Pages

ভালোবাসা দিবসে আপনি যা করবেন




এ পৃথিবীতে আমাদের চলতে গেলে অনেকের সাথে সম্পর্ক থাকে। পরিবার ছাড়াও বাইরে কোনও প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে পারে যেকোন কেউ। এই প্রিয়জন সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের ভালোলাগা ও ভালোবাসা দিয়ে। মানুষের প্রিয় ভালবাসার একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন শুধুমাত্রই ভালোবাসা। ভালবাসার বিনিময়েই ভালোবাসা পাওয়া যায়। এছাড়া অন্য কিছু দিয়ে ভালোবাসা পাওয়া যায়না। আমি তোমাকে ভালবাসি- এই ছোট্ট একটি লাইন আপনার সঙ্গীকে সুখী করতে, আপনার প্রেমকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে আর আপনার সম্পর্কটাকে আরও মজবুত করতে যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখবে। সে ভালোবাসার সম্পর্ক চলমান থাকলে কিছু কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া ভালো। আর কিছু বিষয়কে আরো গভীরভাবে সঙ্গ দিতে হয়। নানা সমস্যা ও বিতর্ক থাকবে একটি প্রিয় ভালোবাসার সম্পর্কে। সেসব সমস্যা আর বিতর্ককে জয় করে ভালোবাসতে পারাই একটি ভালোবাসা সম্পর্কের কৃতিত্ব। ভালোবাসার পথচলায় যেসব বিষয়গুলো অন্তরঙ্গভাবে জড়িত থাকে তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কয়েকটি হলো-  জীবনের উত্থান-পতন:  প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই একটা সময় আসে যখন মানসিকভাবে কিছুটা বিরক্ত, খুব চাপ যা”েছ মনের ওপর দিয়ে অথবা আপনি কিছুটা সময় একা থাকতে চান।  এই ব্যাপারগুলো যেমন আপনার বেলায় ঘটতে পারে ঠিক তেমনি আপনার সঙ্গীর বেলাতেও ঘটতে পারে।  প্রতিটি সম্পর্কেই জোয়ারভাটা আসে।  এই জোয়ারভাটায় যতক্ষণ আপনি শারীরিক অথবা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হ”েছন ততক্ষণ সম্পর্কটা চালিয়ে যেতে পারেন।  আপনার সঙ্গীর যখন খারাপ সময় যা”েছ তখন তাকে বলুন আই লাভ ইউ, দেখবেন জীবনের মধুর একটি দিন আপনার দরজায় কড়া নাড়ছে।  ক্ষমা কর“ন, ভুলে যান: বর্তমানের ভেতরে কখনওই অতীতকে টেনে আনা ঠিক নয়।  অতীতের কোনও দুঃখজনক অথবা আপমানজনক কথা বারবার মনে করা একেবারেই অনুচিত। সঙ্গীর বিশ্বাসকে গ্রহণ করুন : দুটি মানুষ দুটি মতাদশের, ভিন্ন ধারার হবে এটাই স্বাভাবিক।  আপনার মতের সঙ্গে মিলছে না বলে আপনি তার যুক্তিকে পাত্তাই দেবেন না, এই ভুল করবেন না।  তার মতামতকে গুর“ত্ব দিন, গ্রহণ কর“ন।  তাকে বোঝান যে, তার মতামতের যথেষ্ট গুর“ত্ব আপনার কাছে আছে।  দেখবেন, সেও আপনার মতামতকে যথেষ্ট গুর“ত্ব দি”েছ। প্রয়োজন নিয়ে কথা বলুন: আমরা প্রায় সবাই একই ধরনের একটা ভুল করে থাকি।  তা হলো, আমরা ধরেই নেই, কেউ যখন আমাকে ভালবাসবে, তখন সে আমার সব জেনেই ভালবাসবে।  এই ধারণা মনের ভেতরে পুষে রাখা একেবারেই অনুচিত। আপনার সঙ্গী আপনার মনকে বুঝতে পারবে, এ ধারণা থেকে দূরে সরে আসুন।  ভালবাসার মানুষকে ভালবাসি বলতে পারা সততার লক্ষণ। দ্বিমত পোষণ করতে ভয় পাবেন না: দুইজন মানুষের একটা মত হবে এটা ভাবা একেবারেই বোকামি।  বরঞ্চ ভিন্নমত থাকাটাই স্বাভাবিক।  তাই বলে ভিন্ন ধারণা কখনও আপনার সম্পর্ককে নষ্ট করবে না।  আপনাকে বুঝতে হবে আপনি যে তার সঙ্গে একমত নয় তা ঠিক রেখেও কীভাবে তাকে ভালবাসি বলা যায়।  জিজ্ঞেস কর“ন: মাঝে মাঝে আপনি বুঝতে পারেন না কীভাবে তিনি আপনার জন্মদিন অথবা আপনার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার কথা ভুলে যান।  জিজ্ঞেস কর“ন কেন, এটা নিয়ে রাগ হয়ে লঙ্কাকাণ্ড বাধিয়ে ফেললে কোনও লাভ নেই।  আপনি যদি আপনার সঙ্গীর এই ব্যবহারের মূল কারণ জানতে পারেন তাহলে তা অভিযোগ করা থেকে ভালো হবে।  কৌতূহল নিয়ে ভালবাসি বলুন।  তার ভালো লাগবে। সমস্যার মুখোমুখি হোন: লাইফ ইজ নট এ বেড অব রোজেজ।  জীবনে সমস্যা আসবে এবং সেগুলোকে মোকাবেলা করাটাই আমাদের লক্ষ্য।  তাই কোনও সমস্যা এলে হতাশ হলে চলবে না।  সমস্যাকে কখনও অবহেলা করবেন না।  সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা নিয়ে কথা বলুন।  এমন তো হতে পারে সে আপনাকে ভালো একটা সমাধান দিতে পারে।  আপনার অনুভূতি খুলে বলুন।  আপনার সঙ্গীর কি ই”ছা তা জেনে নিন। তাহার কথাও শুনুন: দুজন মিলে যখন কোনও বিষয়ে কথা বলবেন তখন শুধু আপনিই বলে যাবেন এটা করবেন না।  তার কথা শুনুন মনোযোগ দিয়ে, তার কথাকে প্রাধান্য দিন।  দুজনের কথা থেকে ভালো একটা সমাধান বের হয়ে আসতে পারে।  একসঙ্গে মজা কর“ন: খেয়াল কর“ন কি আপনাকে হাসায়।  মুভি, কৌতুক অথবা কার্যকলাপ যাই আপনার পছন্দ আলাদা কর“ন। ভালোবাসি বলার আগে মনে রাখুন আপনার সঙ্গীর সেন্স অব হিউমার আপনার থেকে আলাদা হতেই পারে তাই বলে তাকে আপনি অবহেলা করবেন এটা তো হতে পারে না। অবহেলা না করে বরং একে শ্রদ্ধা করতে হবে। হতেও পারে তার সেন্স অব হিউমার আপনাকে অবাক করে দেবে। কাছাকাছি থাকতে হলে: বিয়ের আগে এক ধরনের জীবন থাকে। বিয়ের পর সেটার পরিবর্তিত রূপ দেখা যায়।  এটা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।  জীবনে পরিবর্তন আসবে এটা মেনে নিতে হবে এবং মেনে নেওয়াটাই হবে স্বাভাবিক বিষয়।  বিয়ের পরে হয়তো আপনি কিছুটা হলেও আলাদা হয়ে যাবেন।  নানা ধরনের পরিবর্তন আসবে তখন। দৈনন্দিন র“টিন অথবা অর্থনৈতিক সংগ্রাম আসতে পারে এবং আপনি তখনই সফল হবেন যখন এগুলোকে ঠিকমতো চালনা করতে পারবেন।  তাই বলে ভালবাসি বলতে ভুলবেন না, জীবন যত কঠিনই হোক তাকে সহজ করে নিতে হবে।  তাই  এমনভাবে ভালবাসি বলুন যাতে আপনার সঙ্গী বুঝতে পারে যে জীবনটা যতই কঠিন হোক না কেন আপনি তাকে আজীবন ভালবাসবেন এবং একসঙ্গে থাকবেন।    লক্ষ্য এবং স্বপ্ন সম্পর্কে ধারণা দিন: আপনার জীবনের লক্ষ্য এবং স্বপ্ন সম্পর্কে আপনার সঙ্গীকে পরিষ্কার ধারণা দিন এবং তাকে এগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে নিন। এ বিষয়ে তার মতামত নিতে চাইবেন। যখনই আপনি আপনার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে জড়িয়ে নেবেন তখন এমনিতেই আপনার ভালবাসি শুনতে ভালো লাগবে।  আপনি প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিন: একজন মানুষ ভুল করতেই পারে। আপনিও অনেক সময় ভুল করেন।  তাই যেকোনও সম্পর্কেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি থাকা প্রয়োজন। দুজনেই যদি চলার পথটি মসৃণ করার চেষ্টা করেন তাহলে দুজনই সুখী হবেন।  ভুলে যাওয়ার, ক্ষমা করার, পূর্ণ করার ই”ছা নিয়ে ভালবাসি বলুন। ভালবাসার মানুষকে আপনার মতো করে নিন: আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে আপনার মতো করে তুলুন। আপনি সম্পর্কে তাকে খোলাখুলিভাবে ফুটিয়ে তুলুন। তাছাড়া আপনিও তার মতো হোন যাকে আপনি পছন্দ করেন। শ্রদ্ধা কর“ন, অর্থপূর্ণ কাজ কর“ন, সামাজিক কাজে যুক্ত থাকুন, আপনার আগ্রহকে আবিষ্কার কর“ন এবং আপনার সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার কর“ন। এতে করে দুজনের মধ্যে ভালোবাস বাড়বে।  দুজনই যদি দুজনার কাছে পরিষ্কার থাকেন তাহলে কোনও সমস্যাই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারবে না। সহযোগিতা : ভেবে দেখুন তো, ছোটাবেলায় আপনার ওপর যখন বাবা-মা কিছু চাপিয়ে দিতেন তখন কি সেটা আপনার ভালো লাগত? মনে হয় না।  তাহলে আপনার সঙ্গীর কেন ভালো লাগবে।  কখনও আপনার সঙ্গীর ওপর সব ভার চাপিয়ে দেবেন না।  হোক তা বা”চাদের দেখাশোনা করার কাজ অথবা ঘর পরিষ্কার কিংবা  আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ অথবা অর্থ উপার্জন করার বিষয়। তাকে সহযোগিতা কর“ন প্রতিটি কাজে। খারাপ সময়গুলোকে মূল্যায়ন কর“ন: ভুল সঙ্গী পছন্দ করেছেন? অথবা আসক্তির মতো ভালবাসার খারাপ দিক? একই ভুল বারবার করেছেন? যদি আপনার সম্পর্ক ভালো না হয় তাহলে কীভাবে ভালবাসি বলতে হবে তা জেনেও লাভ হবে না।  তাই সঙ্গীর ভুলগুলোকে ধরিয়ে দিন।

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন