Pages

অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক,কোন মানব,,,

--জুয়েল ও জেরিন
একি ভার্সিটিতে পড়ে ৷
সেই সুবাদে দুজনের পরিচয়, তার পর
ফোন নম্বর আদান প্রদান ৷ নিওমিত
কথা বলা চলছিলো তাদের ৷
তার পর ঘনিষ্ঠতা এক জন
আরেকজনকে প্রোপোজ ৷ তার পর
চুটিয়ে প্রেম করা ৷
--এই ভাবেই চলছিলো তাদের প্রেম,
কিন্তু এটা সবারই যানা যে বেশির
ভাগ ক্ষেত্রে , প্রেম ভালোবাসার
মধ্যে এটা সিমাবদ্ধ থাকে না ৷
★★অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক,কোন মানব
জাতীর,
কোন ধর্মের
মধ্যে পড়ে বলতে পারেন ?★★
গল্প আকারেই শুরু করি .........
--জুয়েল ও জেরিন
একি ভার্সিটিতে পড়ে ৷
সেই সুবাদে দুজনের পরিচয়, তার পর
ফোন নম্বর আদান প্রদান ৷ নিওমিত
কথা বলা চলছিলো তাদের ৷
তার পর ঘনিষ্ঠতা এক জন
আরেকজনকে প্রোপোজ ৷ তার পর
চুটিয়ে প্রেম করা ৷
--এই ভাবেই চলছিলো তাদের প্রেম,
কিন্তু এটা সবারই যানা যে বেশির
ভাগ ক্ষেত্রে , প্রেম ভালোবাসার
মধ্যে এটা সিমাবদ্ধ থাকে না ৷
কারো না কারো মনে অবৈধ
আকাঙ্খা থেকেই যায় ৷ জুয়েল
বা জেরিন কেও না কেও তাদের
অবৈধ আকাঙ্খার কথা বলে ৷
হয়তো রাজি না হয়েও শেষ পর্যন্ত
রাজি হয়ে যায় ৷
--তার পর ফোন করে কোনো হোটেল
বুকিং দেয়া ৷
পরে হোটেলে গিয়ে দুজনে জড়িয়ে পড়া অবৈধ
উন্মত্ত খেলায় ৷
কিছুদিন পর জানা যায় জেরিন
প্রেগনেন্ট ৷
--লোকলজ্জার ভয়ে এ্যাবরশন
করাতে পারে না যেনে যাবে বলে ৷
তার পর বাচ্চা হবার পর সেই
বাচ্চাটির ঠায় হয়
কোনো ডাস্টবিন বা পচা,
ডোবা নালার মধ্যে৷
--কথা গুলো ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়

কি ভয়ানক ?
১০ মিনিটের উত্তেজনাকর অবৈধ
খেলার পরিনতি কি?
১ টি শিশুর জীবন ? মানুষের জীবন
কি এতই সস্তা?
--হ্যা এই কাজটিই বাংলাদেশে এখন
অহরহ ঘটে চলেছে ৷ যে কাজটি এখন
আমাদের দেশে একধরনের
ব্যাধি হয়ে গ্যাছে ৷
প্রতিদিনের পেপার
পত্রিকা পড়লেই,
চোখের পানি বাঁধ, মানে না ৷
--কেও বা ফেলছে জীবন্ত কেও
বা ফেলছে মৃত ৷
একবার ভাবুন তো ৷
জীবন্ত হোক বা মৃত
একটা শিশুকে কুকুরে মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে,
দৃশ্যটি যদি আপনার
সামনে ঘটে কেমন
লাগবে ? ভাবলেই শরীরের লোম
গুলো দাড়িয়ে যায় ৷
--যে দেশের মা বাবা তার
শন্তানকে অতি যত্নে লালন পালন
করেন
৷ সে দেশের ই মানুষ জীবন্ত
শিশুকে ডাস্টবনে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে ৷
--আরে তুই ও তো কোনো বাবা মা এর
সন্তান ৷ একবার ভেবে দেখ ৷ তোর
বাবা মা যদি তোকে কোনো ডাস্টবিনে ফেলে যেতো,
তাহলে তুই আজ কোথায় থাকতি? আজ
সেই তুই ই নিজের
সন্তানকে ডাস্টবিনের
ময়লা আবর্জনার
মধ্যে ফেলে দিচ্ছিস ৷
তোদের তো জাহান্নামের সর্বনিম্ন
স্তরেও ঠায় হবে না৷
--এমন প্রেম
ভালবাসা যদি একটি জীবনের ধ্বংশ
হয়, তাহলে কি দরকার ভাই এমন
প্রেম
ভালোবাসার ?
--আজ
ফিলিস্তিনিতে ছোটো ছোটো নিষ্পাপ
শিশুর মৃত মুখ
দেখে আমরা কতটা না কষ্ট
পাচ্ছি ৷
ফিলিস্তিনিতে গিয়ে আমরা তাদের
বাঁচাতে পারবোনা ৷
কিন্তু নিজেদের দেশে কত শত শত
শিশুর
মৃত দেহ ডাস্টবিনে পাওয়া যাচ্ছে ৷
আমাদের কি এদের জন্য একটুও কষ্ট
হয় না?
আমরা কি এদের বাঁচানোর
চেষ্টা করতে পারিনা?
--আমরা যুব সমাজটায়
পারি দেশটাকে বদলাতে ৷
আসলে আমরা এতটাই খারাপ যে ,
যে জীনিসটা আমাদের
পক্ষে কোনোদিনও করা সম্ভব নয়
সেটার পিছনেই ছোটা ছুটি করি,
কিন্তু চোখের সামনের কাজটা সম্ভব
হওয়া সত্তেও
আমরা সেটা এড়িয়ে যায়?
★আজো নয়া দিগন্ত পত্রিকায় পড়লাম

চাঁদপুরে একটি আম গাছের নিচ
থেকে ২ মাস
বয়সি ফুটফুটে কন্যা শিশু
উদ্ধার ★
সেই মা বাবাক আমার শত ধিক্কার
--আসুন প্রতিজ্ঞা করি এমন অনৈতিক
কাজ
আর হতে দেবো না ৷ আমরা সবাই
যদি সচেতন হয় তাহলেই এমন
পরিস্থিতির মোকাবেলা করা সম্ভব

**দেশটাকে মায়া মমতার দেশ
হিসেবে গড়ে তুলি ৷
নিজ নিজ স্থান হতে নিষ্পাপ
শিশুদের
বাঁচানোর চেষ্টা করি ৷
লেখক: রিয়াজ। ♥♥♥
পর্ব ২
বিয়ের আগে প্রেম
ইসলামে নিষিদ্ধ ? কেন
নিষিদ্ধ? কি বা তার প্রমান?
চলুন এই প্রশ্নের উত্তর
পেতে ইসলামের
আলো থেকে ঘুরে আসি।
একটা ছেলের
প্রতি একটা মেয়ের আকর্ষণ
থাকবে অথবা একটা মেয়ের
প্রতি একটা ছেলের আকর্ষণ
থাকবেই,এটাই স্বাভাবিক ।
যদি করো মাঝে এই feel
না থাকে তবে সে ছেলে,মেয়ে
কোনটিই না।
কাউকে ভালো লাগলে তার
প্রতি আকর্ষণ জন্মায়।আর এই
আকর্ষণকে অধিকারে রুপান্তরের
নামই
ভালবাসা। এই অধিকারটা বিয়ের
আগে বা পরে যেকোনো সময়
ঘটতে পারে। আসুন
আমরা আলোচনা করি, বিয়ের
আগের
অবস্থা নিয়ে। আগেই
বলে রাখি,যেহেতু এটা হারাম,তাই
শয়তানের প্ররচনা থাকবেই।এখন
ভাবি,বিয়ের আগে এই
অধিকারটা জন্মাল দুটি মনেই।
তারা পরস্পর মাঝে এই অধিকার
স্বীকৃত
করল। সাথে সাথে শয়তানের
প্ররচনা বেড়ে গেল। এরপর
তারা তাদের
অধিকার
বাড়াতে বাড়াতে ভাবলো আমাদের
এই
অধিকার, কথা বলার
মধ্যে না রেখে,এই
অধিকার বিছানা পর্যন্ত নিয়ে যাই।
ইসলামে যেটা যিনা নামে পরিচিত।

বেপারে আল্লাহ্ বলেছেনঃ
“বেভিচারি পুরুষ
কেবলবেভিচারিনী নারী অথবা মুশরিক
নারীকে বিয়ে করে এবং বেভি
চারিনীকে কেবল
বেভাচারি অথবা মুশরিক পুরুষ
বিয়ে করে এবং এদের কে মুমিন
দের
জন্য হারাম করা হয়েছে ।
(সুরা আননুর-৩৩)”
আর যারা এটা like করে ,তাদের
বেপারে বলা হয়েছেঃ
“যারা পছন্দ করে যে ঈমানদার দের
মধ্যে বেভিচার প্রসার
লাভকরুক,তাদের
জন্য ইহকাল ও
পরকালে যন্ত্রনা দায়কশাস্তি রয়েছে,
আল্লাহ্ জানেন ,তোমরা জাননা।
(সুরা আন নুর-১৯)”
আপনি নিশ্চই ওই মেয়ের
বাবা বা ভাই
হয়ে ,যেনা করাটা মেনে নেবেন
না।
আমার ছোটো বড়ো ভাই ও বন্ধু
যারা ভাবেন যেঃ আমরা প্রেম
করলেও
দুজনে ওই
কাজটা মানে যিনা করবো না।
আমরা পর্দা মানি। ৫ বার নামাজ
পড়ি।তাদের জন্য আক্তি আদর্শ
হাদিসঃ
“একজন বড়পাদ্রি ছিল ।সে অনেক
ধার্মিক ছিল। কোনো এক যুদ্ধ এ দুজন
বড়
ভাই ওই পাদ্রীর কাছে এসে বলল
দেখুন
আমরা যুদ্ধে যাচ্ছি,আমাদের
বোনকে দেখার কেউ নাই।
পাদ্রী এতে অসম্মতি জানায়।এমন
সময়
শয়তান
পাদ্রিকে কে বলে একটা মেয়ে বিপদে
পড়ছে তুমি তাকে সাহায্য করবা না,
এটা কিছু হইলো ।অতঃপর
পাদ্রী রাজি হল। সে বলল আপনাদের
বোনকে দুরের ওই ঘরে রেখে যান।
এরপর
পাদ্রী প্রতিদিন ওই ঘরে খাবার
দিয়ে,কথা না বলে , চলে আসতো ।
আবার শয়তান আবারো এসে বলল
মেয়েটা একা থাকে,তুমি তার
সাথে একটু কথা বললেই পার।অতঃপর
পাদ্রী কথা বলতে শুরু করলো।
আস্তে আস্তে পাদ্রী মেয়েটির খুব
কাছা কাছি চলে গেল। এক সময়
মেয়েটির পেটে বাচ্চা আসলো।
শয়তান
এবার বলল তুমি এটা কি করলে,এখন
সবচেয়ে ভাল উপায় হল
মেয়েটিকে মেরে ফেলা ।
পাদ্রী তাই
করল।মেরে ওই ঘরেই কবর দিল।
যখনমেয়ে টির দুই ভাই
যুদ্ধো থেকে ফিরে আসলো তখন
পাদ্রী বলল
মেয়েটি অসুখে মারা গেছে।
রাত্রে শায়তান মেয়েটির
ভাইকে সপ্নে দেখাল
মেয়েটিকে যে ঘরে রেখে গিয়েছিল
সেই ঘরেই মারা হয়েছে । কবর
খুড়ে সেই সত্ততা পাওয়া গেলো।
এবার
পাদ্রীকে ধরা হলো এবং তার
death sentence দেয়া হল।এবার শয়তান
এসে বলল
আমি তো তোমাকে বিপদে ফেলেছি,
আমার কাছে সাহায্য চাও ।
পাদ্রি আবার ও শয়তানের
কাছে সাহায্য চাইলো। এবার
শয়তান
হাসতে হাসতে বলল,অবশেষে আমি
তোমাকে কাফির
বানাতে পেরেছি।“
আরও বলা হল ;ভাইয়া আমি এমন
অনেককে দেখেছি যারা প্রেম
করা সত্তেও যিনা করে নি। এই
প্রশ্নের
উত্তর অনেক সহজ …শুধু
একটা পরিসংখ্যান
ঘাটিঃমনে করলাম ঃ যারা প্রেমকরে,
কিন্তু যিনা করে নি ,তাদের
সংখ্যা ৭০%।এদের মধ্যে ১০% বিয়ের
পীড়িতে বসেছে।এবার ,এই ১০% এর
মধ্যে ৮% ওই পর্দার খেলাফ
করেছে এবং হাত ধরা চুমু
খওয়া ,যা কিনা এক প্রকার
যিনা,সেটা তারা করেছে বিয়ের
আগে।বাকী ২%
মেয়ে ছেলে আছে (এইব্যাপারে সন্দেহ
আছে ,এই
২%আসলে পৃথিবীতে আছে কিনা ,
আমার জানা নাই)যারা শুধু
মনে মনে একজন
কে ভালবাসে ,অতঃপর
কার মাধ্যমে প্রস্তাব
দিয়ে বিয়া হয়েছে।অর্থাৎ ২%
আজকাল
কার দিনের প্রেমের সংজ্ঞায়
পরে না। তাহলে বিয়ে করার সময়
একজন
আরেক জনকে না দেখেই
বিয়ে করবে?
ইসলামের আলোকে সুন্দর
ব্যাক্ষাটা দেয়ার
চেস্টা করিঃ আপনি যাকে বিয়ে করবেন
তার সম্পর্কে আপনি জানবেন। এই
অনুমতি ইসলাম দিয়েছে। আপনি ওই
মেয়ে বা ছেলেকে জানার জন্য
ঘন্টার
পর ঘন্টা কথা বলতে পারেন কিন্তু
একজন (ত্রিতিয় ব্যাক্তি)
যাকে বিবাহ
করা হারাম তাকে রাখতে হবে।
কারন
আপনি এতে উগ্র কথা বলতে পারবেন
না।তাহলে আমরা কিভাবে চলবো…
ইসলাম এর সমাধান দিয়েছে। ১-১তম
বেপারটা হল পর্দা।
এটা অনেকে জানে ,তাই আলচনার
পরিধি বাড়াবো না।
২-আল্লাহ রাসুল(সাঃ)
বলেছেনঃ“যার
সাথে বিবাহ হারাম নয় এই রকম কোন
নারির সাথে একাকী অবস্থান
নিষেধ,অনুরুপ বিবাহ হারাম নয় এই রকম
পুরুষের সাথে একাকি অবস্থানও
নিষেধ ,কেননা সেখানে শয়তান
third
person হিসেবে থাকে।“(সাহীহ
মুসলিম)
আমার
কথাঃ আমি যাকে ভালবাসি,তার
সাথে বিয়ের আগে প্রেম
করে ইসলামের
দৃষ্টিতে তাকে বিপদে ফেলা ,এটা
ভালবাসা হতে পারে না।লেখায়
ভুল
ত্রুটি হলে মাফ করবেন।

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন