Pages

তিরিশের কোঠায় মানুষ সবচেয়ে বড় যে ৭টি ভুল করে থাকে

amitumi_age at 30
বিশের কোঠা পেরিয়ে তিরিশের কোঠায় পৌঁছানোর পর জীবনটাকে ধীরস্থির করার সময় এসে যায়। কর্মজীবন, পরিবার এবং সমাজের ক্ষেত্রে গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ সাজিয়ে নিতে হয়। যারা এ সময়টি পেরিয়ে এসেছেন তারা বলেন, এ সময়ে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে সম্পর্ক বা সুযোগের সদ্ব্যবহার না করলে তা কখনো ফিরে আসবে না।
মানুষের নান প্রশ্ন এবং তার জবাব দেওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘কুয়োরা’য় আলোচিত প্রশ্ন ছিলো, তিরিশের কোঠায় মানুষে সবচেয়ে বড় ভুলগুলো কী এবং সেখান থেকে কী শেখা যায়? অসংখ্য জবাব থেকে সেরাগুলো নিয়ে লেখা এই প্রতিবেদনে দেখুন সবচেয়ে বড় ৭টি ভুল।
১. উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করা : বিশের কোঠায় শখের বশে অনেকেই চাকরি করতে চান। কিন্তু ক্রমেই তা ক্যারিয়ার হয়ে ওঠে। একজন জানান, এভাবে চাকরি করতে গিয়ে যে ক্ষতিটা হয়েছে তা হলো, মাস শেষে বেতনের টাকায় অভ্যস্ত হয়ে পড়া। এর সঙ্গে যদি কোনো ব্যবসা করার ইচ্ছে থাকে তবে তাকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নিতে হবে।
২. পরিবার ও বন্ধুমহলের আগে ক্যারিয়ারকে রাখা : অনেকেই তিরিশের কোঠায় পা দিয়ে ক্যারিয়ারকে এত বেশি গুরুত্বের সঙ্গে নেন যে, পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের গুরুত্ব কম মনে হয়। মাইক্রোসফটের প্রোডাকশন ডিজাইনার মাইকেল ডরিয়ান বাক বলেন, শুধু কাজ করলেই হবে না, স্মৃতি গড়ে তুলুন। বয়স যত বাড়তে থাকবে অর্থবহ সম্পর্ক তৈরি করা তত কঠিন হয়ে পড়বে।
৩. স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা : স্বাস্থ্যের অবস্থা ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে অন্যতম শর্ত। তিরিশের কোঠায় ধীর ও উদ্যমহীন হয়ে পড়লে ভবিষ্যৎ বলতে কিছু থাকবে না।
৪. সন্তান নেওয়ার সুযোগ না নেওয়া : সিইও বিষয়ক পরামর্শক অ্যালিসন হুইটমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, তিরিশে পৌঁছে সন্তান না নিয়ে নতুন ক্যারিয়ারের পেছনে ছোটা ভুল সিদ্ধান্ত। পরে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া বা ডিভোর্সের কারণে সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। পরে বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে আবার বিয়ে করেও সন্তান নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
৫. বাবা-মায়ের বার্ধক্যকালে সময় না দেওয়া : উদ্যোক্তা এবং ব্লগার জেমন অ্যালটুচার জানান, আমার ৩৪ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে একটি বিষয়ে মতের মিল না হওয়ায় সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। মাত্র ছয় মাস পর স্ট্রোকে মারা যান তিনি। এর এক সপ্তাহ আগেই তিনি আমার খোঁজ নিতে ই-মেইল করেছিলেন। কিন্তু তারও জবাব দেইনি আমি। আসলে বাবা-মা বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন এ কথাটা মাথায় রাখতে হবে এবং তাদের সময় দিতে হবে। নয়তো আমার মতো আজীবন পস্তাতে হবে।
৬. সঞ্চয় না করা : সাধারণত এ বয়সে মানুষ তার যাবতীয় অর্থ ব্যবসায় বিনিয়োগ করে ফেলেন। আবার অনেক চাকরিজীবীরাও সঞ্চয় করেন না। এই অদূরদর্শিতার জন্য তাদের ভবিষ্যতে ব্যাপক বিপদে পড়তে হয়।
৭. বিনোদন থেকে দূরে থাকা : তিরিশের কোঠায় পা দিয়ে নিজেকে বড়দের দলের একজন বলে মনে হয়। এ সময় আনন্দ-ফুর্তি এড়িয়ে চলতে চান সবাই। কিন্তু জীবনের আনন্দ থেকে সরে যাওয়ার সময় এখন নয়। কারণ এখন অর্থ উপার্জনের সঙ্গে আরো ব্যাপক আকারের বিনোদন করার সময়।

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন