Pages

কে আছ?

১.
- আমি খুব ডিজহার্টেড
' কেন? কি হল আবার?'
- কিছুই ভালো লাগে না আমার। চারপাশে সবাই, কিন্তু মনে হয় কোথাও কেউ নেই।
' হ্যা, 'কোথাও কেউ নেই' এর মুনা ই তো তুমি!
- নামে মাত্র মিল। কিন্তু ওর ভালবাসার বাকের ভাই আমার নেই।
' আমি কি তোমার জন্য কিছু করতে পারি মুনা?'
- কেউ এখন আর আমার জন্য কিছুই করতে পারবে না!
' এক কাজ করি বরং...'
- কি কাজ?
' আমি খুব আনন্দে আছি। তুমি কিছুদিনের জন্য আমার হৃদয়টাকে ধার নাও।
- হি হি হি
' হেসো না, সত্যি বলছি। আমরা আমাদের হৃদয়কে বদল করি। তাতে যদি তোমার মনের কিছুটা ইম্প্রুভ হয়!'
- নাহ! এখন আর কিছুতেই কিছু হবার নয়।
' আমি যদি তোমাকে আদর করি! তোমার কাছে আসি...'
- এগুলো অনেক শুনেছি। আদর ছাড়াও তো কাছে আসা যায়... বন্ধুর কষ্টকে বোঝার জন্য বন্ধু হিসাবেই থাকাটা কি যথেষ্ট নয়?
'স্যরি মুনা। আমি আসলে ওভাবে ভাবিনি।'
- ইটস ওকে জাফর। তোমার বলার ভিতরের আদরটুকু আমি নিলাম।
' খেয়েছ? এখন তো লাঞ্চ টাইম? '
- আমার কিচ্ছু ভালো লাগেনা...
' দেখ এটা ঠিক না। টাইমলি খাবে, হাসার সময় হাসবে, অফিসে সবার সাথে আরো ডিপলি মেশার চেষ্টা করো। মরে গেলে এই যে কষ্টটা পাচ্ছ, এর ভিতরের আনন্দটুকুও তো একেবারে মরে যাবে! তখন?'
- তুমি দূরের বন্ধু হয়েও আমার জন্য এতোটা ফিল করো! ... আর কাছের মানুষগুলো কেন এতোটা দূরে সরে গেলো?
ইনবক্সে আর থাকতে ভালো লাগছে না মুনার।
তেজগাঁও এর নভো টাওয়ার।
একটি মাল্টি ন্যাশনাল সুইং থ্রেড কোম্পানির কাষ্টমার সার্ভিস অফিসার এই মেয়েটি। মুনা যার নাম। এইতো কিছুদিন আগেও উচ্ছলতার ডালি বয়ে বেড়ানো এক রঙিন প্রজাপতি ছিল সে। না হেসে কথাই বের হতো না ওর। এতোটা মিষ্টি মেয়ে, প্রথম দেখায় যে কারো হৃদয় তোলপাড় করে দেবার অদ্ভুদ ক্ষমতা ছিল ওর। সে যে কোনো যায়গায় এলেই ব্যাকগ্রাউন্ডে যেন মিজিক বেজে উঠত। উপস্থিত সবার ভিতরে অন্য রকম ভালোলাগার সতেজ ছোঁয়া কীভাবে যেন এসে যেত।
সেই মেয়ে আজ হাসতে জানে না।
ওর হৃদয় বৈতরণীর ওপাশে আজ কেউ নেই।
লাঞ্চ সে বাসা থেকেই নিয়ে আসে। এই যে এখনো হট পট ওর সামনে। কিন্তু খেতে ইচ্ছে করছে না। ফেসবুক থেকে লগ আউট করল। একটা গান শুনলে মনটা কি আরো খারাপ হবে?
ভাবল একটু। হোক না। আজম খান এর একটা গান ইদানিং শুনছে। ওটাই ছেড়ে ওর রুমের লাইট অফ করে দিলো।
জানালার কারটেন আরো এডজাস্ট করে অন্ধকারের বন্ধ খাঁচায় নিজেকে সমর্পণ করল।
টেবিলের ওপর ড্রয়ার থেকে একটা ফটো ফ্রেম বের করে রাখল।
ছবির মানুষটা হাসি মুখে ওর দিকে চেয়ে আছে।
সেই চেনা মুখ!
সেই চোখ... আর সেই পাগল করা দৃষ্টি!
যাতে সে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিল।
প্রথমে একটু ভালোলাগা... এরপর শিহরণ... বুকের কোথায় যেন উথাল-পাথাল ঢেউ... ধীরে ধীরে সব কিছু স্থির হয়ে আসা। দম বন্ধ করা এক শীতল স্রোত ওকে হঠাত ই নিজের থেকে টেনে নিয়ে যায়। সে ফেরার চেষ্টা ও করেনা।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষটিতে গানের সুরের সাথে সাথে বিষন্নতা এবং অচেনা এক কষ্ট তাল মিলিয়ে ভেসে বেড়ায়।ওর কান হয়ে হৃদয়ের সেই শেষ সীমায় পৌঁছে যায় একজন প্রেমিক শিল্পীর অনুভুতির কিছু শাব্দিক প্রকাশ...
... একটাই দুঃখ আমার
বোঝনি তুমি কখনো...
সুউচ্চ এই টাওয়ারটির নির্জন একটি কক্ষে এক বিষন্ন মেঘ বালিকা হৃদয়ের ঝরা পাতা গুলোকে বাতাসে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে... অদম্য আবেগকে নিয়ন্ত্রণের কোনো চেস্টাই সে করে না! শব্দ, সুর আর অনুভব - এই তিন মিলিয়ে বাইরের প্রচন্ড দাবদাহের কষ্টের চেয়েও হাজারগুণ বেশী প্রখরতায় সে দগ্ধ হতে হতে একসময় আর পারে না।
নীরবে বৃষ্টি নামে নভো টাওয়ারের সেই নির্জন রুমটিতে...
২.
অনুভূতির ব্যবচ্ছেদ!
এই দুটি শব্দ অনেকক্ষণ মুনার কানে বেজে চলেছে।
অনুভূতির ব্যবচ্ছেদ... অনুভূতির ... চ্ছেদ... ভূতির... ব্যব...
এভাবে কান থেকে ব্রেইনে, ব্রেইন থেকে হৃদয়ে- এরপর কোথাও কিছু নেই। সব কিছু শূন্য। শুধু এই শুন্যতার মাঝেও চাপ চাপ দম আটকানো অনুভূতি। নিজে নিজেকে কেটে ছিড়ে ফেলার যন্ত্রনায় কালো হয়ে যাওয়া। সবাই ব্যাথায় নীল হয়ে যায়। কিন্তু মুনা কালো হয়। কষ্টকে সে বর্ণহীন মনে করে। আর কালো? সে তো রঙের অনুপস্থিতির ফলেই উদ্ভব হয়।অনেকেই কষ্ট পেলে সৃষ্টিশীল কিছু তৈরি করতে পারে। কিন্তু মুনার অনুভূতিতে যা কিছু সৃষ্টিশীল তা কেবলমাত্র আনন্দঘন হৃদয়েই করা সম্ভব। নেগেটিভ মানষিকতা দিয়ে পজিটিভ কিছু অর্জন কি সম্ভব? সৃষ্টি সে তো পজিটিভ- সারপ্লাস অফ এ নিউয়ার লুক।
অফিস বন্ধ থাকাতে বাসায় বসে বসে অসহ্য স্লো গতির মুহুর্তগুলোকে কাটাতে হচ্ছে। সেই সাথে নিজের ভিতরে আসা যাওয়া রত অনুভূতিগুলোর পোষ্টমর্টেম করে করে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া। অতীতকে যতই পিছনে ফেলে আসে, সে অনেক দূরে আবদ্ধ ব্যাগে করে ফেলে আসা বিড়ালের মতো কীভাবে যেন পথ চিনে চিনে আবারো ওর মনের দরজায় এসে হাজির হয়। ওর বর্তমানকে বিষন্নতায় ভরিয়ে দিতেই কি?
বন্ধুরাও এখন ওর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এইতো কিছুদিন আগেও সে ছিল সবার মধ্যমণি। সেই স্কুল জীবন থেকেই ওরা সবাই একেবারে ভার্সিটির পাঠ চুকানো পর্যন্তই এক সাথে। কেউ কেউ অবশ্য কলেজের গন্ডী ছাড়িয়ে ওর থেকে আলাদা হয়ে গেছে। কিন্তু যোগাযোগটুকু কীভাবে যেন থেকেই যায়। পলকা সুতোর আলগা একটা বাঁধন! কিন্তু আজ সেই বাঁধনটুকুও ছিড়ে যায় যায় অবস্থায়।
ওরা ৫ জন খুব কাছের। বন্ধু বলতে সবাই যা বুঝে ওরা তাঁর সীমানা পেরিয়েও আরো কিছু বেশী ছিল যেন। পাঁচজন মিলে যেন এক জন। চিন্তা-ভাবনা আর রুচী-মেজাজের দিক থেকে ওরা এক আত্মা ছিল। দুই বান্ধবী আর তিন বন্ধু। রিতা, সে, রিয়াজ, সেলিম ও জাহিদ। ওরা সবাই ঢাকাতেই । ভার্সিটি শেষ করেই যে যার ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও সবার সাথে প্রতিদিনই যোগাযোগ হতো। তিন বন্ধু বিয়ে করে সংসার শুরু করলেও ওদের দু বান্ধবীর এখনো ঐ পথে হাঁটাই হয়নি। কেবল শুরু করতে পা দিয়েছে মাত্র... এমন সময়েই...
এক সাথে অনেক কিছুই খুব দ্রুত ঘটে গেলো। জীবনের আটাশটি বসন্ত এক সাথে পার করে দেয়া বন্ধুরা কীভাবে যেন পর হয়ে গেলো! ওদের পঞ্চ পান্ডবের ভিতরে এক দুর্যোধনের আগমনই এই দূরত্বের কারণ। সেও ওদের বন্ধু ছিল। তবে কলেজ লাইফ পর্যন্তই। কলেজের সীমানা পেরিয়ে সে দেশের বাইরে- সব পাওয়ার দেশ, স্বপ্নের দেশ আমেরিকাতে চলে যায়। মুনা, রিতারা যখন ইউনিভার্সিটির দিনগুলো হাসি-আনন্দে কাটাচ্ছে, সে তখন সাত সাগর আর তেরো নদীর ওপাড়ের এক দেশে নিজেকে স্টাবলিশ করায় ব্যস্ত। এর ভিতরে একজনকে বিয়েও করে। মোটকথা এই বন্ধুটি তাঁর জীবনের অর্ধেকেরও বেশী ধাপ ওদের আগেই অতিক্রম করে ফেলে। তবে বাকি অর্ধেক পার হবার আগেই তাঁর ডিভোর্স হয়ে যায়। এক মেয়েকে নিয়ে তার স্ত্রী আলাদা হয়ে গেলো। দেশে বসে মুনা এসব রিতার মাধ্যমেই সব জেনেছিল। রিতার সাথে এই দুর্যোধন বন্ধুটির নেটে যোগাযোগ ছিল। মানুষটির নাম নোমান।
মানুষ?
সে কি এখন মুনার কাছে কেবলই একজন মানুষ? যাকে নিয়ে দিন এবং রাতের শুরু থেকে শেষ অবধি- চিন্তায় অনুভূতির রথে চড়ে আকাশ-পাতাল সব ভাবনার দরোজায় কড়া নেড়ে নেড়ে নিজের ভিতরে তাঁকে খুঁজে ফেরা... শারীরিক-মানষিক সব উপলব্ধির ঘেরাটোপে দুজনকে এক করে নেবার আকুলতা... একটা সর্বগ্রাসী ভালোবাসা যাকে নিয়ে প্রস্ফুটিত হবার স্বপ্ন দেখে এসেছে, সে কিনা আজ মুনার কাছে স্রেফ একজন ‘মানুষ’?!
হ্যা!
সে আসলেই এখন একজন আউটসাইডার। কিন্তু এমনই একজন যার জন্য সে নিজে তিলে তিলে কষ্ট পাচ্ছে। ভালোবাসা, জেদ, জিঘাংসা-সব কিছু একসাথে মিশে গিয়ে আজ মুনাকে নিজের হৃদয়ের ব্যবচ্ছেদ করতে বাধ্য করছে। নোমান নামের ঐ মানুষটি আসলে কোনো মানুষই নয়। মানুষ নামধারণকারী এক হৃদয়হরণকারী কসাই সে। একজন খেলোয়াড়... নিত্য নতুন হৃদয়ের খোঁজে এক অতৃপ্ত পিশাচ।
চমকে উঠে মুনা। একি ভাবছে? নিজের অজান্তেই সে চিন্তার কত গভীরে এক পংকিল নর্দামায় ডুবে যেতে বসেছিল। নোমান যাই থাক- তাঁকে সে ভালবাসত... এখনো কি বাসে না? না হলে ওর সমগ্র সত্ত্বাকে ঘিরে এই একটি নাম কেন এখনো শিহরণ জাগাতে বার বার ওর কাছে ফিরে আসে?
বাইরে বেশ জোর হাওয়া বইছে। জানালার পর্দাকে ইচ্ছেমতো এদিক সেদিক উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া এই পাগলা হাওয়া মুনার হৃদয়কেও মাতাল করে দিলো কয়েক মুহুর্তের জন্য! অনেক আগে এরকম এক পরিবেশে একটি পুরুষালি ঠোঁট ওর খুব কাছে আসতে গিয়েও পারেনি। তবে দুদিক থেকেই ইচ্ছের ভিতরে বাস করা উদগ্র কামনা কম বেশী দংশন করেছিল। মুনা নিজেকে সামলে নিতে পেরেছিল। কারণ সে নোমানকে সত্যিকারের ভালোবেসেছিল। কিন্তু নোমান শুধু মুনাকে চাইতো... সেখানে হৃদয়ের থেকে দেহের প্রতি তাঁর আসক্তি বেশী ছিল।
একটা জোর হাওয়া বইতেই জানালার পাশের বেডসাইড টেবিল থেকে সশব্দে কিছু একটা পড়তেই মুনার চিন্তার জাল ছিন্ন হল। এগিয়ে গিয়ে দেখে বইটি পড়ে আছে। ওকে গিফট করা নোমানের সেই কবিতার বই। পুর্নেন্দু পত্রীর ‘কথোপকথন’। নোমান কিছু কিছু কবিতা হাইলাইট করেছে ওকে দেবার আগে। এমন ই একটি ঘন্টাখানেক আগেও মুনা পড়েছে। (‘কথোপকথন ২১’’)...
" তোমাদের ওখানে এখন লোডশেডিং কী রকম?
- বোলো না। দিন নেই, রাত নেই, জ্বালিয়ে মারছে।
- তুমি তখন কী করো?
- দরজা খুলে দিই।
জানলা খুলে দিই।
পর্দা খুলে দিই।
আজকাল হাওয়াও হয়েছে তেমন ফন্দিবাজ।
যেমনি অন্ধকার, অমনি মানুষের
ত্রিসীমানা ছেড়ে দৌড়।
- তুমি তখন কী করো?
গায়ে জামা-কাপড় রাখতে পারি না।
সব খুলে দিই,
চোখের চশমা, চুলের বিনুনি, বুকের আঁচল, লাজ-
লজ্জা সব।
- টাকা থাকলে তোমার নামে নতুন ঘাট
বাঁধিয়ে দিতুম কাশী মিত্তিরে
এমন তোমার উথাল-পাতাল দয়া।
তুমি অন্ধকারকে সর্বস্ব, সব অগ্নিস্ফুলিঙ্গ
খুলে দিতে পার কত সহজে।
আর শুভঙ্কর মেঘের মত একটু ঝুঁকলেই
কী হচ্ছে কি?
শুভঙ্কর তার খিদে-তেষ্টার ডালপালা নাড়লেই
কী হচ্ছে কি?
শুভঙ্কর রোদে-পোড়া হরিণের জিভ নাড়ালেই
কী হচ্ছে কি
পরের জন্মে দশদিগন্তের অন্ধকার হবো আমি। "
নোমান ইচ্ছে করে বেছে বেছে এমন এমন কবিতা ওকে আবৃত্তি করে শোনাত, যেখানে নারী দেহ কিংবা সেক্স প্রাধান্য পেত। মুনার কাছাকাছি থাকার সময়টাতে সে সর্বক্ষণ ওকেই কামনা করত। একজন কামুক পুরুষের জ্বালা ধরানো কথা আর চোখের কামনার আগুনে পুড়তে পুড়তে নিজেকে রক্ষার চিন্তায় ব্যস্ত মুনা, একাধারে লোকটার প্রতি সীমাহীন মমতাও অনুভব করত। শুধু যদি সে ওকে সত্যিকারের ভালোবেসে একবার ছুঁয়ে দিত! মুনা ওর নারীদেহের সকল সম্পদ অবলীলায় ভালোবাসা সহ ওকে দিয়ে দিত। কিন্তু সে তো ছিল এক হৃদয়হীন লোলুপ পুরুষ।
মুনা এখন ‘সিঙ্গেল’ জীবন লীড করছে। নোমানের মত পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি পথে ঘাটে অফিসে-সর্বত্র সে অনুভব করে। এই একাকী থাকাটাই বোধ হয় ওর দোষ। ওদের পঞ্চ পান্ডব ছাড়া অন্যদের সাথে মিশে দেখেছে। সে নিজে ওদেরকে বন্ধু ভাবলেও শেষ পর্যন্ত বন্ধু আর বন্ধু থাকে না... সবাই ওকে খাদ্য ভাবতে শুরু করে। সে এমন এক সমাজে বাস করছে, যেখানে নারীকে এখনো ভোগের সামগ্রী থেকে অন্য কিছু ভেবে দেখাটা অধিকাংশ পুরুষই শিখেনি। আজ এই মুহুর্তে নিজকে বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে। মা নেই... বাবা ও সেই ওর শিশু বেলায় চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আজ যদি বাবা থাকতেন! একমাত্র তিনিই ওকে বুঝতে পারতেন... এই বিশাল পৃথিবীতে এক টুকরো মেঘ হয়ে ওনার এই মেঘ বালিকাটিকে ছায়া দিতেন... সকল বিষন্নতাকে যত্ন করে মুছে দিয়ে আনন্দে ভরপুর এক সোনালী রোদমাখা চত্বরে নিয়ে যেতেন।
জানালা দিয়ে বাইরের দমকা হাওয়ার তান্ডব দেখতে দেখতে দুচোখে প্লাবন নিয়ে এক বিষন্ন মেঘ বালিকা দাঁড়িয়ে থাকে।
নিশ্চুপ... নির্ণিমেষ দৃষ্টির এক প্রান্তে বর্তমান, যেখানে নোমান নামের একজন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে... অপর প্রান্তে ওর প্রিয় পঞ্চ পান্ডবের বাকি চার পান্ডব অভিমানে তারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে! আর এদের মাঝে মুনা নামের একজন হৃদয়ে ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষা করছে... কিন্তু দু’প্রান্তে আদৌ কেঊ কি রয়েছে তা গ্রহন করার?

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন