর সকল ফাইল এর লিস্ট তৈরি করে এবং সার্চ করলে দ্রুত ফলাফল দেখায়কিন্তু ইনডেক্স এর কারণে অযথাই ডিস্ক ঘুরতে থাকে এবং শক্তি বা ব্যাটারি ক্ষয় হয়
  • হার্ডডিস্ক এর এটিএ কেবল ও পাওয়ার কেবল মজবুতভাবে যুক্ত আছে কিনা দেখে নিনএটা ঢিলা হয়ে গেলে হার্ডডিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 
 
  

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন