Pages

ভালোবাসা মন্দবাসা !!!

130214-love-inspirational-daily

 ভালোবাসা! ভীষণ অদ্ভুত একটা শব্দ। কেমন যেন আদুরে দুশ্চিন্তা মেশানো একটা অনুভূতি। ঠিক অনুভূতিও নয়, আবেশের মতো অনেকটা। শীত শেষে খুব মিষ্টি ঝিরঝির হাওয়াটার মতো। ভালোবাসা আসলে ভালোবাসাই। একদম আলাদা বিচ্ছিন্ন অসম্ভব রঙিন একটা কিছু যা আসলে অনুভূতির অনেক অনেক ওপরের, যেন একটা
হাওয়ার পাল, কেবল উড়েই চলে, আর টেনে নিয়ে যায় নৌকোর মতো করে আমাদের সবাইকে। ভালোবাসা আসলে একটা অনেক কিছুর মতো, অনেক অনেক মিলিয়ে একটা কিছু, এবং সেটাই ভালোবাসা। ভালোবাসা মানে অনেক কিছুর মানে খোঁজা, একেবারেই অন্যরকম অর্থ এনে হাজির করার মতো। সেজন্যই ভালোবাসলে জীবনানন্দের ‘বুড়িচাঁদ গেছো বুঝি বেনোজলে ভেসে’ কবিতার মধ্যেও ভালোবাসার মর্ম উঠে আসতে চায়।
মন্দ লোকে বলে, প্রেম নাকি টিস্যু পেপারের মতো ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু সত্যি কি তাই! তাহলে চিরন্তন প্রেমের স্রোত কি আজও অনন্তকালের দিকে বয়ে চলতে পারতো? হয়তো যুগের পরির্বতনে প্রেমের চরিত্র আজ পাল্টে গেছে। ধারণ করেছে নতুন রূপ। প্রেম এখন শুধু দু’জনার। শিরি-ফরহাদ, ইউসুফ-জুলেখা, লাইলী-মজনু বা চন্ডীদাস-রজকিনী, দেবদাস-পার্বতী, রোমিও-জুলিয়েটদের মতো কত বিশ্ব বিখ্যাত জুটির শাশ্বত প্রেম আজও সবার কাছে জীবন্ত। তবে আধুনিক প্রেম আজ অনেক নাম ধারণ করে আছে। ফ্রেন্ডশিপ, রিলেশনশিপ, কালার লাভ, ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট লাভ ইত্যাদি ইত্যাদি। তথ্য প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোনে যখন-তখন জানা যায় ভালোবাসার মানুষটির খবর। যে যাই বলুক, স্বীকার করুক আর না-ই করুক, প্রতিটি মানুষই কাংখিত ভালোবাসার জন্য অপেক্ষা করে। প্রেম আর মৃত্যু কখন কার জীবনে আসে তা কেউই জানেনা।
আমরা সবাই কারণে অকারণে ভালোবাসি। আসলে কি এই ভালোবাসা? ভালোবাসা কি রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইনের মতো ‘সখী, ভালোবাসা কারে কয়! সে কি কেবলই যাতনাময়’? সখী ভালোবাসা কারে কয়-  সখাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্নটা না থাকলেও যুগে যুগে সখী-সখা উভয়েই এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। ইন্টারনেটের এই যুগে ভালোবাসা আজ বড়ই ভারাক্রান্ত। তবুও ভালোবাসা বেশ কায়দা করেই জেঁকে বসেছে সবার হƒদয়ে। বিশ্ব কবি হওয়া সত্তেও রবী ঠাকুরের মনে ভালোবাসা সম্পর্কে প্রশ্ন জেগেছে ভালোবাসা কারে কয়? আসলেই জটিল এ প্রশ্ন এবং উত্তরটিও।
দুটো শোবার ঘর, একটি বসার, একটি খাবার, রান্নাঘর আর দখিনা বারান্দা ওয়ালা ভালোবাসার সংজ্ঞায় আজ আর কারও মন ভরেনা। সখী আর সখারা ভালোবাসাকে জানার জন্য, জয় করার জন্য ব্যাকুল চিরকাল। ভালোবাসা আসলে কি? ভালোবাসা কারো কাছে জীবন, কারো কাছে ছেলেমানুষি। কারো কাছে ভালোবাসাতেই বেঁচে থাকার সবসুখ আবার কারো কাছে সময়ের অপচয়মাত্র। সত্যিকার অর্থে অস্তিত্ববিহীন কিন্তু অন্যরকম এক জ্যান্ত অনুভূতির নামই হল ভালোবাসা। পৃথিবীর কোন ভাষাতেই যার সহজবোধ্য কোন সংজ্ঞা দেয়া হয়তো সম্ভব নয়।
কবির ভাষায়-
“এতো যে আমি ওখানে যাই;
ওখানে পাই কাছে;
ওখানে তার পায়ের কিছু চিহ্ন পড়ে আছে”।
না থেকেও পাওয়ার এই অনুভূতির নামই হল ভালোবাসা। হ্যা ভালোবাসার তীব্রতা এতটাই প্রকট। প্রথমদিকে ভালোবাসার বসতি ছিল দুটি হƒদয়ে। ধীরে ধীরে তা চিরকুট-গল্প-কবিতা-নাটক ও এসএমএসে। আর কালের বিবর্তনে এর বিশাল ব্যাপ্তি ঘটেছে ফেইসবুকে, পরিবর্তিত হলো ভালোবাসা। ভালোবাসা এখন ডিজিটাল! একটা সময় ভালোবাসা ছিল অতি গোপনীয় ব্যাপার। প্রেম বা ভালোবাসা জাতীয় শব্দটি গুরুজনদের সামনে উচ্চারণ ছিল অপরাধযোগ্য। অথচ ডিজিটালের এই যুগে ফেইসবুকের ইনফরমেশনে লেখা হচ্ছে- ইন রিলেশানশীপ। আরেকটু এগিয়ে লিখছেন- ইন এ রিলেশানশীপ উইথ প্রিন্স বা প্রিন্সেস টাইপের ডিজিটাল কোন নাম। আর এই প্রিন্স অথবা প্রিন্সেসরা খোলাখুলি প্রেম করছেন আর তা নিউজ হয়ে আসছে হাজারো হোমপেজে। এখন আর আগের মতো লুকোচুরি নয়, বেহায়া ভালোবাসা চলছে সবার সামনেই। একসময় কবিতায় প্রেম আসতো খুব শৈল্পিকভাবে। আর এখন? লজ্জার মাথা হেড করেই ডিজিটালের এ সময়ে বেহায়া প্রেমিক-প্রেমিকারা খুব সরাসরি বলছে- তোমার অধরে এঁকে দিলাম চুম্বনের রেখা………!!! এই রেখা সরল, নাকি বক্র তারও উল্ল্যেখ থাকে মাঝে মধ্যে। কী দুর্দান্ত প্রেম ভালোবাসাবাসি আজকাল। গোপনীয়তার এতো সুযোগ থাকা সত্তেও  এরা কেন সবাইকে দেখিয়ে প্রেমালাপে মত্ত থাকে সে উত্তর যদিও জানা নেই তবুও মনে হচ্ছে দিন দিন প্রেমের জোয়ার এতটাই প্রকট হচ্ছে যে, এই জোয়ারের ঠেলায় ডিজিটাল এই প্রেমিক-প্রেমিকারা হারিয়ে যাচ্ছে অজানা এক অন্ধকারে। ভালোবাসা এখন আর ভালো নেই, হয়েছে মন্দবাসা।
“আমি ফিরে আসি বারবার তার কাছে। যেন তার মুখে অনেক কিছু শোনার টান, অনেক ভালোবাসা অনেক মুহূর্ত!” ভালোবাসা নিছক যাতনা বা বেদনা পাওয়ার জায়গা নয়। সুখের মাঝে এক চিলতে বেদনা তো থাকবেই।’ যে যাই বলিনা কেন ভালোবাসা নামক অনুভূতির জনপ্রিয়তা বাড়ছে বৈকি কমছেনা, এবং কমবেওনা হয়তো কোনদিন।
এলো ফাগুন, লাগলো আগুন! এ আগুনে পোঁড়ার স্বাদ সেই কেবল জানে, যে জন ভালোবাসে। একাল সেকাল যতোই বলিনা কেন এটা টিক যে ভালোবাসার বড্ড দরকার আমাদের জীবনে। ভালোবাসা হচ্ছে এমন একটা জিনিস যা চাইলেই পাওয়া যায়না, কিন্তু অনেক সময় না চাইলেও এতো বেশী পাওয়া হয় যার যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে যাই। আবার অনেকে  ভালোবাসা না পেয়ে যন্ত্রণায় অস্থির হয়, মরে যায়। মূল কথা হচ্ছে সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান থেকে রাস্তার ভিখিরি এবং আমরা সবাই ভালোবাসার বড়ই কাঙাল। ভালোবাসার জন্য লড়াই করি সারাদিনমান-নিশি।
ভালোবাসা দিবসটি আমাদের কাছে একটি প্রেষ্ট্রিজ ইস্যু হয়ে গেছে। বিশেষ করে আমার মতো সিঙ্গুলার নাম্বারদের জন্য। আগে এই বদখত দিনটি ছিলনা এই দেশে। যে উদ্দেশ্যে ভালোবাসা দিবস উদযাপন শুরু হয় সেই সময় পাল্টে গেছে। আধুনিক যুগে ভ্যালেন্টাইনস ডে হƒদয়ের পান পাতার মতো প্রতীকী ব্যঞ্জনায় মূর্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী বিপুল উৎসাহে পালিত হয়। দিবস রজনী সবাই ভালোবাসার কথা বলে, কিন্তু সেটা কী? রোমের দ্বিতীয় সম্রাট ক্লডিয়াসের সময় যুবক-যুবতীদের বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য- যোদ্ধাদের কোনো প্রকার পিছুটান থাকবে না। আর এই আইন অমান্য করে বিদ্রোহী ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন লুকিয়ে যুবক-যুবতীদের বিয়ে দিতেন। পরিণামে ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪-ই ফেব্র“য়ারি শিরচ্ছেদ করা হলো সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের। মৃত্যুর আগে ভ্যালেন্টাইন চিরকুট লেখেন তাঁর প্রেয়সী জেলারের অন্ধ মেয়ে এসরিয়াসের উদ্দেশ্যে। এর প্রায় ২০০ বছর পর ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ভ্যালেন্টাইনের আতœত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধার স্মারক হিসেবে ১৪-ই ফেব্র“য়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করা হচ্ছে। বছরের এই একটি দিনকে আমরা ভালোবাসা দিবস বলি আমরা। তাহলে বাকি দিনগুলো কিসের? আসলে প্রতিটি দিনই তো ভালোবাসার দিন। প্রতিটি নতুন ভোর আমাদের জানিয়ে দেয় এই পৃথিবীতে আমাদের এই যে ক্ষণিকের অবস্থান তা ভরিয়ে দিতে হবে ভালোবাসায়। ইতিহাসের পথ ধরে না হাঁটলেও কিছু যায়-আসেনা। বসন্তকালই বলে দেয় এসব ভালোবাসাবাসির জন্য ইতিহাসের প্রয়োজন মূল্যহীন। আমরা ভালোবাসব, বাসতেই থাকব। আজ ভালোবাসব গতকালের চেয়ে একটু বেশি, আগামীকালের চেয়ে একটু কম।
এ কথা তো সবাই জানে যে- মানুষ পাগলের মতো ভালোবাসে, বোকার মতো নয়। সে ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবে কেন? ফাগুনের আগুন লেগেছে বনে বনে, সে কথা ঠিক। এই আগুন পোঁড়ায় না, ভালোবাসাকে আরও সংহত করে। বসন্তকালের শুরুতে উড়ু উড়ু মন নিয়ে পথ চলেছে যারা, তারা সবাই বুঝতে পারছে ঋতু-বৈচিত্রের এই সময়টি ভিন্নতর।
বাংলা মাসের হিসাব অনুযায়ী ফাল্গুনের দ্বিতীয় দিন ভালোবাসা দিবস হওয়ায় দিনটি হয় অনেক বেশি বর্ণিল। ফাগুনের প্রথম দিনের আমেজটা থাকে ভালোবাসা দিবস পর্যন্ত। পাতাঝরা সময়ের মতো সব জীর্ণতা ঝরে যায়, আসে নতুন সময় নতুন করে শুরু করার, নতুন করে ভালোবাসার মুহূর্ত। ভালোবাসার তীব্রতা অনুভব করা যায় হƒদয় দিয়ে।
পৃথিবীতে এর চেয়ে আর কোনো গভীর ক্রন্দন আছে কি না জানিনা। ভালোবাসা বারবার আসেঃ ‘কে আবার বাজায় বাঁশি এ আমার ভাঙা কুঞ্জে’। ভালোবাসা যদিও ‘স্থান-কাল-পাত্র’ মেনে পথ চলে না কখনো। তারপরও কালের স্রোতে ভালোবাসার নিজস্ব ধারা কি পাল্টে যায়নি? সেই “ইউসুফ-জুলেখা’, ‘রাধা-কৃষ্ণ’, ‘শিরি-ফরহাদ’, ‘লাইলী-মজনু’, ‘সেলিম- আনারকলি’, রোমিও-জুলিয়েট, দেবদাস-পারুর  ভালোবাসার যে অমর কাহিনী আমরা জেনেছি সময়ের আবর্তে তার বির্বতন কি ঘটেনি? ভালোবাসার ধরন বদলেছে, বদলে গেছে ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম এবং ভাষা। ভালোবাসা কি তাহলে নিজস্ব গভীরতা, সত্তা, আবেগময়তা হারাচ্ছে? নাকি ভালোবাসার অন্তর্নিহিত কাঠামোটি শাশ্বত-চিরায়তই রয়ে গেছে, শুধু বদলে গেছে এর বাইরের আবরণটি? ‘গ্লোবালাইজেশন’, ‘মেকানাইজড-লাইফ’, ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি’ এসব কঠিন শব্দের ভিড়ে সংবেদনশীল ভালোবাসা কিছুটা নাজুক হলেও হƒদয়ের গভীরতম স্থানে এখনো হয়তোবা ভালোবাসারই বসতি।
রবিঠাকুরের লাবণ্য, শরৎবাবুর পার্বতী কিংবা এরও অনেক পরে জীবনানন্দের বনলতা সেনের সঙ্গে আজকের প্রেমিক-প্রেমিকাদের মেলানো যায় না। ‘পাখির নীড়ে’র মতো চোখ তুলে বনলতা সেনরা দু’দন্ড- শান্তি দিতে পারছেনা। কারণ ‘চোখ আর মনের কথা বলছে না।’ প্রেমিকরাও আজ অনেক হিসেবি। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে দেবদাসের মতো জীবননাশ করছে আজ ক’জন? ব্যর্থ প্রেমিক বন্ধুদের আড্ডায় বলছে- ‘ধরা খেলাম রে’, ‘সাইজ হয়ে গেছি’, ‘কি মাইনকা চিপায় পড়লাম রে বাপ’! ব্যর্থ প্রেমিকের এই শব্দাবলিই জানিয়ে দিচ্ছে আধুনিক ভালোবাসার রকম-সকম।
এক সময় প্রেমিকার কপোলের তিল নিয়ে গান-কবিতা লিখত প্রেমিক পুরুষ। ‘নিভৃতে-যতনে, মনের মন্দিরে’ নাম লেখানোর জন্য কবিতায় আর গানে কি আঁকুতিই না ছিল। ভালোবাসার গানে আর কাব্যে সমৃদ্ধ আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির ভান্ডার। সেক্ষেত্রে বর্তমানের ভালোবাসার গান-কবিতা রচিত হচ্ছে ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন ঢঙে। বর্তমানের গায়করা যখন গেয়ে ওঠেন, ‘মৌসুমী, কারে ভালোবাসো তুমি? তখন আমরাও সন্দিহান হই, আসলেই কে কাকে ভালোবাসছে! হায় ভালোবাসা!!! হায়রে মৌসুমী! আধুনিক কবিরাও ভালোবাসাকে করেছেন সরলিকরণ, দিয়েছেন অনেক ছাড়। আধুনিক কাব্যে তাই প্রেম-ভালোবাসা অন্যভাবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে। ‘
প্রেম-অপ্রেম! ‘চিঠির এখন ছুটি, এসেছে এসএমএস ভালোবাসা… হাতের আঙুল কেটে রক্ত দিয়েও নাকি এক সময় প্রেমিক-প্রেমিকারা চিঠি লিখত। কবুতরের পায়ে চিঠি বেঁধে উড়িয়ে দেওয়ার কাহিনীও শুনেছি। বইয়ের ভাঁজে লুকানো চিঠি, ভালোবাসার মানুষকে পৌঁছানোর রোমাঞ্চকর অনুভূতি গল্প-উপন্যাসে খুঁজে পাওয়া যায়। এখন সে রোমাঞ্চ এসে থেমেছে ই-মেইল কিংবা এসএমএস-এ। প্রেমিক দু’শব্দের এসএমএস-এ প্রেমিকাকে জানিয়ে দিচ্ছে, ‘লাভ ইউ’! ব্যাস, খেল খতম। ভালোবাসার প্রকাশ এখন তাই ‘ডিজুস প্যাকেজ’। ভালোবাসার কথোপকথনের নতুন নামকরণ হলো, ‘মোবাইল ফোনে ফিদ্ধ টক টাইম।’ যান্ত্রিক জীবন, গতিময় জীবনধারায়, আধুনিকতম ভালোবাসাবাসি। তবু জেগে থাকে প্রেম, বেঁচে থাকে ভালোবাসা!!! জীবনানন্দ লিখেছিলেন- “এই প্রেম সব দিকে রয়ে গেছে আমাদের সবের জীবনে।” সত্যিই ভালোবাসা অবিনশ্বর, চিরজাগরূক। তাই কখনো বদলে যায়না সন্তানের জন্য মায়ের ভালোবাসা, দেশের জন্য দেশপ্রেমীর ভালোবাসা। অপরির্বতনীয় জীবনের জন্য মানুষের ভালোবাসাও। ভালোবাসা দিবস কারো একার জন্য ভালোবাসা নয়। এটা হলো সব মানুষকে, সব সৃষ্টিকে ভালোবাসার। ভালোবাসা দিবসে পরিবারের সবাইকে আরও বেশি করে ভালোবাসব। এবং সেই সঙ্গে ভালোবাসব পথশিশুদের। যারা সুবিধাবঞ্চিত, পায়নি একটুও ভালোবাসা। তাই জীবনকে ভালোবেসে বেঁচে থাকার স্বপ্নে বিভোর মানুষ প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলুন সামনের পথে। আর মানব-মানবীর ভালোবাসা! দুর্লভ জীবনের অজানা রহস্যের মতো এ ভালোবাসাও রহস্যমণ্ডিত। সেই রহস্য থেকেই উচ্চারিত ধ্বনি- ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি; সেই সুরে কাছে দূরে জলে-স্থলে বাজায় বাঁশি’।

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন