Pages

ভ্যালেন্টাইন ডে (বিশ্ব ভালোবাসা দিবস) কি জানুন প্রকৃত ইতিহাস ।

                                                                                                 Happy valentines day 2014
valentines day 2014
ভালোবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর কোমল দুরন্ত মানবিক অনুভূতি। ভালোবাসা নিয়ে ছড়িয়ে আছে কত কত পৌরাণিক উপাখ্যান। সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি সর্বত্রই পাওয়া যায় ভালোবাসার সন্ধান। ভালোবাসার জন্য মানুষ মৃত্যুকে তুচ্ছ করে। রাজা সিংহাসন ত্যাগ করে হাসিমুখে প্রেমিকার হাত ধরে। আজকের এই পাথর সময়ে ঈর্ষা-বিদ্বেষ আর হানাহানির পৃথিবীতে ভালোবাসা প্রতিনিয়ত সৃষ্টি করে চলেছে অমর্ত্যলোকের কাহিনী।
আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি,ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবস। আজকের প্রজন্মের কাছে এটি সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত দিন। দুনিয়াজুড়ে তারা এ দিনটিকে অত্যন্ত আগ্রহ ও আনন্দের সঙ্গে পালন করে আসছে। তারুণ্যের অনাবিল আনন্দ আর বিশুদ্ধ উচ্ছ্বাসে সারাবিশ্বের মতো ভ্যালেন্টাইনস ডে ক্রেজ আমাদের দেশেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কী এই ভ্যালেন্টাইনস ডে? কীভাবে তার উৎপত্তি? কেনইবা একে ঘিরে ভালোবাসা উৎসবের আহ্বান? আসুন তরুণ বন্ধু, প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজি।

ভ্যালেন্টাইনস ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি নিয়ে আছে নানা মুনির নানা মত। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা যায়, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এই উৎসবের সূত্রপাত হয়। একজন খ্রিস্টান পাদ্রি ও চিকিৎসক ফাদার সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারে দিনটির নামকরণ করা হয়। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমান সম্রাট গথিকাস আহত সৈন্যদের চিকিৎসার অপরাধে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেন্টাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে ছোট্ট একটি চিঠি লিখেন, যেখানে তিনি নামটি সই করেছিলেন_ ‘ফ্রম ইওর ভ্যালেন্টাইন’। সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিকা মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে পালন করা শুরু করে। যুদ্ধে আহত মানুষদের সেবার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডিত সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ভালোবেসে দিনটি বিশেষভাবে পালন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এই ভ্যালেন্টাইনস ডে সর্বজন গ্রহণযোগ্যতা পায় আরো অনেক পরে, তা প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। দিনটি বিশেষত্ব পাওয়ার পেছনে রয়েছে আরেকটি কারণ। সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুর আগে প্রতি বছর রোমানরা ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করতো ‘জুনো’ উৎসব। রোমান পুরাণের বিয়ে ও সন্তান দেয়ার দেবী জুনোর নামানুসারে এ উৎসবের নামকরণ। এই দিন অবিবাহিত তরুণরা কাগজে নাম লেখা লটারির মাধ্যমে তার নাচের পার্টনারকে বেছে নিত। ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে রোমানরা যখন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীতে পরিণত হয় তখন ‘জুনো’ উৎসব আর সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের দিনটিকে একই সূত্রে গেঁথে ১৪ ফেব্রুয়ারি
Happy Valentines Day
ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে উদযাপন করা শুরু হয়। কালক্রমে এটি সমগ্র ইউরোপে এবং ইউরোপ থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশের অগুনতি তরুণ-তরুণী ভ্যালেন্টাইনস ডে পালনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভালোবাসার কাজলমাখা গাঢ় দৃষ্টি এদিন তোলা থাকবে কেবল ভালোবাসার মানুষটির জন্যই।

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্য দিন