Pages

মেয়েরা কেন সেক্স করে ?

প্রশ্নটা শুনে প্রশ্নকর্তার বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক। যৌনক্রিয়ার যে কারণগুলো স্বাভাবিক বলে পরিগণিত হয় সেগুলো হচ্ছে ভালবাসা/রোমান্সের প্রভাবে আবেগতাড়িত হয়ে, আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে, সন্তানলাভের আশায় ইত্যাদি। কিন্তু এগুলো ছাড়াও আরো অনেক বিচিত্র্য উদ্দেশ্যে মানুষ যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। লক্ষ্যণীয়ভাবে, নারীদের যৌনক্রিয়ার কারণগুলো পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়।
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সিন্ডি মেস্টন এবং ইভোল্যুশনারি সাইকোলজিস্ট ডেভিড বাস পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ১০০৬ জন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তাদের যৌন প্রেষণার বিষয়ে। আর মাত্র ১০০৬ জন নারীর কাছ থেকেই বেরিয়ে এসেছে যৌনতার ২৩৭ টি আলাদা আলাদা কারণ। যদিও অনেকগুলো কারণের ব্যাপারে প্রায় সবাই একমত, আবার অনেকগুলো কারণ কয়েকজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তো দেখা যাক, কারণ গুলো কী কী? মেস্টন ও বাস নারীদের যৌন-প্রেষণাগুলোকে স্বাভাবিকভাবেই তিন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করেছেন: শারিরীক, আবেগীয় এবং বস্তুবাদী কারণ। প্রেষণার মধ্যে যেমন রয়েছে, নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, সেল্ফ এস্টিম বৃদ্ধি করা, প্রেমিককে ধরে রাখা, তেমনি রয়েছে জোর-জবরদস্তির শিকার হওয়া পর্যন্ত।
বাস এবং মেস্টনকে প্রেষণার বিচিত্রতা অবাক করেছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে সম্পূর্ণ পরোপকারী উদ্দেশ্য, তেমনি সম্পূর্ণ বদ মতলব। যেমন, কাউকে এস. টি. ডি তে আক্রান্ত করা।
কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন এবং ফ্রিকোয়েন্ট কারণগুলো কী কী (মেটসন ও বাসের গবেষণা অনুসারে):
১. আনন্দলাভের জন্য: অবভিয়াস! কিন্তু গবেষণার ফলাফল “মেয়েদের যৌনতা ভালবাসা তাড়িত, আর ছেলেদের যৌনতা ইন্দ্রিয়সুখ তাড়িত”, পশ্চিমা সমাজে প্রচলিত এই মিথকে উড়িয়ে দেয়। অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক নারীর কোন ধরণের রোমান্টিক রিলেশনশিপ না থাকা অবস্থায় শুধু ইন্দ্রিয় সুখের জন্য সেক্স করতে আপত্তি নেই, বরং আগ্রহী। তবে কারো সাথে রোমান্টিক রিলেশন থাকা অবস্থায় ইন্দ্রিয় সুখের জন্য অন্য কারো সাথে সেক্স করার ব্যাপারে প্রায় ৮০ শতাংস নারীর ঘোরতর আপত্তি রয়েছে। অর্থাৎ সিঙ্গেল অবস্থায় রোমান্স বিহীন সেক্সে অনেকেই আগ্রহী হলেও পার্টনারের সাথে চিটিং কে তারা সমর্থন করেন না।
২. রোমান্স: এটাও অবভিয়াস। প্রেমে পড়লে আবেগতাড়িত হয়ে প্রেমলীলায় মত্ত হয়নি এরকম জুটি খুঁজে পাওয়া দুস্কর।
৩. পার্টনারকে ধরে রাখার জন্য: অনেক সময়ই নিজের আবেগের চেয়ে বড় হয়ে দাড়ায় পার্টনারকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা। পার্টনারের আবেদনে সাড়া না দিলে সে ছেড়ে চলে যেতে পারে, এই ধারণা থেকে অনেক সময়ই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সাড়া দেয় (আমরা পুরুষেরাও কি তা করি না?)
৪. অন্যের প্রেমিককে ছিনিয়ে আনার জন্য: অনেকে অন্য নারীর সাথে প্রকাশ্য রোমান্টিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও পুরুষদের আবেদনে সাড়া দেয় এই উদ্দেশ্যে যে পুরুষটি তার ‘পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট হয়ে’ বা অন্য কোন কারণে তার রোমান্টিক পার্টনারকে ত্যাগ করে নতুন নারীকে স্বীকৃতি দিবে।
৫. দায়িত্ববোধ হতে: অনেক নারীই তাদের সঙ্গীদের সকল ধরণের যৌন চাহিদা মেটানো দায়িত্ব বলে মনে করে। সেক্ষেত্রে আবেগতাড়িত না হয়েও বা পার্টনার চলে যাওয়ার সম্ভাবণা না থাকা সত্ত্বেও সে দায়িত্ববোধ থেকে সাড়া দেয়। (ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এইটা ছেলেরাও করে থাকে)
৬. গৃহস্থলি কাজের বিনিময়ে (  হাসতেই আছি, হাসতেই আছি ): অনেক বদ টাইপের পুরুষরা নাকি সেক্স না করলে বাজার করুম না, ঘর রং করুম না, গৃহস্থালী আবর্জনা ফেলুম না এইসব বলে পার্টনারদের ব্লাকমেইল করে।
৭. করুণা করে: মানসিকভাবে ভেঙে পড়া কোন পরিচিতজনকে সান্তনা দেয়ার জন্যও নাকি মহীয়সীরা সেক্স করে থাকে।
৮. বদ মতলবে: পদোন্নতির জন্য, টাকার জন্য, উপহার পাওয়ার লোভে, পার্টনারের ওপর কোন কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে গোপন প্রতিশোধ হিসেবে, কোন শত্রুতার কারণে এস. টি. ডি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে।
৯. ব্রেক-আপের জন্য: অনেকে পার্টনারের ক্লান্তি থাকা সত্ত্বেও জোড়-জবরদস্তি করে সেক্স করার জন্য, যেন পার্টনার বিরক্ত হয়ে ব্রেক-আপ করে
১০. মেডিক্যাল সেক্স: মাথা ব্যাথা সহ আরো অনেক শারিরীক সমস্যার চিকিৎসা হিসেবেও নাকি অনেকে সেক্স করে থাকে।
[পি. এস: গবেষকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ মিস করেছেন। সেটা হলো-বিশ্বশান্তির জন্য ইরাক যুদ্ধের কিছুদিন আগে এক সুন্দরী (নাকি বান্দরী চেহারা মনে পড়ছেনা ,বলেছিলেন বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সাদ্দামের সাথে বিছানায় যেতে প্রস্তুত। 

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন